দই ও ফুচকা ঘর, গেন্ডারিয়া

05-10-2022

২০ আশ্বিন ,১৪২৯ বঙ্গাব্দ


আসসালামুআলাইকুম সবাইকে


কেমন আছেন সবাই? নিশ্চয় অনেক ভালো আছেন। আমি মোটামুটি ভালো আছি বলতে পারেন। কয়েকদিন ধরে বাস জার্নি করে শরীরের একদম বেহাল দশা হয়ে গেছে। চাইলেও পরে আর পোস্ট করতে ইচ্ছে করে না। চোখ যেন ঘুমে নিভু নিভু করে। ঢাকা শহরে বাস জার্নি খুবই বিরক্তির।

IMG20221003180032.jpg

IMG20221003180041.jpg

তবে শহরের মানুষগুলো যেন যন্ত্রের মতোই। সবকিছু মানিয়ে নিয়েছে। ত্রিশ মিনিটের পথ জ্যামে পরলে লেগে যায় দুই ঘন্টার উপরে। কয়েকদিন বাস জার্নি করে আমার যে অভিজ্ঞতা হলো। তবে সকাল সকাল রাস্তা কিছুটা ফ্রি থাকে। সময় আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে জ্যামও বাড়তে থাকতে। শহরের কর্মমুখী মানুষগুলো ছুটে চলে তাদের কর্মস্থলে। কেউ বাইক শেয়ার করে কেউবা বাসে। বাইকে শেয়ার করলে আবার দশ টাকার ভাড়া যেন একশ টাকা। মাঝে মাঝে মনে হয় এই ঢাকা শহরে বাইক শেয়ার করলেই ভালো হতো। যায়হোক, রাতে খুব তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। ভেবেছিলাম পোস্ট করে শুইবো কিন্তু তা আর হলো না।

আপনাদের সাথে গতকাল একটি শপিংমলে কাটানো কিছু মুহূর্ত শেয়ার করেছিলাম। সেখানে বলেছিলাম একটি রেস্টুরেন্ট এর কথা। শপিংমলের ঠিক কোণায়ও দই ও ফুচকা রেস্টুরেন্ট। মজার ব্যাপার হলো এ রেস্টুরেন্ট এর প্রধান দুটি খাবার সেরা। দই ও ফুচকা। তার মধ্যে আবার লাচ্ছি। আমরা শপিং করে ভাবলাম কিছু খেয়ে যায়। রেস্টুরেন্টটি আমার কাছে খুবই সুন্দর লেগেছে। মনোরম পরিবেশে নির্মিত একটি রেস্টুরেন্ট। সন্ধ্যার সময় লাইটের আলোয় ভালোই দেখাচ্ছিল। তাছাড়া রেস্টুরেন্টটি নির্মিত হয়েছে বাশঁ দিয়ে।। ঠিক পুকুরের কোণায় নির্মিত রেস্টুরেন্ট। অনায়াসে যে কেউ বাতাসের মুগ্ধতা উপভোগ করতে পারবে। রেস্টুরেন্ট এর ভিতরে প্রবেশ করতেই চোখে পড়ল মেইন গেইট। কাঠের তৈরি গেইটটি আলাদা নজর কেড়েছে। চারপাশে অনেক ছোট ছোট রঙি বাতি জ্বলছে। মাওয়া দেখেই তো ভীষণ খুশি। সাথে আপু ছিল। ভিতরে দুটি রুম। এক জায়গায় ফাকাঁ চেয়ার দিয়ে সাজানো। খোলা আকাশের নিচে অনেকেই বসে খাচ্ছে। আরেক জায়গায় উপরে টিনের বেড়া দেয়া। ভিতরে লাইটিং। আমরা ফাকাঁ জায়গায় বসতে চেয়েছিলাম কিন্তু সিট আর খালি পায়নি। তাই পাশের এটায় বসেছিলাম।

