ভাগ্নির বিয়েতে কাটানো মূহুর্ত
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। গতকাল হঠাৎই ভাগ্নির বিয়ে খেতে গিয়েছিলাম। সেখানকার কিছু মহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আসলে জন্ম মৃত্যু বিয়ে কখন কিভাবে হয় বলা যায় না। গতকাল ইফতার সেরে রেস্ট করছিলাম। আপনাদের ভাইয়া রিপোর্ট করতে বসেছিলেন ল্যাপটপে। রাত প্রায় দশটা থেকে ১১ঃ০০ টার মধ্যে একটা ফোন আসে আমাদের ফোনে। ফোন রিসিভ করার পর আমার জেঠাতো বোন বললেন যেন দ্রুত তার বাড়িতে যাই হঠাৎ করে তার মেয়ে বিয়ে ঠিক হয়েছে। আমি প্রথমে যেতে চাইনি।তবে বারবার বলায় আর না করতে পারিনি। আপনাদের ভাইয়ার কাজ শেষ হলে রেডি হয়ে বিয়ে বাড়িতে।
গিয়ে দেখি কেবলমাত্র রান্নাবান্নার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আসলে এত রাতে বাজারে কোন মাংস পাওয়া যায়নি তাই বাড়িতেই ছাগল জবাই করা হয়েছিল। আমার ভাগ্নির দেখলাম খুব মন খারাপ। আসলে এখনকার মেয়ের তো অনেক স্বপ্ন থাকে বিয়ে নিয়ে। তার বিয়েতে কোন অনুষ্ঠানে হলো না। পরে অবশ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে তারপরও।ওই যে কথায় আছে না ভালো ঘর এবং ভালো বর পেলে কেউ ছাড়তে চায় না। আমার বোন দুলাভাই এর হয়েছে সেই অবস্থা।
যেহেতু ইফতারের পর সবাই খাওয়া-দাওয়া করে ফেলেছিল তাই শেষ রাতের সেহরির জন্য আয়োজন করা হচ্ছিল।খাবারের আইটেম ছিল সাদা পোলাও, মুরগির মাংস, খাসির মাংস, ডিম,বুটের ডাল,সালাদ, দই-মিষ্টি। এবং শেষে ছিলো পান।মাঝরাতে এমন বিয়েতে কখনো যোগ দেওয়া হয়নি। প্রথমবার অভিজ্ঞতা বেশ ভালই লাগছিল। যাইহোক এবার আমরা শেষ রাতের খাওয়া দাওয়া সেরে আমি আমার বাবার বাড়িতে চলে গিয়েছিলাম কারণ অতগুলো মানুষের মধ্যে বাবু কিছুতেই ঘুমাতে চাইছিল না।
যেহেতু অনেক রাত ছিল তাই মেয়েকে কোনরকম সাজানো হয়েছিল। আর রাত্রি বেলা একদমই ফটোগ্রাফি করতে পারিনি। তো বন্ধুরা আজ এখানেই শেষ করছি সকলে আমার ভাগ্নি এবং ভাগ্নিজামাইয়ের জন্য দোয়া করবেন। তাদের বিবাহিত জীবন যেন সুখের হয়।
সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে আপু জন্ম মৃত্যু বিয়ে তিন বিধাতা নিয়ে। কার কখন কি হবে এক মাত্র সৃষ্টিকর্তা জানে।এটা অনেক সত্যি আপু একটা মেয়ের বিয়ে নিয়ে অনেক স্বপ্ন থাকে। যাইহোক বিয়েতে গিয়ে আপনি অনেক ভালো করেছেন। বিয়েতে বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু বিয়েতে অনেকদিন পর বেশ সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছি সকল আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে। বেশ ভালো লাগছিল অনেকদিন পর সবার সঙ্গে দেখা হয়ে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বিয়ে বাড়ি মানে আনন্দ। জন্ম, মৃত্যু ও বিয়ে কখন কিভাবে হয় বলা যায় না। এখনকার সময় হঠাৎ করেই বিয়ে ঠিক হয়ে যাচ্ছে। আপনারা রেস্ট নিচ্ছিলেন।খবর পেয়ে সুন্দর একটা মুহূর্ত কাটানোর চেষ্টা করছেন। মেয়েরা একটু স্বপ্ন দেখে বিয়ে নিয়ে অনেক সাজবে কিন্তু হুট করে বিয়ে হয়ে গেলে মেয়েদের মন খারাপ থাকে।এইবার প্রথম এক অভিজ্ঞতা হলো। বেশ ভালই লাগলো।
হ্যাঁ ভাইয়া বিয়ে বাড়ি মানে আনন্দ তবে একটা আলাদা অনুভূতি ছিল এটা। বলতে পারেন নতুন অভিজ্ঞতা কারণ এত রাতে কোনো বিয়েতে কখনো অ্যাটেন্ড করা হয়নি। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
