নাটক রিভিউঃ "সুঁই"
12-1-2024
২৯ পৌষ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো এই ঠান্ডার মাঝে নিজেকে ভাল রাখাটা জরুরি। যেহেতু জানুয়ারী মাস শীতলতম মাস। এ মাসে সাধারণত ঠান্ডার পরিমাণটা বেশিই থাকে। গত কয়েকদিন ধরেই টেম্পারেচার ২০-২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। রাতে হয়তো আরও কমে যায়। শীতের অনুভূতিটা আসলে এখনই বুঝা যাচ্ছে। যাক, আজ যেহেতু শুক্রবার তাই চলে এলাম একটি নাটক শেয়ার করার জন্য। সাধারণত সপ্তাহের এ দিনে আমি আপনাদের সাথে নাটক শেয়ার করে থাকি। আজকে যে নাটকটি শেয়ার করতে চলেছি সেটি কিছুদিন আগে দেখেছিলাম। নাটকটির নাম হচ্ছে সুঁই। আশা করছি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে নাটকটি দেখলে।
নাম | সুঁই। |
---|---|
পরিচালনা | সাগর জাহান |
গল্প | ড.গুলজার হোসেন উজ্জল। |
প্রযোজক | তামান ইসলাম। |
অভিনয়ে | জোভান, তটিনী, মাসুদ হারুন, নৌশিন ইসলাম দিশা, সিকদার রানা এবং আরও অনেকে। |
আবহ সংগীত | আপেল মাহমুদ এমিল। |
দৈর্ঘ্য | ৪৬ মিনিট ৩৯ সেকেন্ড। |
মুক্তির তারিখ | ২৮ই ডিসেম্বর, ২০২৩ |
ধরন | রোমান্টিক,সামাজিক । |
ভাষা | বাংলা |
চরিত্রেঃ
ডাক্তারঃ
ফারহান আহমেদ জোভান ।হিরাঃ
তানজিম সায়েরা তটিনী।কাহিনী সারসংক্ষেপ
নাটকের শুরুতে দেখা যায়, আফজাল সাহেব তার ভাগ্নী হিরাকে নিয়ে সাইকোলজি স্পেশালিস্ট ডাঃ মাহমুদ হোসেনের কাছে এসেছে। মা মরা মেয়ে হিরা। ছোটবেলা থেকেই মামা মামীর কাছে বড় হয়েছে। বাবা মায়ের অভাববোধ কখনো বুঝতে দেয়নি মামাও মামী। কিন্তু হিরা কঠিন একটা অসুখে ভুগছে! তার হাত ও পেট দিয়ে সুঁই বের হয়! সেটা আসলে অসম্ভব। ডাঃ মাহমুদ হোসেনের ১০ বছরের ডাক্তারি পেশায় এমব রোগী কখনো পায়নি। যার কি না শরীর থেকে সুঁই বের হয়। সাধারণ শরীরে আয়রন কমে গেলে আয়রন জাতীয় টেবলেট খেলেই সেরে যায়। কিন্তু হাত ও পেট দিয়ে সুঁই কি করে সম্ভব! মাহমুদ হোসেন খুবই চিন্তায় পড়ে যায় হিরাকে নিয়ে। এক্স-রে রিপোর্টে মাহমুদ সাহেব বুঝতে পারে সুঁই ভিতরে তৈরি হয় না, বাহির থেকে ঢুকানো হয় শরীরে। কিন্তু হিরা কেনই-বা তার শরীরের সুঁই প্রবেশ করাবে।
মাহমুদ সাহেব হিরাদের গ্রামে চলে যায়। মাহমুদ সাহেব আবার হিরাকে পছন্দ করে ফেলে। কিন্তু হিরার অসুখ তাকে ভাবাচ্ছে। হিরাদের বাসায় আসার পথে জানতে পারে এক রিক্সাচালকের কাছে, হিরার শরীর থেকে সুঁই বের হলেও একজন ঠিকই সুঁই বের হওয়া দেখে না। আর সে হলো সুমন! হিরা সুমনকে খুব ভালোবাসতো। কিন্তু সুমন এক বড়লোক মেয়ের টাকা পয়সার লোভে পরে তাকে বিয়ে করে ফেলেছে। এরপর থেকেই হিরার শরীর থেকে সুঁই বের হয়! মাহমুদ হিরাকে আরও পর্যবেক্ষণে রাখে। তাদের দুজনের সম্পর্কটাও ঘনিষ্ঠ হয়। গ্রামের চেয়ারম্যন আসে মাহমুদ সাহেবকে দাওয়াত দিতে। কিন্তু হিরার সাথে খারাপভাবে কথা বলায় আর রাজি হয়নি দাওয়াত রাখতে। কারণ গ্রামের মানুষ ইচ্ছে করেই হিরাকে সুঁই পয়দা করতে বলে!
