বিদায় বেলায়
05-05-2023
২২ বৈশাখ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। ভালো থাকতে পারাটাই হলো বড় কথা না। কিন্তু মুখে বললেও আমরা কেউই কিন্তু ভালো থাকি না বা থাকতে পারি না। এই জীবনে যে সমস্যা থেকেই যায়। সেই সমস্যাগুলোই যেন আমাদের ভালো না থাকার কারণ হয়ে দাড়ায়ঁ। তবে সমস্যাগুলোকে জীবনের একটি অংশ ধরে নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়াটাই বোধহয় ভালো। সমস্যাহীন যে পৃথিবী হয় না। সেই সৃষ্টির আদি থেকে এখন অবধি সমস্যা রয়ে গেছে। আপনারা হয়তো আজ ভোর বেলা ভূকম্পন টের পেয়েছেন! খুব সকাল সকাল বাংলাদেশসহ ভারত কেপেঁ উঠলো।
ফজরের নামাজ আদায় করে টেবিলে বসে পড়ছিলাম। হঠাৎই মনে হলো আমার টেবিলে কে যেন ধাক্কা মারলো। সেটা কয়েক সেকেন্ড অনুভব করেছিলাম। ঠিক কিছুক্ষণ পরেই নিউজ পোর্টালগুলো জানতে পারি বাংলাদেশে ৪.৯ মাত্রার ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। যদিও সেটা মৃদু তবে লং আরও কয়েক সেকেন্ড থাকলে হয়তো মানুষজন বুঝতে পারতো। ভূমিকম্পের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে আমাদের এই শহর। যেভাবে শহরের দালানগুলো একটার সাথে আরেকটা সংযোগ করে বানানো। একটু বেশি মাত্রার ভূমিকম্প হলেই সব শেষ!
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে সকল ধরনের প্রাকৃতিক দূর্যোগ থেকে হেফাজত করুক। সবাই সাবধানে থাকার চেষ্টা করবেন আশা করছি। যাক, প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে কিন্তু গ্রামগঞ্জেও ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে। তবে কাল বৈশাখী ঝড়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শহরের ঠিক বিপরীত। গ্রামের টিনের চালার ঘরগুলো নিমিষেই উড়ে নিয়ে যায়। এছাড়াও শিলাবৃষ্টির কারণেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। তবে ভূমিকম্প হলে সে তুলনায় ক্ষয়ক্ষতি কম হয়ে থাকে।
যাক, কিছুদিন আগে বাড়িতে ছিলাম। কিন্তু ব্যস্ততা কি আর বাড়িতে রাখতে দেয় মানুষকে। ঠিকই ছুটে যেতে হয় তার গন্তব্যে। কিন্তু মা, মাটি, প্রিয় গ্রামের সৌন্দর্য কি আর ভুলা যায়। গ্রামের আলো বাতাসেই ছোট বেলা থেকে বড় হয়েছি। রাস্তা পাশে বেড়ে উঠা শিশু, মেহগুনী গাছ, কলা গাছ সবই যেন আমার চির চেনা। গ্রামের আরেকটি সৌন্দর্য হলো সোনালী ধানক্ষেত। যতদূর চোখ যায় শুধু সোনালী ধান ক্ষেত। বৈশাখের এই সময়টাতে ধান পেকে যায়। ঘরে তোলা হয় ধান।
গ্রাম ছেড়ে চলে আসতে হয় শহরে। বাড়ি পাশেই রাস্তা। রাস্তাটা আগে মাটির ছিল। সময়ের বিবর্তনে এখন সেটা পিচঢালা রাস্তা হয়েছে। অটো, ব্যাটারিচালিত রিক্সা যাতায়াত করে রাস্তা দিয়ে। গ্রামের মানুষেরও যে অনেক উপকার হয়েছে রাস্তা করাতে। যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভালো হয়েছে। আপনাদের সাথে ইতোমধ্যে গ্রামের কিছু চিত্র শেয়ার করছিলাম। সেটা না পড়ে থাকলে পড়বেন আশা করছি। বাড়ির কাছেই অটোতে করে রওয়ানা দিয়েছিলাম বাস স্ট্যান্ডের উদ্দেশ্যে। কতদিন যেন অটোতে চড়া হয় না। বাস স্ট্যান্ড অবধি ভাড়া দশ টাকা। অটোতে করে যাওয়ার পথে গ্রামটাকে একটু চোখ বুলিয়ে নিলাম। আবার সেই ঈদে বাড়িতে গেলে। এর আগে হয়তো গ্রামের দৃশ্য পরিবর্তন হয়ে যাবে।
ফোন বের করে কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম। গ্যালারি চেক করলেই যেন চোখে পরে গ্রামের প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো। সব থেকে বড় কথা হলো এই যে দৃশ্যগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করছি তা কিন্তু কখনোই হারিয়ে যাবে না। আজীবন থেকে যাবে ব্লকচেইনে। এটা হলো সব থেকে বড় সুবিধা। আপনার মনে হলো কখনো কিছু দেখার তা আপনি চাইলেই এখানে এসে দেখতে পারবেন।
যাক, অটোতে বসে গ্রামের নির্মল হাওয়া খেতে খেতে বাস স্ট্যান্ডে চলে এলাম। বাস স্ট্যন্ডে এলেই মনে হয় যেন শহরের একটি রাজ্যে প্রবেশ করেছি। নান্দাইল বাস স্ট্যান্ড থেকে পরের গন্তব্য ত্রিশাল। সেখান থেকে বাসে করে সোজা গাজীপুরে চলে আসা। শহরে প্রবেশ করতেই যেন বড় বড় দালানকোঠা চোখে পরে। গ্রামের নির্মল হাওয়ার যে বড্ড অভাব!
