শীতকাল সবার জন্য এক নয়!
*31-12-22
১৭ পৌষ,১৪২৯ বঙ্গাব্দ
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে
কেমন আছেন সবাই? নিশ্চয় অনেক ভালো আছেন! শুরুতেই সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা। নতুন বছরের শুরুটা যেন হয় সুন্দর এমনটাই কামনা করছি। নতুন বছরের নতুন আঙ্গিকে আমরা যেন এগিয়ে যেতে পারি এমনটাও কামনা করছি। আর কিছুক্ষণ পরেই ক্যালেন্ডার এর বর্ষপঞ্জী পরিবর্তন হয়ে যাবে। এই বছরে আমরা হয়তো অনেক ভুল করেছি, বার বার ব্যর্থ হয়েছি। এ বছরের এক্সপেকটেশন থাকবে সেই ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া। যাক, ঋড়ঋতুর এ দেশে এখন শীতকাল! সারাদেশেই মোটামোটি শৈত্যপ্রবাহ বিরাজমান। দেশের উত্তরাঞ্চলের এলাকাগুলোতে শীতের প্রকোপটাও বেড়েছে। মানুষের জনজীবন হয়ে যাচ্ছে দূর্বিষহ!
তবুও কিন্তু মানুষ বসে নেই! জীবিকার সন্ধানে বেরিয়ে পরছে সকাল সকাল! শীত উপেক্ষা করেই। শ্রমজীবী এ মানুষগুলোর জীবন কিছুটা সমস্যা হয় যখন শীত আর বর্ষা চলে আসে। তবে শীতে কাজ করাটাও কঠিন। নেই পর্যাপ্ত পোশাক! কুয়াশার পরিমাণ অনেক বেশি হওয়ায় যানবাহনগুলো ও দিনের বেলায় লাইট অন করে চলাফেরা করছে। শীত থেকে বাচাঁর জন্য কেউ রাস্তার পাশে আগুন ধরিয়ে কিছুটা তাপ শরীরে নেয়ার চেষ্টা করছে।
গ্রামে গেলেই শীতে ফিলটা চলে আসে! এতো ঠান্ডা এখন গ্রামে! গত পরশু আমি গিয়েছিলাম বাড়িতে! বাড়িতে গিয়ে পরলাম বিপাকে! এতো শীত বাড়িতে! কম্বল দিয়েও যেন শীত কমানো যাচ্ছে না। হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে! এই হয় যদি আমার অবস্থা তাহলে যারা রাস্তার পাশে শুয়ে থাকে, রেল লাইনের পাশে শুয়ে থাকে, জামা-কাপড় নেই; তাদের অবস্থাটা কেমন হবে? রাস্তার পাশে শুয়ে থাকা লোকটাও রক্ত মাংসে গড়া আমাদের মতো মানুষ! পর্যাপ্ত কাপড়ের অভাবে শীতে ভুগছে। শীত থেকে বাচাঁর জন্য অনেকেই গায়ে পলিথিন, বস্তা দিয়ে রেখেছে! এ দৃশ্যগুলো আমি দেখেছি! দৃশ্যগুলো আমাকে খুব ভাবাচ্ছে! আমরা কি তাদের কথা চিন্তা করি একবারের জন্য?
বাড়িতে যাওয়ার আগে, ভৈরব রেল স্টেশনে গিয়েছিলাম। সেখানেই চোখে পড়লো কিছু মানুষকে। বাড়ি ঘর নেই! শেষ ঠিকানা এই রেল স্টেশন। শোয়ার মতো একটু জায়গা হলেই হলো! রেল স্টেশনে যাত্রী ছাউনির নিচে ফ্লোরেই তাদের বসবাস! কারো শরীরে শীতের জামা নেইন! ছেঁড়া লুঙ্গি আর গায়ে বস্তা জরিয়ে শুয়ে আছে! শীত আছে কিন্তু অনুভব করছে না। অনুভব করেই বা কি হবে! জামা কাপড় কেনার সাধ্য তো আর নেই। শীতের সময়টা তাদের জন্য অনেক কষ্টকরভাবে কাটে!
