নতুন অভিজ্ঞতা
17-09-2023
০২ আশ্বিন , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন।ভালো থাকাটা এখন মনে হয় বিলাসিতা ছাড়া কিছু না। কাউকে বলতে শুনি না যে ভালো আছে। পরিবেশটাই এমন হয়ে গিয়েছে আসলে। আমি বেশ কয়েকমাস ধরে অসুস্থ! ব্যাক পেইন সমস্যায় ভুগছি । উঠা বসা একটু বুঝেশুনে করতে হচ্ছে। নরমাল হাটাঁ চলা করা হচ্ছে। ডাক্তার দেখিয়েছিলাম অনলাইনে। বেশ কিছু রোলস দিয়ে ছিল। কিভাবে কি করতে হবে। প্রধান শর্তই ছিল একাধারে বেশিক্ষণ বসে থাকা যাবে না। পাশাপাশি গরম পানির ছ্যাক দিতে হবে রেগুলার। এ রোলসগুলা যথাযথভাবেই পালন করে আসছিলাম আসলে। পাশাপাশি নিয়মিত টেবলেও খাওয়া হচ্ছিল। তবে ঔষধ খেলে ব্যথা চলে যায় কিন্তু না খেলে আবার ব্যথা শুরু হয়।
নামাজ পড়তে হয় বসে বসে। সোজা হাটঁলেও কোমড়ে প্রেসার পরে যায় আসলে। এই অবস্থায় গত কয়েক মাস ধরেই। তো গত সপ্তাহে অনালইনে আগেরবার যে ডাক্তার দেখিয়েছিলাম সে ডাক্তারকে আবার দেখালাম। ডাক্তার কিছু টেবলেট দিয়েছিল আর বলেছিল ব্যথা না গেলে যেন একটা ডিজিটাল এক্সরে করিয়ে নেয়। তো টেবলেট খাওয়ার পর ব্যথা থাকে না কিন্তু যখনই এক জায়গায় বেশিক্ষণ বসে থাকি তখনই ব্যথা শুরু হবে হবে এমন একটা অবস্থা অনুভূত হয়। আসলে শরীর ভালো না থাকলে কোনো কিছুই করতে ভালো লাগে না। ভেবেছিলাম বাড়িতে এসে কয়েকদিন রেস্ট এ থাকলে ব্যথাটা থাকবে না। কিন্তু সেটা যেন যাচ্ছেই। আসলে অসুস্থ হলে বুঝা যায় সুস্থ্যতা আল্লাহ তায়ালার কতো বড় নেয়ামত!
এজন্য আমাদের শুকরিয়া আদায় করা উচিত। অসুস্থ হলে কোনো কিছুই করতে ভালো লাগবে না। মনের বিরুদ্ধে গিয়ে কাজ করাটা আসলেই কঠিন। পোস্টটি যখন লিখছি তখন আমি শুয়ে আছি। শুয়ে থাকলে একটু আরাম ফিল হয় তবে বেশিক্ষণ শুয়ে থাকলেই প্রবলেম। তো একটা জিনিস খেয়াল করলে দেখবেন সন্তানেরা যখন অসুস্থ হয় তখন মা কতটা চিন্তিত হয়ে পরে। বাড়িতে আসার পর থেকেই মা বলতেছিল ডাক্তার দেখাতে। কিন্তু আমি অবহেলা করে যাবো যাবো বলে যাচ্ছিলাম না। তো গতকাল আমাকে জোরপূর্বক পাঠানো হলো হাসপিটালে। আমাদের নান্দাইলে অর্থোপেডিক্স এর মধ্যে ডাঃ আবদুল্লাহ আল মামুন খুবই ভালো। উনি একটি প্যাথলজি সেন্টারে শনিবার ও মঙ্গলবারে বসে থাকে। কাল শনিবার ছিল তাই ভাবলাম কাল দেখানো যাক।
তবে আমি যেতে চাচ্ছিলাম না। কারণ অনলাইনে যে ডাক্তার দেখিয়েছিলাম উনার টেবলেটগুলো খেয়ে আরাম ফিল হচ্ছিল। পাশাপাশি ব্যথাটাও অনেকটা কমে গিয়েছিল। কিন্তু একেবারে সেরে উঠছিল না। আর আমার মা এসব অনলাইনে দেখানো ডাক্তারে বিশ্বাস করে না। কি আর করা, গতকাল সন্ধ্যায় গেলাম প্যাথলজি সেন্টারে। গিয়ে তো দেখি লম্বা সিরিয়াল! রিসেপশনে একজন ভদ্রলোক বললো সিরিয়াল কাটার জন্য কিন্তু ডাক্তার আমার বাবার পূর্বপরিচিত হওয়ায় সিরিয়াল কাটতে হয়নি। তো ভিতরে গিয়ে কিছুক্ষণ বসলাম। তারপর সিরিয়াল শেষে ভিতরে গেলাম এবং যা যা প্রবলেম হয় সবকিছু খুলে বললাম। অনলাইনে ডাক্তারের দেয়া প্রেসক্রিপশন টা দিলাম দেখার জন্য। উনি প্রেসক্রিপশন দেখে বললো এক্সরেটা করিয়ে নেয়ার জন্য।
