হাইভোল্টেজ ১ম ম্যাচ || ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া

---

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। ভালো থাকতে পারাটাই বড় বিষয়। আসলে মানসিকভাবে ভালো থাকাটা এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে। সোস্যাল মিডিয়ার যুগে এসে সেটা অনেকটাই চ্যালেঞ্জিং। তাই আমি খেলাপাগল মানুষ বলতে পারেন। খেলা দেখলে মানসিক শান্তু পাওয়া যায়। তো গত ৮ই অক্টোবর ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়ার খেলা। সে খেলা নিয়ে দর্শকদের মাঝেও বেশ উত্তেজনা ছিল। যেহেতু ভারতের মাটিতে এবারের বিশ্বকাপ শুরু হয়েছে সে হিসেবে ভারতই হট ফেভারিট এবারের বিশ্বকাপ আসরে। তো সেদিন দর্শকদের মাঝেও অনেক উন্মাদনা ছিল। টসে জিতে প্রথমেই অস্ট্রেলিয়া ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয়।

_{screenshot credit from Crinctron Youtube Channel}

ওপেনিং এ নামে মার্শ আর ওয়ার্নার। শুরুতেই বুমরাহ এর ওভারটা দেখেশুনে খেলতে থাকে দুজন। কিন্তু তৃতীয় ওভারের মাথায় এসে বুমরাহ এর বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে মার্শ! শুরুতেই চাপে ফেলে দেয় অস্ট্রেলিয়াকে। তবে সে চাপটা এসে সামলে নেয় স্টিভ স্মিথ! স্টিভ স্মিথ আর ওয়ার্নার মিলে ৬৯ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলে। কিন্তু ওয়ার্নার আর হাফ সেঞ্চুরি করার আগেই কুলদীপ যাদবের বলে ক্যাচআউট হয়ে সাজঘরে ফেরে! অস্ট্রেলিয়ার দলীয় সংগ্রহ তখন ৭৪ রান। তারপর নাঠে আসে লাবুচাগনে! দলীয় সংগ্রহ যখন ১১০ তখন জাদেজার বলে বোল্ড আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে স্টিভ স্মিথ! এরপরে আর তেমন বড় কোনো পার্টনারশিপ দেখতে পায়নি। মোটামোটি অস্ট্রেলিয়া সব প্লেয়ার মাঠে এসে স্ট্রাগল করতে থাকে।

_{screenshot credit from Crinctron Youtube Channel}

অস্ট্রেলিয়ার দলীয় সংগ্রহ যখন ১৯৯ রান তখন অলআউট হয়ে যায়। জাদেজা তিনটি উইকেট তুলে নিয়েছিল সেদিন। তারপর ব্যাটিং করতে নামে ইন্ডিয়ার রুহিত শর্মা ও ইশান কিশান। কিন্তু ইন্ডিয়ার শুরুটা ভালো হয়নি। কারণ ২ রানের মধ্যেই তিন উইকেট হারিয়ে বসে ইন্ডিয়া। অস্ট্রেলিয়া অনেকটা চাপে ফেলে দেয় ইন্ডিয়াকে। তারপর কোহলু ও কে এল রাহুল এসে খেলার ভারসাম্যটা ঠিক রাখে। কোহলির অবশ্য একটা চান্স ছিল আউট হওয়ার সেটা মিস করে বসে মিচেল মার্শ! আসলে কোহলু কেন গ্রেট প্লেয়ার সেদিন সে প্রমাণ দিয়েছিল! অনেকটা চাপের মধ্যেই কোহলি ফেয়ারলেস ক্রিকেট খেলতে থাকে সাথে সঙ্গ দেয় রাহুল।

_{screenshot credit from Crinctron Youtube Channel}

কে এল রাহুল ও বিরাট কোহলি দুজনই হাফ সেঞ্চুরির দেখা পায়। যেহেতু টার্গেটাও বেশি ছিল না এজন্য এতো টেনশন ছিল না। কোহলি ও রাহুল দুজনে মিলে ১৬৫ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলে! কাজের কাজটা করে দিয়ে যায় কোহলি। নিজের ব্যক্তিগত ৮৫ রান করে আউট হয় কোহলি। ইন্ডিয়া তখন জয়ের কাছাকাছি বলা যায়। তারপর মাঠে আসে হার্দিক পান্ডিয়া। কে এল রাহুল তখনও স্ট্রাইক রোটেইট করে খেলতে থাকে। ৪২.২ ওভারের মাথায় ইন্ডিয়া জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়। ছয় উইকেটে জয় তুলে নিয়ে বিশ্বকাপের শুরুটা ভালোভাবেই করে। খেলায় ম্যান অফ দা ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছিল কে এল রাহুল।

---

---

10% beneficary for @shyfox ❤️

ধন্যবাদ সবাইকে

---

---

আমি কে?

^{আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।}