নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দারুণ জয় বাংলার
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো বরাবরের মতো হাজির হয়ে গেলাম নতুন কোনো টপিক শেয়ার করতে। এতোক্ষণে নিশ্চয় টাইটেল দেখে বুঝে গিয়েছেন কি শেয়ার করতে চলছি। আপনারা যারা খেলা দেখেন তারা নিশ্চয় খেলাধুলার খবর রাখেন! বাংলাদেশ ক্রিকেট বর্তমানে নিউজিল্যান্ড সফরে রয়েছে। তিনটি ওয়ানডে সিরিজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। গত পরশু থেকে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ১ম ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আসলে শর্ট টার্মের ফরম্যাটে আলাদা একটা উন্মাদনা কাজ করে। দেশের মাটিতে যতটা না বাংলাদেশ ভালো খেলে দেশের বাহিরে বরাবরই হতাশার জানান দিয়ে আসছে। বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি এখন আগের থেকেও ভালো খেলে। বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে দেখতে পেলাম কোনো সিনিয়র প্লেয়ার নেই। সাকিব, তামিম, মাহমুদুল্লাহ কেউই নেই। শান্তকে ক্যাপ্টেন বাংলাদেশ টিম ঘোষণা করা হয়। এখম পর্যন্ত শান্তর ক্যাপ্টেন্সিতে বাংলাদেশ ভালোই খেলছে।
সেদিন বাংলাদেশে টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেই! বাংলাদেশের হয়তো টার্গেট ছিল কম রানের মাঝেই নিউজিল্যান্ড টিমকে আটকে রাখা! তাহলে বাংলাদেশের জিততে সহজ হবে। শুরুতেই বাংলাদেশ টিমের বোলার বিশেষ করে শরীফুলের কথা বলতেই হয়। লাইনলেন্থ ঠিক রেখে বোল করে নিউজিল্যান্ড ব্যাটারদের প্রসারে ফেলে দেয়। আর ইনিংসের প্রথম ওভারেই দারুণ সূচনা এনে দেয় মাহদী ফিন এলেনকে বোল্ড আউট করে! তার ঠিক পরের ওভারে শরীফুল ইসলাম সেইফোর্টকে আউট করে। পরপর দুটি উইকেট যাওয়ার পর নিউজিল্যান্ড ব্যাটাররা অনেকটা চাপে পরে যায়। ডারিয়েল মিচেল তারপর দেখেশুনে ব্যাট করতে থাকে। এদিকে গ্লেন ফিলিপস আউট হওয়ার পর অনেকটাই চাপে পরে যায়। তারপর মাঠে আসে চাপম্যান! মিচেল আর চাপম্যান দেখেশুনে খেললেও দুজনেড কেউই ইনিংস বড় করতে পারেনি। ৫০ রানের মাঝেই পাচঁ উইকেট হারিয়ে নাস্তানাবুদ অবস্থা হয়ে যায় নিউজিল্যান্ড এর। আর সেখান থেকে স্বস্তির দেখা পায় নিউজিল্যান্ড যখন নিশাম ভালো খেলতে থাকে। বলতে গেলে নিশমের ৪৮ রানের দারুণ এক ইনিংসের সুবাধে নিউজিল্যান্ড শেষ অবধি ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান সংগ্রহ করতে পারে।
টি-টোয়েন্টিতে ১৬০-১৭০ রান না হলে তেমন জমে উঠে না। তবে বোলিং যদি ভালো করে তবে কম রানেও খেলা আটকানো সম্ভব। নিউজিল্যান্ড এর বোলাররাও ভালো বোল করে। এটা নিয়ে প্রথমে টেনশন হচ্ছিল আসলে। ব্যাটিং রনি ও লিটন ভালো শুরু করলেও। রনির ভুল শটে আউট হয়ে যায়। তারপর মাঠে নামে ক্যাপ্টেন শান্ত। লিটনকে নিয়ে দেখেশুনেই খেলতে থাকে। আসলে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের ম্যাচে পার্টনারশিপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটা ৫০+ রানের পার্টনারশিপ হলে খেলার মোড় ঘুরে যায় বলতে গেলে। লিটন আর শান্তর পার্টনারশিপ ভাঙে বাংলাদেশের সংগ্রহ যখন ৩৮ রান। তারপর মাঠে নামে সৌম্য সরকার। সৌম্য সরকারও শুরুটা দারুনভাবে করেছিল। কম বলেই ২২ রানে একটি ইনিংস খে্ে আউট হয়ে যায়। তারপর বলতে গেলে খেলার দায়িত্বটা লিটনের উপরই পরে।
তৌহিদ হৃদয় মাঠে নামে। কিন্তু তৌহিদ হৃদয়ের ইনিংসটাও বড় করতে পারেনি। মিচেল সান্টনারের বলে ডাউন দা ট্রেক খেলতে গিয়ে ক্যাচ আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। দলীয় সংগ্রহ তখন ৯৬ রানে ৪ উইকেট। ঠিক পরের ওভারে আফিফও আউট হয়ে চাপ পরে যায় বাংলাদেশ। তারপর লিটন আর মাহদী শেষ অবধি মাঠে থেকে খেলায় জয় ছিনিয়ে নিয়ে আসে। আসলে লিটনের ক্রেডিট দিতেই হবে। শেষ অবধি সে মাঠে থেকে খেলাটা চালিয়ে গিয়েছিল। আর মাহদী বোলিং ও ব্যাটিং দুটোতেই ভালো করায় তাকে প্লেয়ার অফ দা ম্যাচ সিলেক্ট করা হয়। এরই মাধ্যমে সিরিজের তিন ম্যাচের একটিতে জিতে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। আজ আবারো বাংলাদেশের খেলা রয়েছে নিউজিল্যান্ড এর বিপক্ষে। তো আশা করি বাংলাদেশ আজকের ম্যাচটিও জিতবে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ । আমিও ম্যাচটি উপভোগ করেছি। বাংলাদেশের বলার দারুন পারফরম্যান্স করেছে। সেই কৃতিত্বের কারণেই ম্যাচটি জিততে পেরেছে। সত্যিই মাঝেমাঝে এরকম ম্যাচ উপভোগ করতে খুবই ভালো লাগে। দেখা যাক সিরিজটা জয় করতে পারে কিনা!
