রেসিপিঃ বাঁধাকপির পাকোড়া
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি রেসিপি ব্লগে স্বাগতম। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব বাঁধাকপির পাকোড়া রেসিপি। শীতকাল শেষ হয়ে গিয়েছে অনেক আগেই। তারপরও বাজারে টুকটাক বাঁধাকপি পাওয়া যাচ্ছে । কিছুদিন আগে রমজান মাসের মধ্যে আমি একটি বাঁধাকপি কিনেছিলাম।সেই বাঁধাকপি থেকে অর্ধেকটা আমি ভাজি করেছিলাম কিন্তু খেতে একদমই ভালো লাগেনি। তাই বাকি অর্ধেকটা আমি ডাল বাটা দিয়ে পাকোড়া বানিয়ে ছিলাম। খেতে বেশ মজা হয়েছিল। সেই রেসিপিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি আশা করছি ভালো লাগবে।
উপকরনসমূহঃ |
---|
বাঁধাকপি |
ডাল বাটা |
পেঁয়াজ কুচি |
কাঁচামরিচ কুচি |
আদা-রসুন বাটা |
ভাজা জিরার গুঁড়া |
হলুদ গুঁড়া |
লবণ |
তেল |
ধাপ-১
বাঁধাকপি কুচি করে কেটে নিয়ে সেগুলো ভালোভাবে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-২
এবার আগে থেকেই কিছু খেসারি ডাল বাটা ছিল সেখান থেকে পরিমাণ মতো বাটা ডাল নিয়েছি।
ধাপ-৩
এবার একটা বাটিতে বাঁধাকপি কুচি এবং পরিমাণ মতো বাটা ডাল নিয়েছি।
ধাপ-৪
এরপর অনেকটা পরিমাণ পেঁয়াজ কুচি পরিমাণ মতো মরিচ কুচি এবং আদা রসুন বাটা, হলুদ গুঁড়া, ভাজা জিরার গুঁড়া এবং পরিমাণ মতো লবণ দিয়েছি।
ধাপ-৫
এ পর্যায়ে হাতের সাহায্যে সবগুলো উপকরণ একসাথে ভালোভাবে মাখিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৬
পাকোড়াগুলো ভাজার জন্য চুলায় ফ্রাইপেন বসিয়ে দিয়েছি পরিমাণ মতো তেল। এরপর মেখে রাখা মিশ্রণ থেকে পাকোড়ার শেপ করে তেলের মধ্যে দিয়েছি।
ধাপ-৭
এরপর সবগুলো পাকোড়া গুলো লাল লাল করে ভেজে নিয়েছি।
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের রেসিপি আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। সত্যি কথা বলতে আমাদের কাছে খেতেও বেশ ভালো লেগেছে। আর ইফতারে এটি আমরা মজা করে খেয়েছিলাম। যাইহোক আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
ভীষণ লোভনীয় সুস্বাদু ও মুখরোচক রেসিপি আজকে শেয়ার করেছেন আপনি।বাঁধা কপি এখন কম পাওয়া যায় এবং ভাজা বা ঘন্ট রান্না করলে একদমই ভালো লাগে না খেতে।আপনি ভেজে খেয়ে স্বাদ পাননি বলেই আজকে অসাধারণ সুন্দর করে ডাল দিয়ে বাঁধা কপির পাকোড়া তৈরি করেছেন। ধাপে ধাপে পাকোড়া তৈরি পদ্ধতি চমৎকার ভাবে ভাগ করে নিয়েছেন আমাদের সাথে।সব মিলিয়ে অসাধারণ সুন্দর রেসিপি।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর রেসিপি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
একদম আপু প্রথমে রান্না করার পর একটুও ভালো লাগেনি খেতে। তাই অনেক ভেবে এভাবে পাকোড়া বানিয়েছি। খেতে বেশ ভালোই লেগেছিল। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
একটি বাঁধাকপির অর্ধেকটা ভাজি করেছিলেন খেতে ভালো লাগেনি তাই ডাল বাটা দিয়ে বাঁধাকপির পাকোড়া তৈরি করেছিলেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। এ ধরনের রেসিপি খাইতে অনেক সুস্বাদু হয়। অনেক সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
অফ সিজনের বাঁধাকপি তো এই জন্য মনে হয় রান্না করে খেতে ভালো লাগেনি। তাই এভাবে পাকোড়া বানিয়েছিলাম তখন খেতে বেশ ভালো লেগেছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
বাঁধাকপির পাকোড়া রেসিপি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার রেসিপি পরিবেশন অসাধারণ হয়েছে।এতো মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জ্বী ভাইয়া বাঁধাকপি পাকোড়া রেসিপিটা খেতে খুবই মজাদার হয়েছিল। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
বাঁধাকপির পাকোড়া খেতে অনেক মজা লাগে। রমজান মাসে আমরাও ইফতারিতে বাঁধাকপির পাকোড়া কয়েক দিন খেয়েছি। আপনার তৈরি বাঁধাকপির পাকোড়াটিও দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। অনেক ধন্যবাদ আমাদের মাঝে রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
আমার কাছেও বাঁধাকপির পাকোড়া খেতে খুবই ভালো লাগে আপু। সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
রেসিপিটি দেখতে অনেক সুন্দর এবং লোভনীয় লাগছে।
এই ধরনের খাবার আমি খেতে অনেক ভালোবাসি।
আপনার রেসিপিটি ভাবছি আমি বাসায় একদিন তৈরি করবো।
সুন্দর রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
জ্বি আপু অবশ্যই একদিন বাসায় বানিয়ে খেয়ে দেখবেন আপনার কাছে ভালো লাগবে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
শীতকালীন সবজি গুলো ভালোই লাগে। আপনি খুব সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। বাঁধাকপির পাকোড়া বেশ ভালো লাগে খেতে। বিশেষ করে বিকালের নাস্তা হিসেবে গরম গরম পাকোড়া টমেটোর সস দিয়ে খেতে আরো বেশি ভালো লাগে। তবে আমরা এই পাকোড়া তৈরিতে কখনো ডাল বাটা ব্যবহার করিনি। আপনার রেসিপিটা দেখে ভালো লাগলো আপু। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
একদম ঠিক বলেছেন গরম গরম পাকোড়া টমেটো সস্ এর সাথে খেতে খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনার রেসিপিটা অনেক ইউনিক ছিল দেখেই তো লোভ সামলাতে পারিনি খেতে ইচ্ছে করছে খুব। দাওয়াত করলে অবশ্যই যেতাম সেই সাথে ঈদের ভোজ ভেজানো খাওয়া হত। প্রতিটি ধাপ অনেক চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
সমস্যা নাই ভাইয়া একদিন দাওয়াত করেই না হয় এই রেসিপিটা বানিয়ে খাওয়াবো। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
সবজি হিসেবে বাঁধাকপি দিয়ে প্রস্তুত করা যেকোনো ধরনের রেসিপি আমার কাছে খুব ভালো লাগ।
বিশেষ করে বাঁধাকপি ভাজি এবং ঘন্ট।
আপনি বাঁধাকপি দিয়ে অনেক লোভনীয় মজাদার পাকোড়া প্রস্তুত করেছেন দেখেই খুব লোভ হচ্ছে নিশ্চয়ই খুব সুস্বাদু হয়েছিল খেতে।
হ্যাঁ ভাইয়া বাঁধাকপির এই পাকোড়া গুলো খেতে খুবই মজাদার হয়েছিল। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।