IMG20221003175711.jpg

IMG20221003181011.jpg

রেস্টুরেন্ট এ একটা ব্যাপার দেখলাম যে এখানো টেবিলে কোনো খাবারের মেন্যু কার্ড নেই। আরেকটি বিষয় খেয়াল করলাম, কাউন্টার থেকে খাবার অর্ডার করে আসতে হয়। এ দুটি বিষয় আমার কাছে একটু ভালো লাগেনি। কারণ খাবার টেবিলে মেন্যু কার্ড রাখা দরকার ছিল। এতে সুবিধা হতো যারা এখানে খেতে আসবে। আর আমার মতো যারা নতুন এখানে খেতে আসবে তারা কিছুটা সমস্যা হবে। দ্বিতীয় আরেকটি বিষয় হচ্ছে খাবার অর্ডার করে আসতে হয়। এ বিষয়টা আমার কাছে ভালো লাগেনি। রেস্টুরেন্ট এর পরিবেশ সুন্দর রাখার জন্য অবশ্যই কর্মীর প্রয়োজন। চাহিদার তুলনায় কর্মী সংখ্যাও যেন কম। যাক, আমি কাউন্টারে গেলাম। গিয়ে দেখতে পেলাম একটি চার্ট টাঙানো। খাবারের প্রাইজ মোটামুটি কমই বলা যায়। অনেকদিন হলো ফুচকা খাওয়া হয় না। যেহেতু রেস্টুরেন্টটি প্রধান খাবার ফুচকা আর দই। তাই ভাবলাম ফুচকা খাওয়া যেতে পারে।। কিন্তু সমস্যা হলো মাওয়া তো আর ঝাল খেতে পারবে না। তাই একটি লাচ্ছি অর্ডার দিলাম। আর এক প্লেট ফুচকা। অর্ডার দিয়ে আমরা যেখানে বসেছিলাম সেখানে গিয়ে বসে পড়লাম।

IMG20221003174131.jpg

কিছুক্ষণ পর খেয়াল করলাম একটি ছোট ছেলে খাবার সার্ভ করছে। একে একে সবাইকে খাবার দিচ্ছে। মাওয়া এদিকে আমাকে বলতেছে " মামা, এখনও খাবার দেয় না কেন? " ঠিক কিছুক্ষণ পরেই ছোট ছেলেটি আমাদের জন্য খাবার নিয়ে এল। মাওয়াকে দিয়েছিলাম লাচ্ছি। আর আমি খেলাম ফুচকা। ফুচকায় আলাদা তিনটি আইটেম ছিল। টক-ঝাল পানি, নারিকেল দিয়ে বানানো দই। ফুচকায় যেহেতু একটু ঝাল হলে ভালোই হয়। আমি ঝাল পানি নিয়ে খাওয়া শুরু করলাম। মোটামোটি ভালোই লাগছিল। টক পানি মিষ্টি লাগছে এটা ভালো লাগেনি। আর ঝালটা আরেকটু বেশি দিলে খেতেও ভালো লাগতো। যাক, মাওয়া ফুচকা খেতে চাইলো। ঝাল ছাড়া একটি ফুচকা দিলাম মাওয়াকে। একটা খেয়ে আর খায়নি। লাচ্ছি খেয়েছে শুধু। আমাদের খাওয়াও শেষ। খাওয়া শেষ করে চলে যা কাউন্টারে। এক প্লেট ফুচকার দাম পড়েছিল ৬০ টাকা আর লাচ্ছির দাম ছিল ৪০ টাকা। দোকানদারকে বিল দিয়ে আমরা রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে পড়ি।

DeviceOppo A12
Locationw3w
Photographer@haideremtiaz
Date03 October, 2022

শুরুতে রেস্টুরেন্ট এ আমার কাছে অনেক আকর্ষণীয় লাগছে। পরে বুঝতে পারলাম। শুধু ডেকোরেশন হলে হয় না, খাবারে মান ও সার্ভিস। দুটোই ভালো হতে হবে। যেহেতু এই রেস্টুরেন্ট এর সার্ভিস সন্তোষজনক ছিল না তাই আমি ৭/১০ দিবো এই রেস্টুরেন্টকে।

যায়হোক, আজ এই পর্যন্তই। আবারও হাজির হবো নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ্য থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ 🌼।



10% beneficary for @shyfox ❤️

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNzq2MSXKSji21JRspt4nqpkXPR5ea7deLzvmJtuzVBwdLJUpBqtgAZ5gHtHPbayD2jR3CWqjkJ.png

ধন্যবাদ সবাইকে



WhatsApp Image 2021-12-23 at 19.46.54.jpeg



আমি কে?

