নাটক রিভিউঃ " ঢাকা মেট্রো "
17-05-2024
০৩ জৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো থাকার চেষ্টা করছেন প্রতিনিয়ত। আর আমিও তাই করছি। তবে পুরোপুরি আবার ভালোও নেই। মাথার উপর দিয়ে কয়েকদিন ধরে খুবই প্রেসার যাচ্ছে। আজকে পোস্ট করতেও দেরি হয়ে গেল। যেহেতু সাপ্তাহিক ছুটির দিনে নাটক শেয়ার করে থাকি। তাই আপনাদের সাথে চলে এলাম নাটক শেয়ার করার জন্য। আজকো যে নাটকটি শেয়ার করবো তার নাম হচ্ছে ঢাকা মেট্রো। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
নাম | ঢাকা মেট্রো। |
---|---|
চিত্রনাট্য, পরিচালনা | মাহমুদ মহিন। |
প্রযোজক | তানভীর মাহমুদ। |
অভিনয়ে | জোভান, কেয়া পায়েল, শেলী আহসান শাহীন মৃধা, শাহবাজ সানি, কুন্তাল সহ আরও অনেকে। |
আবহ সংগীত | রিজওয়ান শেখ, সালমান জাইম। |
দৈর্ঘ্য | ৫২ মিনিট ০১ সেকেন্ড। |
মুক্তির তারিখ | ১৭ই মে , ২০২৪ ইং |
ধরন | ক্রাইম , সামাজিক । |
ভাষা | বাংলা |
চরিত্রেঃ
রাকিবঃ
ফারহান আহমেদ জোভান।লায়লাঃ
কেয়া পায়েল।কাহিনী সারসংক্ষেপ
সাতদিন আগের ঘটনা, নাটকের শুরুতে দেখা যায়, রাকিব সাহেব গাড়ি চালাচ্ছে। ঠিক তখন তার পাশের সিটে বসা একজন প্যাসেঞ্জার ফোনে কথা বলছে। রাকিব সাহেবও তখন ফোনে কথা বলছে! কিস্তি নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। রাকিব সাহেব তাই রেগে জোরে জোরে কথা বলতে থাকে। তখন পাশে বসা প্যাসেঞ্জার রেগে যায়। কারণ ফোনে কথা বলা অবস্থায় কেন সে গাড়ি চালাচ্ছে! এ নিয়ে প্যাসেঞ্জারেরে সাথে তুমুল ঝগড়া বেধে যায়। প্যাসেঞ্জার ও রেগে গিয়ে বলে সে মারতে পারবে কি না। রাকিব সাহেব তখন মারতে যায় আর প্যাসেঞ্জার তখনই বুঝতে পারে ড্রাইভারেরে মাথা গরম। টাকা দিয়ে প্যাসেঞ্জার সেখান থেকে চলে যায়। তারপর রাকিব সাহেব গাড়ির পিছনের স্ট্রে উঠানোর পর দেখতে পায় একটা লাশ! সে লাশটা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পরে! কোথায় লাশটাকে কবর দিবে সেটাই ভাবতে থাকে। আর গাড়ি চালানোর সময় রাতে পুলিশ আটকায় রাকিব সাহেবকে। রাকিব সাহেব অনেক ভয় পেয়ে যায়। পুলিশ যদি জানতে পারে তার গাড়িতে একটা লাশ আছে। তাহলে সোজা লকআপে ডুকাবে।
