সাতটি রেনডম ফটোগ্রাফি
26-12-22
১২ পৌষ,১৪২৯ বঙ্গাব্দ
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে
কেমন আছেন সবাই? ভালোই আছেন তো নাকি! আমি ভালো আছি। আজকে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে পড়ছিলাম তাড়াতাড়ি আপনারা হয়তো জানেন, হাহাহা! আসলে হয়ছে কি, তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠলে দেখবেন দিন বড় বড় লাগবে! টাইমটা বেশি মনে হবে। তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠার অভ্যাসটা গড়ে তুলতে হবে! সারাদিনের কাজের শুরুটাও আগে আগে করা যায়। তবে শীতে কে উঠতে চাই এতো সকালে? বরাবরের মতো সকালে নয়টার দিকে প্লান্টে চলে গেলাম! প্লান্টের ডিমান্ড নেই! মানে বিদ্যুৎ উৎপাদন চাহিদা নেই। আপাতত তাদের ডিমান্ড আশুগঞ্জ পাওয়ার প্লান্ট মেটাচ্ছে। বেশ কয়েকদিন ধরেই খেয়াল করছিলাম, প্লান্টের পাশে কিছু ফুল! তাই আপনাদের সাথেও শেয়ার করতে চলে এলাম সেগুলো।
অনেকদিন পরে মনে হয় ফটোগ্রাফি করেছি। আসলে ফটোগ্রাফি করতে হয় কোনো একটা অবজেক্টকে কেন্দ্র করে! তেমন কোনো অবজেক্ট চোখে পড়েনি। এজন্য আপনাদের সাথেও ফটোগ্রাফি শেয়ার করা হয়নি। আজ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। আশা করি ভালোই লাগবে সবগুলো ফটোগ্রাফি।
বাঙল ফুল! আপনারা নিশ্চয় দেখেছেন এর আগে। আমি ফুলটির নাম ভুলে গিয়েছিলাম। গুগলের সহায়তায় ফুলের নামটি জানতে পারেছি। একদম লাল টকটকে ফুল। এ ফুলের তেমন গন্ধ নেই। মূলত সৌন্দর্যের জন্য ব্যবহার করা হয়। প্লান্টের ঠিক কোণায়, স্টোর রুমের পাশে এ ফুলটি দেখতে পেয়েছিলাম।
এই ফুলটির নামও আমি জানতাম না। আজকে আরিফ ভাইয়ের পোস্ট থেকে ফুলটির নাম জানতে পারলাম! কাটাঁ মুকুট ফুল। ফুলের ডাল একদম কাটাঁযুক্ত থাকে। তবে খয়েরী রঙের ফুলটি দেখতে সুন্দর লাগে। ফুলের গাছটি এখনও অনেক ছোট ছিল। কিন্তু এটাতেই ফুল ধরেছে!
কয়েকদিন আগে ঢাকা গিয়েছিলাম! হাটঁতে হাটঁতে চলে গেছিলাম আইডিবি ভবনের সামনে! ঠিক মেইন গেইটের সামনে এই ভাস্কর্যটি দেখতে পেলাম। বিভিন্ন সার্কিট দিয়ে বানানো। বিশেষ করে কম্পিউটারের ভিতরের সার্কিট দিয়ে তৈরি। আমার কাছে ভালোই লেগেছিল। তথ্য প্রযুক্তির প্রসার ধীরে ধীরে বাড়ছে তার পিছনে অবদান কম্পিউটারের আর মানুষ সেই প্রযুক্তি ব্যবহার করে এগিয়ে যাচ্ছে।
এই ছবিটা এক সপ্তাহ আগের! বার্জে গিয়েছিলাম আমাদের পাওয়ার প্লান্টের। যেখান থেকে পানি আসে প্লান্টে। বার্জ নদীর উপর অবস্থিত। তখন চোখে পড়ল দৃশ্যটি। দুইজন যাত্রী বসে আছে। মাঝি হয়তো তাদেরকে পারাপারের চেষ্টা করছে।
এটা আমি প্রথমে চিনতে পারেনি। পরে অবশ্য জানতে পেরেছিলাম। এখানে বড় বড় জাহাজ এসে বেধেঁ রাখা হয়। নদীর কিনারায় নির্মিত করা হয়েছে।
এটা হলো আমাদের ইউনাইটেড আশুগঞ্জ প্লান্টের সাব স্টেশন ইউনিট! সাব স্টেশনের মাধ্যমেই ভোল্টেজ ট্রান্সমিট করা হয়। এই সাব স্টেশন ১১/২৩০ কেভি ভোল্টেজ ট্রান্সমিট করে থাকে। মানে হলো স্টেপ আপ ট্রান্সফরমারের মাধ্যমে কাজটি করে থাকে। ভিতরে প্রবেশ নিষেধ। কারন হাই ভোল্টেজ এরিয়া।
এই উদ্ভিদের নাম আমার জানা নেই! তবে সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য বাসা বাড়িতেও ব্যবহার করা হয়। উদ্ভিদটিতে নতুন পাতা গজিয়েছে। ঠিক তখন ছবিটা তুললাম!
