সঞ্চয়
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। আজ আমি বেশ কয়েক মাস থেকে জমানো ব্যাংক ভাঙলাম।অনূভুতি টা বেশ ভালো লাগার ছিলো।আসলে টুকটুক করে জমানো যেকোনো জিনিসের প্রতি ভালো লাগাটা একটু বেশি থাকে। যেমনটা আমার ক্ষেত্রেও হয়েছে। আমার কোল আলো করে যখন আমার ছেলে পৃথিবীতে আসে তখন সবার থেকে খুশি হয়েছিল বেশি আমার বাবা। কারণ তার ছেলে সন্তান ছিল না। ছিল না বললে ভুল হবে অনেক ছোট বয়সেই সে আমাদেরকে ছেড়ে চলে গেছে। সে এখন আল্লাহর মেহমান।
যাইহোক ছোটবেলা থেকে আমি আমার বাবুকে বাহিরে জিনিস খুব কম খেতে দিতাম। দিতাম না বললেই চলে। কিন্তু আমার বাবা যখনই বাবুকে দেখতে আসতেন আমার বাসায় তখনই অনেক খাবার নিয়ে আসতেন যেগুলো আমার ছেলে কিছুই খেত না আমরাও বাহিরে জিনিস খাওয়া খুব একটা পছন্দ করতাম না। তখন দেখা যেত খাবারগুলো নষ্ট হতো কিংবা মানুষকে দিয়ে দিতে হতো।
একদিন বাবাকে বলেছিলাম যাতে এত খাবার আর না নিয়ে আসে। তখন থেকেই দেখতাম বাবা বাবুকে দেখতে আসলে টাকা দিতেন।টাকাগুলো আমার কাছ থেকে কোনো না কোনো ভাবে খরচ হয়ে যেত। তখন ভাবতাম বাবুর টাকাগুলো এভাবে খরচ করা আমার ঠিক হচ্ছে না।তাই বাবুর বাবাকে বলে একটা প্লাস্টিকের ব্যাংক কিনে নিলাম। তখন থেকে বাবুকে যে কেউ টাকা দিলে আমি সাথে সাথে তা ব্যাংকে ঢুকিয়ে রাখতাম। আমার ছেলেরও খুব ভালো একটা অভ্যাস ছিল যে কেউ টাকা দিলে সাথে সাথে এনে আমার হাতে দিয়ে ব্যাংকে ঢুকিয়ে রাখতে বলতো।
যাইহোক হঠাৎই সাংসারিক কাজে কিছু টাকার প্রয়োজন ছিল। তাই ব্যাংকটি ভাঙতে হয়েছিল। খুব বেশিদিন টাকা জমাইনি ৮ থেকে ৯ মাস হবে টাকা জমানো। এর মধ্যে বেশ ভালো টাকা জমে গিয়েছিল। প্রায় ৯০০০ টাকার মতো জমিয়েছিলাম। ইচ্ছে ছিল ব্যাংকের জমানো টাকা দিয়ে বাবুকে একটা ভালো সাইকেল কিনে দিবো বড় হলে কিন্তু কি আর করার সংসারিক কাজে তো খরচ করতেই হবে। তবে বাবুর বাবা বলেছে সে ভালো দেখে একটা সাইকেল তার ছেলেকে কিনে দিবে।
তো যাই হোক বন্ধুরা এই ছিল আমার ব্যাংকে জমানো টাকা বের করা বা ব্যাংক ভাঙ্গার অনুভূতি। আজ এখানে বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। পড়ে আপনার কাছে বেশ ভালই লেগেছে। আসলে আপনি বাবুকে বাহিরের জিনিস খেতে দেন না এটা অনেক ভালো । বাহিরের জিনিস খাবার ছোটদের জন্য খুবই ক্ষতিকর। আর টাকা জমানোটা আমার কাছে আরো বেশ ভালো লেগেছে।কেউ টাকা দিলে সে নিজে থেকে ব্যাংকে রেখে দিত। অল্প কয়দিনে বেশ ভালো টাকা হয়েছে। বাবু যখন আরো বড় হবে তখন তার আব্বু তাকে সাইকেল কিনে দেবে। ধন্যবাদ আপনাকে ব্যাংক থেকে টাকা নেওয়ার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
আমিও অনেকটাই অবাক হয়ে গিয়েছিলাম আপু অল্প দিনে এতগুলো টাকা জমানো দেখে। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ছোট বাচ্চাদেরকে বাহিরের খাবার খাওয়ানো একেবারেই উচিত না। আপনার ছেলে যে টাকা গুলো পেত সেগুলো আপনার হাতে দিত, আর প্রথম প্রথম আপনি সেগুলো খরচ করলেও পরবর্তীতে ব্যাংকের মধ্যে জমিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। প্রায় নয় হাজার টাকার মতো জমিয়েছিলেন, আর এই টাকা তার সাইকেলের জন্য জমিয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ যেহেতু সংসারের কাজের জন্য কিছু টাকা প্রয়োজন পড়েছিল তাই ব্যাংকটা ভেঙে চিলেন। যাইহোক প্রায়ই নয় হাজার টাকার মতো পেয়েছিলেন জেনে ভালোই লাগলো।
