অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়!

in আমার বাংলা ব্লগ4 months ago

03-03-2024

২০ ফাল্গুন , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ


🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼


more-687241_1280.jpg

copyright free image from pixabay

অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়! না আবেগ, না ভালোবাসা, না ঘুম, না খাওয়া-দাওয়া, না মোবাইল ইউজ করা, না আত্মবিশ্বাস প্রভৃতি। মোটকথা, অতিরিক্ত কোনো কিছু করলেন তো নিজের ক্ষতি নিজেই করলেন। আমরা এই ব্যাপারটা সহজেই বুঝতে চায় না। অনেকেই আছে রাত জাগার অভ্যাস। গভীর রাত অবধি জেগে থাকে। আর সেই ঘুম কাটানোর জন্য সে সারাটা দিন ঘুমের মাঝে কাটিয়ে দেয়। তার মানে একটা দিনের বেশিরভাগ সময়ই চলে যাচ্ছে ঘুমের মাঝে। এখন কথা হচ্ছে শুধু শুধু সময়গুলো যে এভাবে চলে যাচ্ছে এর প্রভাব কি ভবিষ্যৎ এ পড়বে না। অবশ্যই পড়বে! দুইটা প্রভাব খুব বেশি পড়বে। এক, মানসিকভাবে ভালো থাকতে পারবে না। কারণ রাত জাগার কারণে মাথার উপর প্রভাব পড়বে। আর দুই, শরীরে অলসতা চলে আসবে। আর যেটা চাকরি ফিল্ডে বড় ধরনের ইমফেক্ট পড়বে। যার ফলশ্রুতিতে চাকরি করতে পারবে না।

আবার অনেকেই আছে খেতে পছন্দ করে। তার কাছে খাওয়াটাই সবচেয়ে বড় বিষয়। কিন্তু যতক্ষণ না সে পেটের সমস্যায় না পরছে ততক্ষণ সে খেতেই থাকবে। যার ফলে শরীরের উপরও বড় ধরনের একটা ইমফেক্ট পরছে। পেটের সমস্যা চলে আসলেই বুঝা যায় কেন সে এতো খেল! শুধু কি পেটের সমস্যায় হয়! আরও নানান ধরনের রোগ বাসাবাধা শরীরে। এ তো গেল খাওয়ার কথা। এখন আসেন একটু ভালোবাসা, আবেগ নিয়ে বলি। আমার মনে হয় টিনেজার এইজটা সবচেয়ে রিস্কি একটা বয়স। এ সময় ছেলে মেয়েরা সবচেয়ে বেশি ভুল করে বসে। মজার ব্যাপার হলো আমিও টিনেজার বয়সে অনেক ভুল করেছি। বর্তমানে দেখা যায় ছেলে মেয়েরা বড় হতে না হতেই একটা সম্পর্কে জড়িয়ে যায়। সেটাও আবার অন্ধ প্রেম। যেটার আদৌ কোনো ভেল্যু থাকে কি না আমার জানা নেই। কারণ বর্তমানে ভালোবাসাটা যেন শারীরিক চাহিদার উপর ডিপেন্ডেড হয়ে যাচ্ছে। এটা একধরনের নোংরা বলা যেতে পারে। একটা মেয়ে হয়তো ভাবো ছেলেটা তার সবচেয়ে কাছের কেউ, তাকে কখনো ছেড়ে যাবে না। সে অন্ধভাবে বিশ্বাস করে। কিন্তু যখনই বুঝতে পারে ছেলেটাকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করা ঠিক হয়নি তখনই হুশ ফিরে আসে।

বর্তমান তুরণ প্রজন্মরা আসলেই বেশি বিশ্বাসী এবং বেশি আবেগী বলা যেতে পারে। বলতে গেলে বড় না হতেই একটা সম্পর্কে জড়ায় যায়। আবার বেশি আবেগী ব্যাপারটাও খারাপ। একটা বাস্তব উদাহরণ দেয়া যাক! আমারই ক্লাসমেট বন্ধু আসিফ! একসাথেই পড়াশোনা করেছি সেই বাল্যকাল থেকে। যখন মাধ্যমিকে চলে আসলাম তখন ক্লাস নবম শ্রেণীতে একটা মেয়ের সাথে রিলশনে জড়ায় যায়। ও এতোটাই আবেগী ছিল যে, মেয়েটা তাকে জোরে বকা দিলেও কেঁদে কেঁদে আমাদের কাছে বলতো! বলতে গেলে খুবই ভালোবাসতো মেয়েটাকে। তো ইন্টার পাশ করার পর মেয়েটিকে বিয়ে দেয়ার চিন্তা করে বাড়ি থেকে তার মা বাবা। আর আমার বন্ধু আসিফ পুরো পাগল হয়ে যায়। কারণ সে যদি মেয়েটাকে হারিয়ে ফেলে। তারপর আসিফ দেখি ফেইসবুকে একের পর এক আবেগমাখানো পোস্ট দিতে থাকে। আমি পার্সোনালি তাকে বুঝানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। অবশেষে মেয়েটির বিয়ে হয়ে যায়। কিন্তু আসিফ এখনও আবেগঘন রয়েই গেল! এখনও সে নাকি মেয়েটিকে পছন্দ করে!

