ট্রেন জার্নির গল্প-১ম পর্ব
01-12-2022
০৫ পৌষ,১৪২৯ বঙ্গাব্দ
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে
কেমন আছেন সবাই?? ভালো আছেন তো নাকি! খারাপ থাকার তো কথা না, হাহাহা! জিতে তো গেলেন! খুশি হওয়ার কথা তো। যাক, আমিও ভালো আছি। তো আপনাদেরকে বলেছিলাম ট্রেন জার্নির গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। এর আগেও আপনারা হয়তো দেখেছেন আমার ট্রেন জার্নির অভিজ্ঞতা। আসলে ট্রেন জার্নিতে প্রতিবারই কোনো না কোনো নতুন অভিজ্ঞতা হয়ে থাকে। আর সেটা আপনাদের সাথেও শেয়ার করতে পেরে খুব ভালোও লাগে।
গত পনেরো তারিখে ঢাকা যাওয়ার প্লেন! এর পর দিন বিজয় দিবস ছিল। আপনারা হয়তো দেখেছেন বিজয় দিবস আমি ঢাকা উদযাপন করেছি! মূলত ঢাকা গিয়েছিলাম আপুদের এখানে কিছু পার্সোনাল কাজে। এছাড়াও কিছু বই দরকার ছিল। তো বৃহস্পতিবার এ প্লান্টে কাজ শেষ করে তাড়াতাড়ি বাসায় চলে আসি। সাথে আমার বন্ধু শাওন। এবারের ট্রেন জার্নির পার্টনার শাওন! নরমালি একা একা ট্রেনে করে ঢাকা গিয়েছি। সাথে একজন ফ্রেন্ড হলে কথা বলতে বলতে যাওয়া যায়। শাওনের বাসায় বিয়ে। এজন্য সে বাসায় যাবে। বাসা ঢাকাতেই। আমরা দুজন দুপুর ১ টার মধ্যে প্লান্টের কাজ শেষ করে বেরিয়ে পড়ি।
ট্রেন দুপুর ১:৫০ মিনিট এ। কিন্তু আসতে আসতে ২:২০ মিনিট বেজে যায়। চট্রগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা চট্রলা এক্সপ্রস ট্রেন দিয়ে ঢাকা যেতে হয়। এর আগে পরে আরও ট্রেন যায় অবশ্য। তবে টাইমের সাথে টাইমিং রেখে চট্রলা এক্সপ্রেস ট্রেন দিয়ে চলে যায়। বিশেষ করে সন্ধ্যার আগেই পোঁছে যাওয়া যায় ঢাকায়। যাক, আমি আর শাওন সোজা বাইকে করে চলে এলাম ভৈরব! ভৈরব বাস স্ট্যান্ড থেকে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন কাছেই। হেটেঁও যাওয়া যায়। তবে ট্রেন আসার সময় হয়ে গিয়েছিল। হেটেঁ গেলে মিস হয়ে যাবে। বাস স্ট্যান্ড থেকে সোজা অটোরিকশা নিয়ে চলে গেলাম ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনে! ঘড়িতে তখন দুটা বেজে গেছে!
টিকেট সংগ্রহ করতে হবে! না হয় ট্রেনের ভিতরে ঝামেলা করবে টিটি! তাছাড়া কমলাপুর স্টেশন থেকে বের হওয়ার সময় টিটি টিকেট চেক করে ছাড়ে! টিকেট না থাকলে পুরো ভাড়া দিতে হয়। টিকেট যেহেতু আগে কাটেনি তাই স্ট্যান্ডিং টিকে কাটতে হবে। যেটাকে বলে আসনবিহীন সিট! যেহেতু আমরা দুজনের টিকেট লাগবে। একজন লাইনে দাড়িঁয়ে গেলাম। সিরিয়াল তেমন বড় ছিল না। শাওন লাইনে দাড়িঁয়ে টিকেট সংগ্রহ করে নেয় দুইটা! স্ট্যান্ডিং টিকেটেী দাম জনপ্রতি ৮৫ টাকা করে! দুজনের হলো ১৭০ টাকা! দুটো টিকেট সংগ্রহ করে ভিতরে প্রবেশ করলাম। অনেক মানুষ দাড়িঁয়ে আছে ট্রেনের জন্য। আপনারা হয়তো দেখেছেন আমার আগের কোনো পোস্টে রেলস্টেশন কত বড় ভৈরবের!
