২য় ওয়ানডে ম্যাচে শ্রীলংকা দারুণভাবে কামব্যাক করলো!
08-04-2024
২৫ চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকে চলে এলাম আপনাদের মাঝে খেলা নিয়ে আলোচনা করার জন্য। আপনারা জানেন যে আমি প্রতি সপ্তাহে চেষ্টা করি খেলা নিয়ে আলোচনা করতে। ইতোপূর্বে আপনাদের সাথে ১ম ওয়ানডে ম্যাচ নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। ১ম ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছিল। তিন ম্যাচ সিরিজের একটিতে জিতে বাংলাদেশ এগিয়ে গিয়েছিল। তো দ্বিতীয় ম্যাচটি বাংলাদেশ ও শ্রীলংকা দুইদলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ বাংলাদেশ জিতে গেলে সিরিজ নিশ্চিত হয়ে যাবে। আর অন্যদিকে শ্রীলংকা জিতে গেলে সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরে আসবে। সে হিসেবে দুদলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তো গত ১৫ই মার্চ বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার মধ্যকার দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
প্রথমেই টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলংকা। প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকা আগে ব্যাট করেছিল। আর আশানুরূপ রান করতে পারেনি। তাই বাংলাদেশের জিততে সহজ হয়েছিল। তো দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলংলার হয়তো প্লেন ছিল পরে ব্যাট করে জেতার। তো শুরুতেই ব্যাটিং করতে নামে লিটন ও সৌম্য। বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি। কারণ প্রথম ওভারেই লিটন দাস আউট হয়ে যায় মধুসানের বলে। লিটন দাসের সাম্প্রতিক পারফর্মেন্স ভালো যাচ্ছে না। আগের ম্যাচেও সে ব্যর্থ হয়েছিল। তারপর মাঠে আসে ক্যাপ্টেন শান্ত। ক্যাপ্টেন শান্ত ও সৌম্য সরকার মিলে একটা পার্টনারশিপ গড়ে তোলে। আসলে ওয়ানডে খেলায় পার্টনারশিপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পার্টনারশিপ হলে রানের খাতাটাও বড় হয়। তো সৌম্য আর শান্ত পাওয়ারপ্লেতে ভালোই ব্যাটিং করে। দলীয় সংগ্রহ যখন ৭৫ রান তখন শান্ত আউট হয়ে যায়। ব্যক্তিগত ৪০ রান করে শান্ত সাজঘরে ফেরে। তারপর মাঠে আসে হৃদয়।
হৃদয়ের পারফর্মেন্স ভালোই যাচ্ছে। তো হৃদয় নামার পরে সৌম্যের সাথে একটা পার্টনারশিপ গড়ার চেষ্টা করে। সৌম্য সরকার অনেকদিন পর নিজের ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়। তবে দলীয় সংগ্র যখন ১৩০ রানের তখন সৌম্যও আউট হয়ে যায়। তারপরে মাহমুদুল্লাহ নামে। মাহমুদুল্লাহ এসেও শূন্য রান করে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে। তারপর মুশফিকুর রহিম আসে মাঠে। আগের ম্যাচে মুশফিকুর রহিম ভালো খেলেছিল। তো মুশফিকুর নামার পরে তৌহিদ হৃদয় মুশফিকুর রহিমকে সাথে নিয়ে দারুণ ছন্দে ব্যাটিং করতে থাকে। তৌহিদ হৃদয়ও হাফ সেঞ্চুরি করে ফেলে। শেষ অবধি তৌহিদ হৃদয়ে অপরাজিত ৯৬ রানের সুবাধে ৫০ ওভার শেষে সংগ্রহ দাড়াঁয় ২৮৬ রানের। তবে আরেকটা ওভার থাকতে পারলে সেঞ্চরি করতে পারতো হৃদয়।
যাইহোক, পরে ব্যাটিং করতে নামে শ্রীলংকার দুই ব্যাটার পাথুম নিসাঙ্কা ও আবিস্কা ফার্নান্দো। শুরুতেই শূন্য রান করে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। শরীফুল ইসলাম ইনিংসের প্রথম উইকেটের শিকার করে। তো তারপরে মাঠে নামে কুশাল মেন্ডিস। আসলে পাথুম নিসাঙ্কা খুব ভালো ব্যাটিং করে আবার কুশাল মেন্ডিসও খুব ভালো ব্যাটিং করে। দেখার বিষয় ছিল কুশাল মেন্ডিসকে কতো তাড়াতাড়ি আউট করতে পারে। আর বাংলাদেশ সে কাজটাই করতে পারে। ব্যক্তিগত ১৬ রান করেই আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে কুশাল মেন্ডিস। তবে বিপদের কারণ হয়ে দাড়াঁয় পাথুম নিসাঙৃকা ও আসালাঙ্কা। দুইজনের ১৯৩ রানের পার্টনারশিপের সুবাধে শ্রীলংকা জয়ের বন্দরে পৌছে যায়। পাথুম নিসাঙ্কা ব্যক্তিগত সেঞ্চুরি করে। শেষ অবধি শ্রীলংকা ৩ উইকেটে জিতে যায়। এরই মাধ্যমে সিরিজের ১-১ এ সমতায় ফিরে আসে। ম্যান অফ দা ম্যাচ নির্বাচিত হয় পাথুম নিসাঙ্কা।
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
twitter share
দারুন একটি ক্রিকেট ম্যাচ আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করুন। বেশ ভালো লাগলো ক্রিকেট ম্যাচের এই রিভিউ পড়ে। দারুন ভাবে এই খেলার বিষয়গুলো আমাদের মাঝে ফুটিয়ে তুলেছেন আপনি। অনেক সুন্দর ছিল আপনার রিভিউটা।