সুযোগের সৎ ব্যবহার!!
15-02-23
০৩ ফাল্গুন, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ*
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে
কেমন আছেন সবাই?? আশা করছি খুবই ভালো আছেন 🌼। আর ভালো থাকারই যে কথা! বসন্ত যে চলে এলো। ফাল্গুনের প্রথম দিন চলে গেল! কিন্তু ফাল্গুনের যে একটা ভাব সেটা কি আর আছে! কিন্তু প্রেমিক-প্রেমিকার হৃদয়ে ঠিকই দেখা যাবে ফাল্গুনীর স্নিগ্ধতা! বসন্তকাল আসলেই অন্যরকম এক ঋতু! চারিদিকে ফুটে নানান রকমের ফুল! সব থেকে বেশি ফুল ফুটে প্রেমিকের হৃদয়ে। প্রিয়তমাকে নিয়ে যত কথা! এই ঋতুকে কেন্দ্র করেই তো সব! যত কবিতা, সাহিত্য, উপন্যাস যেন বসন্ত উপলক্ষ করেই! বসন্তের স্নিগ্ধতায় ভরে উঠুক আপনাদের হৃদয় এমনটাই কামনা করছি! আশা করছি বসন্তের দিনগুলি ভালোভাবে কাটবে।
আপনারা হয়তো জানেন যে আমি গাজীপুরে অবস্থান করছি। এডমিশনের জন্য এসেছি মূলত। এডমিশন লাইফটাই আসলে অন্যরকম। আর গাজীপুরের এমন পড়ার পরিবেশে না আসলে কখনো বুঝবেই না, কোথায় ছিলাম এতোদিন! বড় ভাই থেকে শুরু করা সবাই যেন পড়াশোনায় ব্যস্ত! কেউ চাকরির প্রিপারেশন নিচ্ছে, কেউ আবার আমার মতোই এডমিশন দিতে এসেছে। বাংলাদেশের দূর-দূরান্ত থেকে এসেছে এডমিশন দিতে। স্বপ্ন সবার ডুয়েট! স্বপ্নের যাত্রায় ব্যর্থ হয়ে অনেকেই আবার দ্বিতীয় বারের মতো প্রস্তুতি নিচ্ছে। হাল ছাড়ার পাত্র যেন কেউ নই! এডমিশনের মতো যুদ্ধক্ষেত্রে ঠিকে থাকলে হলে কঠোর পরিশ্রম করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। আমি এখানে আসার পর থেকেই বুঝতেছি। আমি আগেই জানতাম, গাজীপুরে গেলে মাথায় একটু বেশিই প্রেসার নেয়া লাগবে। এজন্য নিজেকে আগে থেকেই মানিয়ে নিয়েছিলাম!
ফেণী থাকতে এজন্য এডমিশনের পড়া মোটামোটি পড়েছি। তবে তাও বোধহয় কম হয়ে গিয়েছে। সিলেবাস অনেক বড়, সেই সাথে কম্পিটিশন তো আছেই। তবে আমি কনফিডেন্স রেখেছি নিজের প্রতি বাকিটা সৃষ্টিকর্তার উপর ছেড়ে দিয়েছি। ভাগ্য বলেও তো একটা কথা আছে। অনেকেই প্রচুর পড়াশোনা করে কিন্তু পরে ভার্সিটিতে চান্স পায়না! আসলে ভাগ্যে না থাকলে কি হয়। তবে কঠোর পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই। পরিশ্রম কখনোই বৃথা যায় না।
গাজীপুরে আসার থেকে বেশ কয়েক জায়গায় ঝামেলায় পরেছি। পলিটেকনিক লাইফে নরমাল ক্যালকুলেটর দিয়েই কাজ চালিয়ে দিতাম। কিন্তু এখানে এসে দেখি চিত্র পুরো উল্টো! সবাই আপডেট লেভেলের ক্যালকুলেটর ইউজ করে। ক্যালকুলেটরের মডেল হচ্ছে 999-EX। কিন্তু কথা হলো এমন মডেলের ক্যালকুলেটর কোথাও খুজেঁ পাচ্ছিলাম না। গাজীপুরে সব জায়গায় খুজেঁছি কিন্তু আর পায়নি। ক্যালকুলেটর ছাড়া কি আর ক্লাস করা যায়! ফোনে সেইম মডেলের ক্যালকুলেটর এপস নামিয়ে কিছুদিন চালিয়েছি। কিন্তু ফোনে ক্যালকুলেশন কেমন দেখা যায়! আর এখন থেকে ক্যালকুলেটর এ এক্সপার্ট না হলে পরীক্ষায় ঝামেলা হতে পারে।
