নতুন বছরের শুরুতে যতসব কান্ড!
01-01-23
১৮ পৌষ,১৪২৯ বঙ্গাব্দ
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে
"হায়রে মানুষ রঙিন মানুষ, রঙ ফুরাইলেই টুস!" কথাটা হঠাৎ করেই মনে পড়ে গেল! অথচ এই মানুষই ভুলে গেছে একদিন তো মরতে হবে! এই পৃথীবিতে কেউ চিরস্থায়ী নয়! একদিন ঠিকই এই ধরণী ছেড়ে পরপারে পাড়ি জমাতে হবে। কিন্তু মানুষের কান্ড দেখলে মনে হয় না তারা সে চিন্তাটা করে। খাচ্ছি,ঘুমাচ্ছি, ঘুরছি এসবই কি জীবন! জীবনের উদ্দেশ্য কি তা? জন্মগ্রহণ করার পর থেকে মানুষ নানান ধরনের কর্মে লিপ্ত হয়ে থাকে। এ পৃথিবীতে কখনো কেউ আপনাকে মনে রাখবে না, যদি আপনি এই পৃথিবীতে মহৎ কোনো কর্ম করে যেতে পারেন তবেই মানুষ আপনাকে মনে রাখবে!
নতুন বছর নিয়ে আমাদের মাতামাতি যেন একটু বেশি! অথচ গ্রামে সাধারণ লোকেরা জানেই না থার্টি ফার্স্ট নাইট কি? তাদের জানার প্রয়োজন নেই। গ্রামের সহজ সরল মানুষগুলো ক্যালেন্ডারের হিসাবও জানে না। শুধু জানে বাংলা মাসের হিসাব! গ্রামে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন বিলাসিতা ছাড়া কিছুই নয়! তবে উদযাপন যে একেবারে হয়না তাও কিন্তু নয়! বর্তমান তরুণ প্রজন্ম কতটা এডভান্স আমরা সবাই তা জানি! একটি স্মার্টফোনের মাধ্যমেই আমরা সারা পৃথিবীর খবর নিতে পারি। টেকনোলজির ছোঁয়া গ্রামেও পেয়েছে! কিন্তু এখনও সেভাবে প্রভাবটা পড়েনি।
ঘুটি কয়েক আতশবাজি ফুটানো ছাড়া আর কিছু চোখে পড়ে না। তবে এখনকার চিত্র কিছুটা ভিন্ন। শহরের রীতিনীতি এখন গ্রামেও পাওয়া যায়। তবে সিম্পলভাবেই নতুন বছরকে বরণ করে নেয়। বাড়িতে যখন ছিলাম তখন মনেই হয়নি যে নতুন বছর আসছে। একটি বছরকে বিদায় দিয়ে দিলাম। জীবন থেকেও একটি বছর চলে গেল! এ চিন্তা কি কারও আছে? বছরের শুরুটা যে এতো আকর্ষণীয়ভাবে করছি, এতে কোনো লাভেই দেখছি না! বরং আমাদের উচিত ছিল অতীতের বছরগুলা থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া! নতুন বছরে নতুন টার্গেট নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া। কিন্তু আমরা ব্যস্ত আতশবাজি আর ফানুস উড়াতে!
গতবছর ফানুস উড়াতে গিয়ে ছাদ থেকে এক ছেলে মৃত্যুবরণ করেছিল! এবার ঢাকা আগে থেকেই সতর্ক করে দিয়েছিল সাধারণ পাবলিকদের! আকাশে যেন ফানুস না উড়ানো হয়! আবার অনেকেই নতুন বছরকে কেন্দ্র করে বক্স বাজানো হয়! ফুল সাউন্ডে! আশেপাশে পরিবেশের শব্দদূষণের সৃষ্টি করে। তারা জানে না যে, পাশের বাসার কারো হয়তো অনেক সমস্যা হচ্ছে,কারো হয়তো হার্টে সমস্যা, বাসায় বৃদ্ধ, শিশু থাকতে পারে। তারা বক্স বাজাবেই! ফানুস উড়াতে নিষেধ করা হয়েছিল এবার! কিন্তু বাঙালি বলে কথা! নতুন বছরের শুরুটা করতে হবে ফানুস উড়িয়ে। বিপত্তিটা হলো সেখানে! বৈদ্যুতিক তারে লেগে হয়ে গেল অগ্নিকান্ডের মতো ঘটনা! গাছে অতিথি পাখিরা বসা ছিল নিমিষেই যেন উড়ে চলে গেল! প্রাণ বাঁচাতে ব্যস্ত কাক! অবশেষে প্রাণ দিতে হলো কাককে!
উপরের সব ঘটনাগুলো একরাতের মধ্যে হয়েছে। এতে কার ক্ষতি হয়েছে! আমার, আপনার? না, কারও না। আমরা শুধু পরিচয় দিয়েছি আমাদের নোংরা মানসিকতার! আমি আশা করি নতুন বছরের শুরুটা যেন হয় আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন দিয়ে! আমার, আপনার সুস্থ্য মানসিকতায় পারে একটি সমাজ, রাষ্ট্রকে সুন্দর অবস্থানে নিয়ে যেতে। আসুন না আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করি। এ দেশটাকে নিয়ে ভাবি!
