'প্রিয় থেকে প্রিয়তম' নাটক রিভিউ
31-10-2022
১৬কার্তিক,১৪২৯ বঙ্গাব্দ
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে
কেমন আছেন সবাই? নিশ্চয় অনেক ভালো আছেন 🌼। যখন পোস্টটি লিখতে বসেছি শরীরে তখন প্রচন্ড জ্বর! মাথা নিয়ে যেন উঠতেই পারছিলাম না! গতকাল থেকে হঠাৎ শরীরে জ্বর উঠে গেল। আসলে অসুস্থ হলে বুঝা যায়, সুস্হ্যতা আল্লাহ তায়ালার কতো বড় নেয়ামত! আজ প্লান্টেও যায়নি! এই জ্বর নিয়ে যাওয়াও সম্ভব না। বাসায় বসে বসে একটি নাটকের রিভিউ লিখে ফেললাম। আর সেটা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলে এলাম। আসলে স্টিমিটে এখন পোস্ট না করলেও ভালো লাগে না। শরীর সায় দিচ্ছিল না তবুও পোস্টটি লিখতে বসলাম! আশা করি আপনাদের কাছে নাটকের রিভিউটি ভালো লাগবে।
নাটকের কিছু তথ্য
নাম | প্রিয় থেকে প্রিয়তম । |
---|---|
রচনা | পাপ্পু রাজ |
পরিচালনা | ওসমান মিরাজ। |
অভিনয়ে | : অপূর্ব, সাবিলা নূর, শহিদুল আলম সাচ্চু। |
দৈর্ঘ্য | ৪২ মিনিট ৩৬ সেকেন্ড। |
আবহ সংগীত | স্টুডিও টেকনিক । |
মুক্তির তারিখ | ৯ ই জুন , ২০২২ইং |
ধরন | রোমান্টিক , ড্রামা |
ভাষা | বাংলা। |
দেশ | বাংলাদেশ |
চরিত্রেঃ
অনিকঃ
জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ।শ্রেয়াঃ
সাবিলা নূর ।কাহিনী সারসংক্ষেপ
নাটকের শুরুতে দেখা যায়, অনিক গ্রাম থেকে শহরে এসেছে। তার মায়ের বন্ধুর বাসায়। ছোটবেলায় তার মায়ের বন্ধু গ্রামে থেকেই বড় হয়েছে। অনিকের জব হয়েছে। ঢাকা শহরে যেহেতু সে নতুন তাই তার মায়ের বন্ধুর বাসায় থাকবে। অনিক বসে চা খাচ্ছে। ঠিক সে সময় পিছন দিক থেকে এসে শ্রেয়া অনিককে ভয় দেখিয়ে দেয়! চা তখন শরীরে পরে যায়। শ্রেয়া আর অনিক এক সাথে বড় হয়েছে গ্রামে। ছোটবেলা থেকেই দুজন দুষ্টুমিতে পরে থাকতো! অনেক বছর পর শ্রেয়াকে দেখে অনিক! দেখেই অবাক হয়ে যায়। ছোট সেই মেয়েটি এখন কত বড় হয়ে গেছে! শ্রেয়ার সাথে কাটানো ছোটবেলার মুহূর্তগুলো এখনও অনিকের মনে আছে। সেই স্মৃতিগুলো মনে করে দুজনে হাসতে থাকে।
পরদিন সকালে অনিক অফিস যাচ্ছে। ঠিক তখন শ্রেয়া অনিকের কাছে দুপুরের খাবার দিয়ে দেয়! এতোদিন অফিসের ক্যান্টিনে খাওয়া-দাওয়া করেছ! রিকশা দিয়ে যাচ্ছে অনিক ঠিক তখন অনিকের মা ফোন দেয় । ফোন দিয়ে অনিককে জিজ্ঞেস করে সকালের নাস্তা করেছে কিনা ! অনিক তখন হাসিমুখে বলে সকালের নাস্তা করে বের হয়েছে এবং খুবই যত্ন করার মতো একজনকে পেয়েছে শ্রেয়া । তাকে খুব যত্ন করে । সে এখন অনেক লক্ষী মেয়ে হয়ে গেছে । অনিক সেই ছোটবেলা থেকেই খুবই ভালোবাসতো শ্রেয়াকে । অনিক এখনো ভালোবাসে কিন্তু কখনো বলতে পারেনি যে সে অনেক ভালোবাসে । অফিস শেষ করে অনেক বাসায় আসে । ঠিক তখন শ্রেয়ার বাবা ল্যাপটপে বিয়ের কার্ড দেখতেছিল । কোনটা ভালো হয় । কিন্তু অনিককে বলতে মনে ছিল না যে শ্রেয়ার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে ! এটা শুনতেই অনিকের মন ভীষণ খারাপ হয়ে যায় । তখন সে রুমে চলে যায় এবং শ্রেয়াকে বলে যে তার বিয়ের কার্ড পছন্দ করার জন্য ।