বেশ কয়েক জায়গায় খোজঁ-খবর লাগালাম! পুরাতন ইউজ করা ক্যালকুলেটর পাওয়া যাবে কি না! কিন্তু কোথাও পাচ্ছিলাম না। ফাইনালি গাজীপুর একটি পেইজে পোস্ট দিয়েছিলাম ক্যালকুলেটর কেউ বিক্রি করবে কিনা এমন পোস্ট! এক বড় ভাইকে পেয়েছিলাম যে ক্যালকুলেটর বিক্রি করবে। ইনবক্সে মেসেজ দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম দাম কতো নিবে। সোজা উত্তর ২৫০০ টাকা! যেটা আবার সাত মাস ইউজ করা! দাম শুনে রীতিমতো অবাক। এই ক্যালকুলেটর এক মাস আগে ছিল ১৬০০ টাকার মতো। আর এটা দাম বেড়ে এখন দাড়িঁয়েছে ৩৫০০ টাকা। কিনতে যখন হবেই তখন একটু ভালোটাই কিনি। বড় ভাইয়ের কাছ থেকে আর কেনা হয়নি! যেহেতু সাতমাস ইউজ করেছে।
আসলে আমরা বাঙালিরা সুযোগের সৎ ব্যবহারটা খুব সুন্দর করে করতে পারি! এটাকে সৎ বললেও ভুল হবে। আমরা শুধু সুযোগের অপেক্ষায় থাকি কখন আসবে! আর যখন আসে তখন তারই পৌষ মাস! দোকানদারদের অবস্থাও তাই হয়েছে। কয়েকদিনের ব্যবধানে ক্যালকুলেটরের দাম বাড়িয়েছে। কি বলবো! দোকানদারদেরও কিছু করার নেই! ক্যালকুলেটরের ডিমান্ড বেড়ে গেছে কিন্তু প্রোডাক্ট এভাইলেবল খুব কম! যেহেতু ক্যালকুলেটর বাহির থেকে আসে। তবে পণ্যের দাম যে দিনকে দিন বাড়ছে তা কিন্তু টের পাচ্ছি। কলম আগে কিনতাম পাচঁ টাকা দিয়ে আর এখন একটি কলমের দাম ছয় টাকা। নরমাল বসুন্ধরা খাতার দাম ছিল ২৫ টাকা আর সেটা এখন ৩০ টাকা। আর যেগুলো ১০০ পেইজের সেগুলো ৫০ বা ৬০ করে বিক্রি করা হচ্ছে।
এই যখন পণ্যের উর্ধ্বমুখী অবস্থা তখন সমস্যায় পড়তে হয় আমাদের মতো সাধারণ পাবলিকদের। তবে কিছু করার নেই, পণ্যের দাম আরও বাড়বে। দেশে এখন বলতে গেলে অস্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে। দেশের মানুষ ভালো নেই। তবে ব্যবসায়ীরা একটু কম সিন্ডিকেট করলেই পারে।
যাক, আর বেশি কথা বাড়ালাম না। আমাদের মানবিকতা জাগ্রত হোক এমনটাই প্রত্যাশা করছি। সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ 🌼
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
twitter share link
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এখন বাহিরের এমন পরিস্থিতি যেকোনো জিনিসের দাম দ্বিগুণ বেড়ে গিয়েছে। আসলে একটা নরমাল বসুন্ধরা খাতার দাম ছিল ২৫ টাকা এখন ৩০ থেকে ৩৫ টাকা করে ফেলেছে। একটা ক্যালকুলেটরের এত দাম আমি তো জেনেই অবাক। আপনি ঠিকই বলেছেন কঠোর পরিশ্রম ছাড়া কোন উপায় নেই। যাইহোক আপনার আজকের পোস্ট পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে আমার কাছে।
