নাটক রিভিউ ' কথা ছিল '
24-09-2023
০৯ আশ্বিন , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। সুস্থ্য থাকতে পারটাই বড় বিষয়। আসলে কদিন ধরেই একটু প্রেসার নিলেই মাথায় যেন ভার হয়ে যাচ্ছে। লো প্রেসার ছিল ডাক্তাররা বলে দিয়েছিল। তবে চেষ্টা করছি টেনশন ফ্রি থাকার জন্য। তাই আজ একটি নাটক দেখছিলাম। নাটকটির নাম হচ্ছে কথা ছিল। আশা করছি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে।
নাটকের কিছু তথ্য
নাম | কথা ছিল । |
---|---|
পরিচালনা | সহীদ উন নবী। |
গল্প | সহীদ উন নবী। |
রচনা | রাশেদুল ইসলাম ইজাজ। |
প্রযোজক | সোহাগ তালুকদার। |
অভিনয়ে | ইয়াশ রোহান, তানজিম সায়েরা তটিনী,শহীদুজ্জামান সেলিম, সাবিহা জাহান, শেখ স্বপ্না,আজম খান সহ আরও অনেকে। |
দৈর্ঘ্য | ৪৭ মিনিট ০৫ সেকেন্ড। |
আবহ সংগীত | আবরাল শাহির । |
মুক্তির তারিখ | ১৮ই সেপ্টেম্বর , ২০২৩ইং |
ধরন | সামাজিক, ড্রামা |
ভাষা | বাংলা। |
দেশ | বাংলাদেশ |
চরিত্রেঃ
আনিসঃ
ইয়াশ রোহান ।রিয়াঃ
তানজিম সায়েরা তটিনী ।কাহিনী সারসংক্ষেপ
রিয়া আর তার বান্ধবী দুজন একটি রেস্টুরেন্ট এ এসেছে। খাবার অর্ডার করছে। ঠিক পাশের চেয়ারে বসে আনিস তার কলিগদের সাথে মিটিং করছে। রিয়া যখন খাবার খেতে শুরু করে তখন হঠাৎ করেই শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। আনিস দৌড়েঁ গিয়ে রিয়ার পেটে পুশ করতে থাকে এবং মুহূর্তেই রিয়ার শ্বাসপ্রশ্বাস নরমাল হয়ে যায়। কিন্তু রিয়া কিছু না বুঝে ঘালে এক চর মেরে বসে আনিসের। জানা নেই হঠাৎ করে মেয়েদের শরীরে কেন হাত দিল! পরদিন রিয়ার বান্ধবী তাকে বুঝানোর চেষ্টা করে যে, ছেলেটি ইচ্ছে করে শরীরে টাচ করেনি বরং তাকে বাচাঁনোর জন্যই শরীরে টাচ করেছিল। রিয়া গিল্টি ফিল করে এবং তার বান্ধবীকে নিয়ে খুজঁতে থাকে। কিন্তু কোথাও খুঁজে পায় না। যে রেস্টুরেন্ট এ দেখা হয়েছিল সেই রেস্টুরেন্ট এর ওয়েটারকে তার নাম্বার দিয়ে আসে, যাতে আনিস যখনই আসে এখানে তখন যেন ফোন দেয়!
কিছুদিন পর আনিস রেস্টুরেন্ট এ আসে এবং রিয়া সেটা জানতে পারে। তারপর রিয়া এসে আনিসকে সরি বলে। রিয়া বুঝতে পারেনি ব্যাপারটা, না বুঝেই চর মেরে দিয়েছিল। তো একটা পর্যায়ে এসে তাদের ভাবের আদানপ্রদান বাড়তে থাকে। রিয়া ও আনিসের মাঝে ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি হয়। আনিসের মা সেটা ভালো করেই বুঝতে পারে। তাই রিয়ার বাবা মায়ের সাথে বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করে। কিন্তু ঝামেলাটা হয় যখন আনিসের বাবার নাম কি দিবে? কারন ২৭ বছর ধরে আনিসের বাবার সাথে তার মায়ের কোনো যোগাযোগ নেই। ছোটবেলা থেকেই আনিস মায়ের আদরেই বড় হয়েছে। আনিস সবসময় তার বাবার কথা জানতে চাইতো কিন্তু তার মা কখনো তা বলতো না। কারণ স্বার্থপরের মতো তাকে একা রেখে চলে গিয়েছিল।
বিয়ের দিন ঘনিয়ে আসে, এদিকে রিয়া প্লেন করে কিভাবে আনিসের বাবাকে বিয়েতে আনা যায়। অনেক খোজাঁখুজির পর জানতে পারে আনিসের বাবার ঠিকানা। আনিস তার বাবার কাছে যায়। কিন্তু আনিসের বাবা তাকে চিনতে পারেনি। উল্টো এতো বছর পর কেনই-বা এলো তার কাছে সেই প্রশ্ন করে বসে থাকে । আনিসের বাবা আরেকটি বিয়ে করেছে। এক ছেলে আর এক মেয়ে আছে। আনিস বাবার আসল রূপ বুঝতে পারে। কেন তার মা তার বাবার কাছে যেতে দিতো না সেটা আনিস ভালো করেই বুঝতে পারে। বিয়ের দিন চলে আসে, পিতার নাম সহ কবুল বলতে বলে, রিয়া কবুল বলে ফেলে। কিন্তু যখনই আনিসের বাবার নাম বলতে বলে তখনই আনিসের বাবা জাফর চৌধুরী এসে হাজির। তার বাবার নাম জাফর চৌধুরী বলতে বলে। অবেশষে আনিস আর রিয়ার বিয়ে হয় এবং আনিস তার বাবাকে ফিরে পায়। সেখানেই নাটকের সমাপ্তি ঘটে।