যাক, আজ এই পর্যন্তই। আশা করি ফটোগ্রাফিগুলো আপনারা উপভোগ করতে পেরেছেন। যদিও অনেকদিন পর ফটোগ্রাফি পোস্ট করেছি। সবার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ 🌼
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
আপনার তেমন ফটোগ্রাফি পোস্ট দেখা যায় না।তবে আজকে আপনার পোস্টের মাধ্যম বেশ কিছু ফুল ও প্রকৃতির ছবি শেয়ার করেছেন।সুন্দর কিছু ফুল ও প্রকৃতির ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে বেশ সুন্দর হয়েছে এবং অনেক ইউনিক কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জি আপু। তাই চলে এলাম ফটোগ্রাফি পোস্ট নিয়ে। আপনাকে ধন্যবাদ আপু
Twitter share link
ঠিক বলেছেন ভাইয়া সকালবেলায় যদি ঘুম থেকে ওঠা যায় তাহলে সারাদিন অনেক কাজ করা যায়। আর ঘুম থেকে যখন উঠতে বেশ দেরি হয়ে যায় তখন সারাদিনের কাজগুলো গুছিয়ে নিতে অনেকটা কষ্ট হয়ে যায়। পাওয়ার প্লান্টের কাজে আপনি ব্যস্ত আছেন বুঝতেই পারছি। জাহাজ বেঁধে রাখার সেই জায়গাটি দেখে ভালই লাগলো। এ ধরনের জায়গা গুলো আগে দেখা হয়নি। এছাড়া পাওয়ার পয়েন্ট এর বিভিন্ন জায়গা দেখে ভালো লাগলো। ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু দারুন হয়েছে ভাইয়া।
জি আপু! সকাল সকাল তাড়াতাড়ি উঠতে পারলে সবকিছু তাড়াতাড়ি ঘুছিয়ে নেয়া যায়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ 🌼
ভাইয়া অনেকদিন পরে ফটোগ্রাফি করলেও আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে। ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার ছিল। প্রথম ফুলটি আমি কখনো দেখিনি তবে বেশ সুন্দর ফুলটি দেখতে। আর আপনি একটা কথা ঠিকই বলেছেন সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলে দিনটি অনেক বড় মনে হয় কিন্তু এই শীতের সকালে ওঠা খুবই কষ্টকর। যাইহোক বেশ ভালো লাগলো আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ।ধন্যবাদ।
জি আপু, অনেকদিন পর ফটোগ্রাফি করলাম। আর প্রথম ফুলটির নাম আমিও জানতাম না। ধন্যবাদ আপনাকে 🌼
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ছবিগুলো আমার ভীষণ ভালো লাগলো।
আপনাদের প্লান্টের বিদ্যুৎ উৎপাদনের চাহিদা নেই বলে বন্ধ রয়েছে, অথচ কত এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। এগুলো এদেশের বিনোদন।
যাক নদীর উপর জাহাজ বেঁধে রাখার জিনিসটা ভালো লেগেছে, আর ফুলগুলো ভীষণ সুন্দর ছিল।
সরকারের বিধির বাইরে কোনো প্লান্ট যেতে পারবে না। বাংলাদেশে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ আছে, তা দিয়ে কয়েক দশক অনায়াসে চলে যাবে
ভাইয়া আপনি খুব সুন্দর সুন্দর সাতটি ফটোগ্রাফ নিয়ে একটি রেনডম অ্যালবাম তৈরি করেছেন। আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে। কাটা মুকুট ফুল গুলো দেখতে ফটোগ্রাফিতে যেমন সুন্দর লাগে বাস্তবে দেখতে তেমনি সুন্দর। তাছাড়া নদীর মাঝখানে জাহাজ বেঁধে রাখার জায়গাটা খুব সুন্দর। ভাস্কর্য দুটি দেখতে খুবই ভালো লাগলো। এত সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
জি আপু ! আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য 🌼
খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন, আসলে ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য 🌼
আপনি যত সকালে ঘুম থেকে উঠবেন আপনার হাতে সময় ও বৃদ্ধি পাবে দিনটি অনেক বড় মনে হবে। আর যেদিন একটু তাড়াতাড়ি উঠি সেদিন তো কাজের সাথে তাল মিলিয়ে পাওয়া যায় না। যাই হোক আপনার ফটোগ্রাফি গুলোর মধ্যে মাঝে নৌকা পারাপারের দৃশ্যটি আমার একটু বেশিই ভালো লেগেছে।
ঠিক বলেছেন! ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি উঠলে সময় পাওয়া যায় বেশি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ 🌼
কাঁড়ামুকুট ফুলটার ফটোগ্রাফি অনেক বেশিই দেখি সবার পোস্টে। আরিফ ভাইয়ের পোস্টে অবশ্য আমিও দেখেছিলাম।
ভাস্কর্যের ছবিটা ভাল্লাগছে,বাস্তবে দেখার ইচ্ছা এসে গেছে😁।
শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
জি ভাই! আমিও ফুলটির নাম জানতাম না। আরিফ ভাইয়ের পোস্ট থেকে জানতে পারলাম