Device | Oppo A12 |
---|---|
Photographer | @haideremtiaz |
Location | w3w |
Date | 02 May, 2023 |
আর বেশি কথা বাড়ালাম না। আবারো হাজির হবো নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ্য থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ 🌼🦋
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
twitter share link
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে ভাইয়া ছোটকালের জায়গার মধ্যে গেলে সবার কাছে ভালো লাগে। আসলে কাজে-কর্মের কারণে মানুষ নিজের বাড়ি থেকে দূরে থাকে। কিছুদিনের জন্য বাড়িতে গেলেন এখন আসার সময় একটু খারাপ লাগবে । তবে মাঝেমধ্যে ভূমিকম্প আসলে হালকা মধ্যে অনেক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে ঠিক বলেছেন শহরের দালান কোটা গুলো এত বেশি এবং বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে। অনেক সুন্দর করে পোস্টে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ।
জি আপু! দূর্যোগের হাত থেকে সবাই যেন ভালো থাকতে পারে সেটাই আশা করছি
ভোরবেলা আপনাদের ওদিকে এবং ইন্ডিয়ার মধ্যে ভূমিকম্প হয়েছে। তবে আমাদের এদিকে সকালবেলা ভূমিকম্প হয় নাই। আদি থেকে এইভাবে পৃথিবীর মধ্যে ভূমিকম্প হয়ে আসছে। আসলে গ্রামের বাড়ি থেকে যখন শহরের দিকে আসতে হয় তখন মন চায় না অনেক খারাপ লাগে। তারপর ও আসতে হয় বিভিন্ন কারণে। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে পোষ্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
জি ভাইয়া। গ্রাম ছেড়ে শহরে আসলে খারাপ লাগে
আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুক আমিন। আমি কিন্তু অনুভব করতে পারি নাই আজকের ভূমিকম্পের বিষয়টা। ইদানিং ভূমিকম্পের মাত্রা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। ভালো রাখার এবং মন্দ রাখার সবকিছুর তো মালিক সৃষ্টিকর্তা একমাত্র। উনি ভালো জানেন কে কিভাবে দুনিয়া থেকে চলে যাবেন। যে গ্রামের ছোট কাল থেকে বড় হয়েছি, যে হাওয়া বুকে নিয়ে ধারণ করে বড় হয়েছে সেই গ্রামের কথা কিভাবে ভুলবো। আমি তো সময় ফেলে আমাদের গ্রামের বাড়িতে ছুটে চলে যাই। ঠিক বলছেন কিন্তু সময়ের গতিতে সবকিছু কে ছেড়ে দিয়ে একটা নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে হয়।
জি আপু! টেম্পারেচার যেভাবে বাড়ছে সে সাথে দূর্যোগের পরিমাণও বাড়ছে। আল্লাহ তায়ালা যেন সব ধরনের প্রাকৃতিক দূর্যোগ থেকে রক্ষা করে। আমিন
আমাদের এইদিকে ভূমিকম্প নিয়ে কোন আভাসই পাওয়া যায় নি একদম ভাই। আর ভাই আপনি এত ভোর বেলা পড়তে বসেন ! 😳😳😳। আপনার সাথে একবার কোলাকুলি আসতে পারলেও যদি এই গুণ টা আমার মাঝে আসতো 😢😢। তবে বাড়ি ছেড়ে আসতে সত্যি খুব খারাপ লাগে ভাই। আমিও এটা ফিল করতাম। বুকে কেমন যেন ফাঁকা ফাঁকা লাগতো। কিন্তু ঐ যে প্রকৃতির নিয়মে আমাদের চলতেই হবে।
হাহাহা! দাদা হয়ে যাবে কয়েকদিন চেষ্টা করলেই সকাল সকাল উঠতে পারবেন।
দোয়া প্রার্থী 🙏🙏