নাটক রিভিউঃ " পরিচয় "
08-03-2024
২৫ ফাল্গুন , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
সবাইকে জুম্মা মোবারক 🌼। আশা করছি সবাই ভালো থাকার চেষ্টা করছেন। তো ভালো থাকতে পারলেই হলো। তো সাপ্তাহিক ছুটির দিনে আমি সবসময় আপনাদের সাথে নাটক শেয়ার করে থাকি। তারই ধারাবাহিকতায় আজ চলে এলাম একটি নাটক নিয়ে। নাটকটির নাম হচ্ছে পরিচয়। নাটকটি সম্প্রতি ইউটিউব এ রিলিজ হয়েছে। দেখে ভালোই লেগেছে আমার কাছে। আশা করছি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে।
নাম | পরিচয়। |
---|---|
পরিচালনা ও গল্প | প্রীতি দত্ত। |
প্রযোজক | মোঃ আলী বশির। |
অভিনয়ে | খায়রুল বাশার, কেয়া পায়েল, শেলী আহসান, আনোয়ার শাহী, আজম খান, সাজ্জাদ চৌধুরী সহ আরও অনেকে। |
আবহ সংগীত | মোঃ রবিন ইসলাম। |
দৈর্ঘ্য | ৪২ মিনিট ১৭ সেকেন্ড। |
মুক্তির তারিখ | ০৭ই মার্চ , ২০২৪ ইং |
ধরন | রোমান্টিক, সামাজিক । |
ভাষা | বাংলা |
চরিত্রেঃ
কিশোরঃ
খায়রুল বাশার।দিশাঃ
কেয়া পায়েল।কাহিনী সারসংক্ষেপ
নাটকের শুরুতে দেখা যায়, কিশোরকে নিয়ে তার দুই বন্ধু মজা করছে। কারণ হচ্ছে কিশোর একটা মেয়েকে অনেক ভালোবাসতো। সে মেয়েটির নাম ছিল সুইটি। মেয়েটি তাকে ধোকা দিয়ে অন্য কারো সাথে বিয়ে করে নিয়েছে। এজন্য কিশোর আত্নহত্যা করতে চায়। কিশোরের দুই বন্ধু তাকে বুঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু কোনো কাজই হয় না। সে আর বেচেঁ থাকবে না। তার কাছে এখন জীবনকে মূল্যহীন মনে হচ্ছে। ঠিক তখন কিশোর একটা মেয়েকে দেখতে। বাতাসে উড়ু উড়ু চুলে চা হাতে নিয়ে দাঁড়িয়েছিল। আর কিশোর প্রথম দেখাতেই মেয়েটিকে ভালো লেগে যায় তার। কিশোর তখনই তার ভালোলাগার কথা বলে ইমপ্রেস করার চেষ্টা করে। মেয়েটি প্রথমে বিরক্ত হলেও পরে ঠিকই মেয়ে পটে যায়। কিশোর মেয়েটির বাসা অবধি চলে আসে। মেয়েটি বুঝতে পারে যে ছেলেটি তার পিছু নিয়েছে। আর সে মেয়েটির কাছেও কিশোরের পাগলামী ভালো লেগে যায়।
মেয়েটির নাম দিশা। কিশোরের প্রথমদিনের পাগলামী দিশা মিস করতে থাকে। বারবার শুধু কিশোরের কথা ভাবতে থাকে। যেভাবে তাকে ইমপ্রেস করেছে সেটা ভেবে দিশা ভাবছিল আজও তার বাসার সামনে ঘুরবে। কিন্তু না, কিশোর দিশার বাসার সামনে যায় না। এদিকে কিশোর ঠিকই বুঝে যায়। মেয়েটি যে তাকে মিস করছে। হঠাৎ তার সামনে গিয়ে হাজির হলে তখন খুবই খুশি হবে। দুদিন পর দিশা একটা শপিং শপে যায়। সেখানে গিয়েই দেখা হয়ে যায় কিশোরের সাথে। তারপর দিশা বলে এতোদিন কিশোর কোথায় ছিল। কিশোর তখন বলে তার মনে। তাকে যে মিস করছিল দিশা সেটা বুঝতে পারে কিশোর। তারপর কিশোর তার ফোন নাম্বারটি দিশার ফোনে সেইভ করে দেয়। যাতে করে পরে মনে হলেই ফোন দিতে পারে। তারপর তাদের মাঝে সম্পর্কটা বাড়তে থাকে। কিন্তু দিশার কাছে কেন জানি মনে হচ্ছিল সে সত্যি সত্যি তাকে ভালোবাসে না।
এই নিয় রেস্টুরেন্ট এ কথা কাটাকাটি হয় কিশোরের সাথে। আর তখনই জানতে পারে তার প্রাক্তন প্রেমিকার কথা। সুইটি মেয়েটিকে একটা সময় সে অনেক ভালোবাসতো। সে মেয়েটিকে ভালোবাসার পর থেকে কাউকে ভালোবাসি বলার সাহস পায়না কিশোর। এজন্য দিশাকেও সে প্রপোজ করেনি। তারপর দিশা প্লেন করে সুইটির সাথে দেখা করে। সুইটির সাথে কোনো কথায় বলতে পারে না। শুধু দিশাই তার গার্লফ্রেন্ডের পরিচয় দিয়ে দিল। তো কিছুদিন পর সুইটকে ফোন দিয়েও কোথাও খুজেঁ পাচ্ছিল না দিশাকে। তারপর সে দেখতে পায় সে মাটিতে পড়ে আছে। তারপর দিশা তাকে প্রপোজ করে। তার কিছুদিন পর জানতে পারে দিশার শরীরে মরণব্যধী ক্যান্সার বাসা বেধেছে। সে ইচ্ছে করেই কিশোরের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। কারণ তার অনিশ্চিত জীবনের সাথে তাকে জড়িয়ে শুধু শুধু কষ্টের ভাগিদার বানাতে চাই না।
