গ্রামের কিছু প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি 📸
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি ফটোগ্রাফি ব্লগে স্বাগতম। আজ অনেকদিন পর আপনাদের সাথে কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করতে চলেছি। ফটোগ্রাফি গুলো অনেক দিন আগে করা ছিল আমার শ্বশুরের গ্রামের বাড়ির আশেপাশের। ভেবেছিলাম একটা গান কভার করব কিন্তু কিছুতেই মন বসছিল না। তাই ফোনের গ্যালারি ঘাটতে শুরু করলাম দেখছিলাম কিছু ফটোগ্রাফি পাওয়া যায় কিনা।দেখতে দেখতে এই ফটোগ্রাফি গুলো চোখে পড়লো প্রকৃতির কিছু অপরূপ সৌন্দর্য দৃশ্য। আমার তো অনেক ভালো লাগে গ্রামে গেলে। কিন্তু সেখানকার নেটওয়ার্কের অবস্থা খুবই বাজে, তাই খুব একটা যাওয়া হয়না মাঝেমধ্যে কোনো অনুষ্ঠান কিংবা দরকারি কাজে যাওয়া হয়। যাইহোক আশা করছি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যগুলো আপনারা উপভোগ করবেন।
প্রথমেই যে ফটোগ্রাফি টি শেয়ার করছি আপনারা লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন ছোট্ট একটা ব্রিজ দেখা যাচ্ছে। এটা নতুন হয়েছে। আমার যখন বিয়ে হয় তখন এখানে ছোট্ট একটা কাঠের ব্রিজ ছিল।এই খালটি নদীর একটি ছোট শাখা। এর পাশ দিয়ে বয়ে গেছে করতোয়া নদী।
আমার শ্বশুরবাড়ির এরিয়াটা বিশাল প্রায় আট বিঘা জমির উপর বাড়ি, বাগান,পুকুর ইত্যাদি। আমি অনেক আগে একবার বলেছিলাম আমার শ্বশুরমশাই খুবই সৌখিন। এত এত গাছের পাশাপাশি ওনার বাড়িটি উনি ওনার মনের মত করে সাজিয়েছেন। অনেক প্রকার ফুল ফল পাতাবাহার কত কিছু দিয়ে উনি ওনার বাগান বিলাস তৈরি করেছেন। কিন্তু উনার অনেক আফসোস আমরা গ্রামে গিয়ে থাকি না।এখানে ছোট্ট একটি টং আপনারা লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। আমরা যখন গ্রামে যাই এখানে বসে অনেকক্ষণ আড্ডা দেই। বেশ ভালো সময় কাটায় সেখানে।
এ রাস্তাটি আমার শ্বশুর বাড়ির সামনেই। রাস্তার পাশে যে খালটি দেখতে পাচ্ছেন যখন বন্যা হয় বন্যার পানি একদম এই খাল পর্যন্ত আসে। বিয়ের পর একবার গিয়েছিলাম বন্যা দেখতে। দরজায় বের হলে রাস্তার পাশেই বন্যার পানি।আমার কাছে বন্যার পানি দেখতে ভালো লাগলেও সবার কাছে মোটেই সেটা ভালো ছিল না। যাইহোক তখনকার সৌন্দর্য আমি বেশ উপভোগ করেছিলাম। কখনো যদি সময় সুযোগ হয় বন্যার সময়ের অবস্থা আপনাদেরকে দেখাবো।
যেহেতু আমার শ্বশুরবাড়ি এলাকায় বন্যা হয় তাই সেখানকার প্রধান ফসল হচ্ছে আঁখ।কারন আঁখ বন্যার পানিতে ডুবে গেলেও কোন সমস্যা হয় না। আশেপাশের যতো জমি লক্ষ্য করছেন সবগুলোই আমার শ্বশুরের। আমরা গ্রামে গেলে প্রচুর পরিমানে আঁখ খেয়ে থাকি।
এতক্ষণ যে খালের কথা বলছিলাম এই সেই খাল। দেখুন কত সুন্দর দৃশ্য তাই না। খালের চারপাশে গাছ। আমরা যখন গ্রামে যাই বিকেলবেলা এই খালের পাড়ে বসে অনেক সময় কাঁটাই।একটু পানি বেশি হলে এইখানে প্রচুর পরিমাণে মাছ পাওয়া যায়।
এক কথায় আমাদের গ্রামের বাড়ি টি অনেক অনেক সুন্দর।সবাই কর্মসূত্রে শহরেই থাকা হয়। সত্যি কথা বলতে আমি যেদিন গ্রামে যাই সেদিন কোন কাজ করি না শুধু আশে পাশে ঘুরে বেড়াই। এই ছিল আমার শ্বশুরবাড়ির গ্রামের কিছু দৃশ্য আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে এর পরবর্তীতে কখনো গেলে পুরো একটা ভিডিওগ্রাফি করে আপনাদেরকে দেখাবো সেখানকার আমার শ্বশুরের বাগান বাড়ি খামারবাড়ি সৌন্দর্য কতখানি। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।
গ্রামের দিকে গেলে দারুন সব ফটোগ্রাফি করা যায় আর প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য দেখা যায়। আপু আপনি এত সুন্দর করে এই ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন দেখে ভালো লাগলো। সত্যিই আপু গ্রামের দিকে গেলে অনেক সুন্দর সময় কাটে।
