মা চাচীদের সাথে কাটানো সুন্দর মুহূর্ত
"হ্যালো",
আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়াই এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।
সবাইকে আমার নতুন একটি পোস্টে স্বাগতম। প্রতিদিন বিকেলে যখন একটু সময় পাই আমাদের বাসার সামনে একটি টঙ পাতানো হয়েছে সেই টঙে বসে সবার সঙ্গে গল্প গুজব করি। আজকেও বিকেল বেলা পাশের বাড়ির এক ভাবীর সঙ্গে বসে গল্প করছিলাম। এমন সময় দেখি আমার এক চাচা নারকেল গাছ থেকে নারকেলের কিছু ডাল কাটছিলেন। জিজ্ঞেস করলাম এগুলো দিয়ে কি হবে। পাশে থেকে আমার চাচি বললেন এগুলো দিয়ে বিছানা পরিষ্কার করার ঝাড়ু বানানো হবে।
তখন আমি বললাম এত কষ্ট করার কি আছে এখন তো বাজারে প্লাস্টিকের রেডিমেট ঝাড়ু পাওয়া যায়। তারা হেসে বললেন কি দরকার টাকা খরচ করার যখন এটা খুব সহজেই কোনো খরচ ছাড়াই বাড়িতে বানানো যায়। এই বলে অনেকেই গোল হয়ে বসে বটি বা ছুরির সাহায্যে নারকেল পাতা থেকে মাঝের কাঠি বের করছিলেন।এটা দেখার পর বেশ ভালো লাগলো। আমিও তাদের দলে বসে গেলাম। তাদের থেকে দেখে দেখে আমিও পাতা থেকে কাঠিগুলো বের করার চেষ্টা করছিলাম। প্রথমবার এমন অভিজ্ঞতা বেশ ভালো লাগছিল।
পাতা থেকে কাঠি বের করতে সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল সাথে অনেক গল্প গুজব করছিল। আমরা যারা শহরে বসবাস করি এমন দৃশ্য কখনো চোখেই দেখি না।আমি অবশ্য তাদের গল্প গুলো খুব মনোযোগ দিয়ে শুনছিলাম। তারা কত ছোট ছোট বিষয় নিয়ে গল্প করে হাসাহাসি করে।এই মানুষগুলোর মাঝে থাকলে অনায়াসে আপনার মন ভালো হয়ে যাবে। যাইহোক অনেকক্ষণ বসে আমি বেশ কিছু কাঠি বের করেছিলাম পাতা থেকে।
পাশে বাবু তার সাথীদের সাথে খেলতে ব্যস্ত। এরপর আমাকে কাজ করতে দেখেই বেশ বিরক্ত করছিল। যেহেতু আমার হাতে বটি ছিল তাই আর বেশিক্ষণ সেখানে দেরি করিনি। কারণ যেকোনো সময় বিপদ হতে পারে।তাই আবারও টঙে বসে অন্যদের সঙ্গে গল্প করায় ব্যস্ত হয়ে পড়ি আর অন্য দিকে বাবু খেলতে শুরু করে।
সত্যিই অনেক দিন পর এমন দৃশ্য চোখে দেখে বেশ ভালো লাগছিল। আরো ভালো লাগছিল যে আমি তাদের সঙ্গে শামিল হতে পেরেছিলাম। এমন দৃশ্য আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে জানাবেন। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে। সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমাদের বাড়িতে আগে এভাবে ঝাটার খিল তুলত। এখন আর এই দৃশ্যগুলো চোখে বাজে না। যখনই দাদা-দাদি মারা গেছে তখন থেকে এগুলা কমে গেছে বাদ হয়ে গেছে। অনেক মিস করি সেই সমস্ত দিনগুলো।
ঠিক বলেছেন আপু এইসব দৃশ্য গুলো এখন আর খুব একটা দেখা যায় না।অনেক দিন পর বেশ ভালো লেগেছে এমন দৃশ্য দেখে।
মা চাচীদের সাথে কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করেছেন আপু। খুবই ভালো লাগলো আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে। নারিকেলের পাতা থেকে মাঝের কাঠিটি দিয়ে বিছানার ঝাড়ু তৈরি করা যায়। আমার শ্বাশুড়ি মা ও নারিকেলের পাতার মাঝের কাঠি বের করে ঝাড়ু তৈরি করতেন। ছেলে তো দেখছি খোলা জায়গা পেয়ে ভালো ই সময় কাটাচ্ছে।
জ্বি আপু ছেলে তো সারাদিন খেলা করে গ্রামে এসে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
গ্রামের মানুষজন আসলে নিজেদের তৈরি করা জিনিসপত্র ব্যবহার করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। আর আমরা তো রেডিমেড জিনিসপত্রের উপর নির্ভরশীল। কতো সুন্দর করে বিছানা পরিষ্কার করার ঝাড়ু তৈরি করছে। এই প্রসেসিংটা দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। সবার সাথে গল্প গুজব করে দারুণ সময় কাটিয়েছেন আপু। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।