বিয়ে জন্ম মৃত্য সব সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছে ৷ যা হোক হঠাৎ করে বিয়ে গুলো আসলে খুব একটা ভালো লাগে না ৷ তবে ওই আর কি ভালো ছেলে বলে হয়তো ৷ যা হোক আপনার ভাগ্নির বিয়েতে ভালো ইনজয় করেছেন ৷ আপনার ভাগ্নির জন্য শুভকামনা রইল ৷ তার সংসার জীবন সুখের হোক মধুর হোক ৷
এটা আমার কাছেও একদম ভালো লাগে না হঠাৎ বিয়ে হলে কোনো মজাই করা যায় না বিয়েতে।যাইহোক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন আপু মানুষের জন্ম মৃত্যু বিয়ে কখন কিভাবে হয় বলা যায় না। আসলে বিয় নিয়ে সবার মনের মধ্যে একটা আশাআকাঙ্ক্ষা থাকে। তার বিয়েটা যেনো ধুমধাম করে হয়। হঠাৎ করে এরকম আয়োজন করার জন্য মনে হয় আপনার ভাগ্নির মন খারাপ ছিলো। যাইহোক পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাইয়া ইচ্ছা আছে পরবর্তীতে ধুমধাম করে অনুষ্ঠান করার। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
শুভ ভাইয়ের পোস্টে পড়লাম বিষয়টি। বিয়েটা নাকী খুব দ্রুত ঠিক হয়ে গেছিল। সেজন্য ঐ রাতেই আপনাদের বিয়ে খেতে যাওয়া। রাতে বিয়ে খাওয়ার মধ্যে আলাদা একটা মজা আছে। আমি একবার খেয়েছিলাম আমার ফুফাতো ভাইয়ের বিয়ে। অতো রাতে মাংস পাওয়া যাবে না এটাই স্বাভাবিক। আশাকরি নবদম্পতির পরবর্তী জীবন সুখের হবে।
হ্যাঁ ভাইয়া হঠাৎ করেই বিয়েটা ঠিক হয়ে গিয়েছিলাম তাই রাত্রিবেলা আমাদের যাওয়া। এটা ঠিক বলেছেন এত রাতে বিয়ে খাওয়ার মধ্যে আলাদা মজা আছে। বেশ ভালো সময় কাটিয়েছি। ধন্যবাদ ভাইয়া।
বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার মুহূর্তটা কতটা ইন্টারেস্টিং হয়ে থাকে, যে থেকেছে সেই ভালো জানে। কিছুদিন আগে আমিও ঠিক এমনই একটা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলাম আপু। যাহোক খুবই ভালো লাগলো আপনার আজকের এই পোস্ট। খুবই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন আপনি বিস্তারিত বিষয়। জেনে খুবই ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।
বাহ এতো রাতে বিয়ে তাও আবার ভাগ্নির বিয়ে বলে কথা চলে গেলেন। তবে শেষ রাতের খাবার টা দারুন খেলেন আপনি। ঠিক বলছেন আপনি ভালো বর ভালো ঘর সব সময় পাওয়া যায় না। যখন সময় সুযোগ আসে তখন দিয়ে ফেলাই ভালো। আপনার এমন সুন্দর অনুভূতি পড়ে বেশ ভালো লেগেছে। এই প্রথমবার দেখলাম এত রাতে বিয়ে। আবার এত রাতে খাওয়া দাওয়া। ভিন্ন ধরনের একটি বিয়ের গল্প শুনেছি আপনার মাধ্যমে ভাল লেগেছে পড়ে।
এত রাতে ফোন করেছিলো আর না গেলে কেমন একটা দেখায়। তাই বাধ্য হয়েছিলাম যেতে। তবে গিয়ে বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছি। নতুন একটা অভিজ্ঞতা হল। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
বিয়ে মানেই আনন্দ৷ বিয়ের আনন্দের কথা মুখে বলে প্রকাশ করা যাবে না৷ জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে যে কোন সময় হয়ে যেতে পারে তা কখনোই বলা যায়না৷ সৃষ্টিকর্তা যখন ইচ্ছা তখনই তা নির্ধারণ করে দিতে পারেন৷ ঠিক সেরকম একটি ঘটনা আপনার ভাগ্নির সাথে হয়েছে৷ হঠাৎ করে তার বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছে এবং তার বিয়ে নিয়ে তার অনেক স্বপ্ন ছিল এবং হঠাৎ করে বিয়ে ঠিক হয়ে যাওয়ায় তার সেই স্বপ্নগুলো আর পূরণ করা হলো না৷ তাই তার একটু মন খারাপ ছিল৷ যাই হোক আপনার ভাগ্নির বিয়েতে আপনার ভালোই উপভোগ করেছেন দেখে খুব ভালো লাগছে৷
বিয়ে নিয়ে মেয়েদের অনেক স্বপ্ন থাকে। আমার ভাগ্নি অনেক মন খারাপ করেছিল। তবে যাই হোক পরে তাকে অনেক বুঝানো হয়েছিল যে পরে বড় করে একটা অনুষ্ঠান করা হবে। সব মিলিয়ে বেশ ভালো মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।