এক নারীর ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। আজকে আমি সুন্দর একটি নারী সংগ্রামের গল্প শেয়ার করব। একজন মেয়ে একজন মা চাইলে এমন কোন কাজ নাই যেটা পারেনা।কোনো পরিবারে বাবা না থাকলেও একজন মা সন্তানকে মানুষ করতে পারেন। কিন্তু একজন বাবা তা সফল ভাবে পারেনা।যাইহোক বাবারাও কোন অংশ কাম না।যাইহোক পরিবারের স্বামী না থাকায় একজন সংগ্রামী মেয়ের গল্প আজ আমি শেয়ার করব। আশা করছি গল্পটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
লতা গ্রামের মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়ে। সব সময় গ্রামে দুরন্তপনা করে বেড়াতো। সবাইকে হাসি খুশিতে মাতিয়ে রাখত। দিন গড়িয়ে বছর গড়িয়ে লতা একদিন অনেক বড় হয়ে গেল। ভালো ভালো ঘর থেকে লতার বিয়ের প্রস্তাব আসত। লতার পরিবার থেকে শুনে একটা ভালো ঘরে লতার বিয়ে দেয়। লতার স্বামীও খুবই ভালো মানুষ ছিলেন লতাকে খুবই ভালোবাসতেন। বেশ হাসি খুশিতে তাদের সংসার চলত। লতার শ্বশুরবাড়ির অন্যান্য লোকজন হাসি ঠাট্টা পছন্দ করত না। তাই লতাও সব সময় তাদের মন রেখে চলার চেষ্টা করত।
বিয়ের এক বছর পর লতার ঘর আলো করে এক ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। লতা এবং তার স্বামী খুবই খুশী তাদের সংসারের সন্তানের আগমনে। তবে সেই সুখ যেন বেশি দিন লতার কপালে সইল না।হঠাৎ এক বড় অসুখে লতার স্বামী পরপারে পাড়ি জমান। আর তখন থেকেই শুরু হয়ে যায় লতার জীবনে অশান্তি। তারপর শশুর বাড়ির সবাই লতাকে এক ঘরে করে রাখে। বাসা থেকে বের হতে দেওয়া হতো না ভালোভাবে খাবার খেতে দিত না। কারো সাথে কথা বলতে দিত না এক কথায় বলতে গেলে জেলখানার মতো কয়েদির মতো বন্দি করে রাখতো তাকে।
যে মেয়েটা সবসময় হেসে খেলে বেড়াতো সে কি আর ঘরে বন্ধ থাকতে পারে। সে কিছুতেই বন্দি জীবন সহ্য করতে পারত না। তাই সে বাবার বাড়িতে খবর পাঠায় যে সে বাবার বাড়ি ফিরে যাবে। বাবার বাড়িতে তাকে ফিরিয়ে আনা হয় এবং সে আবারো নতুন করে জীবনটাকে শুরু করার স্বপ্ন দেখে। সে যেমন দুরন্তপনা ছিল তেমনি জানা ছিল হাতের কাজ।সে বিভিন্ন ধরনের জিনিস তৈরি করে থাকে সুতা দিয়ে পুথী দিয়ে। হরেক রকম ঘর সাজানোর পন্য বানাতে শুরু করে এবং সেগুলোর দোকানে দোকানে ডেলিভারি দেওয়া শুরু করে।
তার স্বপ্ন সে একদিন বড় কিছু করবে এবং সন্তানটাকে মানুষের মতো মানুষ করবে।তার কঠোর পরিশ্রম এবং দৃঢ় মনোবল সেই স্বপ্নকে খুব তাড়াতাড়ি বাস্তবায়িত করেছিল। অল্প দিনে একটি বুটিক হাউজ গড়ে তোলে।যেখানে সে গ্রামের মহিলাদেরকে নিয়ে কাজ করতো। এতে খুব তাড়াতাড়ি একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।এভাবে বছরের পর বছর যায়। আজ তার ছেলে ভার্সিটিতে পড়াশোনা করছে। সে তার ছেলেকে নিয়েও অনেক স্বপ্ন দেখে। ছেলে অনেক বড় চাকরি করবে। আর তখন তার এতদিনের জমানো কষ্ট দূর হবে। তার এই স্বপ্নটাও পূরন হোক এটাই সবার চাওয়া।
তো এই ছিল আমার আজকের গল্প। শেষে একটা কথাই বলবো যদি কঠিন পরিশ্রম এবং সৎ পথে থাকা যায় তাহলে যে কোন কঠিন কাজই সহজ হবে এবং সফলতা আসবে। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ঠিক বলেছেন আপু, কঠিন পরিশ্রম এবং সৎ পথে থাকলে যে কোন কঠিন কাজই সহজ হবে এবং সফলতা আসবে। লতা মেয়েটির ঘুরে দাঁড়ানোর গল্পটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। সে নিজে পরিশ্রম করে অল্প দিনে একটি বুটিক হাউজ গড়ে তুলেছে এবং তার সন্তানকে মানুষের মতো মানুষ করার চেষ্টা করছে ।ধন্যবাদ আপু এত চমৎকার একটি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু গঠনমূলক একটি মন্তব্য করার জন্য।
যদি লক্ষ্য স্থির থাকে খুব সুন্দর পরিকল্পনা থাকে এবং সেই সাথে কঠোর পরিশ্রম থাকে তাহলে সফলতা নিশ্চিত। একটি মানুষের জীবনে সফলতার পিছনে কঠোর পরিশ্রম জড়িত থাকে। যে মানুষ যত পরিশ্রম করতে পারে সেই তত বেশি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে দ্রুত পৌঁছে যেতে পারে। খুব সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করলেন। লতার গল্পটি অসাধারণ ছিল।
ঠিক বলেছেন আপু মানুষের জীবনে সফলতা অর্জনের মূলমন্ত্র কঠোর পরিশ্রম।লতা কঠোর পরিশ্রম করেছেন জন্যই সে দ্রুত লক্ষে পৌঁছাতে পেরেছেন।
ঠিক বলেছেন আপু৷ কঠিন পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই৷ কঠিন পরিশ্রম করলে সেই কাজে সফলতা আসবেই৷ আজকে আপনার এই গল্পের মধ্যে লতা মেয়েটি তার কঠিন পরিশ্রমের মাধ্যমে তার জীবনকে একদমই ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে গিয়েছে৷ সে তার পরিশ্রমের মাধ্যমে তার নিজস্ব বুটিক হাউজ খুলেছে শুনে খুব ভালো লাগলো৷ একইসাথে সে তার ছেলেকে মানুষের মতো মানুষ করার চেষ্টা করছে শুনে ভালো লাগলো৷ অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম ইউনিক একটি গল্প শেয়ার করার জন্য।
গঠনমূলক একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।