নাটক রিভিউঃ " জোড়া শালিক "

নাটকের শুরুতে দেখা যায় মনির মাধবরের বাড়িতে গিয়েছে বিশেষ একটা আবদার নিয়ে। মনিরের মা কয়েকদিন ধরে বেশ অসুস্থ। ভালো চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে হবে শহরে। মনির মাধবরের মেয়ে খুশিকে প্রাইভেট পড়ায়। কিন্তু মাধবর সাহেব মোটেও রাজি নয় যে এখন প্রাইভেট বন্ধ দিতে। কিন্তু মনিরের মায়ের কথা শুনাতে তাকে ছুটি দিয়েছে। কিন্তু কথা হলো পনেরো দিনের জন্য তাকে নতুন টিচার খুজেঁ দিতে হবে। মনির তার একমাত্র বন্ধু মঞ্জুর সাথে কথা বলে। মঞ্জুর সব বিপদে মনির সবসময় এগিয়ে আসে। মঞ্জু প্রথমে রাজি হয়নি মাধবরের মেয়েকে পড়াতে। কিন্তু মনিরের মায়ের জন্য সে বেচেঁ যায়। মাধবরের মেয়ে খুশিকে পড়িয়ে মনির ভালোই একটা টাকা পায়। সে হিসেবে মঞ্জু প্রাইভেট না পড়ালে প্রাইভেটটা হাত ছাড়া হয়ে যাবে।

তারপর থেকে মঞ্জু খুশিকে পড়াতে যায়। কিন্তু প্রথমদিনেই খুশির চঞ্চলতা দেখে মঞ্জুর ভালো লেগে যায়। খুশি ইনিবিনিয়ে কথা বলে প্রাইভেট না পড়ার কথা বলে। কিন্তু মাধবর সাহেব তাকে সতর্ক করে দেয় কারণ খুশি খুবই চালাক। পড়ালেখা একদমই করতে চাই না। বেতের বারি দিতে হলে তাই করতে হবে। তারপর থেকে ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে ভালোলাগার একটা সম্পর্ক চলে আসে। মঞ্জু খুশির পিছু পিছু হেটেঁ যায়। খুশি বুঝতে না পারলেও খুশির বান্ধবী ঠিকই বুঝতে পেরেছিল। এটা যে প্রেমে পড়ার লক্ষণ! খুশি শুরুতে এতোটা পাত্তা দেয়নি। তারপর মঞ্জু খাতায় লিখে তার মনের কথা বুঝানোর চেষ্টা করে। তারপর খুশি বুঝতে পারে যে মঞ্জু তাকে ভালোবাসে।

কিছুদিন পর খুশি স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল । আর তখন মঞ্জুও তার পিছু পিছু যাচ্ছিল। খুশি বিষয়টা খেয়াল করে। আর তখনই মঞ্জুকে জিজ্ঞেস করে কিছু বলবে কি না। তখন মঞ্জু সব বলে দেয়। আর খুশি তাকে ভয় দেখায় যে, সে যে তাকে ভালোবাসার কথা বলেছে তার বাবাকে সব বলে দিবে। এটা শোনার পর মঞ্জু দ্রুত চলে যায় সেখান থেকে। তারপর দুদিন ধরে মঞ্জু প্রাইভেট পড়াতে যায়না। খুশি মঞ্জুর জন্য চিন্তা করতে থাকে। তারপর খুশির বান্ধবীকে নিয়ে মাস্টারের বাড়িতে এসে হাজির! মাস্টারকে এসে জিজ্ঞেস করে কেন সে পড়াতে যায় না। তারপর থেকে সে পড়াতে যায় এবং তাদের দুজনের ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি হয়। খুশির রাতে বাহিরে যেতে ভয় পেতো আর খুশি মঞ্জুকে ভালোবাসার পর রাতের আধারে দেখা করতে যায়। খুশির দাদী ঠিকই বুঝে যায়।

তারপর মঞ্জুর প্রাইভেট পড়ানোও বাতিল হয়ে যায়। এদিকে তাদের দুজনের ব্যাপারটা খুশির বাবাও জেনে যায়। তারপর লোক দিয়ে পিটানো হয় মঞ্জুকে। কিন্তু মঞ্জু তবুও খুশিকে ভালোবাসে। এদিকে খুশির বাবা খুশির বিয়ে ঠিক করে। অন্য একটা ছেলের সাথে খুশিকে বিয়ে দিবে। খুশি তার দাদীর কাছে শেষবারের মতো অনুমতি চাই। সে একবার শুধু মঞ্জুর সাথে দেখা করবে যাতে সে তাকে ভুলে যায়। রাতের আধারে লুকিয়ে মঞ্জুর সাথে দেখা করতে আসে খুশি। খুশি মঞ্জুকে বলে সে যেন তাকে ভুলে যায়। কাল তার বিয়ে। এই বলে খুশি চলে যায়। এদিকে খুশির বাবা এলাকার লোকদের বলে মঞ্জুদের বাড়িতে আগুন লাগানোর ব্যবস্থা করে। ঘুমানো অবস্থায় আগুনে পুড়ে মঞ্জুর বাবা মারা যায়। তারপর কি হয়েছিল জানতে নাটকটি আপনাকে দেখতে হবে।