১ম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ || পাকিস্তান বনাম নিউজিল্যান্ড

---

🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। শীতের তীব্রতা কয়েকটা দিন ধরে বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সারাদিনে সূর্যের দেখাও পাওয়া যাচ্ছে না। তবুও আমাদের জীবন ও জীবিকা থেমে নেই। তো যায়হোক, আপনারা যারা খেলাপ্রেমী মানুষ আছেন তারা নিশ্চয় খেলাধুলার খবর রাখেন। আমি মাঝে মাঝেই খেলা দেখে থাকি। বিশেষ করে শর্ট টার্মের ক্রিকেটখেলা টি-টোয়েন্টি ম্যাচগুলা বেশি দেখা হয়। তো গতকাল পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড এর মধ্যকার ৫ ম্যাচ সিরিজের ১ম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বাংলাদেশের পর এবার পাকিস্তান নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়েছে। সামনে যেহেতু চ্যাম্পিয়নস কাপ ট্রফি এজন্য সব টিমই ব্যস্ত সময় পার করবে এ বছর। বাংলাদেশেরও ব্যস্ত সূচি। তো গতকাল টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান।

_{screenshot from Super Sports}

তো ব্যাটিং এ নামে কনওয়ে ও ফিন এলেন! ইনিংসের শুরুটা ভালোই শুরু করে পাকিস্তান। শাহীন আফ্রিদি কনওয়েকে শূন্য রানে আউট করে সাজঘরে পাঠায়। তারপর মাঠে আসে ক্যাপ্টেন উইলিয়ামসন। উইলিয়ামসন আর এলেন মিলে দারুণ ব্যাটিং করতে থাকে। উইলিয়ামসন ইঞ্জুরি কাটিয়ে মাঠে ফিরেছে। উইলিয়ামসন এর ব্যাটিং আসলে ভালোই লাগে। ঠান্ডা মাথার প্লেয়ার। এমনভাবে খেলে রান তুলে ফেলে বুঝাও যায় না। তো পাচঁ ওভার শেষে যখন নিউজিল্যান্ড এর সংগ্রহ ৫০ রানে তখন আব্বাস আফ্রিদি ফিন এলেনকে আউট করে সাজঘরে পাঠায়। ফিন এলেন আর কিছুক্ষণ থাকলে চার ছক্কার ফুলঝুরি আরও কিছুক্ষণ দেখতে পারতাম। তারপর মাঠে নামে ডেরিয়েল মিচেল। মিচেল আর উইলিয়ামসন মিলে আরও একটি দারুণ পার্টনারশিপ গড়ে তোলে। আর টি-টোয়েন্টিতে পার্টনারশিপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটা বড় পার্টনারশিপ গড়তে পারলে খেলার চেহারা পরিবর্তন হয়ে যায়।

_{screenshot from Super Sports}

মিচেল ও উইলিয়ামসন দুজনেই নিজের ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়। তাদের দুজনের পার্টনারশিপ ভাঙে দলীয় সংগ্রহ যখন ১২৮ রানের। উইলিয়ামসন আউট হওয়ার মধ্যে দিয়েই তাদের পার্টনারশিপ ভাঙে। তারপর মাঠে নামে গ্লেন ফিলিপস! কিন্তু গ্লেন ফিলিপস বেশিক্ষণ থাকতে পারেনি। তারপর মাঠে নামে চাপম্যান! কম বলেই ভালো একটা ইনিংস খেলে চাপম্যান। তারপর শেষ অবধি নিউজিল্যান্ড এর সংগ্রহ দাড়াঁয় আট উইকেট হারিয়ে ২২৬ রানের! বড় একটা রানের টার্গেট ছুড় দেয় পাকিস্তানের সামনে। ব্যাটিং এ নামে রিজওয়ান ও আইয়ুব। বাহাতি প্লেয়ার আইয়ুব শুরুটা ভালোই করে। ৮ বলে সাতাশ রানের একটা ক্লাসি ইনিংস উপহার দিয়ে রানআউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় আইয়ুবকে।

_{screenshot from Super Sports}

তারপর মাঠে নামে বাবর আজম। বাবর আজম আর রিজওয়ান দেখেই খেলতে থেকে। কিন্তি রিজওয়ান ডাউন দা ট্রেকে খেলতে গিয়ে ক্যাচ আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। রিজওয়ান আউট হওয়ার পর মাঠে নামে ফখার জামান। ফখর জামান আসলে পিচে একটু সেট হতে পারলে বলে আগুন ধরিয়ে দেয়ার ক্ষমতা রাখে। কিন্তু ফখর জামান বাবর আজমকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেনি। পাকিস্তানের একটা ভালো পার্টনারশিপ দরকার ছিল। কিন্তু সেরকম হয়নি। বাবর আজম নিজের ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়। তারপর বাবর আজমকে রেখে সবাই যাওয়া আসার মধ্যেই থাকে। শেষ অবধি পাকিস্তান সব কয়টি উইকেট হারিয়ে ১৮০ রান সংগ্রহ করতে পারে। ৪৬ রানের ব্যবধানে জিতে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। প্লেয়ার অফ দা ম্যাচ নির্বাচিত হয় ডেরিয়েল মিচেল।

---

---

10% beneficary for @shyfox ❤️

ধন্যবাদ সবাইকে

---

---

আমি কে?

^{আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।}