শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে কলকাতার জয়!
22-04-2024
০৯ বৈশাখ , ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তবে যে গরম পরেছে ভালো থাকাটাও কঠিন হয়ে যাচ্ছে আমাদের। আসলে এতো টেম্পারেচার বাড়ার পিছনে আমরাই দায়ী আবার বলতে গেলে। তবে সে বিষয়ে আজ লিখবো না। তবে এই গরমে পানি পান করতে হবে আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে। যাইহোক, আপনারা জানেন যে আমি মাঝে মাঝে খেলা নিয়ে আলোচনা করে থাকি আপনাদের সাথে। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে চলে এলাম। আসলে এবারের আইপিএলের তেমন কোনো খেলা দেখা হয়নি। আইপিএলের সেই শুরু থেকে আমার সবসময় প্রিয় টিম কলকাতা নাইট রাইডার্স। তবে আইপিএলের হট ফেভারিট বলতে গেলে রয়েল চ্যালেঞ্জারর্স ব্যাঙ্গালুরুকেই বলতে হবে। দলে যেখানে ভিরাট কোহলির মতো ব্যাটার রয়েছে। তাছাড়া এ দলটির ব্যাটিং লাইনআপ যথেষ্ট স্ট্রং হয়ে জিততে পারে না! ম্যাচের কাছাকাছি গিয়েও কেন জানি হেরে যায়!
গতকাল আরসিবি বনাম কলকাতার মধ্যকার ম্যাচ ছিল। কলকাতা এবার খুব ভালো পারফর্ম করছে। তাদের টিমের দলীয় পারফর্মেন্স যথেষ্ট ভালো যাচ্ছে। তো গতকাল কলকাতার ইডেন গার্ডেন এ খেলাটি শুরু হয়। টসে জিতে আরসিবি প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। যেহেতু কলকাতার নিজস্ব মাঠ ছিল সেই হিসেবে আলাদা একটা সুবিধা কলকাতা পাবে। তো শুরুতেই ব্যাট করতে নামে কলকাতার দুই ওপেনার সল্ট ও নারিন। সল্টের পারফর্মেন্স ও খুব ভালো যাচ্ছে। কিন্তু নারিন মাঠে থাকতে পারলে রান আসে। ইনিংসের শুরুটা দারুণভাবে শুরু করে সল্ট। একের পর এক বাউন্ডারি ছক্কা মেরে ব্যাঙ্গালুরুর বোলারদের চাপে রাখে। ঐদিকে নারিনও মারতে গিয়ে আউট হয়ে বসে। দলীয় সংগ্রহ যখন ৫৬ রান তখন নারিন আউট হয়ে যায়। এদিকে সল্টও আউট হয়ে যায়। তারপর খেলা বলতে গেলে কিছুটা এলেমেলো হয়ে যায় কলকাতার।
তারপর শ্রেয়াসায়র ও রিংকু সিং মাঠে নেমে খেলার গতিটাকে আবার ঠিক রাখে। শ্রেয়াসায়র ৩৬ বলেই ৫০ রান করে। এদিকে রিংকু সিং ১৬ বলে ২৪ রান করে আউট হয়ে যায়। রিংকু সিং আউট হওয়ার পর মাঠে আসে আন্দ্রে রাসেল। রাসেল এসেই ব্যাটিং তান্ডব শুরু করে দেয়। রাসেলের সুপার হিট ব্যাটিং দেখতেও আসলে ভালো লাগে। কম বলেই বেশি রান করে ফেলে। দলীয় সংগ্রহ যখন ১৭৯ রান তখন শ্রেয়াসায়র আউট হয়ে যায়। তারপর শেষ অবধি রাসেল ও রামানদিপ সিং এর ব্যাটিং এর সুবাধে ২২২ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। ২০ ওভারে আসলে এটা বলতে গেলে ভালো একটা স্কোর। দেখার বিষয় ছিল আরসিবির ব্যাটাররা কিভাবে শুরু করে। প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে কোহলি ও ডু প্লেসিস। কোহলি নেমেই ব্যাটিং তান্ডব চালাতে থাকে। কিন্তু লো ফুলটস বলে ক্যাচ আউট হয়ে যায়। তবে কোহলির আউটটা সঠিক নাকি ভুল বুঝতে পারেনি। কারণ বলটা অনেকটাই উপরে ছিল।যাইহোক, কোহলি আউট হওয়ার পর মাঠে আসে জেকস।
