গ্রামীণ প্রকৃতিতে কিছুসময় 🌸

22-06-2024

০৮ আষাঢ় , ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই অনেক ভালো ও সুস্থ্য আছেন। আমি ভালো থাকার চেষ্টা করছি। আসলে বেশ কয়েকদিন ধরেই অনেক অসুস্থ থাকার কারণে আপনাদের সাথে কথাও হয়নি! কথা না হলে মনে হয় দূরত্ব বেড়ে যায়। জীবনের প্রয়োজনে মাঝে মাঝে দূরত্ব বাড়াতে হয়! হয়তো সেটা নিজের ভালোর জন্য হলেও। ঈদের দিনটা আহামরি তেমন ভালোও কাটেনি। আসলে আপনার শরীর ভালো না থাকলে আর যায় করেন না কেন কোনো কিছুই আপনার কাছে ভালো লাগবে না। ঈদের দিন থেকেই আমি অসুস্থ! মাইগ্রেনের ব্যাথা যে কতটা পেইনফুল যার হয় একমাত্র সেই বুঝতে পারে। আল্লাহ তায়ালা যেন এমন অসুখ কাউকে না দেয়! ঈদের নামাজ পরে এসে ঘুমিয়েছিলাম। যার জন্য ব্যাথাটা অনেক কমে যায়। মামা ঈদের আগেই বলে রেখেছিল এবার যেন নানু বাড়িতে আসি! নানু বাড়িতে পাচঁ-ছয় বছর ধরে যাওয়া হয় না!

IMG20240617154500.jpg

IMG20240617154429.jpg

IMG20240617154547.jpg

গিয়েও লাভ নেই! মামাতো ভাইয়েরা ও বোনেরা সবাই ব্যস্ত। বেশিরভাগই বিয়ে করে জামাইয়ের সংসার নিয়ে ব্যস্ত। আগে যে মজাটা হতো এখন আর তেমন হয় না! শুধুমাত্র ঈদ আসলে গুটিকয়েক জনের সাথে সাক্ষাত হয়! সেটাও আবার যদি নানু বাড়ি যায় তাহলে। আমার নানু বাড়ি আমাদের নান্দাইল থেকে নয় কিমি এর মতো রাস্তা। নানুর বাড়ি ধলাপাতা ইউনিয়ন এ! ঈদের দিন বের হয়েছিলাম নানুর বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্য। আর বের হয়েই পড়লাম বিপদে! রাস্তায় কোনো গাড়িই পেলাম না। নানু বাড়িতে শুধুমাত্র ব্যাটারিচালিত অটো দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু ঈদের দিন বিকালে অটো খুব কম পাওয়া যাবে সেটা আমি ভালো করেই বুঝতে পেরেছিলাম! তারপর একটা অটো পেলাম। ভাড়া যেখান বিশ টাকা সেটাকে রাজি করালাম ৫০ টাকায়! গোবিন্দপুর থেকে নানু বাড়ি কাছেই। সেখান থেকে আরেকটা অটো নিয়ে চলে গেলাম হাড়াইঞ্জা বাজারে। তারপর সেখান থেকে আধা কিমি রাস্তা হেটেই যেতে হয়।

অনেকদিন পর নানুদের বাড়ি যাওয়ার রাস্তা দিয়ে হাটঁছিলাম আর ছোটবেলার দৃশ্যগুলো যেন চোখে চোখে ভাসতো! রাস্তার পাশে তালগাছগুলো এখনও আছে! তালগাছে দেখলাম তাল হয়েছে অনেকে। আবার খেজুর গাছগুলো ও দেখলাম আছে রাস্তার পাশে। খেজুর গাছে পাকা পাকা সব খেজুর। রাস্তার পাশেই পাটের জমি। নানু বাড়িতে গেলে এ দৃশ্যগুলো বেশি দেখতে পাওয়া যায়। মাটির রাস্তা! তারাশেই সারি সারি পাট। আর কিছুদিন পরেই গ্রামের মানুষগুলো ব্যস্ত হয়ে যাবে পাট সংগ্রহ করতে। নানুর বাড়ির আরেকটা সৌন্দর্য হলো এখানে প্রচুর পানের বাগান পাওয়া যায়। যারা পান প্রেমি আছেন তারা ধলাপাতা গ্রামে গেলে স্বল্প দামে পানি্ কিনে নিয়ে আসতে পারবেন। সেই ছোট্রবেলা থেকে দেখে আসছি পানের বর এখানে বেশি!