এটা ঠিক বলেছেন আপু সুন্দর ফটোগ্রাফির জন্য গ্রামের দৃশ্য একদম পারফেক্ট। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য।
গ্রাম বাংলার প্রকৃতি থেকে ধারণ করা খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। এই ধরনের পরিবেশে সময় অতিবাহিত করতে আসলেই অনেক ভালো লাগে। আপনারা এমন সুন্দর পরিবেশ ভ্রমণ করেছেন এটা জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো আপু।
হ্যাঁ আপু এমন সুন্দর পরিবেশে গেলে খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
গ্রাম তো আমার সব থেকে বেশি পছন্দের। আমরা যেহেতু গ্রামে থাকি তাই অনেক বেশি ভালো লাগে। দরকারি অথবা কোন প্রয়োজনে আপনাদের গ্রামে আসা হয়। আপনার শ্বশুর বাড়ির গ্রামটা কিন্তু সত্যি অনেক বেশি সুন্দর। গ্রামের প্রাকৃতিক দৃশ্যের এইসব ফটোগ্রাফি দেখেই তো আমি একেবারে মুগ্ধ হয়েছি। সত্যি অনেক বেশি সুন্দর লাগতেছে সবগুলো ফটোগ্রাফি। অনেক সুন্দর একটা ব্রিজ রয়েছে দেখে ভালো লেগেছে।
আমারও গ্রাম খুবই ভালো লাগে ভাইয়া। শহরে থাকতে একদমই ভালো লাগেনা কিন্তু কর্মসূত্রে এবং শহরে নিজেদের বাড়ি তাই থাকতেই হয়।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বেশ সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি। আপনার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি খুবই অসাধারণ হয়েছে।আসলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে সত্যি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এত চমৎকার ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আপনার সুন্দর মন্তব্যটি অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলেই আট বিঘা জমির উপরে যেহেতু আপনার শ্বশুরবাড়িয়ার এরিয়া তাহলে জায়গাটা অনেক বড়। সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন গ্রামীণ পরিবেশের সৌন্দর্যটা খুব কাছ থেকে উপভোগ করলাম আপনার এই ফটোগ্রাফি পর্বগুলো দেখে।
হ্যাঁ ভাইয়া জায়গা অনেক বড় এবং গাছপালা দিয়ে ভরা। অনেক ভালো লাগে সেখানে গেলে।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো আমার কাছে বেশ ভালো লাগে দেখতে। সুন্দর কিছু প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। সবগুলো ফটোগ্রাফি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। এত সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফি পোস্ট টি দেখে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
গ্রামীণ দৃশ্যের এক অপরূপ সৌন্দর্যময় চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে গ্রামের পরিবেশে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কোন শেষ নেই। তাই গ্রামীণ প্রাকৃতিক পরিবেশের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমার সব সময় অনেক ভালো লাগে। আপনার তোলা প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। সত্যি গ্রামের প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো সবসময় আমাদের নজর কারে।
গ্রাম বাংলা মানেই অপরূপ সৌন্দর্যময় প্রাকৃতিক দৃশ্য। সেই প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো দেখলেই মনটা একেবারে ভরে যায়। কারণ প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো এত সুন্দর হয় যে, সেখান থেকে আর ফিরে আসতেই ইচ্ছে করে না। আপনার শ্বশুর বাড়িতে যখন গিয়েছিলেন, তখন এই ফটোগ্রাফিগুলো করেছিলেন আপনি, এটা জেনে ভালো লাগলো। সত্যি মনটা একেবারে ভরে গেল, প্রকৃতির এত সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। আর আপনি কিন্তু সত্যি অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করতে পারেন।
হ্যাঁ আপু আমাকে খুব অনেক মন খারাপ হয় তখন আমি প্রকৃতির মধ্যে নিজেকে বিলিয়ে দিই।তখন আলাদা একটা প্রশান্তি পাই। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।