মাহমুদ সাহেব ঢাকা চলে আসে কয়েকদিন হিরাকে দেখে। তারপর হিরা আসে মাহমুদ সাহেবের চেম্বারে। মাহমুদ সাহেব এক্সরে রিপোর্ট দেখে সব খুলে বলে এবং কেন সে এমনটা করেছে সেটাও জানতে পারে। হিরা প্রথমে মুখ ফুটে না বললেও পরে ঠিকই বলে যে, সুমনের সাথে তার শারীরিক সম্পর্ক ছিল। আর তার পেটে বাচ্চা চলে আসছিল। তার জন্য হিরা তার বান্ধবীর মিলির সহায়তায় ডাক্তারের কাছে যায় এবোরশন করাতে! তারপর থেকে হিরা এই সত্যটা গোপনে রাখে। কারণ তার মামা মামী জানতে পারলে অনেক কষ্ট পাবে। হিরা এরপর থেকে নিজের শরীরে নিজে আঘাত করে সুঁই বের করে। আর গ্রামের মানুষদের সামনে সে প্রমাণ করে তার শরীর থেকে সুঁই বের হয়। তারপর কি হয়েছিল জানতে হলে নাটকটি দেখগে হবে।
ব্যক্তিগত মতামত
***
নাটকের প্রথমে আমিও ডাক্তারের মতো অবাক হয়েছিলাম! মানুষের শরীর থেকে আদৌ সুঁই বের হওয়া পসিবল। তবে যতই গল্পের ভিতরে যাচ্ছিলাম ততই রহস্য উন্মোচন করছিল ডাক্তার হিসেবে অভিনয় করা জোভান। সম্পর্ন সামাজিক প্রেক্ষাপট নিয়ে নির্মিত নাটকটি ভালো লাগার মতো ছিল। জীবনের একটা সময়ে এসে আমরা বুঝতে পারি কেউ আপন নয়। যাকে একটা সময় সবটা ভালোবেসেছিলাম সেই যদি কষ্ট দেয় তাহলে সেটা মেনে নেয়া কষ্টের হয়ে যায়। নাটকটিতে হিরার নামের মেয়েটির ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। ভালোবাসার ক্ষত মুছে ফেলতে সে সুঁই দিয়েই দিনের পর দিন আঘাত করে গেছে নীরবে। সমাজের চোখে সুঁই তৈরি করা নারী। কিন্তু এর পিছনের ইতিহাস সমাজও জানতে চাইনি কখনো! দারুণ একটা প্রেক্ষাপট নিয়ো নির্মিত নাটকটি আমার কাছে ভালো লেগেছে।
ব্যক্তিগত রেটিং
৯.২/১০
নাটকটির লিংক
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে দারুন একটি নাটক রিভিউ এর মাধ্যমে শেয়ার করেছেন। আসলে জোভানের অভিনয়ের নাটকগুলো সত্যি আমার কাছে দেখতে বেশ ভালো লাগে। আসলে সামাজিক প্রেক্ষাপট নিয়ে এই গল্পটি সাজানো হয়েছিল নাটকের। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর ভাবে ধৈর্য সহকারে নাটকটি রিভিউ এর মাধ্যমে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই
twitter share
আজকে আপনি অনেক সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ পোস্ট করলেন। সুঁই নাটকটা আমার এখনো পর্যন্ত দেখা হয়নি। তবে সুঁই নাটকটার রিভিউ পোস্ট পড়তে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। জোভান এবং তটিনীর অভিনয় আমার ভালো লাগে। আমি সময় পেলে নাটক দেখার চেষ্টা করি। কারণ আমার কাছে নাটক দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনার শেয়ার করা এই নাটকের রিভিউ পড়তে ভালো লেগেছে। তাই ভাবতেছি আমি সময় পেলেও এই নাটকটা দেখে নেব।
জি ভাইয়া, আশা করছি উপভোগ করতে পারবেন 🌼
নাটকটি আমি দেখেছিলাম। আসলে তটিনী শুধু মাত্র নিজেকে শাস্তি দেওয়ার জন্যই এমন ঘটনা ঘটাতো। আর সবাই মনে করতো এটা তার অসুখ। আমার কাছে নাটকটিবেশ ভালো লেগেছিল। আমি বেশ সুন্দর করে নাটকটির রিভিউ করেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ করার জন্য।
জ্বি আপু, তটিনী তার ঘটনা লুকানোর জন্যই এমনটা করেছিল। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে 🌼
খুব দারুণ একটি নাটক আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন নাটকটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আসলে এই ধরনের রোগী পাওয়া বাস্তবে কোন মতেই সম্ভব নয়।