নাটক রিভিউঃ " স্বপ্ন দেখার দিনগুলো "
03-04-2024
২০ বৈশাখ , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো থাকার করছেন। তো আমিও ভালো থাকার চেষ্টা করছি। যাইহোক, আজকে যেহেতু সাপ্তাহিকছুটির দিন। আমাদের মতো স্টুডেন্টদের ছুটি না থাকলেও কর্মজীবী মানুষরা এ একটা দিনের জন্য অপেক্ষা করে। যাইহোক, আজকে চলে এলাম আপনাদের সাথে একটি নাটক শেয়ার করার জন্য। নাটকের নাম হচ্ছে স্বপ্ন দেখার দিনগুলো। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
নাম | গল্প দেখার দিনগুলো। |
---|---|
পরিচালনা ও গল্প | এস আর মজুমদার। |
প্রধান সহকারী পরিচালক | আকনাফ শিমুল। |
লাইন প্রডিউসার | বিকাশ বাপ্পন। |
অভিনয়ে | অপূর্ব, ফারিন, নরেশ ভূঁইয়া, সাবেরী আলম, মম আলী, শফিউল আলম, শাহবাজ সানি, সুস্ময় সাহা, তারিফ সহ আরও অনেকে। |
বিজিএম | আপেল মাহমুদ এমিল। |
দৈর্ঘ্য | ৪৯ মিনিট ৩৯ সেকেন্ড। |
মুক্তির তারিখ | ২২ই ফেব্রুয়ারি , ২০২৪ ইং |
ধরন | রোমান্টিক, সামাজিক । |
ভাষা | বাংলা |
চরিত্রেঃ
তুর্যঃ
জিয়াউল ফারুক অপূর্ব।ঐশীঃ
তাসনিয়া ফারিন।কাহিনী সারসংক্ষেপ
নাটকের শুরুতে দেখা যায়, তুর্য তার রিসোর্টে আসা একজন ভদ্র
মহিলার স্বপ্ন পূরণ করছে। ভদ্রমহিলাকে তুর্য মা হিসেবেই সম্বোধন করেছিল। তুর্যর মা বাবা ছোটবেলায় মারা যায়। তুর্য তার চাচ্চুর কাছে থেকে বড় হয়েছে। বর্তমানে সে একটি রিসোর্টের মালিক। তুর্যর রিসোর্টে প্রতিনিয়ত নানারকমের মানুষ আসে। সেই ভদ্রমহিলা তার স্বামীকে নিয়ে এসেছিল। ভদ্রমহিলার ইচ্ছে পাহাড়ের চূড়ায় উঠার। তুর্য সেই ভদ্র মহিলার মনের আশা পূরণ করে। তারপর রাতে আবার একটা ফ্যামিলি তুর্য এর রিসোর্ট বুকিং দিয়েছে। তুর্যর সহকর্মীকে বলে রাখে তাদেরকে রাতে রিসিভ করে। সেই ফ্যামিলির একজন মেয়ে ছিল। যার নাম ছিল ঐশী! ঐশীর জন্যই মূলত তার ফ্যামিলি রিসোর্টে এসে বেড়াতে। তবে রাতেই যেন রিসোর্টে একটা কান্ড ঘটে যায়। ঐশীর স্লিপ ওয়াকিং সমস্যা ছিল। সেটা তুর্য জানতো না।
ঐশী রাতে ঘুমের ঘোরে সুইমিংপুলে এসে লাফিয়ে পরে। তারপর তুর্যর কর্মচারী তুর্যকে গিয়ে বললে। সাথে সাথে মেয়েটিকে সুইমিংপুল থেকে উদ্ধার করে। তারপর ডাক্তার এসে কিছু টেবলেট দেয়ার পর ঐশী অনেকটা সুস্থ্য হয়ে যায়। এদিকে তুর্য তার ফ্যামিলির কাছে আসছিল দেখা করার জন্য। ঠিক তখন তুর্য আড়াল থেকে শুনতে পায় ঐশী তার মা বাবার সাথে ঝগড়া করছে। তারপর তুর্য সেখানে যেতেই ব্যাপারটা বুঝতে পারে। আসলে ঐশীর একটা ছেলের সাথে সম্পর্ক ছিল। ছেলেটির সাথে ঐশীর বিয়ে পর্যন্ত ঠিক হয়েছিল। কিন্তু ঐ ছেলেটি ঐশীর সাথে চিট করে! ঐশীর বেস্ট ফ্রেন্ড রিমির সাথে সম্পর্ক তৈরি করেছিল ঐ ছেলেটি আর সেটা জানার পর ঐশীর মনে আঘাত লাগে। তারপর থেকে সে অন্যরকম হয়ে যায়। কোনো কিছুই তার কাছে ভালো লাগে না।
