ভারতের কাছে বাংলাদেশের হার

---

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। যাক, আপনার যারা নিয়মিত আমার পোস্ট পড়ে থাকেন তারা নিশ্চয় জানেন আমি খেলাধুলা বেশ কিছু পোস্ট করে থাকি। আসলে এখন ক্রিকেট বিশ্বকাপ চলছে। যে খেলাগুলো দেখা হয় মোটামোটি সেগুলো নিয়েই আলোচনা করি আপনাদের সাথে। তো আজকে ভারত বনাম বাংলাদেশ এর ম্যাচ নিয়ে আলোচনা করবো। গত ১৯ই অক্টোবর বাংলাদেশ বনাম ভারতের মধ্যকার ম্যাচ ছিল। ভারতের সাথে বিগত কয়েক বছর ধরে ভালো খেলে আসছে বাংলাদেশ। বিশ্লেষকরা মনে করে, বাংলাদেশ আর ভারতের লড়াই এখন হাড্ডাহাড্ডি হয়। একটা সময় যেমনটা হতো ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যকার খেলা হলে। আমি ধরেই রেখেই ছিলাম বাংলাদেশ হারলেও ভালো ক্রিকেট খেলবে। তবে সেদিন একাদশে একটু পরিবর্তন আসে।

_{screenshot credit from Love Legends Youtube Channel}

ক্যাপ্টেন সাকিব ইনজুরিতে ছিল তাই ক্যাপ্টেন করা হয় নাজমুল শান্তকে। সাকিব ছাড়া বাংলাদেশ টিমটাকে মনে হয় একদম নড়বড়ে। টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। ব্যাটিং এ নামে লিটন আর তানজিদ। আগের ম্যাচে দুজনই ব্যার্থ হয়েছিল। তবে লিটন আবার ভারতের বিপক্ষে ভালো খেলে। বাংলাদেশের শুরুটা দারুণ হয়েছিল। প্রথম পাওয়ারপ্লেতে কোনো উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ। রানের চাকাটা সচল রেখেছিল লিটন আর তানজিদ। কিন্তু বাংলাদেশের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে ৯১ রানে। কুলদীপ যাদবের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে আউট হয় তানজিদ। উইকেট পতনের আগে তানজিদ নিজের ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরি করে তারপর আউট হয়। তারপর মাঠে আসে নাজমুল শান্ত। বিশ্বকাপে এখনও তেমনভাবে মেলে ধরতে পারেনি নিজেকে। শুরু থেকেই শান্ত স্ট্রাগল করতে থাকে। এদিকে লিটন দাসও হাফ সেঞ্চুরির দেখা পায়।

_{screenshot credit from Love Legends Youtube Channel}

১১০ রানে তখন শান্ত আউট হয়। তখন কিছুটা চাপে পরে যায় বাংলাদেশ। তারপর মাঠে আসে মিরাজ। কিন্তু মিরাজও নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেনি। মিরাজও আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। তারপর লিটন ইনিংসটাকে বড় করার চেষ্টা করে কিন্তু তা আর পারেনি। নিজের ব্যক্তিগত ৬৬ রানে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে লিটন। তারপর তৌহিদ আর মুশি দেখেশুনে খেলতে থাকে। তোহিদ হৃদয় এখন পর্যন্ত নিজেকে তেমনভাবে মেলে ধরতে পারেনি। হৃদয় ১৬ রান করেই আউ হয়ে যায়। মাহমুদুল্লাহ আর মুশু মিলে ইনিংসটাকে বড় করার চেষ্টা করে । কিন্তু ২০১ রানের মাথায় মুশফিকুর রহিম আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। তখন বাংলাদেশ কিছুটা চাপে পড়ে যায় তারপরেও মাহমুদুল্লাহর চেষ্টা করে চাপ সামলে ব্যাটিং করার জন্য কিন্তু শেষমেষ মাহমুদুল্লাহ ও ব্যর্থ হয় । অবশেষে বাংলাদেশের ইনিংস থামে ২৫৬ রানে।

_{screenshot credit from Love Legends Youtube Channel}

তারপর ব্যাটিংয়ে নামে ভারত। ভারতের শুরুতে রোহিত শর্মা ও শুভমান গিল দেখেশুনে খেলতে থাকে । ভারতের পাওয়ার প্লে তে কোন উইকেট হারায়নি ১২.৪ ওভার যখন ৮৮ রান তখন রোহিত শর্মা আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে । রোহিত শর্মা ২ রানের জন্য হাফ সেঞ্চুরি মিস করে ফেলে । তারপর শুভমান গিল হাফ সেঞ্চুরি করে এবং ৫৩ রানে করে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে । তারপর বিরাট কোহলি ও শ্রেয়াশায়ার দেখেশুনে খেলতে থাকে। কিন্তু শ্রেয়া শায়ার ইনিংস এতটা লম্বা করতে পারিনি । তারপর বিরাট কোহলি ও কে এল রাহুল দেখেশুনে খেলে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়। কিন্তু বিরাট কোহলি বিশ্বকাপের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পায়। প্লেয়ার অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয় বিরাট কোহলি।

---

---

10% beneficary for @shyfox ❤️

ধন্যবাদ সবাইকে

---

---

আমি কে?

^{আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।}