জয় দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু বাংলার!
08-06-2024
২৫ জৈষ্ঠ্য , ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। আমিও ভালো থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত! হয়তো সেটা যতদিন বেচেঁ থাকতে হবে ততদিনই করতে হবে! যাইহোক, আপনারা যারা খেলাধুলার খবর রাখেন তারা নিশ্চয় জানেন টি-টোয়েন্ট ওয়ার্ল্ড কাপ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে গ্রুপ স্টেজের খেলা চলছে! তো আজকে বাংলাদেশের প্রথম গ্রুপ স্টেজের ম্যাচ ছিল। আসলে বাংলাদেশ টিমকে আপনি যতই গালমন্দ করবেন না কেন দিনেশেষে খারাপ খেললেও এটা আমাদের দেশ ভালো খেললেও আমাদের দেশ! সে হিসেবে ভালো খারাপ দুটো বিষয়ই মাথায় রাখতে হবে। আজকে বাংলাদেশ বনাম শ্রীলংকার মধ্যকার ম্যাচ ছিল। শ্রীলংকার সাথে বাংলাদেশের রেকর্ড ভালোই। এর আগেও সিরিজ জিতেছে শ্রীলংকার সাথে বাংলাদেশ। যেহেতু বিশ্বকাপের মতো বড় একটা ইভেন্টের খেলা সে হিসেবে প্রত্যেকটা ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের জন্য।
টসে জিতে শুরুতেই বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ! পাচঁ বোলার নিয়েই মাঠে নামে বাংলাদেশ! দলে রিশাদ হাসানকে যুক্ত করা হয়। তো ব্যাটিং করতে নামে নিসাঙ্কা ও কুশাল মেন্ডিস। কুশাল মেন্ডিসে স্ট্রোক প্লেয়ার। যতক্ষণ মাঠে থাকবে ততক্ষণই রান আসতে থাকবে। অন্যদিকে নিসাঙ্কার পারফর্মেন্স ও ভালো যাচ্ছে। সে হিসেবে দুজনই বাংলাদেশের জন্য ভয়ের কারণ ছিল।
শ্রীলংকার শুরুটা খুবই ভালো করেছিলে। প্রথম দু ওভারেই ওভার প্রতি দশের উপরে রান রেইট ছিল। ঠিক পরের ওভারে তাসকিনের বলে ইনসাইড এইজে স্ট্যাম্পে বল লেগে আউট হয়ে যায় কুশাল মেন্ডিস! কুশাল মেন্ডিসকে আউট করার পর কিছুটা স্বস্তিতে থাকে বাংলাদেশ। তারপর ব্যাটিং করতে আসে কামিন্ডু মেন্ডিস! বাহাতি এই ব্যাটারও ভালো ব্যাটিং করে থাকে। কিন্তু কামিন্ডু মেন্ডিস মোস্তাফিজের বলে ক্যাচ আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে। মাঠে আসে ডি সিলভা! এদিকে ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল নিসাঙ্কা! একের পর এক বাউন্ডারি মেরে ভালোই প্রেসারে রেখেছিল নিসাঙ্কা! কিন্তু মোস্তাফিজের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। তখন শ্রীলংকার দলীয় রান ছিল তিন উইকেট হারিয়ে ৭০ রান।
তারপরে আসালাঙ্কা ও ডি সিলভা চেষ্টা করেছিল খেলাটাকে চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার। কিন্তু শেষ অবধি আর পারেনি। দলীয় সংগ্রহ যখন ১০৩ রান তখন আসালাঙ্কা আউট হয়ে যায়। তারপরে শ্রীলংকার কোনো ব্যাটার আর দাঁড়াতে পারেনি। শেষ অবধি শ্রীলংকার সংগ্রহ দাড়াঁয় নয় উইকেট হারিয়ে ১২৩ রানের! তো এটা আসলে বাংলাদেশের জন্য লো স্কোরিং একটা টার্গেট ছিল। তবে বাংলাদেশকে বিশ্বাস করা যায় না মাঝে মাঝে! সহজ খেলাও হারতে দেখেছি। দেখার বিষয় ছিল বাংলাদেশ শুরুটা কিভাবে করে!! ১২৩ রানের টার্গেটকে সামনে রেখে ব্যাটিং করতে নামে সৌম্য সরকার ও তানজিদ হাসান। তানজিদ হাসানের সাম্প্রতিক পারফর্মেন্স ভালোই ছিল! আর সৌম্য আগের ম্যাচ ভালো খেলেছিল। তবে শুরুতেই হোচঁট খায় বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই সৌম্য সরকার আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে!! তারপরে ব্যাটিং করতে আসে লিটন দাস।