অনিক মন খারাপ করে ছাদে গিয়ে বসে থাকে । তখন শ্রেয়ার বাবাও ছাদে যায় । অনিকের মুখ দেখেই শ্রেয়ার বাবা বুঝতে পারে যে অনিকের মন খারাপ । তখন জিজ্ঞেস করে কি জন্য সে মন খারাপ করে বসে আছে ! অনিক তখন কিছু বলতে চাইনি । তারপর শ্রেয়ার বাবা বলে যে সে বন্ধু হলে বলবে কিনা! তখন অনিক শ্রেয়ার বাবার সাথে বন্ধুত্ব করে এবং সবকিছু খুলে বলে । তারপর শ্রেয়ার বাবা বুঝতে পারে যে , অনিক শ্রেয়াকে অনেক ভালোবাসে । শ্রেয়ার বাবা তখন অনিককে ২৮ দিন সময় দেয়! এই ২৮ দিনে যদি শ্রেয়াকে ইমপ্রেস করতে পারে তাহলে শ্রেয়ার সাথে তাকে বিয়ে দিবে ; না হয় রাজের সাথে বিয়ে দিবে। অনিক তখন শ্রেয়ার বাবার কাছ থেকে শ্রেয়ার ভালো লাগা, খারাপলাগা বিষয়গুলো জেনে নেয়!
কিছুদিন পর শ্রেয়ার বার্থডে! শ্রেয়ার বাবার মনেই ছিল না যে শ্রেয়ার বার্থডে আজ! অনিক শ্রেয়ার বাবাকে নিয়ে শ্রেয়ার রুমে যায়। কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন করে! শ্রেয়া তখন জানতে পারে যে, এসব কিছুর প্লেন অনিকের করা ছিল! শ্রেয়া মনে মনে অনেক খুশি হয়। কিন্তু অনিকের স্পেশাল একটি গিফট দেয়া বাকি! আজ রাতের শহরটা উপভোগ করবে দুজন! শ্রেয়ার বাবা পারমিশন দেয়। শহরে দুজনে হাটঁতে থাকে এবং ভালো লাগার কথাগুলো শেয়ার করতে থাকে। অনেক রাত হয়ে গেছে! তারপর শ্রেয়াকে নিয়ে অনিক বাসায় চলে আসে। ঠিক দুদিন পর রাজ শ্রেয়াদের বাসায় আসে! রাজ সামনের সপ্তাহে শ্রেয়াকে বিয়ে করতে চায়। কিন্তু শ্রেয়ার বাবা টেনশনে পরে যায়। কারন অনিককে সে কথা দিয়েছিল। ২৮ দিনের মধ্যে শ্রেয়ার মন জয় করতে পারলে শ্রেয়ার সাথে তাকে বিয়ে দিবে।
অনিক শ্রেয়ার জন্য মোমবাতি দিয়ে পুরো ছাদ সাজায়! এসবের মানে কি শ্রেয়া বুঝতে চায়না! কারণ তার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। আর তার বাবার পছন্দের যে ছেলের সাথে বিয়ে ঠিক করেছে তার সাথেই হবে। অনিক তখন তার মনের সব কথাগুলো শ্রেয়াকে বলে দেয়! শ্রেয়ার মনে কিছুটা হলেও জায়গা করে নিয়েছে। এই ২৮ দিনে চেষ্টা করেছে শ্রেয়াকে ভালোবাসার, খুশিকরার! ঠিক তখন রাজ আসে ছাদে! রাজ ছাদের সাজানো দেখে অবাক হয়ে যায়! রাজ ভাবে শ্রেয়া তার জন্য এভাবে সাজিয়েছে। রাজ জানেনা শ্রেয়ার কি পছন্দ, অপছন্দ! তার ভালো লাগা, খারাপ লাগা কিছুই জানে না! তাহলে তার সাথে বাকিটা জীবন কিভাবে পার করবে! ঠিক তখন শ্রেয়া সিদ্ধান্ত নেয় অনিককে বিয়ে করবে! শ্রেয়ার বাবা আগেই সব বলে রেখেছিল শ্রেয়াকে! অনিক ও শ্রেয়ার ভালোবাসার মিলবন্ধনের মাধ্যমেই নাটকের সমাপ্তি ঘটে সেখানে।
ব্যক্তিগত মতামত
নাটকটি আমার কাছে ভালি লাগল। শেষে সঠিক মানুষের সাথে ভালোবাসার সম্পর্কটা হয়ে গেল! অপূর্ব বরাবরই রোমান্টিক টাইপের নাটকগুলো অনেক ভালো অভিনয় করে। সাবিলা নূরের অভিনয় প্রশংসা করার মতো! নাটকের প্রেক্ষাপট ভালো ছিল। রোমান্টিক টাইপের হলেও নাটকটি উপভোগ করার মতো ছিল!