তখন রাকিব সাহেব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সব দেখায়! তখন আরেকটা বাইক চালককে আটকায় আর রাকিব সাহেবকে ছেড়ে দেয়। রাকিব সাহেব তখন হাফ ছেড়ে বেচেঁ ফিরে! এবার একটু পিছনে ফিরে তাকানো যাক! সাত বছর আগের কথা! রাকিব সাহেব বিয়ে করেছিল গ্রামের সাধারণ এক মেয়ে লায়লা কে। যে কি না নাচতে এক্সপার্ট ছিল! আর তার নাচের ভিডিও টিকটক একাউন্টে প্রতিনিয়ত আপলোড করতো! তো রাকিব সাহেব টিকটক সম্পর্কে তেমন কিছুই বুঝে না। সে ভেবেছিল হয়তো সেখানে নাচলে আনন্দ পাওয়া যায়! এদিকে রাকিব সাহেবে মায়ের সাথে প্রায়ই ঝগড়া হতো লায়লার। লায়লা ঘরের কোনো কাজ না করে শুধু শুয়ে বসে থাকতো! আর কিছু হলেই শ্বাশুরীর সাথে ঝগড়া লেগে যেত। তো একদিন রাকিব সাহেবের মা রাকিবকে ফোন দিয়ে বলে যে তার বউ নাকি ঘরের কোনো কাজই করতে চাই না। সারাক্ষণ শুয়ে বসে কাটায়! এই নিয়ে মায়ের ভীষণ মন খারাপ! আর তখন লায়লাকে ফোন দিয়ে বলে মায়ের সাথে কেন এমন করছে সে।
লায়লাও কেঁদে কেঁদে তার কথা বলে। তার শরীর খারাপ বলে নানা অ যুহাত শোনায় রাকিবকে। রাকিবও সরল মনে বিশ্বাস করে। রাকিব শহর থেকে গ্রামে আসে লায়লাকে শহরে নিয়ে যাওয়ার জন্য। মাকে ইনিয়েবিনিয়ে মিথ্যা বলে লায়লাকে শহরে নিয়ে যায়। আর তারপর থেকে রাকিব সাহেব দেখতে পায় লায়লার ভাবমূর্তি ভালো না! লায়লা সম্রাট নামের এক ছেলের সাথে পরিচয় হয়। যে কি না লাইলার ভিডিও দেখতো! সে ছেলে লাইলাকে পরামর্শ দেয় প্রতিনিয়ত টিকটকে ভিডিও আপলোড করার জন্য! লাইলা তারপর থেকে ভিডিও আপলোড করতে থাকে। এদিকে তাদের ঘরে জন্ম হয় সন্তান! কিন্তু লায়লা তার সন্তানকে লালন পালন না করে টিকটক নিয়ে পরে থাকতো। মেয়ের বয়স যখন পাচঁ বছর তখনও লায়লা মেয়েকে তেমন সময় দিতো না! মেয়েকে নিয়েই টিকটক ভিডিও বানাতো! আর সেগুলো সহ্যের সীমার বাইরে চলে যায়। তারপর থেকে রাকিব সাহেবের সাথে প্রতিনিয়ত লায়লার ঝগড়া হতো! রাগের মাথায় একদিন রাকিব সাহেব লায়লার গলা টিপে ধরে। তারপর লায়লা মারা যায়! কিন্তু লায়লার লাশ নিয়ে বিপাকে পরে যায় রাকিব সাহেব! তারপর কি হয়েছিল জানতে হলে নাটকটি আমাদের দেখতে হবে!!
