সন্ধ্যায় ফুলদানী শপিংমলে
03-10-2022
১৮ আশ্বিন ,১৪২৯ বঙ্গাব্দ
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে
কেমন আছেন সবাই? নিশ্চয় অনেক ভালো আছেন 🌼। শীতের আমেজ শুরু হয়ে গেছে মনে হচ্ছে। আবার মনে হচ্ছে বর্ষাকাল শুরু হয়ে গেছে। গ্রামে ইতিমধ্যে শীতের আমেজ চলছে। সকাল সকাল ধানের উপরে কুয়াশা জমে। আর কয়েকদিন পরই শুরু হবে শীতের আমেজ। ষড়ঋতুর এই বাংলাদেশে এখন যেন তিনটি ঋতু পরিলক্ষিত হয়। সময়ের পরিক্রমায় বাকি তিনটা ঋতু হারিয়ে গেছে বলা যায়। শীতকাল যেন এখন স্থায়ী হয় না, চোখের পলকে মনে হয় শীতকাল চলে যায়। আমার আবার শীতকাল পছন্দের ঋতুর মধ্যে একটি। যায়হোক,
আপনারা হয়তো জানেন যে আমি ঢাকায় অবস্থান করছি। ইতিপূর্বে আপনাদের সাথে ট্রেন জার্নির একটি পর্ব শেয়ার করেছিলাম। সেখান বলেছিলাম ঢাকা আসার কথা। এখন ঢাকায় আছি আপুর বাসায়। কয়েকদিন ঢাকার বাহিরে ঘুরাঘুরি করলাম। আমার একদমই ভালো লাগে না রুমের ভিতরে বসে থাকতে। কর্মব্যস্ত এই শহরে অলস বসে থাকাও কেমন লাগে। যদিও আমি এখানে এসেছি আপুদের বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য। আর আমার প্রটেকটিভ এপ্রোন কেনার জন্য। ইন্ডাস্ট্রিয়াল করতে হলে অবশ্যই প্রটেকটিভ এপ্রোন লাগবে নতুবা কোম্পানির ভিতরে প্রবেশ করা যাবে না। আর এই প্রটেকটিভ এপ্রোন ঢাকা আর চট্রগ্রাম ছাড়া কোথাও পাওয়া যায় না। যেহেতু ঢাকায় এসেছি তাই ভাবলাম এখান থেকেই কিনে গেলে ভালো হবে।
কয়েকদিন থেকে ঢাকা শহরে সারাদিন ঝিরঝির বৃষ্টি হচ্ছে। বাহিরে যাওয়াও যায়না। আর রাস্তাঘাটে চলাফেরাও করা যায় না। পানির রাস্তা ব্লক হয়ে যায় তারপর পানি আর ড্রেন দিয়ে যেতে পারে না। আপুর বাসা গেন্ডারিয়াতে। আশেপাশের এনভায়রনমেন্ট মোটামুটি ভালো। তবে শহরের মানুষজন যে হারে ফাস্ট ফুড খেয়ে থাকে তাই বোধহয় একেক জন ভূড়িওয়ালা হয়। আমার কথায় যদি বলি এখানে এসে যেন নিয়মিত বাহিরের কিছু না কিছু খাচ্ছি। ভাগ্নীকে কিছু না কিনে দিলেই কান্না শুরু। ভাগ্নী কয়েকদিন ধরেই কান্না করছে নানুর বাড়িতে যাবে। বদ্ধ ঘরে কারোরই ভালো লাগে না। নানুর বাড়িতে গেলে সারাদিন একটু ছুটাছুটি করতে পারে। এজন্য ভাগ্নী আমাদের বাড়িতে যেতে চায় সবসময়। আমিও এসেছি ভাগ্নীকে নিয়ে যেতে।
সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছিল। আপু বলেছিল মাওয়ার জন্য কিছু কেনাকাটা করবে। বিকালের দিকে পরে আর বৃষ্টি হয়নি। তখন আমরা চলে যায় গেন্ডারিয়া ফুলদানি শপিংমলে। আপুদের বাসা থেকে দুই মিনিট লাগে যেতে। সম্প্রতি শপিংমলটি তৈরি হয়েছে আপুর কাছ থেকে শুনেছিলাম। মোটামোটি দামে কসমেটিকস থেকে শুরু করে জামা কাপড় পাওয়া যায়। বিশেষ করে বাচ্চাদের জিনিসপত্র বেশি। এর আগেও মাওয়া এখান থেকে দুটি টি শার্ট আর দুটি শর্ট প্যান্ট কিনেছিল। এবারও প্যান্ট আর প্লাজু স্টাইলে জামা কিনেছে। আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে ক্ষুদ্র পরিসরে এখানে সবাই যেন উদ্যোক্তা। বিশেঢ করে মহিলারাও ব্যবসা করছে। কসমেটিকস দোকানগুলোতে মহিলারাই পরিচালনা করছে। এটা আমার কাছে এক অন্যরকম ভালো লেগেছে। দোকানগুলো কাঠ দিয়ে তৈরি। ক্রেতাদের যেন অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করে । আমি প্রথমবার ফুলদানি শপিংমলে গিয়ে আমার কাছেই ভালো লাগছিল। কারণ বাসার কাছেই এতো সুন্দর একটি শপিংমল। এছাড়াও বাচ্চাদের যাবতীয় জিনিসপত্র শোভা পাচ্ছে এখানে।
মাওয়াকে একটি দোকানে নিয়ে যেতেই একটি খেলনা চয়েস করে বসে ফেলে। কোনোভাবেই সে না কিনে যাবে না। আমাকে ধরে টানাটানি শুরু করে দিছে। আমি কিনে দিব না বলতেই মাওয়া কান্না শুরু করে দিল। কি আর করা! আপুকে বললাম মাওয়াকে এটা কিনে দিতে। প্লাস্টিকের চুড়ির মতো একটি খেলনা। টান দিল লম্বা হয়। মূল্য হিসেব চেয়ে বসলো ৬০ টাকা! দাম বাড়াবাড়ি না করে ৫০ টাকা দিয়েই নিয়ে নিলাম। এটা পেয়েও মাওয়া খুশি। এছাড়াও প্লাজু আর টি-শার্ট কিনেছে। সন্ধ্যার সময় গিয়েছিলাম এজন্য মার্কেটের সৌন্দর্যটাও বেড়ে গেছে। মাওয়া একাই কিছুক্ষণ দৌড়াদৌড়ি করেছে। তারপর মাওয়ার আমি এদিকে কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করে মার্কেটটা দেখলাম। একটু সামনে এগোতেই দেখি একটি রেস্টুরেন্ট। যাক, এটা নিয়ে আপনাদের সাথে অন্য কোনো পোস্টে শেয়ার করবো।
Device | Oppo A12 |
---|---|
Photographer | @haideremtiaz |
Date | 3 October, 2022 |
যায়হোক, আজ এই পর্যন্তই। আবারও হাজির হবো নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ্য থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ 🌼।
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
VOTE@bangla.witness as witness
OR
Link
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
শপিং মহলে খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন আপনি। আপনি ভাগ্নির জন্য কিছু জামা কাপড় ক্রয় করেছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। শপিং করার অনুভূতি আসল অন্যরকম হয়ে থাকে। এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া চমৎকার একটি মন্তব্য করার জন্য 🌼