ব্যক্তিগত রেটিং
নাটকটির লিংক
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Link
অপূর্ব নাটক আমার কাছে সব সময় খুব ভালো লাগে। আমি প্রায় সময় অপূর্ব নাটকগুলো দেখে থাকি। তবে এই নাটকটা আমার দেখা হয়নি। নাটকটির রিভিউ পড়ে বেশ ভালো লাগলো তাই আমি অবশ্য চেষ্টা করব নাটকটি দেখার জন্য। আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর এই নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি আপু নাটকটি দেখলে উপভোগ করতে পারবেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সুন্দর এক নাটক। তবে শেষের দিকটা বুঝলাম না। সব কিছু কেমন যেনো গোলাই গেলো। শেষে ঝামেলা হয়নি? যেয়েতু শ্রেয়ার বিয়ে আরেক যায়গায় ছিলো। যাক এই গোলানো মিটাতে হলে নাটকটি দেখতে হবে। সময় করে নাটকটি দেখে নিবোনে।
হাহাহা! নাটকটি দেখলে বুঝতে পারবেন। 😁
ঠিকই বলেছেন অসুস্থ না হলে সুস্থতার মর্ম বোঝা যায় না। খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন এই কামনা রইল।
এই নাটকটি আমার দেখা হয়নি এখনো পর্যন্ত।তবে নাটকের রিভিউ পড়ে বেশ ভালো লেগেছে।
আপনার মন্তব্য পড়ে খুশি হলাম 🌼। সুস্থ্য থাকলে সবকিছুই ভালো লাগে আসলে। ধন্যবাদ ভাইয়া 🌺
প্রিয় থেকে প্রিয়তমা নাটকটিতে অসাধারণ অভিনয় করেছে অপূর্ব। আসলে এই নাটকটি অল্প কিছুদিন আগে আমি দেখেছিলাম দেখতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছিল। যখন মন খারাপ করে ছাদে গিয়ে বসে থাকে বাপ গিয়ে যখন জিজ্ঞেস করে এই বিষয়টি তখন আমার বিশেষ করে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আমি হলে ব্যক্তিগত রেটিং পয়েন্ট দিতাম ৯ পয়েন্টের উপরে। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করে শেয়ার করার জন্য।
হুমম নাটকটি কিন্তু ভালই ছিল! ধন্যবাদ আপনাকে 🌼
প্রিয় থেকে প্রিয়তমা নাটকের নামটি শুনেই বোঝা যাচ্ছে খুবই সুন্দর একটি নাটক। আর এমনিতেই অপূর্বের নাটক আমার কাছে অপূর্ব লাগে ।সে খুবই স্ট্যান্ডার্ড ধরনের নাটকগুলো করে। ওর সাথে সাবিলা নূরকে খুব ভালো মানায়। কাহিনীটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো সময় করে দেখে নেব ধন্যবাদ।
জি আপু! আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
প্রিয় থেকে প্রিয়তমা এই নাটকটি আগে কখনো দেখিনি ভাই। তবে আপনার রিভিউ করা অংশটি পড়ে নাটকের সম্পূর্ণ বিষয়গুলো বুঝতে পারলাম। এত সুন্দর করে নাটকটি রিভিউ দিয়ে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া
আপনাকেও ধন্যবাদ চমৎকার একটি মন্তব্য করার জন্য!
ভাইয়া প্রথমেই আপনার সুস্থতা কামনা করছি।অপূর্ব আমার খুবই প্রিয় একজন অভিনয় শিল্পী। অপূর্বর অভিনয় করা অনেক নাটক দেখছি। তবে এই নাটক দেখা হয়নি। আপনার লেখা নাটকের রিভিউ পড়ে ভালো লাগলো। রোমান্টিকতায় ভরপুর এই নাটকটি। সবশেষে প্রিয় মানুষটিকে পাওয়া সত্যি অনেক ভাগ্যের ব্যাপার। দারুন ছিল ভাইয়া আপনার শেয়ার করা নাটকের রিভিউটি।
জি আপু! নাটকটি দেখলে উপভোগ করতে পারবেন। ধন্যবাদ আপনাকে 🌼