আমাদের অনেকের পছন্দের ঋতু শীতকাল! কারণ শীতকাল আসলেই চোখে পড়ে হরেক রকমের পিঠার উৎসব! শীতে প্রকৃতি যেন অন্যরকমভাবে সাজে! শীতের সকালের শুরুটা হয় গরম চায়ের মাধ্যমে। চায়ের কাপে চুমু খেতে খেতে বাহিরের পরিবেশের শীতল আবহাওয়া উপভোগ করা। তবে শীতকাল আসলেই যে শুধু পরিবেশের পরিবর্তন হয় তা কিন্তু নয়! এই সময় বিভিন্ন রকমের রোগের সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া, আমাশয় ইত্যাদি! হাসপাতালগুলোতে গেলেই চোখে পড়ে রোগীর সংখ্যা!
শীতকালে সবথেকে বেশি কষ্ট করে সমাজের হতদরিদ্র লোকেরা! তাদের কাছে শীতকাল মনে হয় অভিশাপ! কারণ শীতের প্রয়োজনীয় পোশাক থাকে না পরিধান করার জন্য। তাই আমাদের উচিত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়া। আপনার একটু সহমর্মিতায় পারে একজনের জীবন বদলে দিতে! সমাজের বিত্তবানদের উচিত, গরিব ও অসহায় মানুষদের পাশে দাড়ানোর! তাদেরকে বস্ত্র ও খাদ্য দিয়ে সহযোগিতার চেষ্টা করা।
যায়হোক, আসুন আমরা সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসি। আপনার আশেপাশে যারা হতদরিদ্র আছে তাদেরকে বস্ত্র দিয়ে বা খাদ্য দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। তাদের মুখের হাসি হয়তো আপনার সুখের একটু হলেও কারণ হবে। আর বেশি কথা বাড়ালাম না । সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ 🌼
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনাকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা নতুন দিনের আগমনী আপনার জীবন হয়ে উঠুক সৌরভময়ী।আপনি ঠিক বলছেন সবার জীবনে শীতকাল এক নয়।যারা কেটে খাওয়া মানুষ আছেন তারা তাদের জীবিকার তাগিদে ছুটে চলেন শীতকে উপেক্ষা করে। শীতকাল আসলে এমন মানুষের কষ্ট দ্বিগুণ বেড়ে যায়।আপনার অনুভূতি শেয়ার করেছেন বেশ ভালো লেগেছে।
জি আপু! শীতকাল আসলেই অনেকের জীবন কষ্টকর হয়ে যায়। শীতের ঠান্ডায় তারা ঘুমাতে পর্যন্ত পারে না
প্রথমেই জানাই আপনাকে নতুন বছরের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। এটা কিন্তু সত্যি কথা সবার জীবনে শীতকাল এক নয়। আমাদের অনেকেরই শীতকাল পছন্দের। যেমন আমার শীতকাল বেশ পছন্দের। এই ঋতুুটিকে উপভোগ করতে আমার একটু বেশি ভালো লাগে। অনেকেই আছে যাদের কষ্ট দ্বিগুণ হয়ে যায় এই শীতকাল আসার ফলে। হয়তো কারো শীতকালের গরম জামা কাপড় নেই আবার কারো থাকার জায়গা নেই। যাইহোক দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। এ বিষয়গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জি আপু! আমাদের বেশিরভাগেরই পছন্দের ঋতু শীতকাল! শীতকাল আসলেই প্রকৃতির রূপও যেন পাল্টে যায়।
অনেকেই আছে শীতের এই সময়টাকে কষ্টের দিন মনে করে যা তাদের জন্য খুবই কষ্টকর। আপনি এই পোষ্টের মাধ্যমে অনেক কিছুই তুলে ধরেছেন যা দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে। সত্যি রেল স্টেশনের সেই মানুষগুলো কতই না অসহায় তাদের গরম জামা কাপড় নেই । থাকার জন্য কোন ঘরবাড়ি নেই। শীতের দিন আসলেও তারা সেই শীত কেউ অনুভব করে না। সত্যি এরকম মানুষ গুলোর জন্য শীত খুবই কষ্টকর। যাইহোক শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জি ভাইয়া! রেলের পাশে শুয়ে থাকা মানুষরা জানে শীত কতটা কষ্টের তাদের জন্য। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
আসলেই শীত কাল অনেকেই পছন্দের ৷ তবে শীত কাল কিছু মানুষ খুবই অপছন্দের ৷ বিশেষ করে হতদরিদ্র লোকেদের ৷ এই প্রচন্ড শীতে যারা বেঁচে থাকাই তাদের কষ্টের ৷ ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ৷