ধনের চেয়েও মন বড়!
03-01-2024
২০ পৌষ , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
🌼 আসসালামুআলাইকুম সবাইকে 🌼
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো ভালো থাকতে পারাটাই সবচেয়ে বড় বিষয়! আসলে আমাদের জীবনে কোন দিন কেমন যাবে সেটা বলা মুশকিল! আজ ভালো গেলে কাল ভালো নাও যেতে পারে। তবে খারাপ গেলেও হতাশ হওয়া ঠিক হবে না। বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, আমার গতকাল যে রকম খারাপ অবস্থা আজ তার থেকে ভালো । তবে কালও যে ভালো যাবে সেটার নিশ্চয়তা দেয়া যায় না। যাক, আমরা মানুষ! আমাদের সমস্যা থাকবেই। সেটা হয়তো মৃত্যুর আগ অবধি বয়ে চলতে হবে।
আমাদের সমাজে দু ধরনের মানুষ আছে। একদল লোকের ধনসম্পদ বেশি আরেকদল লোকের ধনসম্পদ কম! যাদের ধনসম্পদ বেশি তাদের বেশিরভাগই সম্পদ নিয়ে অহংকার করে। সবসময় শুধু নিজেকে নিয়েই ভাবে। কার কি হলো না হলো এসব দেখার সময় তাদের নেই! তাদের কাছে মনুষ্যত্বের থেকেও ধনসম্পদ বড়! কিন্তু মনুষ্যত্বের আসল বৈশিষ্ট্য কি তা? মনুষ্যত্বের আসল বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠে একজন ব্যক্তির আচার-আচরণে, বিবেকবোধ ও কল্যাণ চেতনার মধ্যে দিয়ে। সমাজে এমন অনেক মানুষই আছে যাদের তেমন কিছু নেই। দুবেলা পেট ভরে খেতে পায় না। কিন্তু কেউ যখন বিপদে পরে তারা এগিয়ে আসে। তাদের কাছে অঢেল ধনসম্পত্তি না থাকলেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। তাদের মাথায় হয়তো একটাই চিন্তা থাকে আমরা মানুষ। আর মানুষের ধর্মই যেখানে একে অপরকে সাহায্য করা।
সমাজের বিত্তশালীরা আসলে ধনসম্পদের অহংকার করে। তাদের কাছে মনুষ্যত্ব বলতে কিছু নেই। নিজের চিন্তায়ই তারা ব্যস্ত! তারা ভুলে যায় যে ধনসম্পদ চিরস্থায়ী নয়। একদিন ঠিকই এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যেতে হবে। তখন এই যে অঢেল ধনসম্পদ সেগুলো কে নিয়ে যাবে? অথচ বাস্তব জীবনে কতো অহংকার ছিল টাকা-পয়সা, বাড়ি-গাড়ি নিয়ে। এজন্য শুধু ইহকালের চিন্তা করলেই হবে না। তার পাশাপাশি পরকালের চিন্তাও করতে হবে। সমাজের বিত্তশালীরা যদি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে এ সমাজে ধনী-গরিবের কোনো বৈষম্য হয়তো কখনো থাকতো না। একে অপরকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে সমাজও সুন্দর হতো। আভিজাত্যের বড়াই করা বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়! দিনশেষে আপনি জিতে গেলেও আপনি কিন্তু জিততে পারেননি। মানুষের মনে জায়গা করে নিতে পারলেই তো আপনি মানুষ।