যায়হোক, সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি! অতীতকে ভুলে নতুন উদ্যমে যেন কাজ করতে পারি। আমাদের স্বপ্নগুলো যেন পূরণ হয় সেই কামনাই করছি। একই সাথে আপনাদের কাছে আমি দোয়া চাই! নতুন বছরে আমার লক্ষ্য যেগুলো নিয়েছি সবগুলো যেন পূরণ করতে পারি। আর বেশি কথা বাড়ালাম না। ২০২২ সাল আমাকে যা দিয়েছে তার জন্য আলহামদুলিল্লাহ! আর যা পায়নি তার জন্য মন খারাপেরও কিছু নেই। জীবন সুন্দর! জীবনের প্রতিটা মুহুর্তই সুন্দর! আপনার, আমার একটি ভালো কাজই পারি একটি সমাজ বা দেশকে বদলে দিতে! সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ 🌼
HAPPY NEW YEAR
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
twitter share link
নতুন ইংরেজি বছরে আপনাকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই, হ্যাপি নিউ ইয়ার ।
আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। আসলে নতুন বছর উপলক্ষে আনন্দ করা ভালো। তবে অকারণের টাকা উড়িয়ে অতিমাত্রায় আনন্দ উদযাপন করা উচিত নয়। গ্রামের মানুষ গুলো থার্টি ফার্স্ট নাইট সম্পর্কে জানে না দুমুঠো অন্ন জোগাড় করতে তাদের জীবন সাথে সংগ্রাম করতে হয়। আর শহরের ধনী মানুষেরা দুই হাতে বিনা কারণে থাকা খরচ করে বিনোদন করে। এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
জি ভাইয়া আপনি একদম ঠিক বলেছেন! গ্রামের মানুষেরা জীবিকার জন্য সারাদিন বাহিরে কাজ করে। আর শহরের মানুষেরা বিনোদন নিয়ে ব্যস্ত!
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
কথাগুলো একেবারে ফেলে দেয়ার মত নয়, আমরা মানুষেরা বড়ই নিষ্ঠুর খানিকটা মজা করার জন্য আমরা প্রকৃতির উপর কতইনা অত্যাচার করি, আমাদের খানিকটা আনন্দের জন্য পাখি এবং অন্যান্য প্রাণীরা কতটা ভয় পায় সেটা আমরা ভুলে যাই পরিবেশ দূষণ অনেক পরের কথা।
জি ভাই! আপনি একদম ঠিক বলেছেন! আমরা পরিবেশের সাথে অনেক অত্যাচার করে ফেলছি।
এইবার সরকার তো নিষেধ করেছে ঠিক আছে কিন্তু কয়জনই বা মেনেছে?? ঢাকাতেই সবচেয়ে বেশি হয় উদযাপন। সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখলাম পুরো আকাশ জুড়ে ফানুস বাজি এইসব। যাইহোক নতুন বছরে আপনি যেন আপনার লক্ষ্য পূরণ করতে পারেন এই কামনাই করি। শুভ কামনা রইলো।
দোয়া করবেন আমার জন্য, যেন স্বপ্নগুলো পূরণ করতে পারি!
থার্টি ফাস্ট নাইট নিয়ে আপনি বেশ সুন্দর একটা অনুভূতি লিখেছেন।আমরা যারা শহরের মানুষ আছি তারা বছরের শুরু এবং শেষ দিক নিয়ে যে আনন্দ উপভোগ করি কিন্তু গ্রামের মানুষের মধ্যে তার কোন টের পাওয়া যায় না।গ্রামের মানুষ কঠোর পরিশ্রম করে অনেক সকাল থেকেই কাজে দৌঁড়াই এবং বিকাল অব্দি কাজ শেষ করে দুই বেলা খাওয়ার তাগিদে।অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা লিখেছেন পড়ে অনেক ভালো লেগেছে অসংখ্য ধন্যবাদ।
গ্রামের মানুষ বছরই জানে না এমনও লোক আছে। তারা ব্যস্ত থাকে তাদের জীবিকা নিয়ে!
জী ভাইয়া আপনি ঠিক বলেছেন প্রতি বারই থার্টি ফার্স্ট নাইটে কেউ না কেউ মারা যায়। আবার ফানুস থেকে বিভিন্ন জাগায় আগুন লাগে। এই বছরেও তার ব্যাতিক্রম নয়। এমনকি নতুন উদ্বোধন করা মেট্রোরেলের তারেই ফানুসের কারনে কয়েক ঘন্টা মেট্রোরল বন্ধ ছিল। যায়হোক আশা করি সবাই সতর্ক থাকবে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
জি ভাইয়া মানুষ হয়ে এমন কর্মকান্ড! সত্যি বলতে খারাপ লাগে। তবে আশা করি তাদের মানসিকতার পরিবর্তন হবে।
অনেক সুন্দর অনুভুতি প্রকাশ করেছেন ভাইয়া ৷ আসলেই মানুষের মানসিকতা দেখলে কিছু বলার থাকে না ৷ ক্ষণিকের আনন্দ করতে মানুষ অনেক কিছুই করে , কিন্তু ভাবে নাহ একটুর জন্যই অন্য কারো অনেক বেশি ক্ষতি হতে পারে ৷ যাই হোক পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো ৷ ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর অনুভুতি প্রকাশ করার জন্য ৷
হুম এক সময় ছিল যখন গ্রামের সহজ সরল লোকেরা জানতোই না যে থার্টি ফাস্ট নাইট কি। যদিও বর্তমানে ডিজিটাল এই যুগে গ্রাম আর শহরের পরিবেশ একদম একই রকম হয়ে গেছে। তবে আমার মনে হয় নতুন বছর নিয়ে এতটা মাতামাতি করার কিছুই নেই।আমাদের উচিত এত আলোক সজ্জা বাদ দিয়ে নিরহ দের কে সহায়তা করা। কারন বলাতো যায় না সামনে কি হয়।