কয়েকটি খাবারের ফটোগ্রাফি
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি খাবারের ফটোগ্রাফি ব্লগে স্বাগতম। আজ আমি শেয়ার করব বেশ কয়েকটি খাবারের ফটোগ্রাফি। এগুলো আমাদের বৃষ্টি চাকি বৌদির বাসায় ইফতারের আয়োজন করা হয়েছিল সেদিনের কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি। যদিও সবগুলো খাবারই বাহির থেকে কিনা আনা হয়েছিল। আসলে হঠাৎ করে প্লান করা হয়েছিল সবাই মিলে ইফতার করা হবে। এটা আমরা প্রত্যেকবারই করে থাকি এবারও তার ভিন্নতা নয়। সবাই মিলে বেশ মজা করে ইফতার করা হয়েছিল এবং খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম সেখানে। সেখানকার মুহূর্তগুলো আর একদিন তুলে ধরার চেষ্টা করব। আজকে শুধু খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করছি। আশা করছি ভাল লাগবে।
ফটোগ্রাফি-১
প্রথমে যে খাবারের ফটোগ্রাফিটি শেয়ার করছি এগুলো হচ্ছে কয়েক প্রকার ফল। এখানে আপেল ছিল, তরমুজ ছিল এবং ছিল পেঁপে। এগুলো কিন্তু আমরা বাজার থেকে কিনি আনিনি। এগুলো বৃষ্টি চাকি বৌদি দিয়েছিলেন। যদিও আমি পেঁপে এবং আপেল খুব একটা পছন্দ করি না তবে তরমুজটা খুব মজা করে খেয়েছিলাম ইফতারের পর।
ফটোগ্রাফি-২
এগুলো হচ্ছে বেগুনের চপ, পিঁয়াজু এবং আলুর চপ।সত্যি কথা বলতে আলুর চপ গুলো দেখে আমি খুবই হেসেছিলাম কারণ এত ছোট ছোট আলুর চপ আমি এর আগে কখনো দেখিনি। আসলে ব্যবসায়ীদের আর কি করার আছে সব দ্রব্যমূলের যে এত উর্ধ্বগতি তাতে করে আলুর চপের এমনটা হওয়া স্বাভাবিক। যাই হোক খেতে কিন্তু সবগুলোই বেশ ভালো ছিল।
ফটোগ্রাফি-৩
এগুলো হচ্ছে বিভিন্ন ঝুড়ি ভাজা। এখানে ছিল চিড়া ভাজা, হতে বানানো চানাচুর, ছোট ছোট নিমকি এবং ভাজা বাদাম। আমাদের এখানে রমজান মাসে এগুলো পাওয়া যায়। এছাড়া অন্যান্য সময় পাওয়া যায় না।
ফটোগ্রাফি-৪
ইফতারে মূল খাদ্য হচ্ছে ছোলা ভুনা।ছোলা ভুনা ছাড়া ইফতার যেন অসম্পূর্ণ। তাই ইফতারের অন্যান্য খাবারের সঙ্গে ছোলাটা একটু বেশি করে আনা হয়েছিল।
ফটোগ্রাফি-৫
এগুলো কি বলেন তো? হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন এগুলো হচ্ছে জিলাপি।আমাদের কমিউনিটিতে সবসময়ই জিলাপি খাওয়ানোর পয়সা দেওয়া হয়।সবাই মিলে জমিয়ে সেই পয়সা দিয়ে আমরা জিলাপি কিনেছিলাম। হা হা হা।🤭
ধাপ-৬
ইফতারের আর একটি সবার পছন্দের খাবার হচ্ছে বুন্দিয়া।উপরের সবগুলো খাবারের সাথে এই বুন্দিয়া দিয়ে মাখানো হলে সেইটা খেতে যে কি মজা সেটা তো বলে বুঝানোর মতো না।এই যা আমি তো রোজা। থাক বাবা এসব খাবারের কথা নাই বা বলি।
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকে কয়েকটি খাবারের ফটোগ্রাফি। আশা করছি ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। আর যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাদের সুন্দর মতামতের মাধ্যমে আমাকে জানাতে ভুলবেন না। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
বাহ আপু আপনি তো দেখছি দারুন ভাবে ফুড ফটোগ্রাফি করেছেন। আর সেগুলোর বর্ণনা একদম যথাপযুক্ত ভাবে দিয়েছেন। আমাদের কমিউনিটির সকলের প্রিয় মেম্বার বৃষ্টিচাকির বাসায় দারুন ফুড ফটোগ্রাফি করেছেন। পেঁপে তরমুজ আপেল সহ বিভিন্ন রকমের ফল ছিল এবং সকলের প্রিয় জিলাপি, ইফতারের রাজা ধোলা, বুন্দিয়া সহ বেশ কয়েক রকমের লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি করেছেন। আর তা উপভোগ করার অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন তার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
খাওয়ার পর যতই প্রবলেম হোক না কেন এসব খাবার ছাড়া যেন ইফতার জমেই না। তাইতো আমরা সেদিন বেশ মজা করে এই খাবারগুলো খেয়েছিলাম। আর বৌদির বাসায় তো আমরা সব সময় ভালো মহূর্ত কাটায়।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
লোভনীয় সব খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন দেখে তো সত্যি অনেক লোভ হচ্ছে।