কিছুক্ষণ দাড়িঁয়ে রইলাম সেখানে! তখন শাওনের কাছ থেকে জানতে পারলাম, পিছনের দিকে ট্রেনে সিট ফাকাঁ থাকে। বসে আরামছে যাওয়া যেতে পারে। ট্রেন চলে আসে। ট্রেনের শেষ বগীর দিকে আমরা যেতে থাকি। ভিতরে অনেক মানুষজন! আসলে এখন মানুষজন ট্রেন জার্নি করতেই ককম্পোর্টেবল ফিল করে! এর অবশ্য অনেক কারণই রয়েছে। তাই ভিতরে মানুষের ভীড়ও থাকে বেশি। শেষের বগী ফাকাঁ। তবে সেগুলো ফার্স্ট ক্লাস সিট! সেখানে সিট পাবো না তবে ভীড় নেই! দুজন সেই বগীতে উঠে গেলাম। ভিতরে ফাকাঁই পেলাম! তবে ফার্স্ট ক্লাস সিটগুলো রুমের মতো অনেকটা। ভিতরে ছয়জন বসা যেতে পারে। ফ্যামলিদের নিয়ে কোথাও গেলে আমি বলবো ফার্স্ট ক্লাস সিটে বসে যাওয়ার জন্য। টিকেটের মূল্য বেশি হতে পারে তবে আরামছে যাওয়া যাবে।
তবে আমরা যে বগীতে উঠেছিলাম সেখানে দাঁড়ানোর স্পেস খুব কম ছিল! চিপার মধ্যে পরে গেলাম। কিন্তু প্রবলেম হলো একের পর এক চানাচুরের বিক্রেতা, পানির বিক্রেতা যাওয়া আসা করছিল। খুব ডিস্টার্ভ ফিল হচ্ছিল আসলে। কিন্তু কিছু যে করার নেই। এভাবেই যেতে হবে! ট্রেন স্টেশনে বেশিক্ষণ দাড়াঁয়নি। জানালার পাশে দাড়িঁয়েছি। জানালা বুক সমান। এজন্য নিচুঁ হয়ে দেখতে হয়! শাওনের কথায় বগীতে উঠে বিপাকে পরে গেলাম মনে হচ্ছে! যাক, কিছু করারও নেই! ট্রেন চলতে শুরু করলে কিছুক্ষণ ফোনো মনোনিবেশ করলাম। ফোনে ডাটা ছিল না। ফ্রি ফেইসবুক চালিয়ে কি মজা পাওয়া যায়! হুদাই কিছুক্ষণ স্টরি খুজেঁ খুজেঁ পড়তে লাগলাম। ভালো একটা কাজ হয়েছে তাহলে। স্টরি পড়তে পড়তে যাওয়া যাবে।
Device | Oppo A12 |
---|---|
Photographer | @haideremtiaz |
Location | w3w |
Date | 15 December, 2022 |
চলবে,,,,
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Twitter share link
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাহ ভাইয়া ট্রেন জার্নি তো কষ্টকর হলেও উপভোগ করেছেন। আমি এখনো পর্যন্ত ট্রেন জার্নি করে নি। তবে খুবই ইচ্ছা আছে ট্রেন জার্নি করার। ঢাকাতে বিজয় দিবস উদযাপন করেছেন শুনে ভালোই লাগছে। যদিও আমরা বাইরে কোথাও বের হতে পারি না, কিন্তু আমার বাংলা ব্লগে সবার পোস্টগুলোর মাধ্যমে বেশ ভালোভাবে উপভোগ করেছি সবকিছু।
জি আপু!
ট্রেন জার্নি অনেক আরামদায়ক হয় যদি ভালো ভাবে বসে জার্নি করা যায়, কিন্তু দাঁড়িয়ে থাকা অনেক কষ্টদায়ক হয়ে যায়। বন্ধুর সাথে কোথাও ঘুরতে গেলে অনেক ভালো লাগে গল্প গুজব করে সারাটা পথ পাড়ি দেওয়া যায়। ট্রেন জার্নির মুহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
জি আপু, আপনি একদম ঠিক বলেছেন। বসে যেতে পারলে আরও বেশি ভালো লাগে!
বলেছেন ভাইয়া যে ভবনের নতুন অভিজ্ঞতা। যতবারই ট্রেনে উঠি নতুন এক অভিজ্ঞতা হয়। আপনার ট্রেন জার্নি গল্প পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো। দ্বিতীয় পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম! আরও বেশি ভালো লাগবে যখন আপনি ট্রেন জার্নি করবেন!
ট্রেন জার্নি মনে হয় কষ্টের তবে আপনি অনেক ভালোই উপভোগ করলেন। আমাদের এই দিকে ট্রেন কম। তবে আমি কখনো ট্রেনে করে কোথাও যাইনি। তবে আপনি আপনার বন্ধু শাওনকে নিয়ে ভোগান্তির মাঝে একটু হল স্বস্তি পেলেন। আমাদের এই দিকে বাসগুলোর মধ্যে এরকম চানাচুর বিক্রেতা পানি বিক্রেতা গুলো উঠে অনেক ধরনের ডিস্টার্ব করে। ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি আপু। ট্রেন জার্নি করে দেখতে পারেন, ভালোই লাগবে!