ভালোবাসা রং বদলায় || প্রথম পর্ব
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। অনেকদিন পর আপনাদের সামনে নতুন একটি গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি। প্রায় সময় চেষ্টা করি আমাদের নিজেদের জীবনে ঘটে যাওয়া কিংবা আশেপাশের কারোর জীবনের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো গল্প আকারে লিখে আপনাদের সাথে শেয়ার করার। আজ যে গল্পটি শেয়ার করব সেটি দুজন মানুষের ভালবাসার গল্প এরপর কিভাবে তাদের জীবনের পরিবর্তন আসে, এবং তাদের শেষ পরিণত কি হয় সেটাই। আশা করছি আজকের গল্পটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
রুপা শহরের মেয়ে। তিন ভাইয়ের একমাত্র বোন। বাবার মার্কেটে বড় দোকান আছে। রুপা এবার কলেজে পড়ছে। যেহেতু তাদের শহরে বাসা তাই বাসার অনেকটা জায়গায় ফাঁকা থাকে। এই রুপার বাবা সিদ্ধান্ত নেয়ে বাসার অর্ধেক টা ভাড়া দিয়ে দিবে। এরপর কয়েকজন কলেজ পড়ুয়া ছেলে সে বাসা ভাড়া নেয়।যে ছেলেগুলো ভাড়া নিয়েছিল তাদের মধ্যে রবিন নামের এক ছেলে ছিল। যার বাবা গ্রামের অনেক বড়লোক মানুষ ছিলেন।একই বাসায় থাকার সুবাদে মাঝেমধ্যেই তাদের দেখা হতো। রবিন একটা সময় রুপাকে পছন্দ করতে শুরু করে। রুপাও মনে মনে তাকে পছন্দ করত।
এভাবে চলে গিয়েছিল বছর কয়েক। কেউ কারোর মনের কথা বলতে পারেনি। একদিন রবিন অনেক সাহস নিয়ে তার এক বন্ধুর দাঁড়ায় রূপাকে বলায়।যে সে রুপাকে পছন্দ করে।যেহেতু রূপাও তাকে পছন্দ করত তাই রুপা এক কথায় রাজি হয়ে যায়।এভাবে চলতে থাকে তাদের প্রেম।ছুটিতে রবিন গ্রামে গিয়ে তার বাবা মাকে সব ঘটনা খুলে বলে।রবিন বাবা মার একমাত্র ছেলে হওয়ায় তারা কোন আপত্তি করেনি যদিও রবিনের বাবা একটু আপত্তি করেছিল কারণ ছেলের এখনো পড়াশোনা শেষ হয়নি। তবে ছেলে যাতে ভুল কিছু করে না বসে তাই তারা সিদ্ধান্ত নেয় তাকে বিয়ে দিবে রূপার সঙ্গে।
যাইহোক এরপর দুই পরিবার কথাবার্তা বলার পরে ধুমধাম করে তাদের বিয়ে হয়। রবিনের পরিবার ভালো এজন্য রুপার বাবারও কোনো আপত্তি ছিল না। রুপা শহরের মেয়ে গ্রামে এসে প্রথমে খুব কষ্ট হচ্ছিল সবকিছু সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে। কিন্তু আস্তে আস্তে সে সবার সঙ্গে অনেক সুন্দর ভাবে মিশে যায়।গ্রামের বাড়িতে অনেক কাজকর্ম থাকে যেগুলোর রুপা সব একা হাতে করতো। এজন্য আশেপাশে বাড়ির সবাই রুপাকে অনেক পছন্দ করত। এরমধ্যে তাদের পড়াশোনা শেষ হয়ে যায়। চাকরির জন্য একটি মাদ্রাসায় অনেক টাকা দেওয়া ছিল কিন্তু কোন চাকরি হচ্ছিল না রবিনের।
এরই মধ্যে তাদের ঘর আলো করে দুটো ছেলে সন্তানের জন্ম হয়েছে। বড় ছেলেটা ক্লাস নাইনে পড়ে। ছোট ছেলেটা ফাইভে পড়ে। এর মধ্যে রবিনের চাকরিটাও হয়ে যায়। রবিনের চাকরি হয়ে যাওয়ার পরেই রুপার জীবনে অন্ধকার নেমে আসে। ( চলবে)
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের গল্পের প্রথম পর্ব খুব তাড়াতাড়ি দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করার চেষ্টা করব যে রবিনের চাকরি পাওয়ার পর কেন রুপার জীবনে অন্ধকার নেমে আসবে। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপু আপনি ঠিক বলেছেন ভালোবাসা রূপ বদলায়। আসলে আপু কিছু মানুষ টাকা দিয়ে সব বিবেচনা করে। আসলে ভালোবাসা কখনো টাকা দিয়ে বিচার করা হয় না। রুপার জীবনে এমন কি হলো যে রবিনের চাকরি পাওয়ার পর। পরিবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম ।
হ্যাঁ আপু ভালোবাসার কাছে টাকার কোনো মূল্য নেই।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনি আজকে অনেক সুন্দর একটা গল্প লিখে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আজকের গল্পটার প্রথম পর্ব পড়ে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। রবিন এবং রুপা প্রথম প্রথম তাদের মনের কথা না বললেও, পরবর্তীতে তাদের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক হয়ে গিয়েছিল। আর ফ্যামিলি গত ভাবে তাদের বিয়ে হয়েছে দেখে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। এখন তো দেখছি তাদের ঘরে দুইটা সন্তান রয়েছে। যারা অনেক বড় হয়ে গিয়েছে দেখে আরো ভালো লেগেছে। যদিও আগে রবিনের কোন চাকরি ছিল না, কিন্তু পরবর্তীতে চাকরি হয়েছে। তারপর রুপার জীবনে কি হলো, এটা দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। শেষ পর্ব শেয়ার করেছি আশা করছি ভালো লাগবে।
আপনার গল্পগুলো আমার অনেক ভালো লাগে আপু। আপনি সবসময় সুন্দর সুন্দর গল্প লিখে থাকেন। অন্য গল্প গুলোর মত আজকের গল্পটাও ভালো লেগেছে। গল্পের প্রথম দিক খুব ভালোই লেগেছে। কিন্তু শেষে এটা বুঝতে পারলাম রুপার জীবনে অন্ধকার নেমে আসবে। রুপার সঙ্গে দেখছি রবিনের বেশ ধুমধাম ভাবে বিয়ে হয়েছে তাও আবার পরিবারের সম্মতিতে। তাদের দুই সন্তান অনেক বড় হয়ে গিয়েছে দেখছি আর দুজনেই ছেলে। তাদের বাবাও চাকরি পেলো। চাকরি হওয়ার পরেই রুপার জীবনে তাহলে অন্ধকার নেমে এসেছে। কি অন্ধকার নামল এটাই দেখতে হবে এখন।
আমি সব সময় বাস্তব ঘটনা গুলো গল্প আকারে লিখে থাকি ভাইয়া। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।