১ম পর্ব || পাওয়ার সেক্টরে চাকরির পরীক্ষা দেয়ার অভিজ্ঞতা
5-04-2024
২২ চৈত্র , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন। তো আমি বরাবরের মতো ভালো থাকার চেষ্টা করছি। এ কয়দিন ধরে রোদের তাপমাত্রাও বেড়েছে। ইফতারে বেশি পরিমাণে পানি পান করা হয়ে যাচ্ছে। তো যায়হোক, আজকে চলে এলাম আপনাদের মাঝে সরকারি চাকরিতে পরীক্ষা দেয়ার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য। তো আমি রিসেন্টলি বেপজা ( বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন) এ চাকরির পরীক্ষা দিয়েছিলাম। মজার ব্যাপার হলো সেখানে আমি রিটেনে সিলেক্টেড হয়ে গিয়েছিলাম। তো রিটেনে সিলেক্টেড হওয়ার পর ভাইবার জন্য সিলেক্ট হয়েছিলাম। তো ভাইবা আর দেয়া হয়নি। সেটা নিয়ে অন্যদিন বলবো। তো আসলে বাংলাদেশের বৃহৎ একটা অংশ বেকারত্বের কড়াল গ্রাসে নিমজ্জিত বলতে গেলে। সরকারি চাকরি যে সোনার হরিণ সেটা আসলে সরকারি চাকরিতে পরীক্ষা না দিলে কখনোই বুঝতাম না।
আমরা যারা ডিপ্লোমা শেষ করেছি। বিশেষ করে ইলেকট্রিক্যাল থেকে তাদের জন্য পাওয়ার সেক্টর হলো সবথেকে ভালো চাকরি। তো কথা হচ্ছে সেই পাওয়ার সেক্টরে চাকরি পাওয়ার জন্য সবাই মরিয়া। কারণ সেখানে একটা হাই কোয়ালিটিফুল লাইফ লিড করা যায়, সাথে বেতনও অনেক। সবমিলিয়ে ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের স্বপ্নের চাকরি হলো পাওয়ার সেক্টরে। তো বাংলাদেশে পিজিসিবি (পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ) তে চাকরি পাওয়াটা সবারই স্বপ্ন থাকে। আর সেখানে প্রতিবারই প্রতিযোগি বাড়ছে। তো আমিও পিজিসিবি তে এপ্লাই করে রেখেছিলাম জানুয়ারীর দিকে যখন সার্কুলার দিয়েছিল। বলতে গেলে বড় একটা নিয়োগ দিয়েছিল পিজিসিবি। শুধুমাত্র ইলেকট্রিক্যাল ডিপার্টমেন্ট থেকে ২৬৫ জন সাব এসিসট্যান্ট নেয়া হবে। এটা বলতে গেলে হিউজ। এতো বড় সার্কুলার পিজিসিবি আগে কখনো দেয়নি।
তো কথা হচ্ছে পিজিসিবিতে এবার এপ্লাই করেছিল প্রায় ২২,০০০ এর মতো! তো বুঝতেই পারছেন সংখ্যা কতো বেশি। যেহেতু ইলেকট্রিক্যাল ডিপার্টমেন্ট থেকে ইতোমধ্যে অনেকেই ডিপ্লোমা করে বের হয়েছে। আবার অনেকেই আরও আগেই ডিপ্লোমা লাইফ শেষ করে চাকরির পড়া পড়ছে। আবার, ডুয়েট শেষ করেও অনেকেই এই পিজিসিবির জন্য পড়াশোনা করছে। তো আমি আসলে ২০২৩ সালে ডিপ্লোমা শেষ করেছি। তবে চাকরির পড়াশোনা ওরকমভাবে করা হয়নি। আপাতত আমি একজন এডমিশন ক্যান্ডিডেট বলতে পারেন। একদিকে ফোকাস করাই ভালো। তো পিজিসিবি এবার তিনধাপে একজন ক্যান্ডিডেট সিলেক্ট করার প্লেন করেছিল। প্রথম ধাপে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হবে অর্থাৎ এমসিকিউ হবে। তার পরের ধাপে হবে রিটেন পরীক্ষা এবং সর্বশেষ ধাপে হবে ভাইবা।
তো প্রথম ধাপের পরীক্ষা ছিল আজ। যেহেতু এবার প্রতিযোগীর সংখ্যাটাও বেশি তাই একেকজনের সিট একেক জায়গায় পরেছে। আমার সিট পরেছিল তিতুমীর সরকারি কলেজে। আর পরীক্ষার সময় ছিল সকাল দশটা। মজার ব্যাপার হলো সকাল নয়টায় আবার আমার বিটিসিএল এ পরীক্ষা ছিল। কিন্তু বিটিসিএলে পরীক্ষা দিলে পিজিসিবির পরীক্ষা মিস হয়ে যাবে। তাই আর বিটিসিএলের পরীক্ষাটা দেয়া হয়নি। তো আমার লক্ষ্য পরীক্ষার একটা অভিজ্ঞতা নেয়া। যেহেতু আমি এডমিশন ক্যান্ডিডেট তাই চাকরির দিকে মনোনিবেশ করছি না। তবে এ পর্যন্ত চার পাচঁটে পরীক্ষা দিয়ে ভালোই অভিজ্ঞতা হয়েছে। যেটা আশা করি পরবর্তীতে কাজে লাগাতে পারবো। তো আজকে একই জায়গায় আমার সাথে আরও দুজন ফ্রেন্ডের পরীক্ষা ছিল। তো ভাবলাম তিনজন একসাথে গিয়ে পরীক্ষাটা দিয়ে আসি তিনজনই আবার এডমিশন ক্যান্ডিডেট! সে হিসেবে বলতে গেলে তিনজনই একটা অভিজ্ঞতা অর্জন করার জন্যই পরীক্ষা দেয়া ।
