প্রচন্ড গরমে বিদ্যুৎ ছাড়া দুইদিন কাটানোর অভিজ্ঞতা
"হ্যালো",
আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়াই এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। আপনারা হয়তো টাইটেল দেখে বুঝতেই পারছেন আমি আজকে নিয়ে কথা বলবো। হ্যাঁ বন্ধুরা আজ আমি কথা বলব বিদ্যুৎ নিয়ে। ঝড় তুফানে বিদ্যুৎ চলে যাওয়া স্বাভাবিক। তবে নিজেদের বোকামির জন্য যদি বিদ্যুৎ ছাড়া থাকতে হয় তাহলে কেমনটা লাগবে বলেন তো। এক হাস্যকর এবং কষ্টদায়ক ও বটে তেমন একটি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করব। কিছুদিন আগে প্রচন্ড গরম যখন ছিল তখনকার ঘটনা এটি।
কিছুদিন আগে হঠাৎ করে বেলা 11 টার দিকে কারেন্ট চলে যায়। তারপর আর কারেন্ট আসে না। প্রচন্ড গরম কোনভাবেই ঘরে টিকা যাচ্ছে না। ঝড় তুফানও নেই যে বিদ্যুৎ এর তার ছিড়ে যাওয়ার ভয় আছে।আমাদের বাড়িতে আইপিএস আছে তারপরও কতক্ষণই বা চলবে। যাতে রাতে ঘুমাতে পারি এই ভেবে আইপিএস এর লাইন বন্ধ করে বাহিরেই সারাদিনটা বসে বসে কাটালাম। সারাদিন তো সবাই বাহিরে বসে থাকতে পারবে কিন্তু রাত্রীবেলা তো ঘুমাতে হবে। গ্রামের এদিকে বিদ্যুৎ নেই কিন্তু অন্য পাড়াতে ঠিকই আছে। তারপরও কারোর মাথায় আসিনি যে কোনো সমস্যা হতে পারে।
আর গ্রামের মানুষ কেমন সেটা হয়তো অনেকেরই জানা। তারা কোনো বিষয়কে এই সিরিয়াসলি নেয় না।সন্ধ্যা হয়ে গেল তবুও বিদ্যুৎ আসছে না। তখন আপনাদের ভাইয়াকে বললাম উনি বিদ্যুৎ অফিসে ফোন দিলেন। বিদ্যুৎ অফিস থেকে জানানো হলো তাদের পক্ষ থেকে কোন সমস্যা নেই। যাইহোক কি আর করার সারাটা রাত এভাবেই গরমে ছটফট করতে সবার কেটেছে। যদিও রাতে আমাদের খুব একটা কষ্ট হয়নি কারণ আইপিএস ছিল। সকাল সাতটায় আইপিএসও বন্ধ হয়ে যায়। এরপর গ্রামের অন্যপাশের এক লোক এসে জানায় যে আগের দিন নাকি দুটো কাক টেনেস মিটারের উপর বসে ঝগড়া করছিল।উনি দেখেছেন হয়তো তখনই কোনো সমস্যা হয়েছে।
তখন আর কারোই বুঝতে বাকি রইলো না যে কোনভাবে টেনেস মিটার বাস্ট হয়েছে। এরপর তাড়াহুড়ো করে অফিসে ফোন করার পর ওনারা এসে ভালোভাবে দেখে অফিসে একটা লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন এবং তারপরে আমাদের এখানে নতুন মিটার চলে আসে।এরপর সেটা লাগানো হয়। আমার মনে হয় না সারারাত কেউ ঘুমাতে পেরেছে তাই বিদ্যুৎ আসার সাথে সাথে সবাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে আগে দু-চার ঘন্টা ঘুমিয়ে নিয়েছে। এ প্রচন্ড গরমে বিদ্যুৎ ছাড়া কতটা কষ্টকর সেটা বিদ্যুৎ চলে গেলে বোঝা যায়।
তো এই ছিল প্রচন্ড গরমে বিদ্যুৎ ছাড়া থাকার অভিজ্ঞতা। সত্যি কথা বলতে এটা কিছুটা নিজেদের বোকামিও ছিল। যেকোনো বিষয়ে সিরিয়াস হওয়া খুব দরকার। তো আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এটাতো চিন্তার বিষয় গরমের দিন ঝড় তুফান কিছু নেই বিদ্যুৎ চলে যাবার তো কোনো কারণ হয় না। তবে হাস্যকর বিষয় হলো যে দুই কাক ঝগড়া করল আর সমস্যাটা আপনাদেরই হয়ে গেল। যাক দুই দিন বেশ ভালোই অভিজ্ঞতা হয়েছে আপনাদের। শেষমেষ বিদ্যুৎ পেয়ে সবাই ঘরে ঢুকে ঘুমিয়ে নিল বেশ ভালো লাগলো শুনে।
হ্যাঁ আপু ব্যাপারটা যেমন হাস্যকর তেমনি কষ্টদায়ক।বিদ্যুৎ পাওয়ার পর সবাই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য।