রমজান মাসের কথাই চিন্তা করেন! এ সময় দান-সদকা করলে আল্লাহ তায়ালা আমাদের ধনসম্পদের পরিমাণও বাড়িয়ে দেয়। কিভাবে বাড়িয়ে দিবে আপনি নিজেও বুঝবেন না । কিন্তু রমজান মাসে আমরা নিসাব পরিমাণ সম্পদ গরিব-অসহায়দের মাঝে বিলিয়ে দেয় না। যার ফলশ্রুতিতে সামজের একটা অংশ থেকে যায় অভাববোধের মধ্যেই! যথেষ্ট পরিমাণ সম্পদের একটা অংশ যদি সমাজের অসহায়দের মাঝে বিলিয়ে দেয়া হতো তাহলে সমাজও সুন্দর হতো। ধনী আর গরিবদের মাঝে একটা ভ্রাতৃত্ববোধ তৈরি হতো। আবার, অনেকেই আছে যারা ধনসম্পদ থাকার পরেও তারা মনের দিক থেকেও বড়! যে পরিমাণ সম্পদ আছে তার থেকেই তারা একটা অংশ সমাজের অসহায়দের মাঝে বিলিয়ে দেয়। তাদের মুখে হাসি ফুটানোর ব্যবস্থা করে। তাদের কাছে আভিজাত্যের থেকে মনের শান্তি বড়। অসহায়দের নির্ভেজাল হাসি তাদের ভালো থাকার কারণ হয়
মনের দিক থেকে ছোট লোকেরা দেখবেন সমাজকে প্রতিনিয়ত কলুষিত করছে। মানুষের ভালো তারা কখনোই দেখতে পারে না। সবসময় তারা নিজের আত্মতুষ্টি নিয়ে ব্যস্ত থাকতে চাই। আর সে আত্মতুষ্টি পাওয়ার জন্য তারা অন্যায় কাজ করতেও দ্বিধাবোধ করে না। বলতে গেলে মনের দিক থেকে ছোট মানুষ সমাজ ও দেশের জন্য ক্ষতিকর! তাদের দ্বারা সমাজের কোনো উন্নতি সম্ভব নয়! অন্যদিকে, যারা মনের দিক দিয়ে বড় তারা দেখবেন মানুষকে ভালোবাসে। আর সমাজের মানুষও তাদেরকে বিশ্বাস করে, আগলে রাখে। সমাজের সব ক্ষেত্রেই যথাযথ সম্মানটুকু পেয়ে থাকে। আর সেটা একজন মারা যাওয়ার পরও পেয়ে থাকে। মানুষ তাদেরকে আজীবন মনে রাখে শুধুমাত্র একজন আদর্শবান মানুষ হওয়ার জন্য! মানুষের মনে জায়গা করে নেয়ার মতো সুখ আর নেই। আর এ সুখ চিরস্থায়ী! কিন্তু ধনসম্পদ ক্ষণস্থায়ী! মারা গেলেই শেষ। এজন্য আভিজাত্যের গর্ব না করে বরং মানুষের মনে জায়গা করে নেয়াই ভালো!
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
খুব সত্যি কথা ধন সম্পত্তির থেকে মন বড়।তবে অবশ্যই বড় মন।যে মনের দিক থেকে বড় সেই মূলত ধনী।একজন ছোট মনের মানুষ শুধু নিজের পরিবার নয় সমাজের জন্য ও ক্ষতিকর।তাই আমরা বড় মনের মানুষ হয়ে পরিবার ও সমাজের জন্য কল্যান বয়ে আনবো।
আসলেই আপু মন বড় হওয়া চাই। আর বড় মন হলেই কেবল ধনী
ভাই আপনার আজকের এই লেখাটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আসলে কিছু কিছু মানুষ রয়েছে যাদের মনুষ্যত্ব একেবারেই নেই। তারা সব সময় এটা মনে করে যে তাদের ধন সম্পদ হলেই হবে আর কোন কিছুর প্রয়োজন নেই। তবে তারা এটা মনে করে না যে ধনের চেয়ে মনটা অনেক বেশি বড়। যাদের বেশি ধন সম্পদ রয়েছে, তারা অনেক বেশি অহংকার করে তাদের ধন সম্পদ নিয়ে। তবে এই অহংকার মানুষের কতদিনই বা থাকবে। আজ হয়তো তাদের কাছে ধন-সম্পদ রয়েছে কিন্তু কাল নাও থাকতে পারে। তাই বেশি অহংকার করা একেবারে উচিত।
আজ ধনসম্পদ থাকলে সেটা কাল নাও থাকতে পারে! তাই এটা নিয়ে অহংকার করার কিছু নেই! অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে 🌼
একদম ঠিক বলেছেন। বড়লোকরা গরীবদেরকে মানুষই মনে করে না। তারা সবসময় তাদের সম্পদ নিয়ে পড়ে থাকে৷ তাদের সম্পদ বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে তারা কাজ করে যায়৷ তবে এই বিষয়টা হয়তো অনেকেই জানেনা যে তাদের এই সম্পদের উপর গরিবের একটি হক রয়েছে৷ যদি তারা গরিবদেরকে কোন ধরনের হক না দেয় তাহলে তাদেরকে পরকালে হিসাব দিতে হবে৷ কিছু নিরক্ষর মানুষ রয়েছে যারা তাদের সম্পদকে বড় মনে করে৷ এর ফলে গরিব মানুষরা গরিবই থেকে যায়৷ তারা কখনো টাকা-পয়সার অধিকারী হতে পারে না৷
