বিশ্বকাপের আরও একটি হাই ভোল্টেজ ম্যাচ || ভারত বনাম পাকিস্তান

---

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো আপনার যারা খেলাপ্রেমী মানুষ আছেন তারা নিশ্চয় ক্রিকেট বিশ্বকাপের খেলা দেখছেন। ক্রিকেট বিশ্বে ভারত আর পাকিস্তানের ম্যাচ মানেই আলাদা একটা উন্মাদনা থাকে দর্শকদের মাঝে। দর্শকরাও অধীর আগ্রহে বসে থাকে দুই দেশের হাই ভোল্টেজ ম্যাচ দেখার জন্য। তো গত ১৪ই অক্টোবর ভারত বনাম পাকিস্তানের মধ্যকার খেলা ছিল। সে খেলা নিয়ে আগে থেকেই সব টিকিট বিক্রি হয়ে যায়। তো ভারতের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় ভারত বনাম পাকিস্তানের খেলা। গ্যালারিতে দর্শক যেন কানায় কানায় পূর্ন ছিল। সেদিন টসে জিতে বোলিং এর সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। কারন আগের ম্যাচে রেকর্ড রান চেস করে পাকিস্তান জিতে যায়। সে হিসেবে ভারতের ক্যাপ্টেন সঠিক সিদ্ধান্তটাই নেয়। তো পাকিস্তানের একাদশে তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি। তবে ভারতের একাদশে সেদিন একজন পরিবর্তন আসে। ইনজুরি কাটিয়ে দলের সাথে যোগ দেয় শুভমান গিল।

_{screenshot credit from Horsepower Pakistan Youtube Channel}

ব্যাটিং এ নামে ইমামুল হক ও আব্দুল্লাহ শফিক। শুরুটা দেখেশুনেই করে পাকিস্তান। মোটামোটি রান রেইট ঠিক রেখে ব্যাটিং করতে থাকে পাকিস্তান। কিন্তু সিরাজের বলে আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা আব্দুল্লাহ শফিক এলবি ডব্লিউ তে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। তারপর মাঠে আসে বাবর আজম। আগের ম্যাচেও ভালো রান করতে পারেনি বাবর আজম। ইমামুল হক আবার আউট হয়ে যায় হার্দিক পান্ডিয়ার বলে। দলীয় সংগ্রহ তখন ৭৩-২ উইকেট। তারপর মাঠে আসে রিজওয়ান। বলা যায় ফর্মের তুঙ্গে রয়েছে রিজওয়ান। রিজওয়ানকে সাথে নিয়ে বাবর আজম ৮২ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলে। এদিকে বাবর আজম হাফ সেঞ্চুরি করে। কিন্তু বাবর আজম হাফ সেঞ্চুরির পর মাঠে আর থাকতে পারেনি। সিরাজের বলে বোল্ড আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে বাবর। তারপর মাঠে আসে সওয়াদ শাকিল। কিন্তু মাঠে বেশিক্ষণ থাকতে পারেনি। দলীয় সংগ্রহ যখন ১৬২ রান তখন কুলদী যাদবের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে আউট হয়। তারপর আর কোনো পার্টনারশিপ দেখা যায়নি। ৪৯ রান করে রিজওয়ান আউট হওয়ার পর ধরে নিয়েছিলাম পাকিস্তান আর বেশিদূর যেতে পারবে না। সবশেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ দাড়াঁয় সব উউকেট হারিয়ে ১৯১ রানের।

_{screenshot credit from Horsepower Pakistan Youtube Channel}

এটা বলতে গেলে লো স্কোরের টার্গেট! ধরে নিয়েছিলাম ভারতই জিতবে। কারণ ভারতের সব প্লেয়ার দারুণ ছন্দে রয়েছে। ব্যাটিং করতে নামে রোহিত শর্মা ও শুভমান গিল। হিটম্যান খ্যাত রোহিত শর্মা নেমেই রকেটিং শট খেলতে থাকে। আগের ম্যাচেও দারুণ ব্যাটিং করেছে রোহিত শর্মা। আসলে রোহিত শর্মার ব্যাটিং দেখতেও ভালো লাগে। রোহিত শর্মার সিক্সের সংখ্যাটা এখন তিন নাম্বারে। তো শুভমান গিল দেখেই খেলতে থাকে। কিন্তু শাহীন আফ্রিদির বলে ক্যাচ আউট দিয়ে সাজঘরে ফেরে। ভারতের দলীয় সংগ্রহ যখন ২৩ রান তখন শুভমান গিল আউট হয়। তারপর মাঠে আসে ভিরাট কোহলি! ভিরাট কোহলিকে নিয়ে বলার মতো কিছু নেই। অলটাইম ফেভরিট! দারুণ ছন্দে রয়েছে ভিরাট কোহলি। হিটম্যান রোহিত শর্মা হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়। কিন্তু ভিরাট কোহলি মাঠে বেশিক্ষণ থাকতে পারেনি। দলীয় সংগ্রহ যখন ৭৯ রান ১০ ওভারে তখন ভিরাট কোহলি হাসান আলীর বলে ক্যাচ আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে।

_{screenshot credit from Horsepower Pakistan Youtube Channel}

তারপর মাঠে নামে শ্রেয়াস আইয়ার! শ্রেয়াস আইয়ারকে নিয়ে দেখেশুনেই খেলতে থাকে রোহিত শর্মা। রোহিত শর্মা স্ট্রাইক রোটেইট করে খেলতে থাকে। কিন্তু রোহিত শর্মার ইনিংস থামে ৮৬ রানে। রোহিত শর্মা আউট হওয়ার আগে কাজের কাজ করে দিয়ে যায়। তারপর রাহুলকে নিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ৩০.৩ ওভারে। সাত উইকেটে জয় তুলে নেয় ভারত। প্লেয়ার অফ দা ম্যাচ নির্বাচিত হয় জাসপ্রিত বুমরাহ। তো ভেবেছিলাম খেলাটা পাকিস্তানের সাথে জমবে। কিন্তু তা আর হলো না। পাকিস্তানের শোচনীয় পরাজয় হয়।

---

---

10% beneficary for @shyfox ❤️

ধন্যবাদ সবাইকে

---

---

আমি কে?

^{আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।}