ব্যক্তিগত মতামত
আমি বলবো আজকে যে নাটকটি শেয়ার করেছি সেটা আমাদের জন্য একটা মেসেজ! আমরা খুব সহজেই টেকনোলজির সাথে জড়িয়ে যাচ্ছি ঠিকই কিন্তু এর খারাপ দিকগুলো না জেনেই। টিকটকের মতো মিডিয়াতে ভিডিও বানিয়ে ভাইরাল হওয়া সহজ। তবে সেটা আপনার জন্য কতটা ক্ষতির কারণ হতে পারে একবার হলেও ভাবা উচিত! ফলোয়ারের লোভ পরে অনেকেই এমন কাজে জড়িয়ে যাচ্ছে। খুব সহজেই ভেঙে যাচ্ছে সংসার! খুন খারাবিও কম হচ্ছে না! এজন্য আমাদের উচিত টিকটক বা অন্যকোনো সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার জন্য নিজের সবকিছু দিয়ে চেষ্টা না করা। জোবান ও কেয়া পায়েল দারুণ অভিনয় করেছে।
ব্যক্তিগত রেটিং
৯.৮/১০
নাটকটির লিংক
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
twitter share
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বেশ চমৎকার নাটক উপস্থাপন করেছেন আপনি। ঢাকা মেট্রো নাটক টি আমি দেখিছি। নাটকের গল্প এবং দৃশ্যপট সত্যি বেশ দারুন। এই ধরনের নাটক গুলো সত্যি বেশ অসাধারণ হয়ে থাকে। আপনার নাটক রিভিউ খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। আমাদের মাঝে চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেছেন ভাই। এতো সুন্দর নাটক রিভিউ আমাদের মাঝে সুন্দর করে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করার জন্য। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে 🌸
কয়েক বার নাটকটির ট্রেইলার ভিডিও দেখেছি। কিন্তু নাটকটি দেখা হয়ে উঠেনি। আপনি বেশ সুন্দর করে নাটকটির রিভিউ করেছেন। বুঝতে পারলাম নাটকটিতে বর্তমান ডিজিটাল যুগের অনলাইনে ভায়রাল হওয়ার খারাপ দিক নিয়ে খুব সুন্দর ব্যাখা করার চেষ্টা করেছে। সময় করে নাটকটি দেখে নিবো।
নাটকটি আমাদের জন্য একটা মেসেজ। আশা করছি নাটকটি দেখলে উপভোগ করতে পারবেন 🌸।
জোভানের নাটকগুলো আমার খুবই পছন্দের। আমার প্রিয় একজন নায়ক তিনি। আপনার রিভিউ পোস্ট দেখে নাটকটি দেখতে ইচ্ছে করতেছে। একটা সময় প্রচুর নাটক দেখা হতো। কিন্তু এখন ব্যস্ততার জন্য তা হয় না। সময় করে নাটকটির দেখে ফেলব। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ দেওয়ার জন্য
নাটকটি দেখতে পারেন। আশা করছি আপনার কাছে ভালো লাগবে 🌸
বর্তমান সমূহের tiktok এমন ভাবে ছড়িয়েছে যে মানুষ দিন দিন অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। এগুলো দেখলেও বিরক্ত লাগে। সেই বিষয়টি এই নাটকের ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছে মনে হচ্ছে। কিন্তু আপনি এমন জায়গায় এসে শেষ করলেন এখন তো নাটক না দেখে আর উপায় নেই। আসলে এই নাটকটি সমাজের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ। ভালো লাগলো আপনার রিভিউ পড়ে।
নাটকটি দেখলে আশা করছি উপভোগ করতে পারবেন আপু। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে 🌸।
টেকনোলজির সাথে আমরা যত বেশি জড়িয়ে যাচ্ছি অনেক সময় আমাদের ক্ষতি তত বেশি হয়ে যাচ্ছে। হয়তো নিজের অজান্তেই নিজের ক্ষতি করে ফেলছি। ঢাকা মেট্রো নাটকটি দেখা হয়নি। তবে সময় পেলে দেখার চেষ্টা করব ভাইয়া।
অনেকদিন পর আপনাকে দেখলাম। আশা করছি ভালো আছেন ভাই। সময় পেলে নাটকটি দেখবেন।
নাটক দেখতে আমি অনেক পছন্দ করি। সব সময় নাটক দেখার চেষ্টা করি৷ তবে এখন স্বল্পতার কারনে তেমন একটা নাটক দেখা হয় না৷ আজকে আপনার কাছ থেকে এই নাটকের রিভিউ দেখে এই নাটকটি সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম৷ অবশ্যই চেষ্টা করবো এই নাটকটি দেখে নেওয়ার৷