২য় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দূর্দান্ত জয় বাংলার

---

🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের লেখা শুরু করছি। আপনারা জানেন যে আমি মাঝে মাঝেই আপনাদের সাথে খেলা নিয়ে আলোচনা করে থাকি। তো ইতোপূর্বে আপনাদের সাথে বাংলাদেশ বনাম শ্রীলংকার মধ্যকার ১ম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ নিয়ে আলোচনা করেছি। তো আজকে আবারো চলে এলাম দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ নিয়ে আলোচনা করার জন্য। ১ম ম্যাচে বাংলাদেশ হেরে গিয়েছিল। তো পরের ম্যাচে বাংলাদেশ ঘুরে না দাঁড়াতে পারলে বলতে গেলে সিরিজ জয় মিস হয়ে যাবে। তো দ্বিতীয় ম্যাচটা বাংলাদেশ টিমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। গত ৬ই মার্চ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। তো ম্যাচের শুরুতেই টসে জিতে ব্যাটিং করতে আসে শ্রীলংকা। সেদিন বাংলাদেশের একাদশে তেমন পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি ।

_{screenshot credit from Rabitholebd Sports}

প্রথমে ব্যাটিং করতে আসে আবিস্কা ও কুশাল মেন্ডিস! কুশাল মেন্ডিস আসলে সবসময় ভালো খেলে। কুশাল মেন্ডিসকে যত তাড়াতাড়ি আউট করা যাবে ততই ভালো হবে বাংলাদেশের জন্য। তো শুরুতেই তাসকিনের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে আবিস্কা। আবিস্কার সাম্প্রতিক পার্ফরমেন্স তেমন ভালো যাচ্ছে না। এবারের বিপিএলেও নিজেকে তেমনভাবে মেলে ধরতে পারেনি। তারপর মাঠে আসে কামিন্দু মেন্ডিস। দুই মেন্ডিস মিলে রানের চাকাটাকে সচল রাখে। তবে চিন্তার কারণ হতে থাকে দুজনের পার্টনারশিপ। পাওয়ারপ্লেতে দারুণ ব্যাটিং করে দুজন। কিন্তু তাদের পার্টনারশিপ ভাঙে দলীয় সংগ্রহ যখন ৬৭ রানের। সৌম্য সরকারের বলে কুশাল মেন্ডিস ৩৬ রান করে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। তারপর মাঠে আসে সামারাবিক্রমা। তারপর দলীয় সংগ্রহ যখন ৭৭ রান শ্রীলংকার তখন কামিন্দুকে রান করে সাজঘরে পাঠায় মেহেদী হাসান।

_{screenshot credit from Rabitholebd Sports}

আর সেখান থেকেই খেলার চিত্রটা পরিবর্তন হতে থাকে। তারপর ক্যাপ্টেন আসালাঙ্কা মাঠে চলে আসে। আসালাঙ্কা বরাবরই ভালো খেলে। কিন্তু আসালাঙ্কার সাথে সঙ্গ দিতে পারেনি বিক্রমা। মোস্তাফিজের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। তারপরে ম্যাথিউস এসে যেন খেলার রানের চাকাটাকে আবারও সচল করে। আসালাঙ্কা আউট হয়ে যাওয়ার পরে খেলার শেষ ফিনিশিংটা দেয় ম্যাথিউস ও সানাকা। শ্রীলংকার সংগ্রহ দাড়াঁয় ২০ ওভার শেষে ১৬৫ রানের। দেখার বিষয় ছিল বাংলাদেশের শুরুটা কিভাবে হয় । ব্যাটিং করতে নামে লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। দুজনই হার্ড হিটার ব্যাটসম্যান। যতক্ষণ মাঠে থাকবে দুজন ততক্ষণই রান হবে। তবে টেনশন হয় উইকেট পরে গেলে। কারণ বাংলাদেশের মাঝে মাঝে কি যে হয়ে যায়! তো সেদিন সৌম্য আর লিটনের জুটিটা ভালো ছিল। ওপেনিং পার্টনারশিপ এ সংগ্রহ দাড়াঁয় ৭ ওভার শেষে ৬৮ রানের।

_{screenshot credit from Rabitholebd Sports}

তারপর সৌম্য আউট হয়ে যায় পাথিয়ারানা বলে। তারপর মাঠে আসে ক্যাপ্টেন শান্ত। ক্যাপ্টেন শান্তর সাম্প্রতিক পারফর্মেন্স ভালো যাচ্ছে। মাঠে থাকতে পারলে রান আসে। তো শান্ত মাঠে আসার পর লিটন বেশিক্ষণ মাঠে থাকতে পারেনি। ম্যাথিউসের বলে ক্যাস দিয়ে ৩৬ রান করেই তাকে সাজঘরে ফিরতে হলো। তারপর মাঠে আসে তৌহিদ হৃদয়। আর সেখান থেকেই বাংলাদশের জয়ের সূচনাটা তৈরি হয়। শান্ত আর হৃদয় মিলে দারুণ ছন্দে ব্যাটিং করতে থাকে। দুজনের পার্টনারশিপের উপর ভর করে বাংলাদেশ জয়ের বন্দরে পৌছেঁ যায়। সেদিন শান্ত নিজের ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরিটা তুলে নেয়। ১৮.১ ওভারেই বাংলাদেশ জিতে যায়। আর ১-১ এ সমতায় আসে ম্যাচ। ম্যান অফ দা ম্যাচ নির্বাচিত হয় শান্ত।

---

---

10% beneficary for @shyfox ❤️

ধন্যবাদ সবাইকে

---

---

আমি কে?

^{আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।}