বাড়ি ফেরা
22-04-2023
০৯ বৈশাখ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে
সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে পড়ুক সবার মাঝে এমনটাই প্রত্যাশা করছি। আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং প্রিয় জনদের সাথে ঈদ উদযাপনের জন্য গ্রামে অবস্থান করছেন।
আপনারা সবাই ঢাকার যানজট সম্পর্কে অবগত আছেন। নিউজ পোর্টালগুলো যারা নিয়মিত ফলো করোন অথবা যারা ঢাকা প্রতিদিন যাতায়াত করে থাকেন তারা নিশ্চয় ঢাকার যানজট সম্পর্কে জানেন। প্রতিদিনকার রুটিন হলো এই যানজট! কতো ধরনের যে লোকাল বাস আছে ঢাকা শহরে হিসেব নেই। তবে প্রাইভেট কারের সংখ্যাও যে কম নেই! বেশিরভাগই প্রাইভেট কার। আর এই ঈদকে উপলক্ষ করে তো যানবাহনের আনাগোনাও বেড়ে যায়। প্রিয়জনদের সাথে ঈদ উদযাপন করার জন্য পাড়ি দিতে হয় অনেকটা পথ। অনেকেই বেছে নেই রেল পথ অথবা নদীপথে যাত্রা!
তবে এবার রেল লাইনের টিকেট যেহেতু দশদিন আগেই ছেড়ে দিয়েছে এজন্য অনেকেই টিকেট কাটবে কাটবে বলে আর কাটতে পারেনি। উপায়ন্তুর না পেয়ে বেশির ভাগ মানুষই পাড়ি দিচ্ছে বাস দিয়ে। প্রাইভেট সার্ভিসের মধ্যে আবার কিছু বাস সার্ভিস ভালো। যেমনঃ এনা, স্টারলাইন, সোহাগ এক্সপ্রেস, যাতায়াত ইত্যাদি। যেহেতু আমাদের ঈদ উদযাপন করতে হবে প্রিয়জনদের সাথে তাই আমাদের যেভাবেই হোক গন্তব্যে পৌঁছাতে হবে। তবে অবশ্যই সেটা নিরাপদভাবে।
আমি দুই তিন ধরে ঢাকা অবস্থান করছিলাম! কিন্তু ঢাকা শহরে যেভাবে তাপামাত্রা বাড়তেছিল সেখানে আর টিকে থাকা কষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। চারিদিকে শুধু ইট পাথরের দালান! শ্বাস নেয়ার জায়গা কই!! ভেবেছিলাম এবার বাড়ি যাবো না। ঈদ ঢাকায়ই করবো। কিন্তু বাড়ি থেকে আম্মা ফোন দিয়ে বলে দিয়েছিল এবারের ঈদ যেন বাড়িতেই করি। তো আম্মার কথা তো আর না রেখে পারা যাবে না। আর মূল কথা হলো পরিবার ছাড়া কখনো ঈদ উদযাপন করেনি। গাজীপুরের বেশির ছাত্র বিশ রমজানের মধ্যেই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছিল। আমি একটু দেরিতেই রওয়ানা দিয়েছি।
আমি গাজীপুর থেকে আবার আপুর বাসায় চলে এসেছিলাম। সেখানে কিছুদিন অবস্থান করেছিলাম। তো গতকাল বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম ট্রেন দিয়ে যাবে। টিকেট তো নেই তবে স্ট্যান্ডিং টিকেট কেটে তারপর যাবো। কিন্তু
নিউজে দেখলাম টিকেট ছাড়া ভিতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। ট্রেন দিয়ে যাওয়ার প্লেন বাদ দিলাম! বাড়িতে যাওয়ার একমাত্র বাস সার্ভিস যাতায়াত। যাতায়াত দিয়ে সোজা চলে যাওয়া যায় কিশোরগঞ্জ। আর কিশোরগঞ্জ থেকে আমাদের বাড়ি আবার কাছেই। তো গতকাল সকাল সকাল চলে গেলাম যাত্রাবাড়ী কাউন্টারে। কিন্তু যাওয়ার পথে পরে গেলাম বিপদে। রিকশা দিয়েই জ্যামে আটকে থাকতে হলো। প্রায় ত্রিশ মিনিট রিকশা নিয়ে বসে ছিলাম। রিকশাচালক মামা আবার রাস্তা প্যাচ লাগায় দিয়ে আরেক ঝামেলায় ফেলে দিয়েছিল।
যাওয়ার কথা এক জায়গায়। চলে গিয়েছিল আরেক জায়গায়। জ্যামের মধ্যে রাস্তায় পুরা প্যাচ লাগায় দিয়েছিল। আমি নিজেও এতোটা চিনি না। অবশেষে একজন ট্রাফিক পুলিশ দাড়িঁয়ে ছিল তাকে জিজ্ঞেস করে যাতায়াত কাউন্টার খুজেঁ পেলাম। তবে রিকশা মামা যে এদিকে আসে নাই তা বুঝতে পেরেছিলাম। কারণ জ্যামের জন্য কেউ রিকশা নিয়ে আসতে চাই না। যাক, কাউন্টারের কাছে এসে গেলাম। অনেকেই বাসের জন্য অপেক্ষা করছে। যাতায়াত কাউন্টারের সাথে আরও কয়েকটা বাস কাউন্টার ছিল। একেকটা একেক জায়গায় যাবে।