IMG20210908180509.jpg

আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।

Sort:  

Hello friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 2 years ago 

দই আমার খুব প্রিয় খাবার। আপনি রেস্টুরেন্টে খুব সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন।দই ও ফুচকা দেখে আমারও খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। রেস্টুরেন্টে কাটানো এত সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। ‌

 2 years ago 

আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া চমৎকার একটি মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহ দেয়ার জন্য।

 2 years ago 

ভাইয়া একটা রেস্টুরেন্টের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হচ্ছে খাবার মেন্যু টেবিলে থাকা, সেটা যদি না থাকে তাহলে তো আসলেই সমস্যা। অন্যটি হচ্ছে কাউন্টারে গিয়ে খাবার অর্ডার করা এটা ও একটা বিরক্তিকর। যাই হোক তারপর আপনি দই ফুচকা এবং লাচ্ছি খেয়েছেন এটাই ভাগ্য। ধন্যবাদ ভাই, এমন সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

জি ভাইয়া আপনি একদম ঠিক ধরেছেন। খাবার মেন্যু না থাকলে বুঝা মুশকিল কোনটার প্রাইজ কত! আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

 2 years ago 

দই খেতে আমার ও খুব ভালো লাগে। সকাল সকাল ফুসকার এতো সুন্দর প্লেট দেখে তো খেতে ইচ্ছা করছিল। কিন্তু উপায় নেই গ্রামে এসেছি। তিন রকমের টক দেখে ভালো লাগছিল কিন্তু তাদের আপ্যায়ন আপনার কাছে ভালো লাগে নি একটু খারাপ লাগলো। ভালো থাকবেন ভাইয়া।

 2 years ago 

জি আপু। গ্রামে তেমন ফুচকা পাওয়া যায়না।

 2 years ago 

ঢাকা আসলেন কবে ভাই? ঢাকার জ্যাম আসলেই খুব বাজে। যেখানেই যাবেন সব সময় ২ ঘন্টা হাতে রেখে যেতে হবে৷ আর শুধু ফুচকা চটপটির দোকানে মেনু খুব একটা দেখিনা। তবে যেহেতু এটা বড় ছিলো তাই মেনু কার্ড দরকার আছে।

 2 years ago 

এইতো কিছুদিন আগে ভাই 😐। জ্যাম ভাই খুব মারাত্মক। ছুটির দিন ছাড়া ঢাকা শহরে বেরোনই ঠিক না।

 2 years ago 

ত্রিশ মিনিটের পথ জ্যামে পরলে লেগে যায় দুই ঘন্টার উপরে।

ভাইরে এইরকম হলে তো আমার বিরক্তির কোনো সীমা থাকবে না। সত্যি বলছি আমার এতো ধৈর্য নেই ভাই। দই ফুসকা টা আমার কাছে একেবারেই ভালো লাগে না। আর জনে জনে মেন‍্যুকার্ড দেওয়ার থেকে একটা বড় করে দেওয়াই ভালো হি হি।।

 2 years ago 

জ্যামে পরলে বুঝা যায়, বিরক্ত কাকে বলে। ঘন্টার পর ঘন্টা কেমনে যে চলে যায়।

 2 years ago 

দই ও ফুচকা ঘর অনেককে দেখেছি। বাট আপনার শেয়ার করা সেই দই ও ফুচকা ঘরের মতো মত দেখি নাই ভাইয়া। তাছাড়া দই ও ফুচকা খেতে অনেক মজা লাগে। আপনি খাওয়া-দাওয়ার পাশাপাশি অনেক সুন্দর সময় কাটি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।
আপনার জন্য শুভ কামনা রইল

 2 years ago 

জি ভাইয়া আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার একটি মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago 

যানজট উপভোগ না করতে পারলে ঢাকা শহরে বাস করাটাই যেন বৃথা।।

দই খেতে আমারও খুব ভালো লাগে মাঝে মাঝে বন্ধুদের সাথে দুই আর চিড়া পার্টি হয়।।

ফুচকার প্লেট দেখে তো লোভ সামলানো যাচ্ছে না ইচ্ছে করছে তুলে খেতে শুরু করি।।

 2 years ago 

জি ভাইয়া কয়েকদিন ঢাকা থেকে এমনই মনে হয়েছে। শহরের মানুষগুলো ও মানিয়ে নিয়েছে যানজটের সাথে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ 🌼

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.16
JST 0.033
BTC 63977.42
ETH 2760.27
USDT 1.00
SBD 2.65