সকালের শুরুটা!
04-01-23
২০ পৌষ,১৪২৯ বঙ্গাব্দ
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে
কেমন আছেন তাহলে? বেশ ঠান্ডা পড়েছে কয়েকদিন ধরে! বলতে গেলে সারা দেশেই বেশ ঠান্ডা! আবহাওয়া অফিস অবশ্য জানিয়েছে এ মাসব্যাপী চলতে পারে এই ঠান্ডার প্রবাহ
বাংলাদেশে শীতলতম মাস জানুয়ারী! এই সময়টাতে সারাদেশেই অনেক শীত থাকে! বিশেষ করে দেশের উত্তরাঞ্চলগুলাতে শীতের পরিমাণটা অনেক বেশি! বাহিরে গেলেই এখন টের পাওয়া যায় শীতের পরিমাণটা! পুরো পরিবেশ কুয়াশায় ঢেকে যায়! অল্প দূরত্বের রাস্তার মাঝে দেখা যায় না।
কয়েকদিন ধরে সূর্য়ের দেখা নাই! সকালে তো দেখা পাওয়ায় যায়না! আজ সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে পড়ি! উঠে অবশ্য একটি গল্প লিখে ফেলি! আপনারা ইতোমধ্যে হয়তো পড়েছেন! সকাল সকাল বাহিরের অবস্থা দেখলে মনে হয় কুয়াশার বৃষ্টিপাত হচ্ছে! জানালার পাশে পর্দাটা সরিয়ে চোখে পড়লো ঘন কুয়াশা! আমি যেখানে থাকি তার পাশেই পাচঁ তলা আরেকটি বিল্ডিং! কুয়াশা এতোটাই ঘন যে পাশের বিল্ডিংটাও দেখতে পারছিলাম না। আমি যেখানে থাকি, সেটা মেঘনা নদীর পাড়ের কাছে! জানালা খুলে দিলে পুরো বাতাস রুমে প্রবেশ করে! সকালে তো রুমের জানালা খুলাই পসিবল না! তাছাড়া বেলকনিতে যাওয়ায় কঠিন! বাতাসের সাথে ফ্লোরের ঠান্ডা! ঠান্ডার অনুভূতিটা কেমন হয় ঠিকই বুঝতে পারছেন!
বলতে পারেন, এক রকম যুদ্ধ করার পরে প্লান্টে যেতে হয়! কম্বলের নিচে থেকে বের হওয়াটা কঠিন ব্যাপার! বিছানার সাথে সকাল সকাল করতে হয় যুদ্ধ! সকাল নয়টা থেকে যেতে হয় প্লান্টে! সকাল সকলা একটা জিনিস খেয়াল করেছেন! টেপের পানি কিন্তু অনেক ঠান্ডা থাকে! মুখে দিলে তো আরও ঠান্ডা লাগে! এ তো গেল আমার কথা!
নয়টার আগেই ফ্রেশ হয়ে রেডি পড়লাম প্লান্টে যাওয়ার জন্য! নিচে যেতেই দেখি কুয়াশায় ঢাকা সব! শুধুৃমাত্র চায়ের দোকানগুলো ছাড়া আর কিছু খোলাও থাকে না তেমন! টং এর দোকানে বসে অনেকেই সকাল সকাল চা খেতে চলে আসে। শরীরটা একটু গরম হয়ে যায়! কোয়ার্টার থেকে প্লান্ট কাছেই! হেটেঁ গেল দশমিনিটের মতো লাগে! প্রতিদিন সেইম রাস্তা দিয়ে যাওয়া হয়! আপনারা জানেন কি না, জানিনা! এই আশুগঞ্জ এ বাংলাদেশের বেশিরভাগ পাওয়ার প্লান্ট অবস্থিত। সব থেকে বেশি বিদ্যুৎ এখানেই উৎপাদিত হয়ে থাকে!
আমি যে রাস্তা দিয়ে যায় তার পাশে একটা পানির প্রবাহ যায়! এটা একদম সোজা মেঘনা নদীর সাথে কানেক্টেড! এই ব্যবস্থাটা অবশ্য করেছে এপিএসিএল কর্তৃপক্ষ! কারণ বয়লার চালাতে হলে পানির প্রয়োজন হয়! আর সে পানি আসে নদী থেকে! বয়লারে পানি যতটুকু দরকার হয় সেটুকু রেখে বাকিটা পাঠিয়ে দেয়া হয় নদীতে। ছোট একটা নদীর মতোই করে তৈরি করা! যেদিন ডিমান্ড বেশি থাকে সেদিন বয়লারও চলে বেশি! আর পানির বেগও থাকে বেশি। আজ সকাল সকাল পানির বেগ দেখেই বুঝে গিয়েছিলাম, ডিমান্ড ফুল আছে! তাহলে ইউনাইটেড এর আজ ডিমান্ড কম! এপিএসিএল আবার অনেকটা পূরণ করে থাকে!
বয়লার থেকে পানি যা আসে সেটা আবার গরম থাকে! আর সে পানিতে অনেকেই গোসল করে থাকে। পাশেই ঘনবসতি আছে! সেখানকার মানুষজন এই বয়লার থেকে নির্গত পানিতে গোসল করে থাকে। এটা কতটা নিরাপদ আমার জানা নেই! তবে আমি অনেকদিন ধরেই দেখে আসছি স্বাচ্ছন্দ্যেই তারা গোসল করে! সকাল সকাল রাস্তাও ফাকাঁ ! কোনো যানবাহনও নেই! আমি ব্রিজের উপর দাড়িঁয়ে কয়েকটা ছবি তুলে নিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য! পানির বেগ কেমন তা নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন! তবে এই পানির বেগের সাথেই যেন সাধারণ মানুষগুলো মানিয়ে নিয়েছে!
Device | Oppo A12 |
---|---|
Photographer | @haideremtiaz |
Location | w3w |
Date | 04 January, 2023 |
আজ এই পর্যন্তই! আবারো হাজির হবো নতুন কোনো অভিজ্ঞতা অথবা অনুভূতি শেয়ার করার জন্য। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন সবাই! আল্লাহ হাফেজ 🌼
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
twitter share link
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আজ কয়েক দিন ধরে বেশ ঠান্ডা পড়ছে। আপনি ঠিক বলেছেন ঠাণ্ডায় বাইরের কিছুই দেখা যায় না। আর শীতের সময় কম্বলের তলে থেকে উঠতে মন চায় না সত্যি। তবে ভাইয়া পড়াশোনা ও কাজকর্ম থাকলে আর কি করা উঠতে তো হবেই।আপনি সকাল সকাল এক কাপ চা খেয়ে অনেক ভালো করেছেন শরীর গরম হয়ে যায়।আবার দেখছি বয়লার থেকে পানি আসে আর সেই পানি গরম থাকে,তাই অনেকে গোসল করে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর লিখেছেন।