গ্রামের শেষ সকাল
06-02-2024
২৪ মাঘ , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো ভালো থাকতে পারাটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ আমাদের জন্য। আসলে মানুষ যখন একটা টার্গেটকে লক্ষ্য করে সামনে এগোতে থাকে ততই সাফল্যের নিকট যেতে থাকে। টার্গেট ফিক্সড করে সামনে আগানোটাই ভালো আমি মনে করি। যেকোনো কাজও সহজও হয়ে যায়। আর আপনার মাথায় একটা টেনশনই থাকবে যে এটা আপনাকে অর্জন করতে হবে। যাক, ঐদিকে আর গেলাম না। কিছুদিন আগে সকাল সকাল বেরিয়েছিলাম। কারণ গ্রামে অনেকদিন থাকা হয়েছে। প্রিয় গ্রাম ছেড়ে পাড়ি দিতে হবে শহরে। ইতোমধ্যে আমি শহরেই অবস্থান করছি। সে বিষয়ে পরে বলবো। তো যেহেতু বাড়ি থেকে ঢাকায় চলে যাবো তাই ভাবলাম সকাল সকাল গ্রামটাকে আরেকটু দেখি। কুয়াশা ভেজা সকালে বেরিয়ে পরলাম।
গ্রামের সৌন্দর্য তো সবাই জানেন। আপনি যদি ছোট বিষয়গুলোর মাঝে সৌন্দর্য উপভোগ করতে না পারেন। তাহলে আমি বলবো আপনি উপভোগ করার মানসিকতা হারিয়েছেন। প্রকৃতির ছোট ছোট বিষয়গুলো সহজেই উপভোগ করা যায়। আমাদের বাড়ির পাশের রাস্তা হোসেনপুর রোড ধরে হাটঁতে শুরু করলাম। কিছুদূর যেতেই খেয়াল করলাম রাস্তার পাশেই মিষ্টি কুমড়ার চাষ করছে। এখনও মিষ্টি কুমড়া হয়নি গাছে। তবে গাছে মিষ্টি কুমড়ার ফুল ফুটেছে। সেই ফুলই এক সময় মিষ্টি কুমড়ায় পরিণত হবে। আর মিষ্টি কুমড়া আমার পছন্দের একটা সবজি। নিরামিষ বলেন তরকারি বলেন দুভাবেই খেতে মজা লাগে। সকাল সকাল দেখলাম কুমড়া ফুলটি ফুটে রয়েছে। উপরে হালকা করে শিশির জমা।
গ্রামের দৃশ্যপট প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে। ফাকাঁ জমিগুলো এখন বাড়ি নির্মাণ করে ফিলআপ করা হচ্ছে। বলতে গ্রামের দৃশ্যপট সামনে এমন থাকবে কি না সেটাই দেখার বিষয়। কিছুদূর এগিয়ে যেতেই হাতের বা পাশেই দেখলাম আচারগাওঁ ইউনিয়ন পরিষদ। পৌরসভার এরিয়ার পরে এটা। এই ইউনিয়ন পরিষদের সাথে শৈশবের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। এখানে পাপপ বেয়ে বিল্ডিং এর বারান্দায় উঠে যেতাম। এসে অনেকক্ষণ সময় কাটাতাম।
সকাল সকাল দেখলাম কোদাল হাতে নিয়ে জমি চাষ করছে এক কৃষক। গ্রামের বেশির ভাগ মানুষের কাজের শুরুটা হয় সকালে। আর তারা খুব তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যায়। বলতে গেলে তাদের মাঝে কোনো ডিপ্রেশনের চিন্তা দেখা যায় না। তাদের জীবনটা অনেকটা পরিশ্রমের মাঝেই কাটে। শীতের মাঝে জমিতে কাজ করাও কঠিন। কিন্তু বসে থাকলেও চলবে না। ধানের চারা সময় মতো রোপণ না করতে পারলে সমস্যা হয়ে যায়। আর কদিন পর ঝড়-বৃষ্টি আসবে। তার আগই ধানের চারা বড় করতে হয়।
আমার শৈশবের প্রিয় একটি স্কুল। প্রাথমিক বিদ্যালয় এটি। এ স্কুলে আমি পড়ি নাই। তবে জাম টুকানোর জন্য এ স্কুলে চলে আসতাম। স্কুলের সামনে মস্তবড় এক জাম গাছ। জাম গাছে প্রচুর জাম হতো। কিন্তু আমি সেদিন গিয়ে দেখলাম জাম গাছটি কেটে ফেলা হয়েছে। স্কুলের ভিতর এখন বাচ্চাদের খেলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গাছ কাটার ফলে অনেকটা স্পেস তৈরি হয়েছে স্কুলের ভিতরে। তবে আমার ভীষণ খারাপ লাগছিল জাম গাছটিকে না দেখতে পেরে।