হুমম আশাবাদী ভাই এবার! আশা করছি বাংলাদেশ ভালো খেলা উপহার দিবে
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ বেশ দারুণ খেলা উপহার দিয়েছিল। প্রথমে বল হাতে বাংলাদেশের দুজন ফাস্ট বলার শরিফুল এবং মোস্তাফিজুর দুজন বেশ ভালো বল করেছিল। অবশেষে ব্যাটিংয়ে লিটন দাস বাদে সবাই বেশ দুঃখজনক ভাবেই আউট হয়ে ফিরে আসছিল শুধুমাত্র লিটন দাস একদিকে সচলভাবে দাঁড়িয়েছিল। অবশেষে ৮ বল হাতে রেখে বাংলাদেশ দল জয়লাভ করেছিল।
হুমম ভাই লিটন দাস শেষ অবধি খেলাটাকে ধরে রেখেছিল। তাই জয়টা সহজ হয়েছে
তবে এটি ঠিক বাংলাদেশ দেশের মাটিতে ভালো খেললেও বাইরের দেশে গেলে বাংলাদেশ তেমন ভালো খেলে না। তবে নিউজিল্যান্ডের সাথে প্রথম ২০ ক্রিকেট ম্যাচ আমি দেখেছিলাম। সিনিয়র খেলোয়াড় সাকিব, তামিম, মাহমুদুল্লাহ, এবং মুশফিকুর রহিম কেউ ছিলনা। তবে একটা বিষয় লক্ষ্য করলাম শান্ত অনেক ঠান্ডা মাথায় ক্যাপ্টেন্সি করে। ঐদিন নিউজিল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশের মোটামুটি সবাই ভালো খেলেছে। আর বাংলাদেশের শেখ মেহেদী বোলিং ব্যাটিং দুটো ভালো করায় তাকে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচন করা হয়েছে। তবে পোস্টে অনেক সুন্দর করে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত লিখেছেন ।তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
হুমম ভাইয়া এটা ঠিক বলেছেন। সিনিয়ররা না থাকাতেও বাংলাদেশ কিন্তু খুব ভালো খেলেছে
প্রথম টুয়েন্টি ক্রিকেট ম্যাচ আমি দেখেছিলাম। আমার হাজব্যান্ড খেলা দেখে তাই আমিও দেখি খেলা। তবে ঐদিন বাংলাদেশে প্রথম থেকে খুব ভালোই খেলেছিল। যদিও আমি নতুন খেলোয়াড় গুলোর নাম জানিনা। তবে আমাদের পুরনো পান্ডব একটিও ছিল না ঐদিন। ক্যাপটেন্সি শান্ত অনেক ভালোই করেছেন। সত্যি বলতে নিউজিল্যান্ডের সাথে ম্যাচটি জিতেছে নিজের কাছে অনেক ভালো লাগলো। তবে পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব সুন্দর করে লিখে শেয়ার করেছেন।
বাহ! ভাইয়ার সাথে তাহলে আপনিও খেলা দেখলেন এটা জেনে ভালো লাগল আপু। বাংলাদেশ যে শেষ অবধি জিতেছে এটা জেনে আরও বেশি ভালো লেগেছিল
বাংলাদেশের ক্রিকেট দল যে নিউজিল্যান্ডের কাছে জয়লাভ করেছে এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। যদিও খেলা দেখা হয় না খুব একটা বেশি তারপরও বাংলাদেশ যে জয় লাভ করেছে এটা যেন জানতে পেরে খুবই ভালো লেগেছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বিষয়টা সুন্দরভাবে পোস্ট আকারে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
জি আপু, বাংলাদেশ জিততে পারছিল এটা দেখেও ভালো লেগেছিল 😍
এই ম্যাচে বাংলাদেশ দল এককথায় দুর্দান্ত খেলেছে। প্রথম থেকেই দুর্দান্ত বোলিং করে নিউজিল্যান্ডের প্রথম সারির ব্যাটসম্যানদের একেবারে নাকানিচুবানি খাইয়ে দিয়েছে। নিশাম ২৯ বলে ৪৮ রান না করতে পারলে, ১০০ রানের মধ্যেই হয়তোবা আটকাতে পারতো নিউজিল্যান্ড দলকে। যাইহোক এই সিরিজ হয়তো বাংলাদেশ জিতবে, নয়তো ড্র হবে। কারণ ২য় ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়েছে বৃষ্টির জন্য। যাইহোক পরবর্তী ম্যাচের জন্য শুভকামনা রইল বাংলাদেশ দলের প্রতি। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।