জি আপু। পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই! আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ভাই আপনি সত্যিই একটি বিষয় আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আমিও এমন পরিস্থিতির শিকার। আমি প্রায় মাঝেমধ্যে অনলাইন থেকে বাজার করে থাকি। গত বছর আমি একটি কন্ট্রোলার কিনেছিলাম সাড়ে তিনশো টাকা দিয়ে এবার তার দাম সাড়ে সাতশ টাকা বলেছিল। স্থানীয় বাজার থেকে দাম জানতে গিয়েছিলাম সেখানে দেখছি সাড়ে ৫০০ টাকা বলছে। তখনই বুঝতে পারলাম দেশের পরিস্থিতি কতটা সথ ব্যবহার করে থাকে তারা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মনে হয় যেন দেশে আইন থেকেও আইন নেই। তো আপনার পোস্টটি আমার কাছে ভালো লাগলো একটু সচেতনমূলক পোস্ট মনে হয়ে।
ডিমান্ড যখন বেড়েছে দামটাও বেড়ে যাবে ভাইয়া। আর এই সুযোগটাই কাজে লাগায় ব্যবসায়ীরা।
আসলে আপনি ঠিকই বলেছেন আমরা বাঙালিরা সুযোগের সৎ ব্যবহার খুবই সুন্দরভাবে করতে পারি। আপনার আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে কিন্তু বাস্তবে অনেক ঘটনা এবং সত্যি কথা ফুটে উঠেছে যেগুলো একেবারে সত্যি বলেছেন। আসলে আমরা অনেক কিছুই জানতে পারি এরকম পোস্ট গুলোর মাধ্যমে। সম্পূর্ণটা বলতে গেলে এক কথায় অসাধারণ ছিল।
জি ভাইয়া! ব্যবসায়ীদেরও একটু ভাবা উচিত বিষয়গুলো। ধন্যবাদ ভাইয়া 🌼🦋
জী ভাইয়া আপনি ঠিক বলেছেন। সবাই সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। নতুন ক্যালকুলেটারের দাম বেড়ে যাওয়ায় সাত মাস ব্যবহার করেও তিনি ২৫০০ টাকা সেল দিতে চায়। ঐ ভাইয়া জানে যে দাম বেড়েগেছে। তাই সুযোগের সৎ ব্যবহার করতে চাইছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
জি ভাইয়া । এটা করতে আমারা দক্ষ অনেক।
যদি কোন প্রোডাক্টের ডিমান্ড বেড়ে যায় এবং সেই প্রোডাক্ট যদি বাজারে কম থাকে তাহলে তার দাম অনেকটা বেড়ে যায় এটা স্বাভাবিক একটি ঘটনা ভাই। বাইরে থেকে কোন জিনিস আসলে তার দাম অনেকটা বেশিই হয়। এটা কিন্তু ঠিক বলেছেন ভাই আমরা বাঙালিরা এই সুযোগে সৎ ব্যবহার করার জন্য বসে থাকি কিন্তু এটাকে প্রকৃতপক্ষে সুযোগের অসৎ ব্যবহার বলা হয়। ক্যালকুলেটরের দাম ৩৫০০ টাকা হয়ে গেছে! এটি সত্যিই মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পরার মতো দাম। সবকিছুর দাম যে হারে বাড়ছে এটা আমাদের জন্য বেশ সমস্যার একটা কারণ। এর মধ্য যদি আবার ব্যবসায়ীরা অসৎ উপায় অবলম্বন করে তাহলে ক্রেতাদের অনেক ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয় ।
জি দাদা আপনি একদম ঠিক ধরেছেন। ব্যবসায়ীদেরও একটু ভাবা উচিত সাধারণ পাবলিকদের কথা।