ব্যক্তিগত মতামত
নাটকটি বর্তমান প্রেক্ষাপটের বেশ কিছু বিষয় সুন্দর করে তুলে ধরেছে। একজন মা সন্তানকে কতটা কষ্ট করে লালন পালন করে সেটা খুব সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আর প্রত্যেক সন্তানই চাই বাবার ডাক শোনার। বাবা ডাকতে না পারার যে কি কষ্ট সেটা একজন সন্তানই বুঝতে পারে। ইয়াশ রোহানের এর আগে কয়েকটি নাটক দেখেছিলাম। বরাবরই ভালো অভিনয় করছে আর তটিনী নতুন অভিনয়শিল্পী হিসেবে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। নাটকের শেষটা ভালো ছিল।
ব্যক্তিগত রেটিং
নাটকটির লিংক
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।Posted using SteemPro Mobile
আপনার নাটক রিভিউ টা দেখে আমি তো ভাবতেছি ওরে আমি কয়েকদিন আগে যে নাটকটি ডাউনলোড করেছি ওটা না। সত্যি বলতে কয়েকদিন আগে এই নাটকটি আমি ডাউনলোড করে রেখেছি দেখার জন্য। কিন্তু এখনো ব্যস্ততার কারণে দেখতে পারিনি। আজকে আপনি নাটকটির রিভিউ শেয়ার করেছেন দেখে ভালোই লাগলো। ভাবতেছি আজকে রাতে দেখে ফেলব নাটকটি। আপনিও সুন্দরভাবে নাটকের রিভিউটি তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
twitter share link
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অনেক সুন্দর একটি নাটক আজ আপনি আমাদের মাঝে রিভিউ করেছেন ভাইজান। বেশ ভালো লাগলো আপনার এই নাটক রিভিউ দেখে। আসলে এই নাটকটা আমার আজ পর্যন্ত দেখা হয়নি। তবে আপনার রিভিউটা পড়ে অনেক ভালো লাগলো উৎসাহ জাগলো দেখার জন্য। যেকোনো মুহূর্ত চেষ্টা করব যেন নাটকটা দেখতে পারি।
দেখলে আশা করি উপভোগ করতে পারবেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে 🦋
এই বয়সে এত টেনশন নেন কেন কিসের টেনশন এত? কি হারানোর টেনশন? নাকি না পাওয়ার বেদনা? যাক ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে চেষ্টা করবেন। তবে নাটক রিভিউটা আপনি খুব ভালোই দিয়েছেন। অনেক ভালো লেগেছে পুরো লেখা পড়ে খুব মজা পেয়েছি।
কত কিছু হারানোর টেনশন যে আসে আপু মাথায় কি যে করি 🙂🙂
বেশি প্রেসার নিবেন না। তাহলে শরীর খারাপ হয়ে যাবে। হাসিখুশি এবং সুন্দরভাবে থাকার চেষ্টা করলে আশা করছি শরীরটা ভালো হবে। যাইহোক অনেক সুন্দর একটা নাটক দেখেছিলেন এবং এই নাটকটার রিভিউ পোস্ট করেছেন দেখে ভালো লাগলো। সম্পূর্ণ নাটকের কাহিনী কিন্তু আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। যদিও নাটকটা আমার দেখা হয়নি, তবে কাহিনী টা সম্পূর্ণভাবে রিভিউর মাধ্যমে পড়তে পেরে ভালো লেগেছে।
জি আপু। একটু চাপ নিলেই এখন মাথা ভার হয়ে আসে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপু🦋🌼
ইয়াস এর অভিনয় গুলো নিখুঁত হয়ে থাকে। এই নাটকটির গল্প ছিলো সম্পুর্ন বাস্তবতার সাথে মিল। নাটকটির গল্প আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। কিছুদিন আগে নাটকটি দেখেছি আপনার রিভিউ দেখে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।