এই খাবার গুলোর মধ্যে আমার সব থেকে বেশি প্রিয় তরমুজ পেপো এবং ছোলা ভুন।
ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় সব খাবারের ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করে নেয়ার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। তরমুজ এবং পেঁপেঁ খুব একটা পছন্দ না করলেও ছোলা ভুনা খেতে আমি খুবই পছন্দ করি ।
বেশ লোভনীয় কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপু। ঝুড়ি ভাজা আমি এর আগে কখনো খাইনি। নতুন একটি খাবার সম্পর্কে জানতে পারলাম। বাকি ফটোগ্রাফি গুলোও খুব ভাল ছিল। ফটোগ্রাফির মধ্যে জিলাপি গুলো দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে। ধন্যবাদ আপু এত সুস্বাদু এবং লোভনীয় কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
রমজান মাসে আমাদের এখানে এই ঝুড়ি ভাজাটা তৈরি করা হয়। এছাড়া অন্য সময় খুব একটা পাওয়া যায় না। তবে ইফতারের অন্যান্য খাবারের সঙ্গে এটা খেতে বেশ ভালোই লাগে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনার খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো খুবই চমৎকার হয়েছে। ইফতারিতে সবাই মিলে একসঙ্গে আয়োজন করে ইফতারি করলে অন্যরকম একটা আনন্দ পাওয়া যায় ।বৃষ্টিচাকি বৌদির বাসায় সবাই মিলে বেশ আনন্দ করে ইফতার করেছেন বুঝতে পারছি। তবে খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু চমৎকার ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু সবাই মিলে ইফতার করলে অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটানো যায়। এইতো বৌদির বাসার সবাই মিলে সেদিন খুব মজা করেছিলাম। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
খাবারের পর ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে ভাবি। সেদিন ইফতার গুলো খেতে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। বৌদির ফলগুলো খেতে মজা ছিল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাবি সেদিন ইফতার গুলো বেশ ভালো লেগেছিল। আর বৌদির ফল তো মিষ্টি লাগবেই সেগুলো যে আমরা ফ্রিতে পেয়েছিলাম। 😜 ধন্যবাদ ভাবি সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বিভিন্ন ধরনের খাবারের ফটোগ্রাফি করেছেন। এ ফটোগ্রাফি গুলো মূলত ইফতারের আইটেম হবে। ইফতারের সময় ধরনের খাবার খুবই ভালো লাগে খেতে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে জিভে জল চলে আসলো। ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
জ্বী ভাইয়া কিছুদিন আগে আমরা একটি ইফতার পার্টি করেছিলাম। সেখানকার খাবারের ফটোগ্রাফি ছিল এগুলো। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
সারাদিন রোজা থাকার পরে ইফতারি টা খুব একটা আনন্দের সময়। এই সময় আসলে মনে হয় আমরা কত কিছুতেই ইফতারি করব সেই চিন্তা ভাবনা মাথায় ঘুরে। আপনি হঠাৎ করে ইফতারের জন্য বাইরে থেকে সব খাবারগুলো এনেছিলেন। ইফতারের আয়োজনটা সত্য অনেক মজাদার। ইফতারের বেশ কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
একসাথে ইফতারের আয়োজন করা হলে বেশ ভালোই লাগে এবং মুহূর্তটা বেশ সুন্দর কাটে। আমরাও সেদিন খুব ভালো মুহূর্ত কাটিয়েছি। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
সবাই মিলে একসাথে ইফতারি করার মজাই অন্যরকম। আপনি বৃষ্টি চাকি আপুর বাসায় একসাথে সবাই মিলে ইফতারি করেছিলেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। খাবারগুলো বাহির থেকে কেনা হলেও এই খাবারগুলো কিন্তু অনেক লোভনীয় লাগছে। ছবিগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আপু সবাই মিলে ইফতার করার মজাই আলাদা। যদিও ইচ্ছে করলে আমরা সবগুলো খাবারই বাসায় বানাতে পারতাম তবে ঝামেলা হবে মনে করে বাহির থেকে কিনে আনা হয়েছিল। তারপরও খাবার গুলো বেশ মজার ছিল। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।