ইংল্যান্ডের এই ব্যাটার দারুণ ব্যাট করে। আর সেটাই করতে থাকে থাকে জ্যাকস। কিন্তু ডু প্লেসিস ৭ রান করেই আউট হয়ে যায়। তারপর মাঠে আসে রাজাত পাটিদর। পাটিদরের ব্যাটিং আগেও দেখেছি। কব্জিতে যথেষ্ঠ জোর। পাটিদর ও জেকস মিলে দুজনেই দারুণ ছন্দে ব্যাটিং করতে থাকে। একের পর এক বাউন্ডারি আর ছক্কায় কলকাতার বোলারদের বলতে গেলে নাস্তানাবুদ বানায় ফেলে। পাটিদর ১৯ বলেই হাফ সেঞ্চুরি করে বসে। আমি ভাবছিলাম আজ হয়তো আরসিবি জিতে যাবে। কারণ রান রাইট সবসময় বেশি ছিল আরসিবির। কিন্তু আন্দ্রে রাসেলের এক ওভারেই বলতে গেলে খেলার মোড় ঘুরে যায়। রাসেলের ওভারেই জেকস ও পাটিদর আউট হয়ে যায়। শেষ অবধি কারন চেষ্টা করেছিল ম্যাচটাকে জেতানোর। ১ ওভারে দরকার ছিল ২১ রানের। সেখানে কারন ২০ রান নিতে সক্ষম হয়। শেষ অবধি ১ রান জিতে যায় কলকাতা নাইট রাইডার্স। প্লেয়ার অফ দা ম্যাচ হয় আন্দ্রে রাসেল।
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
twitter share
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে দারুণ একটি ক্রিকেট ম্যাচ রিভিউ শেয়ার করেছেন। আসলে আইপিএল খেলা গুলো দেখতে সত্যিই নিজের কাছে সব সময় বেশ ভালো লাগে। আসলে এই ম্যাচে বিরাট কোহলির আউট দেখে সত্যিই আমি বেশ অবাক হয়েছিলাম। অবশেষে শেষ ওভারে মিছিল স্টার্ক যখন বলে এসেছিল তখন এক ওভারে ২১ রান দরকার ছিল। কিন্তু সেই ওভারে ২০ রান নিয়েছিল বিরাট কোহলির দল তাই ম্যাচ পরাজিত হয়েছিল। তবে এই ম্যাচ প্লেয়ার অফ দা ম্যাচ হয় রাসেল। আসলে রাসেলের খেলা গুলো দেখতে আমার কাছে সব সময় বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি ম্যাচ রিভিউ এর মাধ্যমে শেয়ার করার জন্য।
কলকাতা এর আগে এরকম একটি ম্যাচে হেরে গিয়েছে। ২০০ প্লাস রান করেও হেরে গিয়েছিল। এই ম্যাচটিও হেরে যাওয়ার পথেই ছিল। যাইহোক মাত্র এক রানে জিতেছে যেটা শ্বাসরুদ্ধকর জয় ছিল। এবারের আইপিএল ম্যাচগুলো ভালোই উপভোগ করছি । বড় ধরনের স্কোর প্রতিটা ম্যাচে দেখতে পাচ্ছি। ভালো লাগলো আপনার রিভিউ পড়ে।
আমি আইপিএলের এবার বেশি খেলা দেখতে পারেনি। তবে গতকালকের ম্যাচটা উপভোগ করলাম।
আসলে এই ম্যাচটি আমি দেখেছি, এই ম্যাচটি দেখে খুবই খারাপ লাগতেছিল। আসলে আমি কলকাতার সাপোর্টার। যার কারণে কলকাতা হেরে যাচ্ছিল এই বিষয়টি খুবই খারাপ লেগেছে, কিন্তু হেরে যাওয়া যাওয়ার ভাবেই যেন ম্যাচটি জিতে গেল। তখন এত ভালো লেগেছে। আপনারা আজকে রিভিউ পড়ে ভালো লাগলো।
বাঙালি হওয়ার কারণে কলকাতার প্রতি একটা টান আছে। তবে কোহলির জন্য আরসিবি কেউ ভালো লাগে। এই আসরে প্রচুর রান হচ্ছে। কলকাতা এই ম্যাচেও রান করলো ২০০ এর বেশি। তবে এখানে যে মাএ ১ রানে অরসিবি কে ম্যাচ হারতে হবে এটা ভাবতেও পারিনি। ভেবেছিলাম আরও আগেই হেরে যাবে। একে বলে আশা জাগিয়ে নিরাশ করা। সবমিলিয়ে অসাধারণ একটা ম্যাচ ছিল এইটা।
আসলেই ভাই এবারের আইপিএলে অনেক রান হচ্ছে। সেজন্য খেলাগুলোও উপভোগ করা যাচ্ছে
কালকের কলকাতা বনাম আরসিবির এই ম্যাচটি আমিও দেখেছিলাম। ম্যাচটি একদম শেষ ওভার পর্যন্ত গড়ায়। শেষ ওভারের শেষ বলে আরসিবি কে জিততে তিন রান লাগতো। সেখানে দুই রান নিতে গিয়ে রান আউট হয়ে যায়। আপনি বেশ চমৎকারভাবে ম্যাচের রিভিউ করেছেন।
খেলাটি আসলে ভাই উপভোগ করেছিলাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