২য় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ || ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো ভাল থাকতে পারাটাই সবচেয়ে বড় কথা। এমন সময়ে আসলে ভালো থাকাটাও কেমন জানি বিষাদময় হয়ে যাচ্ছে। আসর আর মাগরিবের সময়টা কেমনে জানি চলে যাচ্ছে। একটা শূন্যতা এসে ভর করে কাধেঁ! ঠিক দশ বছর আগের চিত্র যদি তাহলে পুরো উল্টো! ব্যাট বল হাতে সোজা মাঠে! কতো খেলাধুলা করেছি সেসময়। এখন মাঠ পরে থাকে কিন্তু খেলার মানুষ নেই। ক্রিকেট খেলা যেমন খেলতে ভালো লাগে ঠিক তেমনি ক্রিকেট খেলা উপভোগ করতেও ভালো লাগে। আপনারা যারা ক্রিকেটপ্রেমী মানুষ আছেন তারা নিশ্চয় খেলাধুলার খবর রাখেন। তো গত ২৬ শে নভেম্বর ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ২য় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। পাচঁ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে অলরেডি ভারত একটা খেলা জিতে এগিয়ে গেছে। তো সেদিন টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া।
ব্যাটিং এ নামে জাইসওয়াল ও গাইকওয়াদ। শুরুটা দুজনে মিলে দারুণভাবে করে আসলে। দুজনেই শুরু থেকেই পাওয়ার হিটিং খেলা খেলতে থাকে। আগের ম্যাচে অবশ্য দুজনই ব্যর্থ হয়েছিল ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে। বিশেষ করে জাইসওয়াল পাওয়ার হিটিং বেশি করে। কম বলেই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয় সে। কিন্তু হাফ সেঞ্চুরি করার পর ইনিংসটাকে বড় করতে পারেনি। দলীয় সংগ্রহ যখন ৭৭ রান তখন জায়ইসওয়াল আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। তারপর মাঠে আসে ইশান কিশান! আগের ম্যাচেও ইশান কিশান দারুণ ব্যাট করেছিল। সেদিনও দারুনভাবে জ্বলে উঠে। কিন্তু ইশান কিশানও ইনিংসটাকে বড় করতে পারেনি। তবে কাজের কাজ করে দিয়ে যায় কম বলে বেশি রান করার মাধ্যমে। ৩২ বলে ৫২ রান করে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। এদিকে গাইকওয়াদ ও হাফ সেঞ্চুরি করে।
তারপর মাঠে আসে সুরিয়াকুমার। সুরিয়াকুমার নেমেই মারমুখী ব্যাটিং শুরু করে দেয়। কিন্ত ১০ বলে ১৯ রান করে আউট হয়ে যায়। এদিকে খেলাটাকে ধরে রাখে গাইকওয়াদ! সুরিয়াকুমার আউট হয়ে যাবার পর রিংকু সিং মাঠে নামে। আসলে ফিনিশার হিসেবে আমার মনে হয় রিংকু সিং বেস্ট! ৯ বলে ৩১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে ভারতের সংগ্রহ দাড়াঁয় ২০ ওভার শেষে ২৩৫ রানের। বলতে গেলে টি-টোয়েন্টিতে ভালো একটি রান! রান রেট ১১ এর উপরে!
তারপর ব্যাটিং এ নামে অস্ট্রেলিয়া! অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা মোটামুটি ভালো হলেও উইকেট ধরে রাখতে পারেনি। ৬ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়া ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে। তারপর চাপে পরে যায় অস্ট্রেলিয়া। তারপর টিম ডেভিড ও স্টইনিস দুজন মিলে খেলার রানের চাকাটা সচল রাখে। কিন্তু রানটা যেহেতু বেশি ছিল রান রেইটের প্রেসারও বাড়তে থাকে। ৪৫ রানের ইনিংস খেলে স্টইনিস আউট হয়ে যায় তারপর টিম ডেভিডও আউট হয়ে যায়। তখন প্রায় খেলার হারার দিকে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু জয়ের আশাটাও তখন বাচিয়ে রাখে ম্যাথিউ ওয়েড! কিন্ত ম্যাথিউ ওয়েডের সাথে কেউ কোনো পার্টনারশিপ গড়তে পারেনি। তবে শেষ পর্যন্ত ম্যাথিউ ওয়েড লড়েও ব্যার্থ হয়। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস থামে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৯১ রানের। এরই মাধ্যমে ভারত ৪৪ রানপর ব্যবধানে জিতে যায় এবং সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে থাকে। প্লেয়ার অফ দা ম্যাচ নির্বাচিত হয় জাইসওয়াল।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভারত সব সময়েই ফেভারিট। তাই ভারতের খেলার মানও ভালো। যদিও আমি খেলাটি দেখিনি। তবুও খেলাটির রিভিউ পড়ে কিন্তু বেশ ভালো লাগলো। আসলে ভারতীয় টিম সবসময়েই বেশ ভালো খেলে। আপনি কিন্তু দারুন রিভিউ করেছেন । তুলে ধরেছেন সম্পন্ন খেলাটি।
বাহ! আপনি তাহলে খেলা দেখেন আপু, জেনে ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু 🌼
২য় টি টোয়েন্টি ম্যাচ টি দেখছি। তবে ওইদিনর পুরো ম্যাচটি দেখি নাই আমি।তবে ভারত খুবই সুন্দর খেলছে।সবার থেকে জাইসওয়ালের খেলা টি সুন্দর হয়েছে। যাইহোক আপনি চমৎকার ভাবে ২য় টি টোয়েন্টি ম্যাচের রিভিউ শেয়ার করেছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলেই ভাই, জাইসওয়াল খুব ভালো খেলেছে আসলে। আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই 🌼
ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়ার এই দ্বিতীয় ইনিংস -এর ম্যাচটি বেশ দারুন ছিল। ভারতীয় খেলোয়াড়দের ব্যাটিং লাইন বেশ দুর্দান্ত দেখতে পাওয়া গেছে এই ম্যাচে। অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ধাপে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় বোলিং এর কাছে চাপে পড়ে যায়। অস্ট্রেলিয়া শেষ পর্যন্ত লড়াই করলেও, এই লড়াইয়ে ভারতেরই জয় হয়। এই ম্যাচটি আমিও দেখেছিলাম ভাই, খুব ভালো লেগেছিলো এই ম্যাচটি দেখে।
খেলা প্রচারের মেইন হোস্টকে ক্রেডিট দিন।
তার মানে এবিসি হোস্টকে ক্রেডিট দিবো ভাইয়া?
জ্বি ভাই।