নতুন বাড়ির জন্য দরজা জানালা বানানোর অনূভুতি
"হ্যালো",
আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়াই এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার নতুন বাড়ির জন্য দরজা জানালা বানানোর অনুভূতি। এই দ্রব্যমূল্যের বাজারে কিংবা স্বল্প আয়ে বড় বড় স্বপ্ন দেখাতো দূরের কথা ছোট স্বপ্নগুলো পূরণ করতে কষ্ট করতে হয়। যেহেতু বেশিরভাগ সময় গ্রামে এসে থাকা হয় তাই ইচ্ছে ছিল গ্রামের বাড়িটাকে সুন্দর করে সাজাবো। যদিও আগে থেকেই বাড়ি করা আছে তবে সেটাকেই একটু নিজের মতো করে করার চেষ্টা করছিলাম।
আমাদের গ্রামের বাড়িতে অনেক পুরনো জানালা দরজা। যেহেতু অনেক গুলো টাকায় খরচ হয়ে যাচ্ছে তাই ভাবলাম অল্পের জন্য এই দরজা জানালা গুলো রাখলে বাড়ির সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যাবে। তাই অনেক চিন্তা ভাবনা করে আমাদের স্থানীয় বাজারে গিয়ে এক মাস আগে এই জানালা দরজার অর্ডার দিয়ে এসেছিলাম। অনেক ইচ্ছে ছিল জানালা গুলোতে থাই গ্লাস লাগাবো।কিন্তু গ্রামের বাচ্চারা অনেক দুষ্টু হয় খেলতে গিয়ে যদি একটা ছোটখাটো ইট বা পাথর ছুড়ে মারে তাহলে জানালা ভেঙে যাবে। অনেক ভেবেচিন্তে সেই রিক্স নেইনি।
যেহেতু গ্রামের প্রচুর পরিমাণে আলো বাতাস তাই আমি জানালাগুলো অনেকটা বড় করার চেষ্টা করেছি। এখানে মোট চারটা দরজা এবং চারটা জানালা ছিল। এবং বাড়ির বড় একটি মেইন দরজা ছিল। তো যাই হোক গত কয়েকদিন আগে আমাদের দরজা জানানো গুলো বানানো হয় এবং আমরা সেগুলো নিতে যাই। আমার কাছে দরজা জানালা গুলো খুবই ভালো লেগেছিল যদিও অন্য রং করার ইচ্ছে ছিল কিন্তু এখন নাকি রং করা যাবে না কিছুদিন পর করতে হবে। বাড়ির কাজ শুরু করে বেশ নতুন নতুন অভিজ্ঞতা হচ্ছে এবং অনেকটা ভালো লাগাও কাজ করছে। নিজেদের টাকায় কিছু করতে পারলে সত্যিই অনেক ভালো লাগে।
যাই হোক দরজা জানালা গুলো বাড়িতে আনার জন্য আমরা একটি বড় ট্রলি ভাড়া করেছিলাম। আর বড় দরজাটা এত ভারী ছিল যে ফটোগ্রাফিতে লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন কতজন মিলে এই দরজাটি ট্রলিতে তুলেছিল। এরপর একে একে সব দরজা জানালা ট্রলিতে উঠানো হয়ে গেলে আমরা হিসাব করে সব টাকা পয়সা দিয়ে সেগুলো বাসায় এনেছি। দরজা জানালা গুলো এখনো লাগানো হয়নি। লাগানো হলে অবশ্যই আমি আমার পুরো বাড়ির ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করব পরবর্তীতে।
আপাতত আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
নতুন বাড়ির জন্য দরজা জানালা তৈরি করে সেই অনুভূতি শেয়ার করেছেন আপু।আসলে নিজের কিছু করা খুব আনন্দের কাজ।নিজেদের পরিশ্রমের টাকা দিয়ে নিজের মনের মতো ঘর,বাড়ি তৈরি করা খুব আনন্দের বিষয়। আমার খুব ভালো লেগেছে আপু আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে। অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।বাড়ি তৈরি হয়ে গেলে সম্পুর্ন বাড়ির ফটোগ্রাফি শেয়ার করবেন আশাকরি।
নিজের টাকায় কিছু করতে পারলে সত্যিই অনেক ভালো লাগে আপু। তবে আপু আপনারা বাড়িতে কাঁচের জানালা না লাগিয়ে ভালোই করেছেন। কারণ গ্রামের বাচ্চা-কাচ্চারা খুবই দুষ্টু হয়। দেখা গেল যে ঢিল মেরে ভেঙে দিয়ে গেল। যাইহোক, জানালা দরজা গুলো কিন্তু বেশ ভালো হয়েছে। আর দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুব মজবুত হবে এইগুলো।