শৈশবের সেই নাগরদোলা
07-01-2024
২৪ পৌষ , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো বরাবরের মতো ভালো থাকতে পারলেই হলো। আজকে দেশব্যাপী নির্বাচন চলছে। সকাল সকাল অনেক মানুষের আনাগোনায় খেয়াল করলাম। আমি একজন ভোটার! তবে ভোট দেয়া হয়নি কখনি। তবে পরে ভোট দিয়েছি কি না সেটা অন্যকোনে পোস্টে শেয়ার করবো। আজকে বরং শৈশবে হারিয়ে যাওয়া যাক। শৈশবে সেই মেলার কথা মনে আছে আপনাদের! মেলায় গিয়েই প্রথম যে কাজটা করা হতো সেটা হচ্ছে নাগরদোলায় উঠা। বৈশাখের প্রথম দিন আমাদের নান্দাইলের শহীদ স্মৃতি কলেজ প্রাঙ্গনে বড় পরিসের মেলার আয়োজন করা হতো। মেলা চলতো সাতদিন ব্যাপী কিন্তু আমি প্রতিদিন বিকাল হলেই মেলায় চলে যেতাম। স্কুলে যখন পড়াশোনা করতাম তখন বিকালে সব বন্ধুরা মিলে মেলায় চলে যেতাম। মূলত যাওয়া হতো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নাগরদোলায় উঠার জন্য!
১০ টাকা দিয়ে দিলেই নাগরদোলায় উঠা যেত। প্রথম যেদিন নাগরদোলায় উঠেছিলাম সেদিন অনেক ভয় পেয়েছিলাম। পরে বন্ধুদের সাথে উঠে আর ভয় পাওয়া হতো না। যাক, বর্তমানে ফিরে আসি। বর্তমানে ইসলামী সম্মেলন অর্থাৎ মাহফিল উপলক্ষে মেলা হয়ে থাকে! কারণ মাহফিলে অনেক মানুষজন আসে। দেশের বরেণ্য উলামায়ে কেরামগণ সেখানে এসে উপস্থিত হই! সবাই যে মাহফিল দেখতে আসে ব্যাপারটা কিন্তু এমন নয়! অনেকেই আসে ঘুরার উদ্দেশ্য। কারণ মেলায় হরেক রকমের জিনিস পাওয়া যায়।
কিছুদিন আগে আমাদের বাড়ি থেকে একটু দূরে কলিমার বন নামক একটি জায়গায় মাহফিলের আয়োজন করা হয় আর সেখানেই মূলত মেলা হয়। মেলায় অনেক রকমের জিনিস উঠেছিল। বিশেষ করে ছোটদের খেলনা জাতীয় জিনিসপাতি বেশি। এছাড়াও কসমেটিক্স জাতীয় কিছু জিনিসপাতিও উঠেছিল। মেলায় মেয়েদের আনাগোনাও চোখে পড়ার মতো ছিল। আমি গিয়েছিলাম সন্ধ্যার কিছুক্ষণ পর। আর গিয়ে দেখতে পেলাম মোটামোটি মানুষের সমাগমও অনেক। মেলার একপাশে দেখলাম নাগরদোলা নিয়ে আসছে। অনেকেই নাগরদোলায় উঠছে। তবে শৈশবের সেই নাগরদোলায় উঠার কথা মনে পরে গিয়েছিল। কিন্তু এখন আর সেই অনুভূতি নেই নাগরদোলায় উঠার।
ভিডিও লিংক
Device | Oppo A12 |
---|---|
Photographer | @haideremtiaz |
Location | Nandail,Mymensingh |
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
এরকম ধর্মীয় অনুষ্ঠান গুলোতে মেলা খুব ভালো লাগে।নাগর দোলায় কখনো ওঠা হয়নি ছোট বেলায়।বড়ো হয়ে উঠেছি দু একবার তাও মেয়েকে উঠানোর জন্য। আপনি খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করে মেলার জিনিসপত্র মানে খেলনার ফটোগ্রাফি করে শেয়ার করেছেন যা খুব ভালো লাগছে।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