IMG20240617154515.jpg

IMG20240617154552.jpg

IMG20240617154550.jpg

গ্রামের মাটির রাস্তা দিয়ে হাটঁতে হাটঁতে যেখানে রাস্তার শেষ সেখানেই আমার নানুর বাড়ি। অনেকদিন পর গ্রামটাকে দেখে ভালোই লাগছিল। গ্রামে অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়েছে। গ্রামের মানুষ আগে পান বিক্রি করেই জীবিকা নির্বাহ করতো এখন মানুষজন যথেষ্ট সচেতন হয়েছে। ভালো ভালো জায়গায় চাকরি করছে। গ্রামের ভিতরে ছোট্র একটা খাল ছিল সেটা এখনও আছে! পানিতে ভরপুর খাল! খালে গ্রামের মানুষজন এসে মাছ ধরে। তাছাড়া ধলাপাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টাও দেখলাম পরিবর্তন হয়েছে। আগে বিদ্যালয়ের পাশে শহীদ মিনার ছিল না! এখন নতুন শহীদ মিনার বানানো হয়েছে! বিল্ডিংগুলো ও মেরামত করা হয়েছে। অনেকদিন পরে নানুর বাড়ির গ্রামীণ প্রকৃতি ভালোই উপভোগ করেছিলাম।

DeviceOppo A12
Photographer@haideremtiaz
Locationw3w


10% beneficary for @shyfox ❤️

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNzq2MSXKSji21JRspt4nqpkXPR5ea7deLzvmJtuzVBwdLJUpBqtgAZ5gHtHPbayD2jR3CWqjkJ.png

ধন্যবাদ সবাইকে



WhatsApp Image 2021-12-23 at 19.46.54.jpeg

আমি কে?

IMG-20211205-WA0092.jpg

আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 25 days ago 

আসলে প্রকৃতি আপনা আপনি অনেক সুন্দর তবে আমাদের কারণেই মাঝে মাঝে প্রকৃতির উত্তপ্ত হয়ে যায় যার কারণে আমরা গজবে পরিণত হই।
প্রকৃতির সান্নিধ্যে সব সময় আমার কাছে অনেক ভালো লাগে বিশেষ করে সবুজে ঘেরা অঞ্চল যেখানে মুক্ত হওয়া এবং বিশুদ্ধ অক্সিজেন শক্তি অন্যরকম একটি অনুভূতি জাগিয়ে দেয়।
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো বেশ ভালো লেগেছে সেই সাথে লেখাগুলোও অসাধারণ ছিল।

 25 days ago 

আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আপনি যেভাবে গ্রামীণ প্রকৃতির সৌন্দর্য এবং নানু বাড়ির স্মৃতিগুলো বর্ণনা করেছেন, তা সত্যিই মন ছুঁয়ে গেছে। আপনার লেখনীতে একটি সহজ সরলতা এবং আন্তরিকতা প্রকাশ পায়, যা পাঠককে আপনার সাথে যুক্ত করে। ধন্যবাদ আপনাকে।

 25 days ago 

গ্রাম বাংলার প্রকৃতির পরিবেশে বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আসলে গ্রাম বাংলার প্রকৃতি পরিবেশ সত্যি বেশ দারুণ হয়ে থাকে। এমন দুর্দান্ত পরিবেশে বারবার যেতে মন চায় । প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। গ্রামীণ প্রকৃতিতে কাটানো মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

 24 days ago 

জীবনের প্রয়োজনে মাঝে মাঝে দূরত্ব বাড়াতে হয়!

কথাটা ঠিক ভাই। অনেক সময় নিজের ভালোর পাশাপাশি এটা এইজন্য দরকার যে একসময় তারা আমাদের শূণ্যতা আমাদের গুরুত্ব ঠিকই বুঝবে হা হা। মাইগ্রেন এর পেইন সত্যি অসহনীয়। প্রকৃতি টা সত্যি খুবই চমৎকার লাগছে। গ্রামের মাটির রাস্তা এবং দুই পাশে এমন সুন্দর পরিবেশ। চমৎকার লাগল ভাই।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 65248.25
ETH 3471.40
USDT 1.00
SBD 2.51