১ম পর্ব || গ্রাম বাংলার সৌন্দর্য
27-01-2024
১৪ মাঘ , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই প্রতিনিয়ত ভালো থাকার চেষ্টা করছেন। আপনাদের মতো আমিও ভালো থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি প্রতিদিন। আসলে আমি একটা জিনিস ভালো করেই উপলব্ধি করতে পারছি! একটা দিন খুব সমস্যার মধ্যে গেলে পরে দেখি, পরের দিনটা ভালো হয়। আবার ভালো গেলেও পরে দেখি খারাপ দিন আসে! তবে জীবনটাকে আসলে অনেকটা শেয়ার মার্কেটের মতো মনে হয় আমার কাছে। একদিন ভালো গেলে পরেরদিন কি হবে সেটার কোনো গ্যারান্টি নেই। তবে জীবনের এ চক্র অব্যাহত থাকবে মৃত্যু অবধি। আসলে পারিবারিক সমস্যার কারণে নিজেও অনেকটা ভালো নেই! পারিবারিক সমস্যা থাকলে কি লেভেলের যে টেনশন কাজ করে সেটা তারাই বুঝে।
বাড়িতে আছি অনেকদিন হয়ে গেল! শীতের শেষ সময় এখন বলা যায়। সকালে আর রাতে কুয়াশা বেশি দেখা যায়। গ্রামে আছি কিন্তু সময় সুযোগ করে গ্রামের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারছি না। আর কিছুদিন পর গ্রামেও থাকা হবে না। তাই ভাবলাম গ্রামটাকে আরেকটু ঘুরে দেখি! আজকে সকাল সকাল বেরিয়ে পরি গ্রামের সৌন্দর্য উপভোগ করতে। আমাদের বাড়ি থেকে কাছেই ঝাউগারা গ্রাম! সকাল সকাল একাই বেরিয়ে পরলাম। মজার ব্যাপার হলো আমু গ্রামে থাকি কিন্তু সমবয়সী কোনো বন্ধু বেই! যারা আছে সবাই ভার্সিটি, পড়াশোনা নিয়ো ব্যস্ত। তো সকাল সকাল চলে গেলাম ঝাউগারা গ্রামের দিকে। ঝাউগারা গ্রামের সরু রাস্তা ধরেই হাটঁছিলাম!
ঝাউগারা রাস্তার পাশে বেশকিছু টং এর দোকান। সকাল সকাল গ্রামের মুরুব্বিরা সেখানে বসে চা খাচ্ছে সাথে গল্প করছে। আরেকটু সামনে এগিয়ে দেখলাম একটি পুকুর! যেটা মূলত ফিশারি ছিল। এখন শীতের সময় তাই পুকুরের পানি শুকিয়ে গেছে। বর্ষাকালে পানি হলে আবার মনে হয় মাছ ছাড়বে। আর গ্রামের যে রাস্তা ধরে যাচ্ছিলাম, সে পিচঢালা রাস্তা অনেকটাই ভেঙে গেছে! প্রতিনিয়ত ভারী যানবাহন এ রাস্তা দিয়েই চলাফেরা করছে। চারিদিকে তখন মোটামোটি কুয়াশার দেখা পেলাম। তবে এখন কুয়াশার সাথে মৃদ্যু বাতাস থাকার কারণে ঠান্ডার পরিমাণটাও বেশি মনে হয়।
তবে রাস্তার পাশে খেয়াল করলাম বেশ কিছু জমি এখনো চাষ করার বাকি। জমিতে গোবরের স্তূপ দেয়া হয়েছে। গোবরের স্তূপ দেয়াতে জমির উর্বরতাও বাড়ে। জমিতে হালচাষ করার আগে গোবরগুলো জমিতে ছিটিয়ে দেয়া হয় যাতে করে জমির উর্বরতা ঠিক থাকে। শীতের এ সময়টাতে জমি চাষ হয়ে থাকে। বেশ কিছু জমি আবাদ না করা হলেও সব জমি বলতে গেলে ধানের চারা রোপণ করে দিয়েছে। জমির একপাশে ড্রেইনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে করে জমিতে পানি কমে গেলে ডিপটি কল থেকে পানি যাতে জমিতে আসতে পারে।
সকাল সকাল আবার দেখলাম জমিতে অনেক কৃষকই কাজ করছে জমিতে। এতো ঠান্ডার মাঝেও তারা কাজ করছে। জীবিকার সন্ধানে আসলে তারা সকালেই বেরিয়ে পরে। তবে গ্রামের মানুষের একটা সৌন্দর্য কি তাদের সরলতা! তারা ডিপ্রেশন কি জিনিস সেটা বুঝে! যৌথ পরিবারে সবাইকে নিয়েই বসবাস করছে। গ্রামের মানুষগুলো অনেক পরিশ্রমী! সে হিসেবে আমরা খুবই অলস। সামনের প্রজন্ম যারা আসবে তারা আমাদের থেকেও বেশি অলস হবে। আমি হাটঁতে হাটঁতে কলিমার বন্দে চলে এলাম। এটা নিয়ে আগেও আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। কলিমার বন্দে এসে দেখলাম বাতাসের পরিমাণটাও বেশি। কিন্তু একা একা হাটঁতে ভালোই লাগছিল সকাল সকাল।
চলবে....