এটা একদম ঠিক বলেছেন ভাই, ধনীদের সম্পদের উপরও গরিবদের একটা হক রয়েছে।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
twitter share
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলেই বেশিরভাগ বড়লোকেরা মানুষকে মানুষ বলে গণ্য করে না। অঢেল অর্থ সম্পদ পেয়ে তাদের মনে অহংকার বাসা বাঁধে। তারা শুধু ইহকালের কথাই চিন্তা করে, কিন্তু পরকালের কথা একবারও ভাবে না। আসলে প্রতিটি ধনীর অর্থ সম্পদের মধ্যে গরীবদের হক রয়েছে। কিন্তু হাতেগোনা অল্প সংখ্যক মানুষ ছাড়া,বেশিরভাগ ধনীরা গরীবের হক আদায় করে না। এতে করে গরীব মানুষ গরীব ই থেকে যায়। তবে পরকালে ধনীদের অর্থ সম্পদ হবে তাদের শাস্তির অন্যতম কারণ। তাই ধনীদের উচিত সময় থাকতে গরীবের হক আদায় করা। তাহলে গরীবরাও ধনীদের জন্য দোয়া করবে আল্লাহ তায়ালার নিকট। যাইহোক সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক সেই কামনা করছি। এতো চমৎকার একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আসলেই ভাইয়া সবার শুভ বুদ্ধির উদয় হোক এমনটাই চাই 🌼
আপনার কথার সাথে আমি একমত। বর্তমানে অসংখ্য লোক রয়েছে যারা আসলে ধনবান কিন্তু মনের দিক থেকে তারা অনেক ছোট। এটা শুধু সমাজে নয় বরং বিশ্ব রাষ্ট্র ব্যবস্থায়ও এরকম লোকের সংখ্যা অনেক। যার ফলশ্রুতিতে দেশে অনাহারি ও অভাবি লোকের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। কারো মন যদি বড় হয় তাহলে সে ধনবান হলে তার দ্বারা সমাজ ও মানুষের উপকার হবে। কারণ সে তার মন থেকে মানুষের জন্য উপকার করবে। অন্যথায় যারা ধনী তবে মনের দিক থেকে ছোট তারা আসলেই মানুষ ও সমাজের জন্য ক্ষতিকর। ধন্যবাদ ভাই চমৎকার একটি ব্লগ শেয়ার করার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া! ধনবান যারা তারা যদি গরিবদের সহায়তা করে তাহলে সমাজটা পাল্টে যাবে
আপনার আজকের শেয়ার করা টপিকস টা আমার খুব ভালো লেগেছে। কারণ এই পৃথিবীতে আসলে দুই ধরনের মানুষ আছে। একটা হচ্ছে ধনের মানুষ আরেকটা হচ্ছে মনের মানুষ। ধন-সম্পদ অবশ্যই যাদের থাকে কিন্তু তাদের মনটা এত বেশি মহৎ হয় না। আবার অনেক মানুষ আছেন ধনসম্পদ না থাকলেও মনটা অনেক সুন্দর হয়। তাই মানুষ বলে ধনের চেয়ে মন সুন্দর হওয়া।
একদম যথার্থ বলেছেন আপু 🌼
আসলে এখন তো বেশিরভাগ মানুষই ধন সম্পদের জন্য পাগল। তাদের মধ্যে মনুষ্যত্ব নেই বললে চলে। কিন্তু ধনের থেকে মনটা সব থেকে বেশি বড় করতে হবে। একটা মানুষের যদি ধন সম্পদ থাকে তাহলে অহংকার করা ঠিক হবে না। যাদের ধন সম্পদ কম রয়েছে তাদেরকে দেখা যায় খুবই সুখে থাকতে। আর যাদের ধনসম্পদ বেশি তারা আরো বেশি। অনেকে ই খেতে পারে আর খাবার অপচয়ও করে। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ রয়েছে যারা রাস্তায় থাকে, আর খাবারও পায় না।
ধন সম্পদ কম রয়েছে তারাই দেখি সুখে থাকে 🌼