লিটন দাস নামার পর ঠিক পরের ওভারেই তানজিদ হাসান আউট হয়ে যায় তুশারার বলে! শুরুতেই চাপে পরে যায় বাংলাদেশ! তারপর ব্যাটিং করতে আসে নাজমুল শান্ত! শান্তর পারফর্মেন্স ও ভালো যাচ্ছে না তেমন! শান্ত নেমেও যেন হতাশ করে সবাইকে! মিডঅনে ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। দলীয় সংগ্রহ যখন ২৮ রান তখনই তিন উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। তারপরে মাঠে নামে হৃদয়! হৃদয় উপর আস্থা ছিল। কারণ সে শ্রীলংকার প্রিমিয়ার লিগ খেলেছে। সে হিসেবে হৃদয় কিছুটা হলেও সুবিধা পাবে। তো হৃদয় নামার পরই যেন রানের গতিটা বেড়ে যায়। লিটন আর হৃদয় মিলে দেখেশুনেই ব্যাটিং করতে থাকে। তবে হৃদয় ২০ বলেই ৪০ রান সংগ্রহ করে ফেলে! কিন্তু হাসারাঙ্গার বলে এলবিডব্লিউ তে আউট হয়। তারপর মাঠে আসে সাকিব আল হাসান। সাকিব আল হাসান নামার পর লিটন আবার এলবিডব্লিউ হয়ে আউট হয়ে যায়। শেষের দিকে এমন অবস্থা হয়েছিল যেন তীরে এসেও তরী ডুবানোর মতো অবস্থা। কিন্তু মাহমুদুল্লাহর অপরাজিত ১৬ রানের সুবাধে দুই উইকেটো জয়লাভ করে বাংলাদেশ! ম্যান অফ দা ম্যাচ হয় রিশাদ হাসান।
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
আজকের খেলাটা দেখে কিন্তু ভাই বেশ পেইন হয়েছে।
জিতে যায় আবার হেরে যাই।
তবে শেষ পর্যন্ত মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ শেষ ভরসা ছিল সেটাই কার্যকর হল জয় দিয়ে শুরু হলো অবশ্যই শুভকামনা থাকবে।
তবে ভাই বলতেই হয় আজকে বাংলাদেশের বোলাররা কিন্তু তাদের সেরা খেলাটা দেখিয়েছে।
বাংলাদেশের বোলাররা ভালোই বল করেছে। দেখা যাক সামনের ম্যাচগুলোতে কি করে।
twitter share
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনি খুব সুন্দর ভাবে খেলাটির রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আমি আজকে সকাল সকাল উঠে বাংলাদেশের খেলাটি দেখছি।পুরো খেলাটি পরিপূর্ণভাবে উপভোগ করছি।আসলে ম্যাচটি তাদের হাতে ছিল কিন্তু তারা সহজ ম্যাচকে অনেক কঠিন করে ফেলেছিল।কিন্তু পরপর তাওহীদ রিদয়ের ছয় তিনটি আমার অনেক ভালো লেগেছে। ওই ৩ টি ছয় না মারলে বাংলাদেশের রানটা এগিয়ে যেতো না।যাইহোক আপনি দারুণ ভাবে খেলাটির রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
হুম ভাই, বাংলাদেশ ভালো খেলেছে। হৃদয় আশা করছি ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে।
ভাইয়া আমি ক্রিকেট খেলা তেমন দেখি না বললেই চলে। কিন্তু আজকে আমি ক্রিকেট খেলা দেখেছিলাম এবং আজকে যখন বাংলাদেশ জয় হলো আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল। আমি প্রথম থেকে খেলা দেখেছিলাম না। আমি একদম শেষের দিকে দেখতে পেয়েছিলাম মাহমুদুল্লাহ ব্যাটিং ছিল। ওই সময় ১২ বলে নয় রানের দরকার ছিল। এমন সময় যে একটা ছক্কা দেখা পাই মনে হচ্ছিল যেতে দেখা হয়তো আজকে বাংলাদেশ। শেষমেষ জয় হলো বাংলাদেশের । এদিকে বন্ধুদের সাথে বাজি ধরেছিলাম বাংলাদেশ হেরে গেলে বিরিয়ানি খাওয়াবো। কতটা কনফিডেন্স বুঝতেই পারছেন। শেষমেষ বাংলাদেশ জিতে গেল এবং অনেক আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ ভাই আজকের এই খেলার বিষয় খুব সুন্দর ভাবে পোস্ট লিখে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হাহাহা!!! হেরে গেলে তো সর্বনাশ হয়ে যেত ভাই। জিতেছে ভালো লাগছিল খুব।