তারপর তার পাশেই নান্দাইলের সবচেয়ে ভালো প্যাথলজি সেন্টার হলো পপুলার প্যাথলজি সেন্টার। সেখানে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে সিটিস্ক্যান, এক্সরে, আল্ট্রাসনোগ্রাফি করানো হয়। তো সেখানে আমার এক্সরে করারনোর জন্য গেলাম। আসলে এটা আমার লাইফের প্রথম এক্সরে ছিল। আমি মোটামোটি নার্ভাস ছিলাম আসলে। ভিতরে প্রবেশ করতেই প্যান্ট খুলে বললো লুঙ্গি পরার জন্য! তারপর সোজা শুয়ে গেলাম। উপরে একটি ল্যাম্পের মতো ছিল। যখনই ল্যাম্পটি অফ হয়ে যাবে তখনই শ্বাস নিতে নিষেধ করছিল। কিন্তু আমার হার্টবিট বেড়ে গিয়েছিল আসলে। আমি আমার মতোই শ্বাস নিতে থাকি। দুই মিনিটও লাগেনি। তারপর বললো হয়ে গেছে। সেখান থেকে রিপোর্ট নিয়ে সোজা চলে গেলাম ডাক্তারের কাছে। ডাক্তার এক্সরে রিপোর্ট দেখে বললো সবকিছু নরমালই আছে।
Device | Oppo A12 |
---|---|
Photographer | @haideremtiaz |
Location | w3w |
Date | 16 September, 2023 |
তবে কিছু রোলস দিল আবার। সোজা চেয়ার একদমই ইউজ করা যাবে না, নরম বালিশের উপর বসতে হবে। এছাড়াও বেশি বেশি পানি খেতে বললো। তো আমি মোটামোটি টেনশনে ছিলাম কি না কি আসে এক্সরে রিপোর্টে। যাক, আলহামদুলিল্লাহ তেমন কিছুই হয়নি। তবে সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ হাফেজ 🌼🦋
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।Posted using SteemPro Mobile
twitter share link
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলেই সুস্হ্যতা সৃষ্টিকর্তার অনেক বড় নেয়ামত।আমি নিজেও বেশ কিছু দিন যাবত ব্যাকপেইনে ভুগছি,ঔষধ খেলে কমে থাকে, না খেলে আবার হয়।ব্যাকপেইনের ব্যথাটা বেশ কষ্টকর একে তো গরম তার উপর গরম ছ্যাক দেওয়া খুব কষ্টের।যাই হোক আপনার দূত সুস্হ্যতা কামনা করছি।ধন্যবাদ
ঠিক বলেছেন আপু, একে তো গরম তার উপর আবার গরম পানির ছ্যাক দেয়া লাগে। আপনারও সুস্থ্যতা কামনা করছি আপু ☘️
ভাই যখন মানুষের শরীর খারাপ থাকে তখন বুঝে সুস্থতা কত বড় নেয়ামত। আপনি বেশ কিছু মাস অসুস্থ হওয়াই শুনে খুব খারাপ লাগলো। যদিও আপনি প্রথমে অনলাইনে ডাক্তারের চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে অনলাইন ডাক্তারের সম্বন্ধে আমার কোন অভিজ্ঞতা নেই। যাহোক আপনার মা ভালোই করলেন আপনাকে ডাক্তার দেখিয়ে। তবে শুনে খুব ভালো লাগলো আপনার সবকিছু নরমাল আছে। ডাক্তারি পরামর্শ ওষুধ এবং ব্যায়াম করেন সবকিছু আলহামদুলিল্লাহ ঠিক হয়ে যাবে।
জি আপু। ঔষধ অনেকদিন ধরেই খাচ্ছি কিন্তু কাজ হচ্ছে না। আমার জন্য দোয়া চাই আপু ☘️
সুস্থ অবস্থায় বেঁচে থাকা সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানী। আরে এই মুহূর্তে বুঝতে পারা যায় না একজন অসুস্থ মানুষের যন্ত্রণা। হয়তো আজকে আপনি অসুস্থ এবং তার জন্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়েছেন। দোয়া করি দ্রুত সুস্থতা লাভ করুন। বিস্তারিত আমাদের মাঝে খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন তাই অনেক কিছু তথ্য গ্রহণ করতে পারলাম।
হ্যা ভাই! অসুস্থ না হলে বুঝা যায় না সুস্থ্যতা আল্লাহ তায়ালার কত বড় নেয়ামত 🦋
আসলেই ভাই অসুস্থ হলে বুঝা যায় সুস্থতা আল্লাহর কতো বড় নেয়ামত। তাই অবশ্যই আমাদের উচিত সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করা। আমি মনে করি আপনার যে সমস্যা, এতে করে সরাসরি হসপিটালে গিয়ে ডক্টর দেখিয়েছেন এটা বেশ ভালো হয়েছে। দোয়া করি যেন খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জি ভাইয়া সুস্থ্যতা আল্লাহ তায়ালার অনেক বড় নেয়ামত। আমার জন্য দোয়া করবেন ভাইয়া 🙏☘️
অবশ্যই দোয়া রইল আপনার জন্য ভাই, যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন। যাইহোক ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।