হাটঁতে স্কুল পার হয়ে আরও সামনে চলে গেলাম। বলতে গেলে পাশাপাশি দুটিগ্রাম। একদিকে আচারগাওঁ বীরপাড়া আরেকদিকে শিমুলতলা। শিমুলতলার কাছে যেতেই খেয়াল করলাম রাস্তার পাশে কলা গাছ। কলা গাছে কলাও হয়েছে। কলাগুলো দেখে মনে হচ্ছি সাগর কলা এগুলো। সাগরকলা খেতেও ভালো লাগে যখন পাকে।
শিমুলতলা আসার পর রাস্তার পাশেই একটা পরিত্যক্ত বাড়ি! সেই ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি বাড়িটি পরিত্যক্ত! এখনও বাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে রয়েছে। বলতে ভৌতিক বাড়ির মতোই মনে হয়। দেয়ালগুলাতে শ্যাওলা জমে আছে। তবে বাড়িটি এখনও অনেক মবুত বলতেই হয়। শিমুলতলার পরের গ্রাম হলো জামতলা। সেদিকে আর যায়নি। তারপর বাড়ির দিকেই ব্যাক্ করি। সকাল সকাল গ্রামটাকেও দেখা হয়ে গেল।
Device | Oppo A12 |
---|---|
Photographer | @haideremtiaz |
Location | w3w |
আজ এই পর্যন্তই। আশা করছি আজকের ফটোগ্রাফিগুলো আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আপনাদের কাছে ভালো লাগলে অবশ্য জানাবেন। সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ 🌼
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া গ্রামের মানুষেরা দ্রুত ঘুমিয়ে যায় এবং অনেক সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে। আসলে গ্রামের সকালটা ভীষণ সুন্দর। শহরের তুলনায় গ্রামের সকালটা অনেক বেশি সুন্দর। আপনার আজকের পোস্ট পড়ে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলেই আপু শহরের তুলনায় গ্রামের সকালটা অনেক সুন্দর, উপভোগ্য হয়। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে 🌼
গ্রাম মানেই সৌন্দর্য। গ্রামের বেশ ভাল কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আমাদের সাথে। ফটোগ্রাফি গুলো অনেক ভালো হয়েছে। ফসল লাগানোর জন্য কৃষকের জমি তৈরি করার ছবিটি অসাধারণ হয়েছে। কৃষকরাই আমাদের প্রাণ। ছবি গুলো শেয়ার দেয়ার জন্য ধন্যবাদা আপনাকে।
আসলেই আপু কৃষকরাই হলো আমাদের প্রাণ। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ 🌼
যারা গ্রামীন পরিবেশে বেড়ে উঠেছে তাদের কাছে নগরের আবদ্ধ পরিবেশটা সত্যিই অনেক কষ্টের। যেটা আমার কাছে একদমই ভালো লাগেনা। যদিও জীবনযাত্রার ক্ষেত্রে কখন কোথায় যেতে হয় ঢাকা যাওয়ার আগে গ্রামের পরিবেশ টি উপভোগ করলেন। যেটা মনের প্রশান্তি আমরাও সেটা উপভোগ করলাম।
আসলেই ভাই নগরের জীবনে নিজেকে আবদ্ধ করা কষ্টের
গ্রামীণ পরিবেশে থাকতে আমাদের সকলেরই অনেক ভালো লাগে৷ আর সেই গ্রামীণ পরিবেশ থেকে যদি কোথাও চলে যেতে হয় তাহলে অনেকটাই কষ্ট হয় । তবে আপনি ঢাকার যাওয়ার পূর্বে গ্রামের এই সকাল খুব সুন্দরভাবে উপভোগ করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন ভাই। গ্রামের পরিবেশে থাকতেই আমাদের ভালো লাগে
আসলে গ্রামের সৌন্দর্য আমরা যতই উপভোগ করি না কেনো,তবুও যেন মন ভরে না। প্রকৃতির কাছে ছুটে যেতে ইচ্ছে করে বারবার এবং প্রকৃতির সান্নিধ্যে সময় কাটাতে ইচ্ছে করে। যাইহোক ঢাকায় চলে এসেছেন বলে,তার আগে বেশ ভালোই ঘুরাঘুরি করলেন গ্রামে। আসলে নিজের জন্মস্থানে ঘুরাঘুরি করলে শৈশবের অনেক স্মৃতি মনে পড়ে যায় আমাদের। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলেই ভাই গ্রামের সৌন্দর্য বরাবরই আমাদেরকে কাছে টানে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া 🌼