"পরীর মতো বউ" নাটক রিভিউ
*27-12-22
১৩ পৌষ,১৪২৯ বঙ্গাব্দ
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে
কেমন আছেন সবাই? আবারো হাজির হয়ে গেলাম আপনাদের মাঝে! কিছুক্ষণ আগেও কথা হয়েছিল, হাহাহা। যাক, একটু ফ্রি টাইম পেয়েছিলাম তাই একটা নাটক দেখছিলাম। নাটকটির নাম হচ্ছে পরীর মতো বউ। নাটকটি ভালোই ছিল। আপনারাও দেখতে পারেন। আশা করি উপভোগ করতে পারবেন।
নাটকের কিছু তথ্য
নাম | পরীর মতো বউ । |
---|---|
গল্প, চিত্রনাট্য, সংলাপ | মুহাম্মদ মিফতাহ আনান। |
অভিনয়ে | মনিরা মিঠু, তৌসিফ মাহবুব, কেয়া পায়েল, শরাফ আহমেদ জীবন । |
দৈর্ঘ্য | ৫৮ মিনিট ২৪ সেকেন্ড। |
আবহ সংগীত | শুভ্র রাহা । |
মুক্তির তারিখ | ২০ ই ডিসেম্বর , ২০২২ইং |
ধরন | রোমান্টিক , ড্রামা, সামাজিক |
ভাষা | বাংলা। |
দেশ | বাংলাদেশ |
চরিত্রেঃ
আশিকঃ
তৌসিফ মাহবুব।সুইটিঃ
কেয়া পায়েল।কাহিনী সারসংক্ষেপ
নাটকের শুরুতে দেখা যায়, আশিক স্বপ্ন দেখে! স্বপ্নে পাশের বাড়ির মোটা, কালো করে নাসরিনের সাথে বিয়ে হয়ে যায় দেখে! সেটা দেখেই আশিক এক লাফে ঘুম থেকে উঠে পড়ে! আশিকের ইচ্ছে সে পরীর মতো কোনো মেয়েকে বিয়ে করবে! ঘুম থেকে উঠে তার মায়ের কাছে এসে বলে সে স্বপ্নে কি দেখেছিল! তার মায়েরও ইচ্ছে তার একমাত্র ছেলের বউ পরীর মতো হবে। মা ও ছেলে মিলে চলে যায় লাকী ভাইয়ের কাছে। শহরের নামকরা ঘটক সাহেব! ছেলের জন্য পরীর মতো সুন্দর মেয়ে লাগলে! কালো, শ্যামলা, চিকন, মোটা, খাটো, মেকআপ করে এমন হলে চলবে না! তাদের এক কথা! মেয়ে হতে হবে পরীর মতো। লাকী ভাই আশ্বাস দেয় তাদেরকে পরীর মতো মেয়ে খুজেঁ দিবে। কিন্তু টাকার পরিমাণটা একটু বেশি লাগবে। এতেও রাজি আশিক ও তার মা! পরদিন লাকী সাহেব কয়েকজন মেয়েকে নিয়ে আসে! কিন্তু কোনো মেয়েকেই চয়েস হয়নি আশিক ও তার মায়ের! কোনো না কোনো ত্রুটি পেয়েছেই!
আশিক ও তার মা অন্য ঘটকের কাছে যেতে চাই! ঠিক তখন লাকী ঘটক প্রিমিয়াম লেভেলের মেয়ে দেখাবে বলে!! ফোনের স্ক্রিন অন করে তারই ছোট বোন সুইটিকে দেখায়! আর এক দেখাতেই আশিক ও তার মায়ের মাথা ঘুরে যায়। তারা দ্রুত মেয়েকে দেখতে চাই। কাল চলে যায় রেস্টুরেন্ট এ। সুইটি যখন রেস্টুরেন্ট এ আসে, ঠিক তখন আশিক সুইটিকে দেখে স্বপ্নে হারিয়ে যায়। একদম পরীর মতো মেয়ে! আশিকের মায়ের কাছেও মনে হয়েছে একদম পরীর মতো মেয়ে। এমন মেয়েকে তো আর হাত ছাড়া করা যাবে না! সুইটি যা বলে তাই আশিকের কাছে ভালো লাগে। আশিকের মা তখন সুইটির হাত, পা, চিল, শরীর দেখে! সব ঠিকঠাক! যেমনটা চেয়েছিল আশিকের মা! সুইটি কিছুটা হতবাক হয়ে যায় তাদেী আচরনে! ঠিক তখন আশিকের মা আশিককে বলে, সুইটিকে আংটি পড়িয়ে দিতে। আশিক তখন আংটি পরিয়ে দেয়। সুইটি এটার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিল না। একমাত্র তার ভাইয়ের কথায় ছেলের সাথে দেখা করতে এসেছিল। লাকী সাহেব সুইটিকে ঠান্ডা হতে বলে।
আশিকের মা সুইটিকে দেখে পছন্দ করে, সেই সাথে বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করে ফেলে! আগামী দশ তারিখ বিয়ে। কিন্তু সুইটি মোটেও রাজি না বিয়েতে! কিন্তু সুইটির ভাইয়ের রিকোয়েস্টে সুইটি বিয়েতে রাজি হয়। বিয়ের পর সব গহনা নিয়ে পালানোর প্লেন করে লাকী আর সুইটি। কিন্তু পালানোর কোনো উপায় পায় না! দিন দিন আশিক ও তার মায়ের অত্যাচার যেন বাড়তে থাকে! সুন্দর হওয়ায় তাকে নিয়ে দুজনে বেশি নাচাচনাচি করে। বাড়িতে মানুষজন নিয়ে এসে ছেলের বউকে দেখায় আশিকের মা! সবাই প্রশংসায় পঞ্চমুখ! সব থেকে সুন্দরী মেয়ে পেয়েছে আশিক তার জীবনে! সুইটির কাছে এসব অসহ্য লাগে! এক পর্যায়ে বিরক্ত হয়ে বাড়ি থেকে চলে যেতে চাই। যাওয়ার আগে কিছু কথা বলে যায়। মেয়েদের পণ্য মনে না করে সাধারণ মানুষ ভাবার জন্য বলে। সৌন্দর্য বেশিদিন থাকেনা। সৌন্দর্য চলে গেলেই সুইটিকেও ফেলে দিবে বাহিরে। নাটকটি সেখানেই সমাপ্ত ঘটে!