বিষয়টি জানার পর ঐশীকে বলে কোথায় ঘুরে আসার জন্য। ঐশীর নদী পছন্দ। তবে তুর্য ঐশীকে নিয়ে নদীর মতোই এক জায়গায় যায়। সেখানে গেলে হয়তো ঐশীর মন অনেকটা ভালো হয়ে যাবে। কিন্তু ঐশী মনমরা হয়েই আছে। বারবার তার বয়ফ্রেন্ড এর কথা পরছে। কিন্তু তুর্য তাকে বুঝানোর চেষ্টা করে যে, জীবনটা আসলে নদীর স্রোতের মতো! এর শুরুটা হয় জন্ম দিয়ে আর শেষটা হয় মৃত্যু দিয়ে। এর মাঝের সময়টা শুধু রঙিন করার সময়। কতকিছুই হবে জীবনে কিন্তু জীবনটাকে উপভোগ করেই যেতে হবে। পুরনো স্মৃতি ভুলতে হলে নতুন স্মৃতি তৈরি করতে হয়। কথাগুলো শোনার পর ঐশীর কেন জানি অনেক ভালো লেগেছিল। তারপর রাতে ট্রুথ ডেয়ার খেলার আয়োজন করা হয়। সেখানে ডেয়ার এ ঐশীকে বলে তুর্য তারা সবাই বিনা দাওয়াতে একটা বিয়ে খেতে যাবে।
বিনা দাওয়াতে গিয়ে সবাই যেন লজ্জায় পরে যায়। তুর্য যখনই বলে বরের বড় খালার ছেলে তখন যেন কনের বাবার মাথায় হাত! কারণ বড় খালার ছেলে সবেমাত্র তিনবছর! এতো তাড়াতাড়ি কিভাবে বড় হয়ে গেল! তারপর সেখানে গিয়ে তারা জানতে পারে। বরের পক্ষ থেকে স্বর্ণের চেইন দাবি করছে। স্বর্ণের চেইন না দিলে নাকি বিয়েটা করবে না। তারপর ঐশী সেই কনে কে তার গলার স্বর্ণের সেই হারটা খুলে দেয়। তারপর থেকে তুর্যর প্রতি ভালো লাগাটা যেন আরও বাড়তে থাকে। কিছুদিন পর ঐশীর ফ্যামিলি সবাই চলে যায় রিসোর্ট থেকে। যাওয়ার পথের ঐশীর বারবার মনে পরছিল তুর্যর সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো। কিছুদিন পর ঐশী আবার ফিরে আসে তুর্যর রিসোর্টে। কিন্তু রিসোর্টে এসে দেখতে পায় তুর্য নেয়। তবে তুর্য ঐশীর জন্য একটা চিঠি রেখে যায়। তুর্য আসলে জানতো ঐশী আবার ফিরে আসবে। কিন্তু তুর্যর সময়টা কম। সে বড় ধরনের একটা রোগে আক্রান্ত। সেই রোগের লাস্ট স্টেজে আছে সে। বাকি সময়টাও নিজের মতো করেই কাটাতে চাই তুর্য! তারপর কি হয়েছিল জানতে হলে নাটকটি দেখতে হবে।
ব্যক্তিগত মতামত
আমার কাছে নাটকটি ভালো লেগেছে। আসলে বর্তমানে প্রেম ভালোবাসায় কেউ কাউকে ধোকাঁ দিলেই মনে করি আমরা জীবনে বেচেঁ থেকে আর কি হবে! এতো বিশ্বাস যাকে করা হলো সেই কষ্ট দিল। কিন্তু এমন অনেক মানুষ আছে যারা প্রতিনিয়ত মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে বেচেঁ আছে। জীবনের যে কয়টা দিন বেচেঁ থাকে লড়াই করেই বেচেঁ থাকার চেষ্টা করে। ছোট্র জীবনে সময়টাকে উপভোগ করাই শ্রেয়। শুধু শুধু পাহড়সম কষ্ট বুকে জমিয়ে রেখে লাভ নেই! নাটকটিতে সেটাই যেন পরিচালক সাহেব স্পষ্টভাবে বুঝিয়েছেন। নাটকের লোকেশন আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। তাছাড়া ও ফারিণ দারুণ অভিনয় করেছে।
ব্যক্তিগত রেটিং
৯.৮/১০
নাটকটির লিংক
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
twitter share