কিন্তু কিশোর দিশাকে খুব ভালোবেসে ফেলেছে। সে চাইলেই এখন দিশাকে ভুলে থাকতে পারবেনা। কিশোরের ইচ্ছে যতটা দিন বাচঁবে তারা দুজন যেন একসাথে থাকতে পারে। কিন্তু দিশা রাজি হতে চায়নি। পরে অবশ্য রাজি হয়। তারপর কিশোর প্লেন করে দিশাকে বিয়ে করবে। তার দুঃসময়ে সে পাশে থাকবে। দিশাকে বিয়ে করার ব্যাপারটা তার বাবা মায়ের সাথে শেয়ার করে কিশোর।। কিন্তু তার বাবা প্রথমে রাজি হতে চায়নি। কারণ তাদের ছেলেকে একটা অনিশ্চিত জীবনের সাথে তুলে দিতে পারবে না। তারপর কি হয়েছিল জানতে হলে নাটকটি দেখতে হবে।
ব্যক্তিগত মতামত
ব্যক্তিগতভাবে নাটকটি আমার কাছে ভালো লেগেছে। আপনার দুঃসময়ে যে পাশে থাকে সেই তো আপনার প্রিয়জন। বর্তমানের মেকি ভালোবাসার কাছে এ নাটকটি হতে পারে উত্তম দৃষ্টান্ত। যদিও নাটকের গল্প কাল্পনিক। জীবনের শেষ সময়ে ভালোবাসার মানুষকে পাশে পাওয়ার বিষয়টাই নাটকে স্পষ্টে তুলে ধরা হয়েছে। খাইরুল বাশারের নাটকগুলো আমার কাছে সবসময় ভালো লাগে। কেয়া পায়েলও ভালো অভিনয় করেছে। সবমিলিয়ে নাটকটি দেখার মতো ছিল।
ব্যক্তিগত রেটিং
৯/১০
নাটকটির লিংক
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
twitter share
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বর্তমান সময়ের খাইরুল বাশার অসাধারন নাটক আমাদের উপহার দিয়ে যাচ্ছেন। খায়রুল বাশার ও কেয়া পায়েল অভিনীত পরিচয় নাটকটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে নাটকটির রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। নাটকটির রিভিউ পড়ে আবার দেখার প্রতি আগ্রহ জাগলো। সামনের দিনে এরকম নতুন নতুন নাটকের রিভিউ এর আশায় থাকলাম।
পরিচয় অনেক সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করেছেন ভাইয়া। এই নাটকটা আমি অর্ধেক দেখেছিলাম। নাটকের শেষের দিকে কি হয়েছিল সেটা আপনার পোষ্টের মাধ্যমে দেখতে পারলাম। দেখে বেশ ভালো লাগছে। এরকম সুন্দর একটি নাটক শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
খায়রুল বাসার এর নাটক গুলো ভালো লাগে। পরিচয় নাটকটিতে খায়রুল বাসার এবং কেয়া পায়েল বেশ সুন্দর অভিনয় করেছেন। তবে নাটকটির গল্প ছিলো ভিন্ন রকম। গতকাল আমি নাটকটি দেখেছিলাম ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
বাহ! চমৎকার একটি নাটক রিভিউ দিলেন আপনি। যদিও নাটকের নাম পরিচয়। পরিচয় থেকে তো অনেক কিছু হয়ে গেল হা হা হা। পরিচয় কিন্তু পরিচয় এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলো না হি হি হি। খুব ভালো লেগেছে নাটক রিভিউটি দেখে। অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপনাকে প্রতিনিয়ত নাটক রিভিউ গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করে যাচ্ছেন।
ভাই আপনি সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন। আসলে এইধরনের নাটক গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে। কেয়া পায়েল বেশ চমৎকার অভিনয় করে।যাইহোক আপনি সুন্দর ভাবে নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। নাটকটি এখনো দেখি নাই তবে দেখার জন্য চেষ্টা করবো।আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
খুব সুন্দর হয়েছে আপনার এই নাটকের রিভিউ৷ আসলে কেয়া পায়েলের সাথে খাইরুল বাশারের জুটি তেমন একটা দেখা যায় না। তবে এই নাটকের মধ্যে তাদের জুটি একেবারে সুন্দর হয়েছে৷ তাদের এই নাটকের চরিত্রগুলোও খুব সুন্দর হয়েছে৷ আজকে আপনিও খুব সুন্দরভাবে এই নাটকটির রিভিউ ফুটিয়ে তুলেছেন৷ একইসাথে এই নাটকের মধ্যে যেসকল ঘটনা গুলো ঘটেছিল তার সবকিছু খুব সুন্দর ভাবে আপনি আপনার রিভিউ এর মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া কিছু কিছু নাটক থাকে যেগুলো বাস্তব জগতের সাথে মিলিয়ে করা হয়। কাল্পনিক হলেও এগুলো অনেক সময় বাস্তবে সাথে মিলে যায়। আপনার নাটক রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লাগলো। যদিও এই নাটক দেখা হয়নি তবে সময় পেলে অবশ্যই দেখবো। আমার কাছে রিভিউ পড়তে অনেক ভালো লাগে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে সম্পূর্ণ নাটকের রিভিউ তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি নাটক রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।