তো পরীক্ষা যেহেতু সকাল দশটায় ছিল। তাই রওয়ানা দিতে হবে সকাল ছয়টার দিকে। কারণ ঢাকার জ্যামের অবস্থা খুবই খারাপ! একবার জ্যামে পরলে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতে হয় জ্যামের মাঝে। আর এমনিতেই রোজা রেখে জার্নি করাটাও অন্যরকম লাগবে। তাই রিস্ক না নিয়ে সাড়ে পাচঁটার দিকেই রওয়ানা দিয়ে দিলাম নুরুজ্জামান বন্ধুকে নিয়ে। তো সকাল সকাল রওনা দিয়ে একটা সুবিধা হয়েছিল কারণ মহাখালী আসতে বেশিক্ষণ লাগেনি। সকাল সাতটার আগেই মহাখালী আমতলী চলে আসি। আর আমতলী থেকে সরকারি তিতুমীর কলেজ কাছেই। গুগল ম্যাপ অন করে দেখলাম হেটেঁ গেলে পাচঁ-আট মিনিট এমন লাগবে। তো সকাল সকাল রাস্তা একদমই ফাকাঁ ছিল। আর সকালের ওয়েদারটাও উপভোগ করার মতো ছিল। ঢাকা শহরের ভিতরের রাস্তার পাশে এরিয়াগুলো দেখতেও ভালো লাগে। এদিকটায় রাস্তাঘাট অনেক পরিচ্ছন্ন। দেখলাম কয়েকজন পরিচ্চন্ন কর্মী রাস্তায় কাজ করছে। আসলে তাদের কাজের জন্যই রাস্তার পরিবেশটা এতো সুন্দর থাকে। তবে আমরাই আবার রাস্তাটাকে নোংরা করি।
Device | Oppo A12 |
---|---|
Photographer | @haideremtiaz |
Location | w3w |
চলবে,,,,,,
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
twitter share
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের স্বপ্নের চাকরি হলো পাওয়ার সেক্টরে। আপনার দুইটা পরীক্ষা ছিল একটা বিটিসিএলে পরীক্ষা আর একটা পিজিসিবির পরীক্ষা ।বিটিসিএলে পরীক্ষা দিলে পিজিসিবির পরীক্ষা মিস হয়ে যাবে। ধন্যবাদ ভাইয়া পাওয়ার সেক্টরে চাকরির পরীক্ষা দেয়ার অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করার জন্য।
আসলে আপনি কথাটি ঠিকই বলেছেন। সরকারি চাকরি পাওয়া এবং সোনার হরিণ পাওয়া দুটোই একই বিষয়ে। বাংলাদেশের মতো এখানেও কোন সরকারি চাকরির পরীক্ষার দিন সেই রাস্তায় মোটেও ঢোকা যায় না। কারণ একটা সামান্য সরকারি চাকরির পোষ্টের জন্য প্রায় কয়েক লাখ লোক আবেদন করে। অনেকে আছে আবার আগের দিন এসে ওই চাকরির পরীক্ষা সেন্টারের সামনে সারারাত ভর জেগে থাকে এবং সকালে পরীক্ষা দেয়। যাইহোক আপনার জন্য শুভকামনা রইল সোনার হরিণ পাওয়ার আশায়।
হাহাহা! দাদা সোনার হরিণ পেলে তো ভালোই হতো। চাকরির যে কি অবস্থা দাদা! প্রতিযোগিতাও অনেক এখন।
এই সমস্ত অভিজ্ঞতা গুলো মানুষকে আরো নিত্যনতুন প্রতিযোগিতার সম্মুখে এগিয়ে যেতে সহায়তা করে। আজকে এখানে পরীক্ষা দিয়েছেন কালকে আরো একটি জায়গায় নিজেকে সাহসের সাথে উপস্থাপন করতে পারবেন। যাহোক খুবই ভালো লাগলো আপনার এই সুন্দর অনুভূতি পড়তে পেরে।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া। মূলত অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য পরীক্ষা দেয়া।
জী ভাইয়া যেহেতো ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা শেষ করেছেন সেহেতো পাওয়ার সেক্টরে চাকরি করতে পারলে অনেক ভালো হবে। আমি অনেক জাগায় পরিক্ষা দিয়েছি। তবে কোথাও জব হয়নি। অবশেষে বিজনেস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আপনার পরিক্ষা কেমন হয়েছে আশা করি পরের পর্বে জানতে পারবো। ধন্যবাদ।
জি, ভাইয়া পরীক্ষা দিয়ে ভালো অভিজ্ঞতা হলো।