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনি আজ আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর একটি নাটক রিভিউ পোস্ট করেছেন সেটি হচ্ছে স্বপ্ন দেখার দিনগুলো, এই নাটকটা আজও আমার দেখা হয়নি।কিন্তু আবার নাটকটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক আনন্দদায়ক এবং শিক্ষামূলক ছিল আশা করি সময় করে দেখে নেব ধন্যবাদ।
জি সময় করে দেখে নিয়েন ভাই। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই
ভাইয়া আপনি প্রায়ই অনেক সুন্দর সুন্দর নাটক রিভিউ করেন। আপনার রিভিউ করা নাটক গুলো বেশ ভালই লাগে আমার কাছে। স্বপ্নে দেখার দিনগুলো অনেক সুন্দর একটি নাটক। যদিও নাটকটি আমি দেখিনি তবে আপনার রিভিউ পড়ে কিছুটা বুঝলাম। সময় পেলে অবশ্যই নাটকটি দেখার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।
সময় পেলে নাটকটি দেখতে পারেন। আশা করছি আপনার কাছে ভালো লাগবে।
ভাইয়া ঠিক বলেছেন কর্মজীবী মানুষেরা এই একটা দিনের ছুটির অপেক্ষায় বসে থাকে। সারা সপ্তাহ কাজ করে এই একটি দিন পরিবারের সাথে সময় পার করে খুব আনন্দ পায়। যাই হোক আপনি খুব সুন্দর একটি নাটক রিভিউ দিয়েছেন। এই নাটক দু'দিন আগে দেখেছিলাম আর ভেবেছিলাম রিভিউ দেবো। এই নাটকের গল্প খুবই সুন্দর আর বিশেষ করে লোকেশন বেশি ভালো লেগেছে। ফারিন আর অপূর্বর অভিনয় খুব সুন্দর হয়েছে। ঠিক বলেছেন ভাইয়া ভালোবাসায় ধোঁকা খেলেই জীবন শেষ করে দেওয়ার ইচ্ছে জাগে। কিন্তু আমরা এটা বুঝি না এই জীবনটা কত সুন্দর আর উপভোগ করার মতো। যাই হোক খুব ছিল এই নাটক। ধন্যবাদ সম্পূর্ণ নাটক এত সুন্দর ভাবে রিভিউ দেওয়ার জন্য।
আসলেই আপু, গল্পের সাথে লোকেশনটা আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছিল। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু
আপনি খুবই সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন। তাসনিয়া ফারিনের অভিনয় গুলো আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার শেয়ার করা নাটক টি আমার এখনো দেখা হয়নি তবে সময় করে নাটকটি দেখে নেওয়ার চেষ্টা করবো।আপনি সুন্দর ভাবে নাটকটির রিভিউ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
দেখতে পারেন নাটকটি। ভালোই লাগবে আশা করি।
খুব সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন আপনি। আপনার কাছ থেকে এরকম সুন্দর একটি নাটক এর রিভিউ দেখে খুবই ভালো লাগলো। এখানে আপনি যেভাবে এই নাটকের রিভিউ ফুটিয়ে তুলেছেন তা একেবারে অসাধারণ হয়েছে। একইসাথে অপূর্ব এবং ফারিনের নাটক তো অসাধারণ হবেই তা তো আর বলার কিছুই নেই। অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য৷
নাটকটি দেখলে আশা করি আপনি উপভোগ করতে পারবেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই
জি অবশ্যই। চেষ্টা করবো এই নাটকটি দেখে নেওয়ার ।