আসলে জীবনটাকে আবেগ দিয়ে পরিমাপ করা একটা বড়সর বোকামি ছাড়া আর কিছুই না। আবেগ দিয়ে আপনি কল্পনার রাজ্যে চলে যেতে পারবেন। কিন্তু বাস্তবে সেটা কখনোই পসিবল না। বাস্তবে জীবনের চিত্রটা অনেকটাই অন্যরকম। আপনাকে বিচার বুদ্ধি দিয়ে সবকিছু মেজার করতে হবে। অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়। সবকিছুরই একটা লিমিটেশন থাকা উচিত। লিমিটেশনের বাইরে চলে গেলেই জীবনে হতাশা, অপ্রাপ্তি, শারীরিক, মানসিক কোনো ভাবেই ভালো থাকা যায় না আসলে। এজন্য আমাদের অতিরিক্ত চিন্তা করা মোটেও উচিত হয়। বরং বর্তমান নিয়ে ভাবায় শ্রেয়। ভবিষ্যৎ এ কি না কি হবে সেটা হবে অতিরিক্ত চিন্তা করাটাও সমিচিন হবে না। সহজ-সরল ভাবে জীবনটাকে চালাতে পারলেই হলো। যাক, আর বেশি কথা বাড়ালাম না। সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মতো বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ 🌼



10% beneficary for @shyfox ❤️

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNzq2MSXKSji21JRspt4nqpkXPR5ea7deLzvmJtuzVBwdLJUpBqtgAZ5gHtHPbayD2jR3CWqjkJ.png

ধন্যবাদ সবাইকে



WhatsApp Image 2021-12-23 at 19.46.54.jpeg

আমি কে?

IMG-20211205-WA0092.jpg

আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 4 months ago 

আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। সত্যি বলেছেন ভাইয়া অতিরিক্ত সব কিছুই খারাপ। আসলে অতিরিক্ত আবেগ, ভালোবাসা যায় করেন না কেন, কখনো ভালো হয় না। বাস্তবতা বড়ই কঠিন। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর লিখেছেন।

Posted using SteemPro Mobile

 4 months ago 

আসলে অতিরিক্ত কোন জিনিসই ভালো না। সেটা হোক ভালো জিনিস তারপরেও ভালো না, কারণ অতিরিক্ত করতে গেলে তার বিপরীত হবেই। আসলে বর্তমান প্রজন্ম যেন এই অতিরিক্ত প্রেমে আসক্ত হয়ে যায়। তাদের এই আবেগি বেশি কাজ করে। যার কারণে অতিরিক্ত বেশি হওয়ার কারণে তারা কষ্ট পায়।

Posted using SteemPro Mobile

 4 months ago 

অতিরিক্ত কোন কিছু আসলেই একেবারে ভালো না। একজন মানুষকে অতিরিক্ত ভালোবাসলেও নিজের ক্ষতি হয়। অতিরিক্ত বিশ্বাস করলেও নিজের ক্ষতি হয়, এবং কি আমরা অতিরিক্ত ঘুমালে এবং খাওয়া-দাওয়া করলেও আমাদের নিজেদেরই ক্ষতি হয়। তাই কোন কিছুর প্রতি অতিরিক্ত কিছু করা ভালো না। আমরা যদি অতিরিক্ত কোন কিছু করি তাহলে আমরা কখনোই ভালো থাকতে পারবো না। আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু উদাহরণ দিয়েছেন, যেগুলোর কারণে সবাই বিষয়টা ভালোভাবেই বুঝতে পারবে। আপনার আজকের লেখাটা আমার কাছে সত্যি অসম্ভব ভালো লেগেছে।

 4 months ago 

আপনি খুবই সুন্দর বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।যেটা পড়ে খুবই ভালো লাগলো।আপনি অনেকগুলো বাস্তবধর্মী উদাহরণ দিয়েছেন ভাইয়া, আসলেই অতিরিক্ত যেকোনো আবেগ কখনোই সফলতা বয়ে আনে না।মানুষ অতিরিক্ত কোনো কিছু করার পর অন্য কাজে মনোবল হারিয়ে ফেলে, ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

 4 months ago 

আমরা যদি অতিরিক্ত কোন কিছু করি, তাহলে সেটা আমাদের নিজেদের ভুল হবে। কারণ অতিরিক্ত কোন কিছু করলে নিজেদের সব থেকে বেশি এবং সব থেকে বড় ক্ষতি হয়। অতিরিক্ত আবেগ, ভালোবাসা, ঘুম, খাওয়া দাওয়া, মোবাইল ইউজ করা কোন কিছু কিন্তু করা ঠিক না। কারণ এর ফলে আমাদেরকে বড় ধরনের কোন সমস্যাই পড়তে হবে, এবং কি নিজেদের অনেক বড় ক্ষতি হবে। অতিরিক্ত এইসব কিছুর জন্য আমরা সফলতার দুয়ারেও পৌঁছাতে পারবো না। খুব ভালো লাগলো আপনার শিক্ষনীয় আজকের এই পোস্টটা সম্পূর্ণ পড়তে।

 4 months ago 

আসলেই ভাই অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়। অতিরিক্ত ঘুম এবং খাওয়া দাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আবার অতিরিক্ত রাত জাগা ভালো নয়। এমনকি অতিরিক্ত আবেগও ভালো নয়। কারণ একসময় ভীষণ কষ্ট পেতে হয়। আবার অতিরিক্ত বিশ্রামও ভালো নয়। কারণ এতে করে শরীরে অনেক অসুখ বিসুখ বাসা বাঁধে। তবে উঠতি বয়সের ছেলে মেয়েদের আবেগ কাজ করে অনেক বেশি। তাইতো অনেকের জীবনটা একেবারে এলোমেলো হয়ে যায়। যাইহোক দারুণ লিখেছেন ভাই। পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 4 months ago 

আসলেই ভাই, অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ☘️

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 57983.59
ETH 3132.93
USDT 1.00
SBD 2.44