পাঁকা আমের জুস/শরবত 🍹🍹
"হ্যালো",
গত দুইদিন থেকে এত গরম পড়েছে যে অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছি। বিশেষ করে বাবু বেশি অস্বস্তি প্রকাশ করছে। যদিও বাসায় আইপিএস আছে তারপরও যেন কোন কাজ হচ্ছে না। গতকাল রাতে তো ঘুমাতেই পারিনি। এই গরমে যে পরিমাণ ঘাম আমাদের শরীর থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে এতে করে খুব দ্রুত হয়ে পানি শূন্যতা দেখা দিবে। সেই পানি শূন্যতা দূর করার জন্য অবশ্যই আমাদের বেশি বেশি নরমাল পানি খেতে হবে এবং তা ছাড়াও স্যালাইন এবং বিভিন্ন ধরনের শরবত আমাদের প্রত্যেকদিন খাওয়া উচিত।সে কথা আর মাথায় রেখে আমার প্রত্যেকদিন কোন না কোন জুস বা লেবুর শরবত খাওয়ার চেষ্টা করছি।
শশুর বাড়ি থেকে বেশ কিছু পাঁকা আম এসেছে বাসায়।আমগুলো দেখতে খুব সুন্দর হলেও খেতে খুব একটা ভালো না।বেশ আঁশযুক্ত। আর আঁশযুক্ত আম আমার একদম পছন্দ না।তাই ভাবলাম আমগুলো দিয়ে জুস বানিয়ে ফেলি যেই ভাবা সেই কাজ।বানিয়ে ফেলাম প্রান জুড়ানো ঠান্ডা ঠান্ডা আমের জুস।আর আমি কিভাবে পাঁকা আমের জুস বানিয়েছি সেটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।আশা করছি ভালো লাগবে।
উপকরনসমূহঃ |
---|
পাঁকা আম |
চিনি |
লেবু |
বরফ কুচি |
ধাপ-১
প্রথমে আমগুলোর খোসা ছাড়িয়ে টুকরো করে কেঁটে নিয়েছি। এরপর হাত একটু আধা ভাঙা করে নিয়েছি।
ধাপ-২
এরপর একটা ছাঁকনির সাহায্যে ছেঁকে রস বের করে নিয়েছি।
ধাপ-৩
এরপর পরিমাণ মতো চিনি দিয়ে চামচের সাহায্যে ভালো ভাবে মিশিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৪
এরপর পরিমাণমতো লেবুর রস মিশিয়েছি।
ধাপ-৫
এবার একটি গ্লাস নিয়েছি এবং এখানে কোন পানি ব্যবহার করিনি। সম্পূর্ণটাই আমের রস ছিল।এরপর বরফ কুচি দিলেই তৈরি হয়ে গেল ঠান্ডা ঠান্ডা পাঁকা আমের জুস।
এবার বাবুর বাবাকে যখন আমি খেতে দিয়েছিলাম তখন উনি বেশ প্রশংসাই করলেন।বললেন এই জুস বাহিরে খেতে গেলে দেড়শ থাকে ২০০ টাকা দাম নিতো। তাও আম দিত না মিষ্টি কুমড়া দিত বোঝা যেত না। বাবুকেও খাওয়ানোর চেষ্টা করলাম ও প্রথমে মুখ ভেঙাচ্ছিল। ভাবছিল কিনা কি খাওয়াচ্ছি। পরে একবার মুখে দেওয়ার পর অবশ্য পরে বেশ মজা করে খেয়েছে। এখন আমের সিজন সব বাসাতেই প্রায় কমবেশি আম আছে। অবশ্যই এই গরমে আমের জুস আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। কারণ এই আমগুলো কিন্তু ফরমালিনমুক্ত। করার চেষ্টা করবেন বেশি বেশি আম এবং আমের জুস খাওয়ার খেতে। বাচ্চা থেকে শুরু করে বয়স্ক সব ধরনের মানুষের জন্য এটা বেশ উপকারী বলে আমি মনে করি।
আজকে এ পর্যন্তই। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 2/8) Get profit votes with @tipU :)
দুই দিন ধরে গরম অনেক বেশি। এই গরমে বাচ্চারা আরো বেশি কষ্ট পাচ্ছে। শায়ান অনেক কষ্ট পেয়েছে জেনে খারাপ লাগলো আপু। এই গরমে শরীরের পানি শূন্যতা দূর করতে শরবত অনেক উপকারী। পাঁকা আমের জুস রেসিপি শেয়ার করেছেন এজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
জ্বি আপু এই গরমে পানি শূন্যতা দূর করতে শরবতের কোনো বিকল্প নেই। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
পাকা আমের জুস শরবত দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে এই গরমে। যদি এক কাপ পেতাম মনটা জুড়িয়ে খেতাম। জুস তৈরীর প্রতিটি প্রক্রিয়াটি অসাধারণ ছিল। সব থেকে বেশি ভালো লাগছে আপনার জুস তৈরির প্রক্রিয়া দেখে আমি খুব সহজেই শিখে নিতে পেরেছি ধন্যবাদ।
সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
এই কয়দিন ধরে গরম অনেক বেশি। আর এই গরমে আপনার এই চমৎকার একটি শরবত যেটি দেখে আমার খুব লোভ হচ্ছিল। আর গাছ পাকা আম দিয়ে শরবত তৈরি তো অনেক সুন্দর হয়। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা আমের শরবত তৈরীর পদ্ধতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
জ্বি ভাইয়া গাছ পাঁকা আমের জুস খেতে খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আমের জুস আমার অনেক প্রিয় একটি জুস। বিশেষ করে পুরো রমজান মাসে আমি আমের শরবত তৈরি করে খেয়ে থাকি। তবে এই বছর আমের সিজন না পাওয়ায় খাওয়া হয়নি রোজাতে। ঠিক বলছেন শরীর থেকে অনেক বেশি ঘাম বের হয়ে যায় এ গরমে ঠান্ডা ঠান্ডা আমের জুস খেতে অনেক ভালো লাগবে। লেবু দেওয়াতে স্বাস্থ্যের জন্য আরো অনেক ভালো হবে।
হ্যাঁ আপু ঠিক বলেছেন অন্যান্য বার রোজার মধ্যে আম পাঁকলেও এবছর তা হয়নি।তবে এই গরমে আমার বাসায় প্রায় প্রতিদিনই পাঁকা আমের জুস খাওয়া হচ্ছে। ধন্যবাদ আপু।
খুব সুন্দর ভাবে পাকা আমের জুস তৈরি করে আজ আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আমি একদম প্রাথমিক পর্যায়ে থেকে শেষ পর্যন্ত ধাপে ধাপে উপস্থাপনা করার বিষয়গুলো দেখে নতুন কিছু শিখতে পারলাম আপনার এই পোষ্টের মধ্যে দিয়ে। খুবই ভালো লেগেছে আপনার এই এত সুন্দর একটি জুস তৈরি রেসিপি দেখে।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
কয়েক দিন ধরে এতো গরম পড়েছে যা বলার মতো নয়। মোটকথা এই গরমে জনজীবন একেবারে অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছে। আমগুলো দেখতে সত্যিই খুব সুন্দর। তবে আঁশযুক্ত আম খেতে সত্যিই বিরক্ত লাগে। তাই আমগুলো দিয়ে জুস তৈরি করেছেন। দেখে খুব ভালো লাগলো। রেসিপিটা শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।