ব্যক্তিগত মতামত
নাটকের টাইটেল দেখে মনে হয়েছিল নাটকটি হয়তো কমেডি টাইপের কিছু একটা হবে! কিন্তু গল্পটা যত গভীরে যেতে থাকে ততই মনোযোগ বাড়তে থাকে। আসলে আমাদের সমাজ মেয়েদের পণ্য মনে করে! শ্যামলা, কালো, মোটা, খাটো এসব দেখে কি বিয়ে করতে হয়! সুন্দর একটা মন হলেই তো হয়। সুন্দরের পিছনে ছুটতে গিয়ে আশিক ও তার মা ভুলেই গিয়েছিল তারাও তো মানুষ! নাটকের স্বার্থকতা সেখানেই। বর্তমান প্রেক্ষাপটের আলোকে নাটকটি নির্মিত। আমার দেখে ভালোই লেগেছে।
ব্যক্তিগত রেটিং
নাটকটির লিংক
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
চমৎকার একটা নাটকের রিভিউ আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আমিও কয়েকদিন আগে নাটকটি দেখলাম খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে। এটাই তো বর্তমান সমাজের সমস্যা যে আমরা মেয়েদেরকে পণ্য মনে করি। এই বিষয়টি নাটকে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে।
Twitter share link
বাহ ভাইয়া আপনি খুব সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করেছেন। নাটকের নামটি অনেক সুন্দর ছিল চাঁদের মত বউ। প্রথমে আশিক স্বপ্ন দেখে যে কাল একটা মেয়েকে সে বিয়ে করেছে এটা দেখে সে চমকে ওঠে ঘুম থেকে। আশিকের মা সুইটিকে পছন্দ করে কিন্তু সুইটি বিয়ে করতে রাজি হয় না। আপনার নাটকটি সব পড়লাম পড়ে খুব ভালো লাগলো নাটকটি বেশ সুন্দর ছিল ধন্যবাদ আপনাকে।
তৌসিফের নাটক খুব কমই দেখা পরে তবে এর আগে একটা নাটক দেখেছিলাম,খানদানি ফ্যামিলি টাইপের হবে।সেখানেও বোধয় তৌসিফের নাম আশিক ছিল।
সুন্দর রিভিউ দিয়েছেন ভাই,দেখবো ইনশাল্লাহ। শুভ কামনা জানাই।
খুব সুন্দর একটি নাটক রিভিউ দিয়েছেন। অবশ্য এই নাটক কখনো দেখা হয়নি তবে আজকে আপনার পোস্টের মাধ্যমে এত সুন্দর নাটকের রিভিউ পড়ে দেখার আগ্রহ জেগেছে। আমি আবার সময় পেলেই নাটক দেখি। আমার কাছে এই ধরনের নাটক দেখতে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি নাটক রিভিউ দেওয়ার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
পরীর মতো বউ নাটকটি কিছুদিন আগে দেখেছি। পায়েল এর অভিনয় গুলো আমার ভীষণ ভালো লাগে। চমৎকার ভাবে নাটকটি রিভিউ করেছেন। আপনার রিভিউ সব সময়ই ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
ফেসবুকে এই নাটকটির ভিডিও দেখেছিলাম এবং নাটকের একটি শর্ট ভিডিও দেখেছিলাম। সেই নাটকটির আসল কাহিনী বুঝতে পেরেছিলাম। মাছের পরীর মত সুন্দরী বউ খুঁজেছে, কিন্তু গুন খুঁজে নি। কালো খাট শ্যামলা ইত্যাদি মেয়েদের কে ও গুণবতী না খুঁজে তারা শুধু রূপবতীটাই খুঁজেছে। বর্তমান সমাজের জন্য খুবই ভালো একটি নাটক। যদিও এখন শিক্ষণীয় নাটক দেখা যায় না বললেই চলে।
এই নাটকটির মাধ্যমে খুবই ভালো একটি টপিক তুলে ধরা হয়েছে যা আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। আপনার ব্যক্তিগত মতামত আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। আপনি ঠিকই বলেছেন যে রকম মেয়েই হোক না কেন মনটা ভালো হলেই হবে। আসলে আপনার পুরো নাটকটির রিভিউ পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে। যদিও এই নাটকটি এখনো দেখা হয়নি চেষ্টা করব খুব তাড়াতাড়ি দেখার। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি নাটক আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
এই নাটকটি আমি বেশ কয়েকদিন আগে দেখেছিলাম। আমার কাছে কিন্তু এই নাটকটি খুবই ভালো লেগেছিল কিন্তু আশিক এবং তার মা এরকম করেছে দেখে একটু খারাপ লাগলো। কখনো কোন কিছু দেখে অহংকার করা কিন্তু ঠিক না। আমি এমনিতেই বাংলা নাটক একটু বেশি দেখে থাকি। খুবই ভালো লাগে তাদের অভিনয় বিশেষ করে।আপনার রিভিউ পোস্ট এর মাধ্যমে আবার আজকে নতুন করে এই নাটকটি দেখতে পেয়ে ভীষণ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।