২য় ম্যাচে ইংল্যান্ডের সহজ জয়
28-05-2024
১৪ জৈষ্ঠ্য , ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। আপনারা হয়তো ইতোমধ্যে জানেন সারা বাংলাদেশ জুড়েই রিমাল ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডব চলছে! সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপকূলের মানুষগুলো। অনেকের ঘর বাড়ি ভেঙে গেছে। আবার সারাদিন বৃষ্টি হওয়ার কারণে বন্যার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। গাজীপুরের জয়দেবপুরের দিকেও ঘূর্ণিঝড় হয়েছিল। বাতাসের বেগ ছিল বেশি। বাহিরে একবার গিয়ে বুঝতে পেরেছিলাম। তো যায়হোক, সবাই নিরাপদে থাকুন সেটাই কামনা করছি। আজকে চলে এলাম আপনাদের সাথে ইংল্যান্ড বনাম পাকিস্তানের মধ্যকার চার ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ নিয়ে আলোচনা করবো। গত ২৫ শে মে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি শুরু হয়েছিল। সেদিন টসে জিতে প্রথমেই বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান! পাকিস্তান প্রথম ম্যাচও হেরেছিল। ভেবেছিলাম হয়তো দ্বিতীয় ম্যাচে কামব্যাক করবে।
ব্যাটিং করতে নামে সল্ট ও বাটলার! সল্ট এবার আইপিএলে দারুণ পারফর্মেন্স করেছে। তবে ফাইনালে সে খেলতে পারেনি। তার আগেই সে দলের সাথে যোগ দিয়েছে। তো শুরুতে দুজনেই দেখেশুনে খেলতে থাকে। তবে সল্ট নিজের ইনিংসটাকে বড় করতে পারেনি। ব্যক্তিগত ১৩ রানে ইমাদের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। তারপরে মাঠে আসে জেকস। জেকস আর বাটলার দুজন মিলে দেখেশুনে খেলতে থাকে। উইল জেকস নামার পরে রানের গতিটাও বেড়ে যায়। বলতে গেলে পাকিস্তানের বোলারদের চাপে ফেলে দেয়। উইল জেকস ব্যক্তিগত ২৩ বলে ৩৭ রান করে ফেলে। তারপর দলীয় সংগ্রহ যখন ৯৬ রান তখন জেকস আউট হয়ে যায়। এদিকে বাটলার ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরি করে ফেলে। জেকস আউট হওয়ার পরে বেয়ারস্টো মাঠে আসে। বাটলার ফিফটি করার পরে আরও বিধ্বংসী ব্যাটিং করতে থাকে। বাটলার যেভাবে ব্যাটিং করেছিল মনে হচ্ছিল ২০০+ রান হয়ে যাবে।
কিন্তু বাটলারের ইনিংস থামে ব্যক্তিগত ৮৪ রানে। তারপরে আর কেউ তেমনভাবে দাঁড়াতে পারেনি। শেষ অবধি ইংল্যান্ডের সংগ্রহ দাড়াঁয় ২০ ওভার শেষে সাত উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রানের! তারপরে ব্যাটিং এ নামে সায়েম আইয়ুব ও রিজওয়ান। পাকিস্তানের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। প্রথম ওভারেই রিজওয়ানকে হারায় পাকিস্তান। মইন আলীর বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় রিজওয়ানকে। তারপরে মাঠে নামে বাবর আজম। বাবর আজম নামার পরে আবার সায়েম আইয়ুব টপলির বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। তারপরে মাঠে আসে ফখর জামান। আমার মনে হয় বর্তমানে হার্ড হিটার ব্যাটসম্যানের মধ্যে ফখর জামানই একজন! কম বলে বেশি রান করার ক্ষমতা রাখে। ফখর জামান মাঠে আসার পরে রানের চাকার সাথে রান রেইটটা ঠিক রেখে খেলতে থাকে।
এদিকে বাবর আজমও দেখেশুনে খেলতেছিল। কিন্তু বাবর আজম মইন আলীর বলে এলবিডব্লিউ এর শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয়। এদিকে ফখর জামান চেষ্টা করেছিল খেলাটাকে চালিয়ে যাওয়ার কিন্তু শেষ অবধি সেও ব্যর্থ হয়। ২১ বলে ৪৫ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। তারপর পাকিস্তানের আর কেউ তেমনভাবে দাঁড়াতে পারেনি। শেষ অবধি পাকিস্তান সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ১৬০ রান সংগ্রহ করতে সমর্থ হয়! ২৩ রানের ব্যবধানে জিতে যায় ইংল্যান্ড! ম্যান অফ দা ম্যাচ নির্বাচিত হয় জস বাটলার।
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
twitter share
ইংল্যান্ড প্রথম থেকে বেশ ভালো খেলছিল। শেষের দিকে যদিও যে কাঙ্খিত রান হওয়ার দরকার সেটা হয়েছিল না। তারপরও বেশ ভালো একটা টার্গেট দিয়েছিল। পাকিস্তানের শুরুতেই উইকেট হারালেও এরপর বাবর আজম ফকর জামান বেশ ভালো খেলছিল। মনে হয়েছিল সহজে ম্যাচটা বের করে নিয়ে যাবে। কিন্তু তারা উইকেট ধরে না রাখতে পারার কারণে এই ম্যাচটা হেরে গেল।
আসলেই ভাই, উইকেট থাকলে ম্যাচের ফলাফল অন্যরকম হতো।
এবারের বিশ্বকাপের জন্য ইংল্যান্ড খুবই ভালো একটা দল তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে বলে আমার কাছে মনে হয়। এবার তারা বিশ্বকাপ ট্রফিটা তাদের ঘরে তুলতে পারবে হয়তোবা দ্বিতীয়বারের মতো জজ বাটলারের হাত ধরে। আর অধিনায়ক হিসেবে বাটলার যেভাবে খেলছে সেটা সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে।
আসলেই ভাইয়া জস বাটলার কিন্তু খুবই ভালো খেলেছিল। দেখা যাক বিশ্বকাপে কি করে।
দুইটি ম্যাচেই দেখলাম ইংল্যান্ডের পারফরমেন্স খুবই ভালো। ধারাবাহিকভাবে তারা ভালো পারফরমেন্স করছে। এবার বিশ্বকাপে ও তারা ভালো পারফরম্যান্স করবে। পাকিস্তান দল বর্তমান খুবই শক্তিশালী দেখা যাক কি হয় বিশ্বকাপে। আপনার ম্যাচ রিভিউ পড়ে খুবই ভালো লাগলো।
পাকিস্তানের টিমে আমির ব্যাক করেছে। বোলিং ইউনিট বেশ শক্তিশালর এখন