৫ম ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ || ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া

---

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই অনেক ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো ভালো থাকাটাই সবথেকে বড় বিষয়! আপনারা যারা খেলাপ্রেমী মানুষ আছেন তারা নিশ্চয় খেলার খবর রাখেন প্রতিনিয়ত! আসলে ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেট খেলা আমার পছন্দের একটি খেলা। এটা যেমন দেখতে পছন্দ করি তেমনি খেলতেও ভালো লাগে। তো আপনাদের সাথে ইতোমধ্যে ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়ার ৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ নিয়ে আলোচনা করেছি। আজকে ৫ম ও শেষ ম্যাচ নিয়ে আলোচনা করবো। আসলে এদিকে আবার সাউথ আফ্রিকা আর ভারতের মধ্যকার টি-টোয়েন্টি খেলা শুরু হয়েছে। আবার বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যান্ড এর মধ্যকার ম্যাচও আছে। তো সব ম্যাচই আশা করছি আপনাদের সাথে আলোচনা করবো। সিরিজের শেষ ম্যাচে আবারো টসে জিতে বোলিং এর সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া! অস্ট্রেলিয়া আগে মাত্র একটি ম্যাচ জিততে পেরেছে। আর ভারত ৪র্থ ম্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চত করে তাদের। সে হিসেবে বলতে গেলে ভারতের তেমন টেনশন ছিল না। হারলেও তাদের কাছেই সিরিজ জয়ের ট্রফিটা আসবে।

_{screenshot from Sports 18 HD}

শুরুতেই ব্যাটিং এ নামে জাইসওয়াল ও গাইকওয়াদ! আগের ম্যাচে দুজনে ভালো খেলেছে। তো সেদিন শুরুটা ভালো করে হলেও ইনিংসটা বড় করতে ব্যর্থ হয় দুজনই! পাওয়ারপ্লেতেই দুজনই আউট হয়ে চাপের মুখে পরে যায় ভারত! তারপর সুরিয়াকুমার এর উপর আশা ছিল। কিন্তু সেও সেদিন ব্যর্থ হয়। সেদিন পিচ দেখে মনে হচ্ছিল বোলিং পিচ! বল ব্যাটে আসতে টার্ন হচ্ছিল! খেলার দায়িত্বটা পরে যায় শ্রেয়াসায়ার এর উপরে! আসলে রিংকু সিং বরাবরই একজন গুড ফিনিশার! কিন্তু শুরুতেই ভারত তিন উইকেট হারানোর পর রিংকু সিং ও তেমনভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেনি। চেষ্টা করেছিল মাঠে টিকে থাকার কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেও ব্যর্থ হয়! তারপর জিটেস শার্মাকে নিয়ে খেলার হাল ধরে শ্রেয়াসায়র! নিজের ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয় শ্রেয়াসায়র! জিটেশ শার্মা আউট হয়ে যাওয়ার পর এক্সার পাটেল মাঠে আসে। এক্সার পাটেল এসেই স্ট্রাইক রোটেইট করে খেলতে থাকে! ২১ বলে ৩১ রানের দারুণ একটি ইনিংস উপহার দেয় এক্সার পাটেল! মূলত শ্রেয়াসায়র ও এক্সার পাটেলের জন্য ভারতের সংগ্রহ দাড়াঁয় ২০ ওভার শেষে ১৬০ রানের!

_{screenshot from Sports 18 HD}

বলতে গেলে পিচ অনুযায়ী রান ঠিকই ছিল। তবে দেখার বিষয় ছিল কেমন বোলিং করতে পারে ভারত! আগের ম্যাচেও আটকে দিয়েছিল ভারতের বোলাররা! তো ব্যাটিং এ নামে হেড ও ফিলিপ! হেড বরাবরই স্ট্রাইক রোটেইট করে খেলতে পছন্দ করে! কম বলে বেশি রান করে ফেলে! এজন্য অনেকটা এগিয়ে যায়। কিন্তু সেদিন হেড নিজেকে তেমনভাবে মেলে ধরতে পারেনি! ২৮ রান করে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরায় রাভি বিসনয়! পাওয়ারপ্লেতেই দুজনকে হারিয়ে বসে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটাররা! তারপর মাঠে আসে ম্যাকডারমট ও হার্ডি! আগের ম্যাচেও ম্যাকডারমট ভালো খেলেছিল! কিন্তু হার্ডি তাকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেনি । ৬ রান করে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে! তারপরে মাঠে আসে টিম ডেভিড! ডেভিডও বেশিক্ষণ মাঠে থাকতে পারেনি! তারপর বলতে গেলে তেমন পার্টনারশিপ হয়নি! আসলে টি টোয়েন্টি ম্যাচে বড় একটা পার্টনারশিপ গড়তে পারলে খেলার মোড় ঘুরে যায়।

_{screenshot from Sports 18 HD}

কিন্তু বড় কোনো পার্টনারশিপ হয়নি! উইকেট পরে অস্ট্রেলিয়া চাপে পরে যায়। ম্যাকডারমট আউট হওয়ার পর মনে হয়েছিল হয়তো জিততে পারবে। কিন্তু ভারতের বোলারদের ক্রেডিট দিতেই হয়! তারা যথেষ্ট এভারেইজে বোলিং করে শেষ পর্যন্ত খেলাটাকে আটকিয়ে রাখে এবং ৬ রানে জিততে পারে ভারত! সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে জিতে সিরিজ নিশ্চিত করে। ম্যান অফ দা ম্যাচ নির্বাচিত হয় এক্সার পাটেল! যাক, আবারো হাজির হবো আপনাদের মাঝে ভারত বনাম সাউথ আফ্রিকার ম্যাচ নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন। আল্লাহ হাফেজ 🌼

---

---

10% beneficary for @shyfox ❤️

ধন্যবাদ সবাইকে

---

---

আমি কে?

^{আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।}