Device | Oppo A12 |
---|---|
Photographer | @haideremtiaz |
Location | w3w |
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
twitter share
গ্রাম বাংলার সৌন্দর্য সব সময়ই আমার ভালো লাগে আর আপনার গ্রামের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছে।এত সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম আপু। গ্রামের সৌন্দর্য ভালো লাগে আপু 🌼
ভাই আপনি আজকে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন গ্রাম বাংলার অপরূপ সৌন্দর্যের কিছু ফটোগ্রাফি। সত্যি গ্রাম বাংলার দৃশ্য গুলো দেখতে প্রত্যেকটা মানুষের কাছে বেশ ভালো লাগে। ঠিক বলেছেন ভাই গ্রামের মানুষ সকালবেলায় শীতের মধ্যে জীবিকার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
গ্রামের প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখার মত একদম।এই শীতের সময়ে চারিদিকে কুয়াশার ঘনঘটা। আর কৃষকেরা এই তীব্র শীতের মধ্যেও কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে।প্রতিনিয়ত আমাদের দিন কেটে যাচ্ছে একেক ভাবে।তবে কোনদিন কেমন যায় তা বলা দায়।যাইহোক ফটোগ্রাফিগুলো খুব ভালো লাগলো।
পরদিন কি হবে সেটা অনিশ্চিত ভাইয়া সকলের কাছেই।আর ভালো-খারাপ নিয়েই জীবন, আপনার লেখাগুলি পড়ে ভালো লাগলো।গ্রাম বাংলার দৃশ্যগুলি মন কেড়ে নেয় কিন্তু বর্তমানে বাচ্চারা তা উপভোগ করতে চায় না।ধন্যবাদ আপনাকে।
গ্রাম বাংলার সৌন্দর্য আমাদের মাঝে বেশ চমৎকারভাবে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। পাশাপাশি আপনার বর্ণনা পড়ে বেশ ভালো লাগলো। যেখানে প্রাকৃতিক দৃশ্য খুব সুন্দর করে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। অনেক অনেক খুশি হলাম গ্রাম বাংলার এই সুন্দর এই দৃশ্যগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার।
গ্রাম বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনেক সুন্দর। গ্রাম বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যে যেখান থেকে শেয়ার করুক না কেন সবগুলোই ভালো লাগে। আপনি তো জীবনটাকে শেয়ার বাজার বানিয়ে ফেললেন হা হা হা। আরে ভাইয়া শেয়ার বাজার তো মানুষরা তৈরি করেছে। তাহলে বুঝতে হবে মানুষের জীবন শেয়ার বাজারের থেকে অনেক বেশি ভয়ংকর হি হি হি। মানুষের মাথায় প্রচুর বুদ্ধি আছে সেখান থেকে শেয়ার বাজারটি সৃষ্টি করেছে। যাক সুন্দর সুন্দর সকাল বেলার কুয়াশাচ্ছন্ন ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করলেন অনেক ভালো লেগেছে।