আমার উঠা হয়নি আপু। তবে অনেকদিন পরে দেখে ভালোই লাগছিল
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
twitter share
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সত্যি বলতে মাহফিলের মেলায় কখনো নাগরদোলা দেখিনি। এমনিতে মেলায় নাগরদোলা বহুবার দেখেছি। আমি নিজেও উঠেছি প্রথমবার একটু ভয় লেগেছিল। তবে তেমন না। তবে ১০ টাকা দিয়ে নাগরতলায় উঠার এখন প্রশ্নই আসে না। কম করে হলেও ৫০ টাকা। যাইহোক ঠিক বলেছেন এখন আর সেই অনুভূতি নেই যে নাগরদোলায় উঠবো।
আসলেই এখন মাহফিলেও নাগরদোলা দেখা যায় কমবেশি। তে উঠা হয়নি আরকি
মাহফিল অনুষ্ঠানে মেলার আয়োজন ব্যাপারটা যেমন বাংলাদেশে হয়, আমাদের কলকাতাতেও আমি এই ব্যাপারটা দেখেছি ভাই। যাইহোক, মেলা হলে সবসময় এই নাগরদোলার আয়োজন দেখা যায় অধিকাংশ জায়গায়। এই নাগরদোলা দেখলেই শৈশবের স্মৃতিগুলো মনে পড়ে যায় আমারও। শৈশবের স্মৃতিগুলো অনেক মধুর ছিল সবার। মেলায় গিয়ে প্রথমেই নাগরদোলায় ওঠার কাজটা করতাম আমিও ছোটবেলায়। আগে ১০ টাকা দিয়ে নাগরদেলায় উঠা গেলেও এখন আরো অনেক বেশি টাকা নেয় ভাই, এখন আর আগের মত নেই।
এখন পুরো পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে দাদা। এখন নাগরদোলায় উঠতে ও বেশি টাকা নেয় আগের থেকে
শৈশবে মেলায় গিয়ে প্রথম কাজ ই ছিলো নাগরদোলায় চড়া। কারণ তখন নাগরদোলায় চড়লে অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করতো মনের মধ্যে। যাইহোক বর্তমানে মাহফিল উপলক্ষে প্রায় সব জায়গায়ই মেলার মতো আয়োজন করা হয়ে থাকে। মোটকথা মাহফিল উপলক্ষে উৎসবমুখর একটি পরিবেশের সৃষ্টি হয়। অনেক মানুষের সাথে গেট টুগেদার করার সুযোগ হয়। তাছাড়া দোকান গুলো ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন জিনিসপত্র কেনার সুযোগ হয়। যাইহোক পোস্টটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, এখন মাহফিল উপলক্ষে সব জায়গায় কমবেশি মেলার মতো আয়োজন করা হয়ে থাকে। সবার সাথে দেখাটাও হয়ে যায়
ওরে ভাই আমি ছোটবেলায় পূজার সময় বড়দের থেকে যা টাকা পেতাম সব শেষ করতাম নাগর দোলায়। তখন দুই টাকা দিয়েই হয়ে যেত। টাকা ফুরিয়ে গেলে পাশেই দাড়িয়ে থাকতাম। মাঝে মধ্যে ফ্রী তেও উঠে পরতাম 😅। খুব নস্টালজিক করে দিলেন ভাই পোস্ট টা দিয়ে। তবে এটা ঠিক এখন আর আগের সেই উৎসাহ উন্মাদনা কাজ করে না। কোথায় যেন হারিয়ে এসেছি সবই।
হাহাহা! দাদা এখন কিন্তু সেই ফ্রি সেবা নেই। নাগরদোলায় উঠতেও টাকা লাগে বেশি