হ্যাঁ আপু ছোট বাচ্চাদেরকে বাহিরের খাবার দিলে খাবারের রুচি নষ্ট হয়ে যায় তাই খুব কম বাইরের খাবার দেই। টাকাগুলো জমিয়েছিলাম বাবুর জন্য কিন্তু সংসারের কাজে ব্যবহার করতে হল। পরে কোনো এক সময় টাকা জমিয়ে কিনে দিবো।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ছোট থেকে বাচ্চাদেরকে এরকম অভ্যাস করা অনেক ভালো। কারণ বাইরের খাবার খাওয়ানোর অভ্যাস করলে ছোট বাচ্চারা ঘরের জিনিস খেতেই চায় না। আপনি টাকাগুলো জমিয়েছিলেন, আর ভেবেছিলেন বাবুর জন্য সাইকেল কিনবেন। কিন্তু অনেক সময় এরকম প্রয়োজন পড়ে যে আর সেটা করা হয়ে ওঠে না। ঠিক তেমনি আপনার সাথে হলো। তবে সাংসারিক কাজে এটা লাগিয়েছেন এটা দেখে ভালো লেগেছে। সাংসারিক কাজে এরকম টাকা প্রয়োজন পড়ে। প্রায় ৯০০০ টাকার মতো জমিয়েছিলেন জেনে ভালো লেগেছে।
হ্যাঁ ভাইয়া অল্প কিছুদিনে বেশ ভালো টাকা জমিয়ে ছিলাম। আর বাবুকেও শিখিয়েছি কেউ টাকা দিলেই সে ব্যাংকে ঢুকিয়ে রাখত। সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
এই ব্যাংকে টাকা জমানোর অভ্যাস আমারও আছে তবে ধৈর্য নাই।অপেক্ষায় থাকতে পারি না কবে ভরবে। ফেলানোর জায়গাটা কেটে বড়ো করে রেখেছি যাতে করে অনায়সে টাকা বের করতে পারি।ফেলাই আর দরকার হলেই বের করে ফেলি।আসলে বাচ্চাদের যা শেখানো যায় তাই শেখে। আমার মেয়ের টাকা ব্যাংক কেটে সাইকেল কিনেছিলাম। বাবুর হাতে টাকা দেয়ার পর যদি ওকে সঙ্গে নিয়ে দোকানে যেতেন তখন ও টাকা হাতে পেলেই দোকানে যেতো কিছু কিনতে।খুব ভালো অভ্যাস হয়েছে বাবুর।সংসারে কাজে লেগেছে টাকা এটাই অনেক।বাবুর সাইকেল সময় মতো কিনতে পারবেন বর্তমান পরিস্থিতি আগে বোকাবেলা করেন।ধন্যবাদ
ব্যাংকে টাকা জমাতে আমারও অনেক ভালো লাগে তবে তবে ভাঙতে ইচ্ছে করে না। এবারও কোন ইচ্ছে ছিল না বাধ্য হয়ে ভেঙেছিলাম। যাইহোক ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
আসলে বাহিরের খাবার স্বাস্থ্যসম্মত নয়। তাই যথাসম্ভব বাহিরের খাবার এড়িয়ে চলা উচিত আমাদের। ছোটদেরকে তো বাহিরের খাবার খাওয়ানো একেবারেই উচিত নয়। কারণ এতে করে বাচ্চাদের খাবার খাওয়ার রুচি নষ্ট হয়ে যায়। যাইহোক আপনার বাবা এবং আরও অনেকের দেওয়া টাকা জমিয়ে, মোটামুটি অনেকগুলো টাকা হয়েছে। এই টাকাগুলো সংসারের কাজে লাগালে খুব ভালো হবে। কারণ শায়ান বড় হওয়ার পর, শুভ ভাই একটি সাইকেল এমনিতেই কিনে দিতে পারবে। যাইহোক আমাদের সবার উচিত সঞ্চয় করা। যাতে করে বিপদের সময় কাজে লাগানো যায়। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বাবুকে যখন যে কেউ টাকা দিয়েছে সাথে সাথে আমি সেগুলো জমিয়েছি সাথে আমার নিজের টাকাও রেখেছি।জমানো টাকা বিপদের সঙ্গী।ঠিক বলেছেন ভাইয়া আমাদের প্রত্যেকের উচিত সঞ্চয় করা। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।