হৃদয়ের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের সহজ জয়
11-05-2024
২৮ বৈশাখ , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো সকলের সুস্থ্যতা কামনা করে আজকে চলে এলাম আপনাদের সাথে খেলা নিয়ে আলোচনা করার জন্য। আপনারা জানেন যে, আমি সপ্তাহে চেষ্টা করি খেলা নিয়ে আলোচনা করার জন্য। আপনারা ইতোমধ্যে এটাও জানেন যে বাংলাদেশে এসেছে জিম্বাবুয়ে টিম! আসলে সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তারউপর জিম্বাবুয়ে টিম বিশ্বকাপ থেকে আগেই বাদ পরেছে। সে হিসেবে সে টিমের সাথেই বাংলাদেশ খেলছে! বাংলাদেশের পারফর্মেন্স ভালো করার জন্যই হয়তো এই চেষ্টা। গত ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছিল । সেটা নিয়ে ইতোমধ্যে আপনাদের সাথে আলোচনা করেছি। পাচঁ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের ইতোমধ্যে একটিতে জিতে বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে। তো আজকে আলোচনা করবো দ্বিতীয় ম্যাচ নিয়ে। যদিও ইতোমধ্যে চারটা খেলা শেষ হয়েছে। ধারাবাহিতার জন্য একটা একটা করে আলোচনা করবো।
২য় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টসে জিতে প্রথমেই বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। যেহেতু আগের ম্যাচেও পরে ব্যাটিং করে জিতেছিল বাংলাদেশ সে হিসেবে ক্যাপ্টেন শান্ত ভালো একটা ডিসিশন নিয়েছিল বলতেই হয়। তারপর শুরুতেই ব্যাটিং এ নামে জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনিং ব্যাটার গাম্বি ও মারুমানি! জিম্বাবুয়ের শুরুটা একটু স্লো ছিল। ওভারের শুরুতে রান আসেনি। যার জন্য প্লেয়ারদের উপর একটা প্রেসার চলে আসে। দলীয় সংগ্রহ যখন ১৫ রান তখন তাসকিনের বলে মারুমানি এলবিডব্লিউ আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। তারপর থেকে শুরু হয় জিম্বাবুয়ের ছন্দপতন! দলীয় সংগ্রহ ৪২ হতেই পাচঁটি উইকেট হারিয়ে বসে জিম্বাবুয়ে। তারপর খেলার হাল ধরে বেনেট ও কোম্পবেল! দুজন মিলে একটা পার্টনারশিপ গড়ে তুলে। রানের চাকা মোটামোটি ছিল। বাংলাদেশের বোলাররা চেষ্টা করেছিল রানটাকে কম রাখতে। আর সেটাই করতে পেরেছিল। তবে পার্টনারশিপ ভাঙে দলীয় সংগ্রহ যখন ১১৫ রান!
কোম্পবেল আউট হওয়ার পরেই জিম্বাবুয়ের ছন্দপতন। তারপর রান রেইট একদমই কম ছিল। টি-টোয়েন্টিতে ১৬০+ স্কোর না হলে দেখতেও ভালো লাগে না! শেষ অবধি জিম্বাবুয়ে টিম সাতটি উইটেট হারিয়ে ১৩৮ রান করতে সমর্থ হয়। তো ১৩৮ রানের লক্ষ্যকে সামনে রেখে ব্যাট করতে নামে তানজিদ হাসান ও লিটন দাস। লিটন দাসের ক্লাসিক্যাল ব্যাটিং দেখতে আসলে ভালোই লাগে। তবে ইদানীং তেমন পারফর্ম করতে দেখছি। আগের ম্যাচেও সে ব্যর্থ হয়েছে। এদিকে তানজিদ হাসানের সাম্প্রতিক পারফর্মেন্স বেশ ভালো যাচ্ছে। তো বাংলাদেশের শুরুটা ভালোই হয়। দেখেশুনেই খেলে দুজন। তবে বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহ যখন ৪১ রানের তখন তানজিদ হাসান আউট হয়ে যায়। তারপরে মাঠে আসে ক্যাপ্টেন শান্ত!
ভেবেছিলাম শান্ত আর লিটনই খেলাটাকে জিতিয়ে উঠবে। কিন্তু দুজনই আউট হয়ে যায় ৬২ রানের মধ্যে! তারপর মাঠে নামে তৌহিদ হৃদয় ও জাকের আলী! জাকের আলী ভালো একজন হিট ব্যাটার! । তবে জাকের আলী জ্বলে উঠতপ পারেনি । এদিকে তৌহিদ হৃদয় দেখে দেখে খেলে খেলাটাকে অনেকদূর নিয়ে গেল। তারপর জাকের আলীও আউট হয়ে যায়। মাঠে আসে সাইলেন্ট কিলার মাহমুদুল্লাহ। যেহেতু বোলের থেকে রানের গতিটা বেশি ছিল। তাই বাংলাদেশের জিততে তেমন বেগ পোহাতে হয়নি। শেষ অবধি হৃদয় ও মাহমুদুল্লাহ দুজন মিলে খেলাটাকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়ে। ছয় উইকেটে জয়লাভ করে বাংলাদেশ। এরই মাধ্যমে ২-০ তে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ম্যান অফ দা ম্যাচ নির্বাচিত হয় তৌহিদ হৃদয়। তো পরের খেলাগুলোও আপনাদের সাথে আলোচনা করবো। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
twitter share
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
কিছুদিন যাবত লোক খবর দেখেছি হৃদয় খুবই ভালো ব্যাট করছে। আর এই কারণেই নির্বাচকেরা তাকে বিশ্বকাপ খেলার জন্য নির্বাচন করেছেন। যদিও সময় কম পাওয়া যায় তারপরও খেলা গুলো দেখতে ভালই লাগে।
হ্যা ভাই, হৃদয় ভালো ব্যাটিং করেছিল যার জন্য জিততে সহজ হয়েছে।
খেলাটি আমি দেখেছিলাম। আজকে আপনি বেশ দারুণভাবে খেলাটি রিভিউ করেছেন। বাংলাদেশের খেলা হলেই আমি খেলা দেখতে বসে পড়ি। আবেগ কাজ করে খেলা না দেখে থাকতে পারিনা কিন্তু বাংলাদেশের খেলা দেখে দেখে অসুস্থ হয়ে পড়ছি।
বাংলাদেশের খেলা ভাই, সবসময় টান টান উত্তেজনা কাজ করে নিজের মাঝে!