যাতায়াত কাউন্টারে টিকেট কাটতে গিয়ে টিকেটে দাম শুনে অবাক হয়ে গেলাম! যেখানে ২৫০ টাকা করে যাওয়া যেত এখন সেটা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৪০০ টাকা! মানে হচ্ছে কোনো উৎসব উপলক্ষ করেই দাম বাড়িয়ে দেয়া হয়। কিছু করার নেই, ৪০০ টাকা দিয়েই টিকেট কাটতে হল। টিকেট কেটে যেন বোকা হয়ে গেলাম। কাউন্টার মাস্টারের কাছে জানতে পারলাম বাস জ্যামে আটকে আছে যাত্রাবাড়ী। আসতে আসতে আরও সময় লাগবে। বাস প্রায় এক ঘন্টা পর এসেছিল। পুরোটা সময় রোদের মধ্যে দাড়িঁয়ে থাকতে হয়েছিল। তবুপ স্বস্তিতে বাড়িতে যেতে পারলেই হলো।
ঈদে সব পরিবহন সার্ভিসগুলো অনেক ব্যস্ত থাকে। একটু দ্রুত টেনে যায় গাড়ি! ঢাকা থেকেই যাতায়াত বাস ভালোই গতিতে চলছিল। মাঝে তেমন বিরতিও নেইনি। সাধারণত যাতায়াত বাস দিয়ে কিশোরগঞ্জ পৌঁছাতে ৫ ঘন্টার উপরে লেগে যায়। সেদিন চার ঘন্টা লেগেছিল যেতে। নিরাপদে আসতে পেরেছি এটাই অনেক কিছু। যায়হোক, আপনাদেরও যেন প্রিয় জনদের সাথে ঈদ উদযাপন করতে পারেন এমনটাই কামনা করছি। আপনাদের যাত্রা হোক নিরাপদ। সবাইকে আবারো ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক 🍃🦋
Device | Oppo A12 |
---|---|
Photographer | @haideremtiaz |
Location | w3w |
Date | 21 April,2023 |
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আসলে ভাই ঈদের সময় বাসের ভাড়া অটোমেটিক বেড়ে যায়। বাসের ভাড়া বাড়ানো আসলে এক ধরনের সিন্ডিকেট। যাইহোক আপনি ঈদের আনন্দে বাড়ি করেছেন জেনে ভালো লাগলো। খুব ভালোভাবে ঈদ উদযাপন করুন সেটাই চাই। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
জি ভাই! ভালোভাবেই এসেছিলাম। আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ
আমার মন্তব্যের সুন্দর ফিডব্যাক দেয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে ভাইয়া ঈদের সময় বা ঈদের আগে আমরা যারা বাসার বাইরে থাকি। যানবাহন ভাড়া বা সবকিছুই বেড়ে যায়। তারপরও আমরা সবার সাথে ঈদ উদযাপন করার জন্য বাসার দিকে রও না হয়। ধন্যবাদ ভাইয়া
জি ভাই! ঈদ আসলেই সবকিছুর দাম বাড়তে থাকে। তবে প্রিয়জনদের সাথে ঈদ উদযাপন করতে হলে সবকিছু উপেক্ষা করতে হয়।
শুরুতেই ঈদের শুভেচ্ছা রইল ভাই, ঈদ মোবারক। সুস্থভাবে যে বাড়ি পৌঁছাতে পেরেছেন এটাই সব থেকে বড় কথা। প্রিয়জনদের সাথে উৎসবের মুহূর্তগুলো সব সময় রঙিন হয়। যাত্রা পথে সব ভগান্তি গুলোই ম্লান হয়ে যায় এই আনন্দের কাছে। তবে রিকশাভাড়া শুনে আমি রীতিমতো আকাশ থেকে পড়েছি। আমাদের দেশে ঈদের আগে বাস রিক্সার ভাড়া শুনলে মাঝেমধ্যে ইচ্ছে করে বাসের হেলপার অথবা ড্রাইভার হয়ে যাই। যাই হোক অনেক শুভকামনা রইল ভাই।
হাহাহা! দাদা উপায় নেই যে। ভাড়া বেশি করলেও যেতে তো হবেই। আর এটাই যে বাংলাদেশ
সবার সাথে ঈদ করার মজাটাই অন্যরকম। ঢাকা শহরের যানজটের কথা আর কি বলবো ঈদের সময় সব জায়গাতে গাড়ি ভাড়া অনেক বেশি করে খায় নেয়। পরিবারের সবার সাথে খুব সুন্দরভাবে ঈদ উদযাপন করেন সেই কামনাই করি। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
আপনারা তো জানেনই ঢাকা শহরের জ্যামের খবর। তবে ঈদ আসলে যে ভাড়া বাড়িয়ে দেয় এটা একদমই খারাপ লাগে। উপায় না পেয়ে সেটা দিয়েই যেতে হয়
ঈদ উপলক্ষে নাড়ীর টানে বাড়ি ফেরার যাত্রাপথের বর্ণনা আজ আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। ট্রেন ভ্রমণের দীর্ঘ অনুভূতি আমাদের মাঝে প্রকাশ করেছেন। আমার খুবই ভালো লেগেছে এই পোস্ট পড়ে। আশা করি আপনি আপনার পরিবারের সাথে খুব আনন্দঘন মুহূর্তের মধ্য দিয়ে ঈদের দিন টা অতিবাহিত করতে পেরেছেন।